শ্রীশ্রীআচার্যদেবের আশীর্বাদপূত VASUDHAIVA KUTUMBAKAM FOUNDATION এর একটি ইউনিট ANUTTARA SAMYAK SAMBODHI. সেখানে হিলিং সেকশানে হিলিং সেশন শেষে চারজন গাড়িতে উঠে বসলো বাড়ি ফেরার জন্য। গাড়ি ছুটে চলেছে বেহালার রাস্তা ধ'রে ক্যালকাটা বিজনেস স্কুল-এর দিকে। সেখানে একজন নামবে। তারপরে আর একজনকে বাড়িতে নামিয়ে বাড়ি ফিরবে শ্রীশ্রীঠাকুরের সৎমন্ত্রে দীক্ষিত বর্তমান শ্রীশ্রীআচার্যদেবের আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে সেই চিকিৎসক দম্পতি শ্রীশিবাশীষ চ্যাটার্জী ও শ্রীমতি প্রজ্ঞা চ্যাটার্জী; যারা শ্রীশ্রীঠাকুরের প্রতিকৃতির সামনেই অপূর্ব মনোরম ঘরে এক স্বর্গীয় পরিবেশে সেই হিলিং ট্রিট্মেন্ট করেন।
গাড়ি এসে যখন ক্যালকাটা বিজনেস স্কুল-এর গেট দিয়ে ঢুকে ডানদিক হয়ে সেই ছাত্রীকে হোস্টেল এর সামনে নামিয়ে দিল তখন ঘড়িতে সাড়ে ১১টা বেজে গেছে। এরপরে দ্বিতীয় জনকে তার বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে বাড়ি ফিরে যাবে ঐ দম্পতি। এটা তাঁদের রুটিন ডিউটি। বাড়ি ফেরার সময় যদি কেউ সেই ইন্সটিটিউটে থাকে তাকে বা তাদের ওই দম্পতি গাড়িতে ক'রে বাড়ি পৌঁছে দেবার সেবাটুকু দেয়।
যাই হ'ক, গাড়ি ঘুরিয়ে ক্যালকাটা বিজনেস স্কুল-এর গেট দিয়ে বেড়িয়ে বড় রাস্তায় ওঠার মুখে ধীর গতিতে সবে বাম দিকে একটু বাঁক নিয়েছে তখনি ঘটলো ঘটনাটা। পিছন দিক দিয়ে মুহূর্তে প্রচন্ড গতিতে ছূটে আসা একটা বড় ওভার লোডেড ট্রাক গাড়ির সামনে ধাক্কা দিয়ে বেড়িয়ে গেল, তারপর একটু দূরে গিয়ে থেমেই নিমেষে মিলিয়ে গেল দূরে অন্ধকার রাস্তায়। দূর্ঘটনার দৃশ্যটা ব'লে দেয় অনেককিছু। যেন মনে হ'লো বিরাট এক বিষাক্ত সাপ তার ফণা বাড়িয়ে ভয়ংকর ছোবল মারতে গিয়ে ব্যর্থ হ'য়ে গালে চুমু খেয়ে চলে গেল। আর সেই চুমুতেই ক্ষতবিক্ষত হ'য়ে গেল গাড়ির সম্মুখভাগ। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির অঙ্গুলি হেলনে সেই ছোবল ব্যর্থ হ'য়ে যায়। শয়তানের ভয়ংকর বিষাক্ত ছোবলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যেটা এক মণ হওয়ার কথা ছিল তা দয়াল ঠাকুরের সেই অলৌকিক অপার শক্তির দয়ায় এক মণ থেকে এক সের হ'য়ে গেল মুহূর্তের মধ্যে; যার কোনও ব্যাখ্যা নেই; শুধু সূক্ষ্ম অনুভব বা উপলব্ধি করা ছাড়া।
যা' মিলে যায় সেই শেক্সপিয়ারের বলা কথা যা শ্রীশ্রীঠাকুর মাঝে মাঝেই আলাপ আলোচনার মাঝে ভাব গম্ভীর পরিবেশে ভাব সমাধি অবস্থায় বলতেন,
"There are more things in heaven and earth, Horatio, than are dreamt of in your philosophy."
যার অর্থ ছিল, স্বর্গ ও পৃথিবীর মাঝখানে আরও বহু জিনিস আছে, হোরাশিও, যা তোমার দর্শনের পাল্লার বাইরে ও স্বপ্নের অতীত।"
আসুন, একবার ভিডিও ক্লিপিংসের মাধ্যমে সমস্ত ঘটনায় এক ঝলক চোখ বুলিয়ে নিই, দেখে নিই এই ভয়ংকর দুর্ঘটনায় একটু এদিক ওদিকের হেরফেরে যে মর্মান্তিক দুঃখজনক ঘটনা ঘটতে পারতো, অকালে চিরসমাপ্তি ঘটতে পারতো বা মারাত্মক জখম হ'য়ে চিরদিনের মতো পঙ্গু হ'য়ে বেঁচে থাকতে হ'তো নিজের ও অপরের কাছে বোঝা হ'য়ে গাড়ির আরোহীদের-----(শ্রীশিবাশীষ চ্যাটার্জী, শ্রীমতি প্রজ্ঞা চ্যাটার্জী ও সোনাই ঢালি) দয়ালের অপার দয়ায় যা হ'য়ে ঘটেনি, ঘটেনি পরমপিতার অপার করুণায়, অজচ্ছল দয়ায় অলৌকিক ভাবে-------সেই ক্লিপিংস।
শ্রীশ্রীঠাকুর আমাদের কতবার কত রকমে সাবধান ক'রে দিয়ে বলেছেন,
"আমি ইচ্ছে করলে কুষ্ঠি ওলোট পালোট ক'রে দিতে পারি। আমি যদি মনে করি কাঠের বিড়াল দিয়ে ইঁদুর ধরাতে পারি। আমি যে তোদের কত ছোট ছোট ভাবে, কতরকম ভাবে কত বড় বড় বিপদ থেকে রক্ষা করি তা' তোরা বুঝতে পারিস না।"
তার জ্বলন্ত জীবন্ত নমুনা নীচের ভিডিও ও দূর্ঘটনার ছবি।
ক্রমশ।
বিঃদ্রঃ (আসুন পাঠকবর্গ, পরবর্তী শেষ পর্বে এক দুই ক'রে সংশ্লেষণ বিশ্লেষণের মধ্যে দিয়ে দেখে নিই পুরো ঘটনাটা ও দয়ালের অজচ্ছল দয়া।) (লেখা ৭ই ডিসেম্বর'২০২৩)
গাড়ি এসে যখন ক্যালকাটা বিজনেস স্কুল-এর গেট দিয়ে ঢুকে ডানদিক হয়ে সেই ছাত্রীকে হোস্টেল এর সামনে নামিয়ে দিল তখন ঘড়িতে সাড়ে ১১টা বেজে গেছে। এরপরে দ্বিতীয় জনকে তার বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে বাড়ি ফিরে যাবে ঐ দম্পতি। এটা তাঁদের রুটিন ডিউটি। বাড়ি ফেরার সময় যদি কেউ সেই ইন্সটিটিউটে থাকে তাকে বা তাদের ওই দম্পতি গাড়িতে ক'রে বাড়ি পৌঁছে দেবার সেবাটুকু দেয়।
যাই হ'ক, গাড়ি ঘুরিয়ে ক্যালকাটা বিজনেস স্কুল-এর গেট দিয়ে বেড়িয়ে বড় রাস্তায় ওঠার মুখে ধীর গতিতে সবে বাম দিকে একটু বাঁক নিয়েছে তখনি ঘটলো ঘটনাটা। পিছন দিক দিয়ে মুহূর্তে প্রচন্ড গতিতে ছূটে আসা একটা বড় ওভার লোডেড ট্রাক গাড়ির সামনে ধাক্কা দিয়ে বেড়িয়ে গেল, তারপর একটু দূরে গিয়ে থেমেই নিমেষে মিলিয়ে গেল দূরে অন্ধকার রাস্তায়। দূর্ঘটনার দৃশ্যটা ব'লে দেয় অনেককিছু। যেন মনে হ'লো বিরাট এক বিষাক্ত সাপ তার ফণা বাড়িয়ে ভয়ংকর ছোবল মারতে গিয়ে ব্যর্থ হ'য়ে গালে চুমু খেয়ে চলে গেল। আর সেই চুমুতেই ক্ষতবিক্ষত হ'য়ে গেল গাড়ির সম্মুখভাগ। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির অঙ্গুলি হেলনে সেই ছোবল ব্যর্থ হ'য়ে যায়। শয়তানের ভয়ংকর বিষাক্ত ছোবলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যেটা এক মণ হওয়ার কথা ছিল তা দয়াল ঠাকুরের সেই অলৌকিক অপার শক্তির দয়ায় এক মণ থেকে এক সের হ'য়ে গেল মুহূর্তের মধ্যে; যার কোনও ব্যাখ্যা নেই; শুধু সূক্ষ্ম অনুভব বা উপলব্ধি করা ছাড়া।
যা' মিলে যায় সেই শেক্সপিয়ারের বলা কথা যা শ্রীশ্রীঠাকুর মাঝে মাঝেই আলাপ আলোচনার মাঝে ভাব গম্ভীর পরিবেশে ভাব সমাধি অবস্থায় বলতেন,
"There are more things in heaven and earth, Horatio, than are dreamt of in your philosophy."
যার অর্থ ছিল, স্বর্গ ও পৃথিবীর মাঝখানে আরও বহু জিনিস আছে, হোরাশিও, যা তোমার দর্শনের পাল্লার বাইরে ও স্বপ্নের অতীত।"
আসুন, একবার ভিডিও ক্লিপিংসের মাধ্যমে সমস্ত ঘটনায় এক ঝলক চোখ বুলিয়ে নিই, দেখে নিই এই ভয়ংকর দুর্ঘটনায় একটু এদিক ওদিকের হেরফেরে যে মর্মান্তিক দুঃখজনক ঘটনা ঘটতে পারতো, অকালে চিরসমাপ্তি ঘটতে পারতো বা মারাত্মক জখম হ'য়ে চিরদিনের মতো পঙ্গু হ'য়ে বেঁচে থাকতে হ'তো নিজের ও অপরের কাছে বোঝা হ'য়ে গাড়ির আরোহীদের-----(শ্রীশিবাশীষ চ্যাটার্জী, শ্রীমতি প্রজ্ঞা চ্যাটার্জী ও সোনাই ঢালি) দয়ালের অপার দয়ায় যা হ'য়ে ঘটেনি, ঘটেনি পরমপিতার অপার করুণায়, অজচ্ছল দয়ায় অলৌকিক ভাবে-------সেই ক্লিপিংস।
শ্রীশ্রীঠাকুর আমাদের কতবার কত রকমে সাবধান ক'রে দিয়ে বলেছেন,
"আমি ইচ্ছে করলে কুষ্ঠি ওলোট পালোট ক'রে দিতে পারি। আমি যদি মনে করি কাঠের বিড়াল দিয়ে ইঁদুর ধরাতে পারি। আমি যে তোদের কত ছোট ছোট ভাবে, কতরকম ভাবে কত বড় বড় বিপদ থেকে রক্ষা করি তা' তোরা বুঝতে পারিস না।"
তার জ্বলন্ত জীবন্ত নমুনা নীচের ভিডিও ও দূর্ঘটনার ছবি।
ক্রমশ।
বিঃদ্রঃ (আসুন পাঠকবর্গ, পরবর্তী শেষ পর্বে এক দুই ক'রে সংশ্লেষণ বিশ্লেষণের মধ্যে দিয়ে দেখে নিই পুরো ঘটনাটা ও দয়ালের অজচ্ছল দয়া।) (লেখা ৭ই ডিসেম্বর'২০২৩)
No comments:
Post a Comment