১) বাংলাদেশে বাঙ্গালির দুর্গাপুজোর ঘটনা (মন্দির, দুর্গা মূর্তি ভাংচুর) সেইদেশের প্রশাসনিক চরম ব্যর্থতা। আর এই বাংলায় সরকারী স্তরে ও কেন্দ্রীয় স্তরে সেই দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয় ব'লে এড়িয়ে গিয়ে যদি প্রতিবাদ না হ'য়ে থাকে তাহ'লে সেটাও প্রশাসনিক ব্যার্থতা ও দূরদর্শিতার অভাব ও মানবিকতার হত্যা। যে দেশের প্রশাসন অসৎ শক্তির বিরুদ্ধে শক্ত হাতে লাগাম ধরে না সেই দেশের জনগণের কপালে অশেষ দুঃখ থাকে এই ব্যাপারে কোনও সন্দেহই নেই। রাষ্ট্রশক্তি যদি নিরপেক্ষ না হয় তাহ'লে সেই দেশের সংখ্যালঘু জনগণের সমবেতভাবে সাবধানে চলতে হয়। এই ব্যাপারে যুগপুরুষোত্তম পরমপিতা জীবন্ত ঈশ্বর শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বললেন,
"রাজশক্তি হাতে পেয়েও
সৎ-এর পীড়ক যা'রাই হয়
দেশকে মারে, নিজেও মরে
রাষ্ট্রে আনে তা'রাই ক্ষয়।"
২) সবসময় যে সংখ্যালঘু নিপীড়নের পিছনে সংখ্যাগুরুদের সম্মিলিত চক্রান্ত থাকে তা কিন্তু কখনোই নয়। ব্যক্তিগত আক্রোশ বা ব্যক্তিস্বার্থ পূরণ এই সমস্ত নানাবিধ ঘটনার পিছনে থাকে। এখানে বিশেষ ভুমিকা থাকে রাষ্ট্র নেতাদের। শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে গোড়ায় গলদটা ধরিয়ে দিয়ে বললেন,
"গন্ডীস্বার্থী হবে যে
নকল নেতা জানিস্ সে।"
ইষ্ট নাই নেতা যেই
যমের দালাল জানিস।
"মানুষকে যে সইতে নারে
যে জন তা'দের বয় না,
লাখ মোড়লি ঝাঁকুক না সে
নেতা তা'রে কয় না।"
৩) তার ওপর যদি সংখ্যালঘুরা নিজেদের মধ্যে ধর্মকে হাতিয়ার ক'রে নিজের নিজের গোষ্ঠির ধর্মগুরুদের নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবেই হ'ক বা অন্ধের মতো অজ্ঞানতার কারণেই হ'ক কে বড়, কে ছোটো, কে ঠিক, কে বেঠিক লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে তার দায় কে নেবে? এই ব্যাপারে শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন,
"অন্যের ইষ্টের নিন্দা ক'রে
হ'লিরে তুই ইষ্টনিষ্ঠ
নিজেরি পা ভাঙলি নিজে
বুঝলি নে পাপিষ্ঠ।"
"নিজের ত্রুটির ধার না ধেরে
অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপায়,
অহং মত্ত এমন বেকুব
ক্রমে ক্রমে নষ্ট পায়।
ক্রমশঃ (লেখা ১৯শে জুলাই, ২০২৩ )
No comments:
Post a Comment