Powered By Blogger

Monday, December 9, 2024

প্রবন্ধঃ কৃষি বিল ও আমরা (৩)।

কৃষি বিল আমরা সাধারণ মানুষ বুঝি না ও বুঝতে পারি না। কৃষি বিল কেন কোনও বিলই আম জনতা বোঝে না। তার উপর তাকে যদি কায়েমি স্বার্থে জটিল ক'রে দেওয়া হয়! কৃষি বিলে চুক্তি চাষের কথা বলা হয়েছে। চুক্তির ভিত্তিতে কৃষক ও ক্রেতা দুই পক্ষই লেনদেন করতে বাধ্য থাকবে।
চুক্তিতে কি আছে?
১) চাষ শুরুর আগে ক্রেতা ও বিক্রেতা (কৃষক) দুই পক্ষই ফসলের দাম ঠিক করে নেবে।
২) কিভাবে ফসল সরবরাহ করবে তা ঠিক ক'রে নেবে।
৩) ফসলের গুণমান নিয়েও হবে কথা।
প্রশ্নঃ ১) দামের ঊর্ধ্ব ও নিম্নসীমা কিছু আছে কি? চাষী একটাকা পেলে ক্রেতা কি তা ১০০টাকায় বেচবে? নাকি তারও একটা সীমা থাকবে?
কিন্তু দাম ঠিক করার ব্যাপারে যাতে কৃষকরা কোনও অবস্থাতেই বঞ্চিত না হয় তা ক্রেতা বা বড় কৃষকের দুষ্ট বুদ্ধিতেই হ'ক, প্রাকৃতিক বিপর্যয়েই হ'ক, শাসক বা রাজনৈতিক দল ও নেতার চক্রান্তেই হ'ক কোনও অবস্থাতেই চাষের ন্যায্য দাম পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হয় কৃষক তা সে ছোটো বড় যে কৃষকই হ'ক না কেন তার জন্য কোনও কড়া নিশ্চিত ফাঁকহীন ব্যবস্থা আছে কি?

প্রশ্নঃ ২) যদি ক্রেতা বা বিক্রেতা চুক্তি ভঙ্গ করে কোনও মজবুত কারণ ছাড়া তার জন্য বিলে কড়া ব্যবস্থা কি বিলে আছে?

প্রশ্নঃ ৩) আইন আদালতের প্রশ্নে ( চুক্তি ভঙ্গ যদি আইনি পর্যায়ে যায়) কৃষকের জন্য সরকারী আইনি সাহায্য বরাদ্দ আছে কি?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজী বলেছেন, সরকার কৃষকের সুরক্ষার সমস্ত দিকটাই দেখবে। দেখবে যাতে কৃষকের স্বার্থ ক্ষুন্ন না হয়।
কিন্তু দেশের আম জনতা তা সে শ্রমিক-মজুর-কৃষক যেই-ই হ'ক না কেন সবাই ঘরপোড়া গরু, সিঁদুরে মেঘ দেখলেই ভয় পায়। ৭৩ বছর ধ'রে সরকারী-বেসরকারী আগুনে জনগণের পশ্চাদদেশ পুড়ে কালো হ'য়ে দগদগে ঘা হ'য়ে গ্যাছে আর কোনও সরকার, মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি কারও কথায় আর বিশ্বাস করে না আম জনতা। আর সরকার বিরোধী দল আরও ভয়ঙ্কর হ'য়ে দেখা দেয় জনগণের কাছে তা জনগণ ৭৩ বছর ধ'রে সরকার পালটে পালটে দেখেছে। আর আশাও করে না ভাঙাচোরা জনগণ। কারণ সেই রামও নেই, নেই সেই অযোধ্যা।
ক্রমশঃ। ( লেখা ৯ই ডিসেম্বর'২০২০)

No comments:

Post a Comment