নাড়ির টানের মহিমা আবার প্রমানিত আগাম সাড়া পাওয়ার অতীন্দ্রিয় শক্তির প্রশ্নে। তাই মায়ের কথা না শোনার পরিণতি অবশ্যম্ভাবী। তথাকথিত পড়াশোনায় ভালো ছেলে বা বন্ধুত্বের চরিত্রের প্রশ্নে শাওন বা সন্দীপনরা-ই সমাজের আদর্শ। পদবিগুণের মাহাত্ম্য আজও ক্ষমতা দখলের প্রশ্নে সমান গুরুত্বপূর্ণ। আসন সংরক্ষণ বা দারিদ্রসীমার নীচে অবস্থান প্রশ্নে মাপকাঠি দারিদ্রতা বা পিছিয়ে পড়া জাতি নয়, মাপকাঠি এক টুকরো সরকারী সীলমোহর দেওয়া কাগজ আর দাদাভাইয়ার যোগাযোগ। যার কোনটাই দুপুরের ছিল না। ঐশিকা এটাই দুপুরের drawback বা অযোগ্যতা। যা পাশের বাড়ির দর্পণ বা অনুপের চাকরি পাওয়ার প্রশ্নে দুপুরের মনে সার্থকভাবেই প্রতিফলিত। অমিত, রাহুলের মত পথভ্রষ্ট বন্ধুরা এখনো আছে বলেই সূর্য পুর্ব দিকে উঠে পশ্চিমে অস্ত যায়। এরা বাড়ির খেয়ে মোষ তাড়াতে সিদ্ধহস্ত। এদের মত কারও কারোর মধ্যে একটা অপরাধবোধ কিছুটা হলেও কাজ করে যেহেতু এরা তথাকথিত ভালো বা ভদ্রছেলে বা বন্ধু নয়। তবে এরা উত্তর মেরুতে একজন থাকলে অন্যজন দক্ষিণ মেরুতে অবস্থান করে। আর ঐশিকা অমিতদের মুখে অশ্লীল শব্দপ্রয়োগে সাহসিকতার সঙ্গে বলিষ্ঠ মানসিকতার মধ্যে দিয়ে বাস্তবতার প্রকাশ ঘটলেও সযত্নে এড়িয়ে যাওয়া কিম্বা শব্দ অসম্পুর্ণ রেখে সম্পুর্ণ অর্থ প্রকাশের কৌশল রপ্ত করা যেতেই পারে। মাইগোলা কোম্পানীতে দুপুরের রেজিগনেশনের প্রশ্নে ঐশিকার কলমে ‘যার জন্য করি চুরি সেই বলে চোর’ ঘুরিয়ে আবার প্রতিষ্ঠিত। আর এক্ষেত্রে এই ধরনের ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়ী মহলে অনার্য ব’লেই খ্যাত। এদের কাছে কর্মীদের জীবনের কোন মুল্য নেই। কর্মীদের একথা মাথায় রাখতে হবে। আর মাথায় রাখতে হবে এখানে যারা মাথায় ব’সে কাজ করে তারা মানবিক দিক থেকে ল্যাংড়া। আর দুপুর সঠিকভাবেই বলেছে, সে প্রয়োজনের তুলনায় এখানে কিছুই পেত না। আর এর থেকে ভাল খবর আর কিছুই হ’তে পারে না। প্রকারান্তরে পা ভালো থাকতেও মানসিকভাবে সে তো সবদিকেই ল্যাংড়া-ই ছিল। আর নতুন ক’রে না-হয় বোমার আঘাতে শারীরিক ভাবে ল্যাংড়া হ’ল। তা-তে কি! বিনিময়ে আর্থিক ল্যাংড়ামো তো ঘুচল! এই সমাজ ব্যবস্থায় কিছু হারিয়েই তো কিছু পেতে হয়! এর থেকে বেশী আর কি? এ-তো আর রাম রাজ্য নয়। ঐশিকা সমাজকে কলমের খোঁচায় ল্যাংড়া ক’রে দিল, না-কি রেখেঢেকে রাখা ল্যাংড়া সমাজকে উলঙ্গ ক’রে দিল দিনের আলোয় সকলের মাঝে!? কোনটা? এখানেও কলমচি দ্বিধাগ্রস্থ। সাবাশ ঐশিকা, সাবাশ!!!
( লেখা ৬ই ডিসেম্বর'২০১৩).
No comments:
Post a Comment