Powered By Blogger

Monday, December 16, 2024

প্রশ্ন ও উত্তর।

প্রশ্নঃ ইষ্টানুসরণে ধ্যান করতে হয় কা’র?

শ্রীশ্রীঠাকুরঃ যুগাবতার ছাড়া অন্য কেউ ধ্যেয় নন।

প্রশ্নঃ তাঁর অবর্ত্তমানে কি হবে?

শ্রীশ্রীঠাকুরঃ যুগাবতারের অবর্ত্তমানে তাঁতে অচ্যুত-আনতিসম্পন্ন, ছন্দানুবর্ত্তী, জীবন-বৃদ্ধিদ আচরণ-সিদ্ধ তঁদ্ বংশধর ইষ্ট-প্রতীকস্বরূপ থাকতে পারেন। পরবর্ত্তী এসে গেলে তখন তিনিই হবেন ধ্যেয়। [আ.প্র.১/৮.১.১৯৪০]

"ইষ্ট গুরুপুরুষোত্তম
প্রতীক গুরু বংশধর
রেতঃ শরীরে সুপ্ত থেকে
জ্যান্ত তিনি নিরন্তর। "-------শ্রীশ্রীঠাকুর।

সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর যুগ শেষে ঘোর কলিযুগের যুগাবতার হ'লেন পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র। শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র হ'লেন যুগাবতার রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মহম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ-এর পরবর্তী রূপ। তাঁকে যুগাবতার না ব'লে বলা উচিৎ যুগাবতারী। তিনি যুগাবতারী। অর্থাৎ যিনি যুগাবতারদের প্রেরণ করেন অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা। সেই অর্থে পুরুষোত্তম শ্রীশ্রীরামচন্দ্র থেকে পুরুষোত্তম শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণ প্রত্যেকেই হ'লেন যুগাবতারী।

আর, পরবর্তী যুগাবতারী যতক্ষণ না আসছেন ততক্ষণ শ্রীশ্রীঠাকুরই ধ্যেয়। পরবর্ত্তী যুগাবতারী এসে গেলে তখন তিনিই হবেন ধ্যেয়। আর শ্রীশ্রীবড়দা, শ্রীশ্রীদাদা ও বর্তমান আচার্যদেব শ্রীশ্রীবাবাইদাদা হ'লেন যুগাবতারী দয়াল ঠাকুরের অবর্তমানে তাঁতে অচ্যুত-আনতিসম্পন্ন, ছন্দানুবর্ত্তী, জীবন-বৃদ্ধিদ আচরণ-সিদ্ধ তঁদ্ বংশধর ইষ্ট-প্রতীকস্বরূপ।
প্রবি। ( লেখা ১০ই অক্টোবর'২০২২)

No comments:

Post a Comment