প্রতিদিনের মত শ্রীশ্রীআচার্যদেবের আশীর্বাদপূত Vasudhaiva Kutumbakam Foundation থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য গাড়িতে উঠেছে চারজন। শিথিলতা, স্ট্রেস রিলিফ বা সুস্থতার জন্য সামগ্রিক পদ্ধতির সন্ধান ও সেবা দেওয়ার কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের দীক্ষিত দু'জন সেবাদানকারী আর সঙ্গে ছিলেন দু'জন পেশেন্ট। তাদের একজন ছিলেন গুরুবোন, খুবই কাছের বন্ধু কাম পেশেন্ট।
প্রসঙ্গত ব'লে রাখি,
শ্রীশ্রীআচার্যদেবের আশীর্বাদপূত Vasudhaiva Kutumbakam Foundation. তাঁর নির্দেশে ও আশীর্বাদে গড়ে উঠেছে কলকাতার বুকে এই ফাউন্ডেশন। এর অনেকগুলি ইউনিট আছে। তার মধ্যে Anuttara Samyak Sambodhi (অনুত্তরা সাম্যক সম্বোধি) একটা উইং, আর একটা আছে শিশুদের Little Buddha International Preschool, Thakurpukur.
এখানে শ্রীশ্রীঠাকুরের দয়া ও শ্রীশ্রীআচার্যদেবের আশীর্বাদকে মাথায় নিয়ে শ্রীশ্রীঠাকুরের সামনে নিত্যদিনের ক্ষতবিক্ষত বিধ্বস্ত মানুষের শরীর, মন এবং আত্মাকে পোষণ দেওয়ার জন্য healing therapy-র (নিরাময় থেরাপি) মাধ্যমে রূপান্তরকারী শক্তিতে পরিণত করা হয়। শিথিলতা, স্ট্রেস রিলিফ বা সুস্থতার জন্য কোনওরকম মেডিসিন ছাড়াই Supreme power-এর দয়া ও আশীর্বাদকে মূল্ধন ক'রে healing therapy-র সাহায্য নেওয়া হয়।যাই হ'ক, প্রতিদিনের মত সমস্ত কাজ শেষে ইন্সটিটিউট থেকে রাত প্রায় এগারোটায় যখন এরা হিলিং থেরাপি শেষে বেরিয়ে গাড়িতে সবাই ওঠে তখন গাড়িতে ছিল মোট চারজন। উপরে উল্লেখিত ৩জন ছাড়া আরও একজন পেশেন্ট ছিলেন যাকে তারা গাড়িতে ক'রে বাড়ি ফেরার পথে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন।
রাত হ'য়ে যাওয়ার কারণে এই দু'জন সেবাদানকারী দম্পতি ঐ গুরুবোন ও অন্য আর একজন পেশেন্টকে তাদের বাড়িতে ড্রপ ক'রে দিয়ে বাড়ি ফিরে যাবে মনস্থ করেছিল। সাথে আরও একজন পেশেন্ট ও তার ছোট্ট মেয়ের যাবার কথা ছিল। সেই মা'টি বাইরে ওয়েটিং রুমে বসে ল্যান্ডলেডি ও অন্যান্যরা মিলে গুরুবোনের কাছে শ্রীশ্রীঠাকুরের নানারকম দয়ার কথা শুনছিল। যেহেতু তখনও হিলিং থেরাপির মাধ্যমে সেবাকার্য চলছিল হিলিং রুমে তাই রাত হ'য়ে যাওয়ায় এবং সঙ্গে ছোট্ট মেয়ে থাকায় সে আর অপেক্ষা না ক'রে চলে যায়।
কথাপ্রসঙ্গে ব'লে রাখা ভালো, ঐ মানসিক বিধ্বস্ত মা'টিকে এনেছিল ঐ গুরুবোন, যাকে দেখে হিলিং থেরাপি শেষে ইমিডিয়েট Supreme power-এর শরণাপন্ন হ'তে পরামর্শ দিয়েছিল হিলিং থেরাপি দম্পতির পুরুষ চিকিৎসক শ্রীশিবাশীষ চ্যাটার্জী। এই কথা বলার কারণ ও অলৌকিকত্ব পরে বর্ণনা করবো। পরতে পরতে লুকিয়ে রয়েছে অবিশ্বাস্য রহস্য; যা আমার বা যে কারও দর্শনের পাল্লার বাইরে ও স্বপ্নের অতীত। এর জন্য পাঠককে আমার সঙ্গে একটু কষ্ট ক'রে থাকতে হবে শ্রীশ্রীঠাকুরের জীবন্ত উপস্থিতিকে উপলব্ধি করার জন্য।
রাত তখন ১১টা ৩০মি। রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা। গাড়ি ছুটে চলেছে। সঙ্গে চলেছে শ্রীশ্রীঠাকুর ও শ্রীশ্রীআচার্যদেবকে নিয়ে নানা ইষ্টপ্রসঙ্গ। সঙ্গে চলছিল গুরুবোন সীমা ভট্টাচার্য মায়ের লেখা ও ঐ গুরুবোন সোনাই ঢালির পাঠ করা "আমাদের একটা ঠাকুর বাড়ি আছে" রেকর্ডিং। সবাই শুনছিল মন দিয়ে আর গাড়ি ছুটে চলেছিল অন্ধকারের বুক ভেদ ক'রে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে। যখন নির্দিষ্ট জায়গায় ঐ পেশেন্টকে তার বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে ঐ দুই চিকিৎসক দম্পতি ও গুরুবোন গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরে চলছিল বাড়ির উদ্দেশ্যে তখন রাত ১২টা পার হ'য়ে গেছে। আর তখনি ঘটলো অলৌকিক ভয়ংকর দুর্ঘটনা।
ক্রমশ।
বিঃদ্রঃ ভিডিও ফুটেজ যদি পাই তবে তা' দিয়ে চেষ্টা করবো পরবর্তী লেখায় দূর্ঘটনার মুহূর্ত দেখাবার।
( লেখা ৫ই ডিসেম্বর'২০২৩)
No comments:
Post a Comment