ঈশ্বরের সঙ্গে বেইমানী করেছে কে?
ধার্ম্মিক তুমি নাকি অধার্ম্মিক?
তুমি নাস্তিক নাকি যে আস্তিক? কে?
আর কবি তুমি! দেবীকে করতে এসে দর্শন
জড়িয়ে ধরেছো শিহরণে করতে ধর্ষণ!
তোমার মনে নেই কোনো বোধ পাপ।
অকপটে করেছো স্বীকার,
তাই পাপপুণ্য আর ঈশ্বরে বিশ্বাস-অবিশ্বাস
নিয়ে নেই তোমার কোনো তাপ উত্তাপ।
আর শিল্পী তুমি ঠান্ডা মাথায়
হ’য়ে বরফ কুলফি ছিলে মগ্ন
দেবীকে করতে নগ্ন!
শিল্পীর স্বাধীনতায়!!
এমন ঘটনা যুগে যুগে কত
ঈশ্বর নিয়ে খেলা অবহেলা
বুদ্ধিজীবীর বুদ্ধিতে ফুটে ওঠে শতশত
জীবিকার ছেলেখেলা!
এতে কি ঈশ্বর কখনো
হয়েছেন ক্ষুণ্ণ?
কাঞ্চন লাভে হন্যে হ’য়ে
অহংকারের নিশান তুলে
তুমি হ’য়ে উঠেছো বন্য!
সভ্যতার আব্রু ভুলে
ধরাকে সরা জ্ঞানে হয়েছো সমাজের
কেউকেটা আর গণ্যমান্য!
ঈশ্বর কি কখনো হয়েছেন ক্ষুণ্ণ?
ঈশ্বরের সঙ্গে বেইমানী করেছে কে?
তোমরা অধার্ম্মিক নাকি ধার্ম্মিক,
নাস্তিক নাকি আস্তিক?
যারা তাঁর দয়াতে হয়েছো ধন্য!
কে? কে? বলো কে?
একে কি বলবো? বেইমানী?
নাকি অকৃতজ্ঞতা কিম্বা নেমকহারামী?
ঈশ্বরে আর ধর্ম্মে যার নেই বিশ্বাস
কেমনে সে ফেলবে বেইমানী, অকৃতজ্ঞতা
আর নেমকহারামীর বিষাক্ত নিঃশ্বাস!?
তাহ’লে বাকি রইলো কে???
এসেছেন তিনি যুগে যুগে বারেবারে
নবরূপে তবদ্বারে, চিনেও না চেনার তরে
ধর্ম্মের নামে করেছো বিভেদ,
করেছো ভক্তকূলে ভাগ বাটোয়ারা!
মসিহা হ’য়ে বসেছো নিজে তাঁর সিংহাসনে
দূরে ঠেলে দিয়ে তাঁরে
ক্ষমতার মোহে হ’য়ে মাতোয়ারা।
সাধনার জগতে হ’য়ে সাধক
ভক্তকূলে হয়েছো ভগবান
এতদিনের সাধনা হয়েছে ব্যর্থ
করেছো নিজেকে নিজে অপমান!
এসেছেন ঈশ্বর যুগে যুগে বারেবারে
এ ধরাতলে হ’য়ে রাম কৃষ্ণ বুদ্ধ
যীশু, মহম্মদ, চৈতন্য রামকৃষ্ণ, অনুকূল
নানারুপে জীবনকে করতে শুদ্ধ।
কিন্তু ঈশ্বরবিশ্বাসী তুমি
ভক্তকূল মাঝে তুলেছো দেওয়াল, আর
ঈশ্বর প্রেরিতদের করেছো ছিন্নভিন্ন!
ঈশ্বর কি কখনো হয়েছেন ক্ষুণ্ণ?
তবুও তিনি দয়াময়! দয়াল প্রভু
তোমাদের বেসেছেন ভালো
‘ধর্ম্ম এক, ঈশ্বর এক, প্রেরিতগণ একবার্তাবাহী’
এই বার্তায় তিনি ফেলেছেন আলো বারেবারে
সপরিবেশ তোমার বাঁচা বাড়ার তরে
ক’রো না তারে আর বন্ধু কালো।
আর যদি করতে চাও কালো,
করো যত ইচ্ছা লাগে তোমার ভালো।
তবে জেনো, ঈশ্বরের দেখেছো তুমি শুধ আলো
দেখোনি তাঁর ভয়ংকর রূপ ঘোর নিকষ আঁধার কালো।
( লেখা ৬ই ডিসেম্বর'২০১৪)
No comments:
Post a Comment