Powered By Blogger

Saturday, April 6, 2024

চিঠিঃ বাংলা পক্ষকে খোলা চিঠি।

শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণ শুধু বাঙ্গালির প্রাণের ঠাকুর নন। সারা পৃথিবীর প্রকৃত ঈশ্বরপ্রেমীদের আরাধ্য দেবতা, প্রাণের ঠাকুর। শ্রীশ্রীবিবেকানন্দ আজও ধর্মবিশ্বাসী ও ঈশ্বরবিশ্বাসী এবং বিভিন্ন মতবাদে আস্থা রাখা বিশ্বের কোটি কোটি শুভবুদ্ধিসম্পন্ন ইয়ং জেনারেশনের আইকন। আপনাদের কাছে আবেদন আজ যে শুধু ভয়ংকর উগ্র মাৎসর্য রিপুতাড়িত অমোঘ লীলা দাস শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ ও শ্রীশ্রীবিবেকানন্দের অপমান করেছেন তাই নয়। তাদের তথাকথিত গুরু প্রভুপাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আছে। জানি না সে অভিযোগ সত্য কি মিথ্যা। তবে তার বিরুদ্ধে কেন কোনও প্রতিবাদ হয়নি বেলুড় মঠ বা অন্যান্য কোনও মঠের পক্ষ থেকে সেটা আশ্চর্য্যের বিষয়। আপনারা সেই ব্যাপারটাও দেখুন। যুক্তির উপর দাঁড়িয়ে তথ্য সহ আদালতে আইনি পর্যায়ে আন্দোলন ও গণ আন্দোলন এমন উচ্চস্তরে নিয়ে যাওয়া হ'ক যাতে প্রমাণিত হয় ইসকন ও ইসকনের প্রবক্তারা পরিকল্পিতভাবেই এসেছে ভারতে স্লো বাট স্টেডি মানসিকতা নিয়ে হিন্দুধর্মকে ধ্বংস করতে। বিচার ব্যবস্থার উপর নির্ভর ক'রে সমস্ত দিক দিয়ে আইনি আঁটঘাট বেঁধে তথ্য ও তত্ত্ব তুলে দেওয়া হ'ক বিচারকের হাতে যাতে বিচার ব্যবস্থা নিখুঁতভাবে খুঁজে দেখে ভারতবর্ষ তথা বিশ্বের দরবারে অর্থ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে হিন্দুধর্মকে ধ্বংস করার কোনও গোপন এজেন্ডা নিয়ে ইসকন এসেছে কিনা ও কাজ করছে কিনা। যদি প্রমাণিত হয় তাহ'লে ভারতের বিচার ব্যবস্থা তার ব্যবস্থা নিক ও যদি প্রমাণ হয় যে সুপরিকল্পিতভাবে সমস্ত ঈশ্বরবিশ্বাসীর মনে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ, শ্রীশ্রীবিবেকানন্দ ও হিন্দুধর্মের সম্পর্কে ঘৃণা, আক্রোশ, বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে তাহ'লে সেই ঘৃণ্য ক্ষমাহীন অপরাধের জন্য প্রয়োজনে ইসকনকে ব্যান করা হ'ক এটা হ'ক সমস্ত স্তরের ধর্ম বিশ্বাসী ও ঈশ্বরবিশ্বাসী মানুষের আন্তরিক দাবী ও ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে প্রকৃত ঈশ্বরপ্রেমীদের শ্রদ্ধাঞ্জলি ও অর্ঘাঞ্জলি।

আর, প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া নাম কা ওয়াস্তে যেন না হয়। সুশৃঙ্খল, শালীনতাপূর্ণ, ভদ্র, সংযত, আবেগপূর্ণ শরীরী ভাষা ও ভাষণ, কবিতা, গান, প্রবন্ধ, সেমিনার ইত্যাদি নানারকমভাবে ধারাবাহিক আন্দোলন এমন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হ'ক যাতে সারা বিশ্ব তাকিয়ে দেখে জীবন্ত ঈশ্বরের অপমানে সারা ভারতের ইশ্বরবিশ্বাসী মানুষ আজ ইসকনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল। সতর্ক থাকতে হবে, শক্ত থাকতে হবে কোনও রকম আলটপকা কথা, ভাষা, আচরণ যেন আন্দোলনকে ডিরেইল্ড করতে না পারে। সতর্ক থাকতে হবে কোনও রকম বেনোজল যেন আন্দোলনে ঢুকে পড়ে উদারতার পোজ নিয়ে, গভীর ঈশ্বরানুভূতির নকল আভিজাত্য নিয়ে আন্দোলনকে উৎস বিমুখ করতে না পারে ও ঢুকে পড়ে আন্দোলনের লাগাম না ধ'রে ফেলে।

আর, এর সঙ্গে যে সমস্ত ভক্তরা সেদিন অমোঘ লীলা দাসের কথায় হাততালি দিয়ে গভীর সম্মতি জানিয়েছিল তারা আপনাদের আন্দোলন এমন উচ্চতায় পৌঁছক যাতে তারা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হ'য়ে অনুতপ্ত হয়, ধর্মাত্মার নামে দুরাত্মাকে চিনতে পারে ও ভবিষ্যতে চিনতে শিখুক এটাই হবে আন্দোলনের সার্থকতা।
আর একটা কথা আপনারা যে ভিডিওটা দেখালেন সেই ভিডিওটা যখন অমোঘ লীলা দাস তার ভাষণের শেষে নাচাগানার কথা বলছেন সেই নাচাগানার অংশটুকু বাদ দেওয়া ঠিক হয়নি। সেই অংশটুকু দেখানো হ'ক বিশ্বের সমস্ত প্রকৃত ঈশ্বরবিশ্বাসী মানুষকে। কিছুদিন আগে প্রকাশিত একজনের প্রতিবাদের একটা ভিডিওতে সেই দৃশ্যটূকু দেখানো হয়েছিল। সেটা দেখানো হ'ক আবার জনসাধারণকে। মানুষ বুঝে নিক দুধ কা দুধ আর পানি কা পানি।
আজ এই পর্যন্ত। প্রকৃত সত্যকে জানার জন্য আপনাদের আন্দোলনকে পূর্ণসম্মতি ও ভালোবাসা জানিয়ে ও আপনাদের মেসেজ বক্সে কয়েকটা ইনফরমেশন পাঠিয়ে লেখা শেষ করছি।
( লেখা ১৬ই জুলাই, ২০২৩ )

No comments:

Post a Comment