আবার এই ঐক্যের ডাকের পাশাপাশি ফেসবুকে আজকাল দেখি পোষ্টে সনাতনী নাম নিয়ে সনাতনীদের বিরুদ্ধে সমালোচনা, হুমকি দিতে। এই সমস্ত স্বঘোষিত সনাতনীরা কি সমস্ত কোটি কোটি সনাতনীদের মাইবাপ? এরা কি বিশ্বজুড়ে সমস্ত সনাতনীদের মুখপাত্র? সনাতনীদের পক্ষ থেকে এরা কে বা কারা যারা নিজের ইচ্ছেমতো সনাতনী নানা নাম দিয়ে ফেসবুকে পেজ খুলে সনাতনী কীর্তনীয়া, পাঠক, ব্লগার, ধর্মীয় বক্তা, পুরোহিত, পন্ডিত, সাধু,সন্ত, কবিয়ালদের হুমকি দেবার? এদের কথার কে গুরুত্ব দেয়? এদের কি গ্রহণযোগ্যতা আছে সনাতনী হিসেবে সনাতনী সমাজে? যখন যাকে পারছে ফেসবুকে স্বঘোষিত সনাতনীরা হুমকি দিচ্ছে, বয়কট করার ঘোষণা দিচ্ছে। এদের কি কোমরের জোর আছে, পায়ের তোলার মাটি আছে হুমকি দেওয়ার, বয়কট করার? এইসমস্ত কথার স্রোতে ভাসা বালখিল্য সনাতনীরা আগে দেখুক এদের পায়ের তলার মাটি আছে কিনা। যখন ইচ্ছা হচ্ছে ভিডিও ক'রে সনাতনী সমাজের বিরাট জ্ঞানী সেজে এরা সনাতনীদের ঐক্যবদ্ধ করার পরিবর্তে সুকৌশলে বিবাদ সৃষ্টি ক'রে সনাতনী সমাজে ভাঙ্গন ধরাবার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে? এরা গেরুয়া কাপড়ে নিজেদের ঢেকে, চন্দন তিলকে আপাদমস্তক সেজে নিজেরাই নিজেদের সনাতনীদের অগ্রণী ভূমিকায় অবস্থানকারী প্রবক্তা মনে ক'রে সনাতনীদের আক্রমণ করে চলেছে। স্বাধীনতার ৭৭বছর বছর পর এদের কুম্ভকর্ণের ঘুম ভেঙ্গেছে?
আর রাজনৈতিক দলের মতো হিন্দু ঐক্যের ডঙ্কা বাজিয়ে তলে তলে প্রকারন্তরে সনাতনী ঐক্যের নামে ঐক্যের বিরুদ্ধে ধ্বংসের বীজ বপন করার গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে এরা? প্রশ্ন জাগে মনে এরা সনাতনী ঐক্যেকে ধ্বংস করার ভয়ংকর চক্রান্ত করছে?
এদের মধ্যে অনেককেই দেখি দু'পয়সার বালখিল্য বটতলার জ্ঞান নিয়ে The greatest phenomenon of the world, the greatest wonder in the World, Of the world Unprecedented supreme personality in all aspects পুরুষোত্তম, পরমপিতা, সদগুরু, জীবন্ত ঈশ্বর শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্র ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত এক ও একমাত্র প্রতিষ্ঠান 'সৎসঙ্গ'-এর সমালোচনা করে, হুমকি দেয়! এদের এত সাহস হয় কি করে? কে এদের পিছনে মদদদাতা?
ভারত তথা সারা বিশ্বের তাবড় তাবড় জ্ঞানী যাঁর দীক্ষিত, যাঁর চরণে মাথা নত করেছে। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ আজ তাঁর দীক্ষিত। প্রজাপতি, মৌমাছি যেমন ফুলে তীব্র গন্ধে ছুটে ছুটে আসে ফুলের বুকে, ফুল যেমন কোথাও যায় না, গাছেই থাকে ঠিক তেমনি বিশ্বের সমস্ত ধর্মের হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন ইত্যাদি আরও বিভিন্ন ধর্মমতের, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ, অসাধারণ ক্ষমতাবান মানুষ, অর্থ, মান, যশের অধিকারী কোটি কোটি মানুষ, আর্ত, অর্থার্থী, জিজ্ঞাসু, জ্ঞানী মানুষ আজ তাঁর অসীম, অনন্ত জ্ঞানের আকর্ষণে, তাঁর তীব্র ভালোবাসার টানে আকৃষ্ট হ'য়ে তাঁর কাছে ফুল মৌমাছির মতো ছুটে ছুটে এসেছিল অখন্ড ভারতের পূর্ব বাংলার বর্তমান বাংলাদেশের পাবনা জেলার হিমায়েতপুর গ্রামে তিনি থাকতে, দীক্ষিত হয়েছিল তাঁর এবং তিনি ১৯৬৯ সালে দেহ রাখার পর ছুটে ছুটে এসেছিল পরমপুজ্যপাদ শ্রীশীবড়দার নেতৃত্বে সৎসঙ্গে শ্রীশ্রীঠাকুর ও শ্রীশ্রীবড়দার আকর্ষণে, শ্রীশ্রীবড়দার দেহ রাখার পর শ্রীশ্রীদাদার নেতৃত্বে দেওঘরে 'সৎসঙ্গে' আর আজও লক্ষ লক্ষ মানুষ ছুটে ছুটে আসছে শ্রীশ্রীদাদার দেহ রাখার পর ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের দেওঘরে বর্তমান আচার্যদেব শ্রীশ্রীবাবাইদাদার তীব্র ভালোবাসার আকর্ষণে, মধুর মিষ্টি ব্যবহার ও ব্যক্তিত্বের টানে, যাঁর মধ্যে প্রতিটি সৎসঙ্গী অনুভব ও উপলব্ধি করছে শ্রীশ্রীঠাকুরের জীবন্ত উপস্থিতি, তাঁর কাছে ছুটে ছুটে আসছে রোগ, শোক, গ্রহদোষ, বুদ্ধি বিপর্যয় ও দরিদ্রতার তীব্র সমস্যার কষাঘাতে জর্জরিত হ'য়ে বাস্তব সম্মত নিখুঁত সমাধানের আশায়, নোতুন ক'রে বাঁচার টানে, নোতুন ক'রে জীবন শুরু করার কামনায়, জীবন জুড়ে অশান্তি, অতৃপ্তির মাঝে শান্তি, তৃপ্তি লাভের লোভে তাঁদের বিরুদ্ধে সমালোচনা, নিন্দা, কুৎসা করে, হুমকি দেয় এরা?
বর্তমান যুগগুরু পুরুষোত্তম, পরমপিতা জীবন্ত ঈশ্বর শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র যাঁর মধ্যে একাধারে আবির্ভূত হয়েছে সেই ত্রেতাযুগের শ্রীশ্রীরাম, দ্বাপর যুগে শ্রীশ্রীকৃষ্ণ, কলিযুগে শ্রীশ্রীবুদ্ধ, শ্রীশ্রীযীশু, শ্রীশ্রীমহম্মদ, শ্রীশ্রীমহাপ্রভু, শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ, সেই শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের বিরুদ্ধে আর তাঁর সৃষ্ট প্রতিষ্ঠান বিশ্বজুড়ে আলোচিত 'সৎসঙ্গ'-এর কুৎসা, নিন্দা, কটুক্তি, অপমান, অশ্রদ্ধা ও সমালোচনা করে এইসমস্ত বালখিল্য স্বঘোষিত অজ্ঞানী, মূর্খ, কপট, ভন্ড সনাতনী নামধারী ব্যক্তিরা? এরা সনাতনীদের উদ্ধারকর্তা? এরা রক্ষা করবে সনাতনী হিন্দুদের? এরা আজ সনাতনী সমাজের মুখপাত্র? তারা আজ অগ্রণী ভুমিকায়? তারা আজ সনাতনী সমাজের পুরোধা?
প্রশ্ন জাগে মনে, তারা আজ সনাতনী সমাজের, হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করার আন্দোলনের ধর্মীয় মুখ, ধর্মীয় নেতা? এরা সনাতনী সমাজের আদর্শ? এদের কি সনাতনী সমাজের ঈশ্বর আরাধনার সঙ্গে সমস্ত যুক্ত সাধু, সন্ত, সাধক, যোগী, ঋষি, ভক্তমন্ডলী সমর্থন করে? স্বীকৃতি দেয়? তাঁরা কি বলেন? সনাতনীদের বিরুদ্ধে এটা শকুনি রূপী সনাতনীদের ষড়যন্ত্র মূলক অন্তর্ঘাত নয়তো?
এই জন্যেই সনাতনীদের মধ্যে অনৈক্যের আজ এই অবস্থা। এই অবস্থা আজ নয়। শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রকে বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশের হিন্দু বাঙালীদের অসহযোগিতা, বিরোধিতা, চক্রান্তের কারণে তাঁর জন্মভূমি পাবনার হিমাইয়েত পুর ত্যাগ ক'রে চোখের জলে এক বুক অসহনীয় ব্যথা নিয়ে মধ্যবয়সে এক কাপড়ে ১৯৪৬ সালে তৎকালীন বাজার মূল্য ১.৫০ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি ত্যাগ ক'রে এ দেশে চলে আসতে হয়েছিল। এবং এই দেশে বাংলায়ও তাঁর জায়গা হয়নি বাঙালীদের কারণে। সনাতনীরা তখন কোথায় ছিলেন? পুরুষোত্তম পরমপিতা জীবন্ত ঈশ্বর শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রকে যারা চিনতে পারেনি তারা হবে ভারতের ১১৫কোটি সনাতনী হিন্দু সমাজের মুক্তিদাতা?
প্রশ্ন জাগে মনে, তারা আজ সনাতনী সমাজের, হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করার আন্দোলনের ধর্মীয় মুখ, ধর্মীয় নেতা? এরা সনাতনী সমাজের আদর্শ? এদের কি সনাতনী সমাজের ঈশ্বর আরাধনার সঙ্গে সমস্ত যুক্ত সাধু, সন্ত, সাধক, যোগী, ঋষি, ভক্তমন্ডলী সমর্থন করে? স্বীকৃতি দেয়? তাঁরা কি বলেন? সনাতনীদের বিরুদ্ধে এটা শকুনি রূপী সনাতনীদের ষড়যন্ত্র মূলক অন্তর্ঘাত নয়তো?
এই জন্যেই সনাতনীদের মধ্যে অনৈক্যের আজ এই অবস্থা। এই অবস্থা আজ নয়। শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রকে বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশের হিন্দু বাঙালীদের অসহযোগিতা, বিরোধিতা, চক্রান্তের কারণে তাঁর জন্মভূমি পাবনার হিমাইয়েত পুর ত্যাগ ক'রে চোখের জলে এক বুক অসহনীয় ব্যথা নিয়ে মধ্যবয়সে এক কাপড়ে ১৯৪৬ সালে তৎকালীন বাজার মূল্য ১.৫০ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি ত্যাগ ক'রে এ দেশে চলে আসতে হয়েছিল। এবং এই দেশে বাংলায়ও তাঁর জায়গা হয়নি বাঙালীদের কারণে। সনাতনীরা তখন কোথায় ছিলেন? পুরুষোত্তম পরমপিতা জীবন্ত ঈশ্বর শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রকে যারা চিনতে পারেনি তারা হবে ভারতের ১১৫কোটি সনাতনী হিন্দু সমাজের মুক্তিদাতা?
তৎকালীন মূখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সৎসঙ্গের জন্য মঞ্জুর করা বর্ধমান জেলার পানাগড়ে ৬০০০হাজার বিঘা জমি নাকচ করে দেন। তিনি কি সনাতনী হিন্দু ছিলেন না? তিনি কি মুসলমান , খ্রীষ্টান বা অন্য কোনও ভিন্ন ধর্মী ছিলেন? তৎকালীন কোনও বিখ্যাত সনাতনী হিন্দু বাঙালী সেদিন শ্রীশ্রীঠাকুরকে এই বাংলায় আশ্রয় দেওয়ার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেননি। তাই শ্রীশ্রীঠাকুরকে বাধ্য হ'য়ে চোখের জলে এই সনাতনী হিন্দু বাঙালীদের বাংলা থেকে চলে যেতে হয়েছিল তৎকালীন বিহারের বর্তমান ঝাড়খন্ডের জনবসতি শূন্য দেওঘরে। কোনও বাঙালী হিন্দু সনাতনী সমাজ তখন ধর্ম জগতের হিন্দু ও বাঙালী গুরু শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের জন্য এগিয়ে আসেননি। কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সেদিন ঠাকুরের পাশে দাঁড়িয়ে বাংলায় থাকার জন্য জোর তদারকি করেননি। ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের শ্রীশ্রীঠাকুরের বিরুদ্ধে পানাগড়ে জমির বিরোধিতা করা সত্ত্বেও সেইসময়ের নির্বাচনে ১৯৪৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মহম্মদ ইসমাইলের বিরুদ্ধে ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের সমর্থনে ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও শ্রীশ্রীঠাকুরের একনিষ্ঠ কর্মী শ্রদ্ধেয় কাপুরদা ও জনার্দনদা প্রাণপাত করেছিলেন শ্রীশ্রীঠাকুরের আদেশে। আর, পরবর্তী সময়ে নির্বাচনের ফলাফল কি হয়েছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের তাও আজ ইতিহাস হ'য়ে আছে।
এই সনাতনী যারা আজ ঐক্যের ডাক দিচ্ছে, হিন্দুদের রক্ষা করার জন্য আন্দোলন করছে তারা সেদিন ভারত ভাগের বিরুদ্ধে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জিন্না পাকিস্তানকে যে ইস্লামিক রাষ্ট্র ঘোষণা করেছিল সেদিন কেন ভারতের সনাতনীরা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট ঘোষণা করার দাবী তোলেনি? কেন করেনি সেদিন জোরদার আন্দোলন? যেদিন বাংলাদেশকে ইসলামিক রাষ্ট ঘোষণা করা হয়েছিল সেদিন কেন আজকের সনাতনীরা বিরোধীতে করেনি? প্রতিবাদ, আন্দোলন করেনি? কেন সেদিন ১৯৪৭ এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সমস্ত হিন্দুদের ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য তীব্র সংগ্রাম, আন্দোলন করেনি? সেদিন কি ঘুমিয়ে ছিল সনাতনীরা? সেদিন কেন সনাতনী ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দেয়নি? সেদিন কেন 'আমার গায়ে আঁচ না লাগে ফুরিয়ে যাবে মামলা' মানসিকতায় নাকে তেল দিয়ে বাবাজী, মাতাজী হ'য়ে সনাতন ধর্মের নিরাপদ রাখোয়ালা হ'য়ে আয়েসে দিন কাটিয়েছিলেন? সেদিন কাকে বা কাদের খুশী করেছিলেন সনাতনীরা? যেদিন কাশ্মীরে হিন্দুদের ওপর নির্ম্মম অত্যাচার হয়েছিল সেদিন কোথায় গেছিল সনাতনীদের তেজ? সেদিন যখন শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ব্রিটিশ চক্রান্তে হিন্দু মুসলমানের মধ্যে ঘৃণ্য ডিভাইড এন্ড রুল প্রয়োগের মাধ্যমে ভারতবর্ষ মুসলমান আধ্যুষিত সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল হিসেবে যাতে ভাগ না হয় তার জন্য যে পরামর্শ দিয়েছিলেন, একশ্রেণীর মুসলমানদের ইসলামিক রাষ্ট গঠনের তীব্র মনোভাবে ভারতবর্ষ ভাগ হ'লেও বাংলাদেশ যাতে পাকিস্তানের দখলে না যায় সেজন্য তিনি যে পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন ও যে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন দেশনেতাদের কাছে তখন দেশনেতারা সেই পরিকল্পনা ও প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন? শ্রীশ্রীঠাকুরের পরামর্শকে মান্যতা দিয়েছিলেন? সেদিন সনাতনী বীরপুরুষেরা শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন? তিনি যে দেশভাগের অনেক আগে দেশনেতাদের সতর্ক ক'রে দিয়ে লিখিত বার্তা পাঠিয়ে বলেছিলেন "Dividing compromise is hatch of the animosity." যার অর্থ, "ভাগ ক'রে সমাধানের অর্থ হ'লো, 'তা' দিয়ে দিয়ে শত্রুতার ডিম ফোটানো।" সেই সতর্ক বাতাকে দেশনেতারা, সনাতনীরা সেদিন গুরুত্ব দিয়েছিলেন? পাত্তা দিয়েছিলেন শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রকে সেদিন? ধর্ম জগতের লোক ব'লে তাঁকে উপেক্ষা করেননি তারা সবাই সেদিন সত্যদ্রষ্টা, দূরদ্রষ্টা অন্তর্যামী ও সর্ব্বজ্ঞ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রকে নিজেদের বিরাট মহান জ্ঞানী মহাপুরুষ মনে ক'রে? আজ ৭৭বছরে তা প্রমাণ হ'লো কিনা? পাকিস্তানে কত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের ক্ষতি হয়েছে আজ ৭৭বছরে? বাংলাদেশে ১৯৪৭ সাল থেকে ও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ৫৩ বছরে কত ক্ষতি হয়েছে হিন্দু বাঙ্গালীর জীবন ও সম্পদের? কত ধর্মীয় উৎসবের ওপর আক্রমণ হয়েছে স্বাধীনতার পরে ৭৭ বছর ধ'রে? এর হিসেব নিয়েছে আজ পর্যন্ত সনাতনী সমাজ? সনাতনীদের পক্ষ থেকে গোমাতাদের রক্ষার জন্য যতটা যে ধর্মীয় লড়াই সঙ্ঘটিত করার চেষ্টা হয়েছে কথার স্রোতে ভেসে ততটা কি পাকিস্তানে ও বাংলাদেশে হিন্দু বাঙালী বা হিন্দু ভাষাভাষীদের রক্ষার জন্য মানুষদের নিধন যজ্ঞের বিরুদ্ধে টুঁ শব্দটি করেছে? করার স্রোতে ভাসার করার কথা বাদ দিলাম অন্তত কথার স্রোতে ভেসে চেষ্টা হয়েছে প্রতিবাদ করার?
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র দেশভাগের আগে হিন্দু ও মুসলমান অধ্যুষিত এলাকায় হিন্দু মুসলমানের মধ্যে জন সংখ্যার দিক দিয়ে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য যে সমাধান দিয়েছিলেন বহু বছর আগে যাতে দেশ ভাগ না হ'তে পারে, হিন্দু মুসলমান পরস্পরের মধ্যে তথাকথিত সভ্য জাত ব্রিটিশদের ঘৃণ্য পলিশি ডিভাইড এন্ড রুল প্রয়োগের মাধ্যমে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি নষ্ট করার অমানবিক নোংরা নারকীয় ঘৃণ্য চক্রান্ত সফল হ'তে না পারে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করেছিল দেশের নেতৃবৃন্দ, জমিদার শ্রেণী ও সনাতনী সমাজ সেইসময়? বরং একক উদ্যোগে যখন শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র চেষ্টা করেছিলেন দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার কাজ তখন তাঁর পবিত্র মহান কাজে কারা বাধা দিয়েছিল? মুসলমানরা? নাকি হিন্দুরা? হে সনাতনী সমাজ সেই ইতিহাস কি জানা আছে? এক বিগদ দূরের জিনিস দেখার ক্ষমতা নেই সনাতনী সমাজের বালখিল্য স্বঘোষিত মূর্খ অজ্ঞ অজ্ঞানী কপট ভন্ড ও গেরুয়া রঙে সাজা সনাতনীরা যারা ফেসবুকে ও ভিডিওতে বিশ্বজুড়ে দেশ বিদেশের কোটি কোটি হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ ইত্যাদি বিভিন্ন ধর্ম মতের, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের, বিভিন্ন রাজ্যের, বিভিন্ন জাতের মানুষের আরাধ্য দেবতা গুরুদেব The greatest phenomenon, the greatest wonder of the world সৃষ্টিকর্তা জীবন্ত ঈশ্বর সদগুরু পুরুষোত্তম পরমপিতা শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের বিরুদ্ধে সমালোচনা করার, কুৎসা করার, হুমকি দেওয়ার স্পর্ধা দেখায়!? কাদের মদদে এরা এই কাজ করে? সনাতনী ভারতবর্ষের সমস্ত সনাতনীদের কাছে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কোটি কোটি সনাতনী হিন্দুদের কাছে আমার জিজ্ঞাস্য সমগ্র সনাতনী সমাজ এদের এই কাজ সমর্থন করেন কিনা? দেশের সরকার এই কাজ সমর্থন করে কিনা?
তাই, সৎসঙ্গীদের শুধু এটুকুই বলবো আপনারা যারা যারা সনাতনীদের সমর্থনে ফেসবুকে পোষ্ট করছেন, তাদের কারও কারও পাশে দাঁড়িয়ে ফটো তুলে সনাতনী ঐক্যের পক্ষে সওয়াল করছেন, তাদের হুমকি দেওয়া পোষ্টে না বুঝে সমর্থন সূচক মন্তব্য করছেন তাদের সকলকে বলবো আপনারা সনাতনীদের সমর্থন করুন, হিন্দু ঐক্যের পক্ষে কথা বলুন, ফেসবুকে পোষ্ট করুন তার আগে নিজের গুরু, ইষ্টদেবতা, এক ও অদ্বিতীয় সৃষ্টিকর্তা, সদগুরু, পুরুষোত্তম, পরমপিতা জীবন্ত ঈশ্বর শ্রীশ্রীরামচন্দ্র, শ্রীশ্রীকৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মহম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণের বর্তমান শেষ নব রূপ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের বিরুদ্ধে স্বঘোষিত সনাতনীদের ঘৃণ্য আচরণ, কটু ব্যবহার, নোংরা কথাবার্তা, হুমকি ইত্যাদির বিরুদ্ধে আপনার তীব্র প্রতিবাদ জানান। কারণ আপনি সৎসঙ্গী। আপনি সৎসঙ্গী। আপনি সৎসঙ্গী। ( লেখা ৩রা নভেম্বর'২৪)
No comments:
Post a Comment