Powered By Blogger

Monday, March 18, 2024

প্রবন্ধ: শ্রীশ্রীঠাকুরের পাশে শ্রীশ্রীবড়মা, শ্রীবড়দা ও শ্রীশ্রীআচার্যদেবের ছবি রাখা নিয়ে প্রশ্ন

শ্রীশ্রীঠাকুরের পাশে শ্রীশ্রীবড়মা, শ্রীবড়দা ও শ্রীশ্রীআচার্যদেবের ছবি রাখা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রশ্ন আজ নয়, একের পর এক অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে এই বিষয়ও সংযোজিত হ'য়েছিল ছিদ্রান্বেষণকারী বিরোধীদের তালিকায়। বিরোধীরা ভিডিও ক'রে প্রচার করছে শ্রীশ্রীঠাকুরের পাশে তাঁদের ছবি রাখা হয়েছে কারণ ঠাকুরের পরবর্তী তারা ঠাকুর। কিছু বহিরাগত নিজেদের সৎসঙ্গী পরিচয় দিয়ে সৎসঙ্গীদের সম্পর্কে প্রচার করছে যে মূল সৎসঙ্গীরা মনে করে যাদের ছবি রাখা হচ্ছে তারাই ঠাকুর। প্রচার করছে শ্রীশ্রীঠাকুরের পাশে আচার্যদেবের একের পর এক ছবি থাকবে, আচার্যদেব পরপর আসতে থাকবেন।

শ্রীশ্রীঠাকুরের পাশে শ্রীশ্রীবড়দা, শ্রীশ্রীবড়মা ও আচার্যদেবের ছবি রাখা নিয়ে বহিরাগতদের তীব্র আপত্তি। তারা ফেসবুকে ও ভিডিওর মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে কিছু প্রবীণ সৎসঙ্গী, যারা একসময় শ্রীশ্রীঠাকুর প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান 'সৎসঙ্গ'-এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তারা 'সৎসঙ্গ' প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন তাঁদের স্বার্থে ঘা লাগায় পরবর্তী সময়ে তারা বিরোধীতার পথ ধরেন এবং শ্রীশ্রীঠাকুরকে নিয়ে যে যার মত ঠাকুর ভক্তিতে মেতে ওঠে ও শ্রীশ্রীঠাকুরের প্রথম সন্তান আদরের বড়খোকা, শ্রীশ্রীঠাকুরের পরম ভক্ত, শ্রেষ্ঠ ভক্ত, একই সঙ্গে ঔরসজাত ও কৃষ্টিজাত সন্তান, শ্রীশ্রীঠাকুরের পূর্ব পূর্ব রূপ শ্রীশ্রীরামচন্দ্র, শ্রীশ্রীকৃষ্ণ, শ্রীশ্রীবুদ্ধ, শ্রীশ্রীযীশু, শ্রীশ্রীহজরত মহম্মদ, শ্রীশ্রীমহাপ্রভু, শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণ-এর প্রধান, পরম শ্রেষ্ঠ ভক্ত হনূমান, অর্জুন, আনন্দ, সেন্ট পল, ওমর, আবু বকর, নিত্যানন্দ, বিবেকানন্দের মত কলি যুগে তাঁদের সম্মিলিত রূপের শেষ পরম শ্রেষ্ঠ ভক্ত শ্রীশ্রীবড়দার বিরুদ্ধে ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে কুৎসা, নিন্দা, গালাগালি, অপমান, অশ্রদ্ধা, সমালোচনা ক'রে চলেছে তারা। এই প্রচার কিছু সৎসঙ্গীদের বিভ্রান্ত ক'রে তুলেছে। তাই তারা আমাকে অনেকেই ফোন ক'রে, ইনবক্সে ও ভিডিও কমেন্ট বক্সে কমেন্ট ক'রে অনুরোধ করেছেন, আপনি এই বিষয়ে কিছু আলোকপাত করুন।


দীপক দাসঃ দাদা একটা বিষয়ে ভিডিও করুন যাতে সবার কাছে ক্লিয়ার হয়; বহু লোকের প্রশ্ন ঠাকুরের পাশে সবার ফটো কেন?
অনন্ত বেরাঃ শ্রীশ্রীঠাকুরের পাশে শ্রীশ্রীবড়দা, শ্রীশ্রীবড়মা ও শ্রীশ্রীআচার্যদেবের ফটো রাখার বিরোধীতা এরা করে কেন?
শিমূল দামঃ যারা বিরোধীতা করছে তারা কি সৎসঙ্গী? সৎসঙ্গী হ'লে শ্রীশ্রীবড়মা, শ্রীশ্রীবড়দা ও আচার্যদেবের বিরোধীতা করে কেন?


আমার জিজ্ঞাস্য, কাদের আপত্তি? যারা ভিডিও ক'রে ক'রে বিভিন্ন চ্যানেলে আচার্য প্রথা ও আচার্য পরম্পরার বিরোধীতা ক'রে চলেছেন তারা কারা? কারা শ্রীশ্রীঠাকুরের পাশে শ্রীশ্রীবড়মা, শ্রীশ্রীবড়দা, শ্রীশ্রীআচার্যদেবের ফটো রাখা নিয়ে আপত্তি করছে? যারা শ্রীশ্রীবড়দা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে, ইউ টিউবে ও প্রকাশ্য সভায় নিন্দা, কুৎসা, অপমান, অশ্রদ্ধা, কটু সমালোচনা ক'রে চলেছেন শ্রীশ্রীঠাকুর দেহ রাখার পর থেকে আজ পর্যন্ত ৫৫ বছর ধ'রে, তাঁদের কি পরিচয়? আমাকে আমার ভিডিওর প্রসঙ্গ বহির্ভূত ভিত্তিহীন অর্থহীন অশ্লীল ভাষা সহযোগে প্রশ্ন করছেন যারা, ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন যারা, তারা কারা? যারা নিজেদের মধ্যে সমস্ত কেন্দ্রে প্রতিনিয়ত পরস্পর গালিগালাজ করছেন তারা কারা? এরা সবাই কি সৎসঙ্গী? সৎসঙ্গীদের আচরণ, ব্যবহার, চরিত্র এরকম হয় নাকি? শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র এরকম সৎসঙ্গী চেয়েছিলেন নাকি? পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের দীক্ষিত শিষ্যরা এতটাই নিম্নমানের এরা মুখে প্রেমের কথা বলে আর প্রকাশ্যে এরকম হীন হিংসাময় আচরণ করেন? শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণী, "মুখেতে আছে ব্যবহারে নাই, সেই শিক্ষার মুখে ছাই" এই বাণীর জ্বলন্ত উদাহরণ কি সৎসঙ্গীরাই? এই সব চরিত্রের হাজারো প্রমাণ আছে ইউ টিউবের চ্যানেল ও ফেসবুকের বিভিন্ন প্রোফাইল ও ফেক প্রোফাইলে। এদের কি অধিকার আছে 'সৎসঙ্গ' সম্পর্কে এরকম প্রশ্ন তোলার? এরা কি অনধিকারচর্চা করছে না?

প্রশ্ন হচ্ছে, একটা প্রতিষ্ঠানের আভ্যন্তরীণ বিষয়ের কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে বহিরাগতদের কিছু বলার আইনি অধিকার আছে? একটা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা কি করবে না-করবে তার অনুমতি নেবে বা কৈফিয়ত দেবে বহিরাগতদের কাছে? কর্মপদ্ধতির ভুলে যদি ধ্বংস হয় হবে আর কর্মপদ্ধতি সঠিক হ'লে তা টিকে থাকবে। আমার তো সেটা দেখার দরকার নেই। আমি নিজে কি করছি সেটাই আমাকে দেখতে বলেছিলেন ঠাকুর। আমি যদি ঠাকুরকে ভালোবাসি তাহ'লে আমি ঠাকুরের কথামতো চলবো ও ঠাকুরের কাজে মগ্ন থাকবো। গালাগালি, কুৎসা, নিন্দা, অপমান, অশ্রদ্ধা, সমালোচনা করা এখন স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিকের অধিকার হ'য়ে দাঁড়িয়েছে। যে যাকে যা ইচ্ছা গালাগালি, কুৎসা, নিন্দা, অপমান, অশ্রদ্ধা, সমালোচনা করা জাতীয় চরিত্র। এটা আমরা ধর্ম, রাজনীতি, শিক্ষা, ক্রীড়া ইত্যাদি সমস্ত ক্ষেত্রে দেশ জুড়ে দেখতে পাচ্ছি। এটা আজ আর নোতুন আশ্চর্য কিছু নয়। এটাই আমাদের দেশের অলিখিত সংবিধানে পরিণত হয়েছে। বিশেষ ক'রে দেশের মধ্যে বাংলা এই কালচারে সর্ব্বাগ্রে। বাঙালীদের বাবু কালচারে গালাগালি ছিল অলঙ্কার স্বরূপ। দেশের মধ্যে বাঙালী এই গালাগালির ব্যাপারে শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার ক'রে আছে। শ্রীশ্রীঠাকুরকে গালাগালি, কুৎসা, নিন্দা, অপমান, অশ্রদ্ধা, নোংরা সমালোচনা এবং তাঁর ফটো নানারকম মেয়েলী অন্তর্বাস, ব্লাউজ, লিপস্টিক ইত্যাদি দিয়ে সাজিয়ে ফেসবুক জুড়ে তার প্রচার ক'রে চলেছে দীক্ষিত-অদীক্ষিত বাঙালী নরনারী। শ্রীশ্রীঠাকুরের দেহরূপে থাকার সময়ও ঠাকুরকে সীমাহীন লাঞ্ছিত হ'তে হয়েছে ওপার এবং এপার বাংলা দুই বাংলায় বাঙালীদের কাছে। দুই বাংলায় সৎসঙ্গ আশ্রমের ওপর আক্রমণ, শ্রীশ্রীঠাকুরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, কোর্টকাছারি, কলকাতায় 'শনিবারের চিঠি' নামে পত্রিকা ছাপিয়ে দিনের পর দিন শ্রীশ্রীঠাকুরের বিরুদ্ধে ও সৎসঙ্গ-এর বিরুদ্ধে কুৎসা প্রচার, ঠাকুরের সমগ্র জীবন জুড়ে ঠাকুরের সঙ্গে থেকে ঠাকুরের সঙ্গে বেইমানি, শ্রীশ্রীবড়দা ও শ্রীশ্রীদাদার বিরুদ্ধে এবং বর্তমানে শ্রীশ্রীআচার্যদেব ও শ্রীশ্রীঅবিনদাদার বিরুদ্ধে নানারকম মিথ্যে ও কুৎসা প্রচার করেছে ও ক'রে চলেছে সেই মহান বাঙালী। সেই নিন্দা, কুৎসা, গালাগালি, ঘৃণা, অপমান, অশ্রদ্ধা, কটুক্তি পূর্ণ সমালোচনার কৃষ্টি-সংস্কৃতির ট্রাডিশান সমানে চলেছে।


ওপার বাংলার বাঙ্গালীরা শ্রীশ্রীঠাকুরকে তাঁর জন্মস্থানে থাকতে স্থান দেয়নি, ওখানেও চরম বিরোধীতা করেছিল যারা তারা ছিল বাঙ্গালী ও ছিল বাঙালী জমিদারশ্রেণী, আর আজও ফিরিয়ে দেয়নি তাঁর সম্পত্তি, এপার বাংলায়ও তিনি স্থান পাননি। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ওপার বাংলায় তৎকালীন ১.৫কোটি থাকার সম্পত্তি ফেলে এ দেশে চলে আসার পর মানবজাতির কল্যানে শ্রীশ্রীঠাকুরের বিভিন্ন পরিকল্পনা পুনরায় গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু শ্রীশ্রীঠাকুরকে বাংলার পানাগড়ে ৬০০০হাজার বিঘা জমি অনুমোদন করেছিলেন, কিন্তু তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় ৬০০০হাজার বিঘার পরিবর্তে ৮০০ বিঘা জমি 'সৎসংগ'-কে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শ্রীশ্রীঠাকুরের স্বপ্ন, পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য ৮০০ বিঘা যথেষ্ট নয় ব'লে বিবেচিত হওয়ায় শ্রীশ্রীঠাকুর ৮০০ বিঘার প্রস্তাব রিজেক্ট ক'রে দেন।

আজ অদীক্ষিত বাঙালি যারা শ্রীশ্রীঠাকুরকে চরম সমালোচনা করেন, বিভিন্ন হিন্দু ধর্ম প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে, সনাতন ধর্মের স্বঘোষিত কিছু বাঙালি বাবাজী বিভিন্ন চ্যানেলে শ্রীশ্রীঠাকুরকে, ঠাকুরের প্রতিষ্ঠান সৎসঙ্গ-কে কলঙ্কিত করেন, হুমকি দেন, কুৎসা করেন, মিথ্যে কথা বলেন, সীমাহীন অজ্ঞানতার ওপর দাঁড়িয়ে বালখিল্য অর্থহীন ভিত্তিহীন ধর্মজ্ঞান দেন, এমনকি শ্রীশ্রীঠাকুর যে কোনওদিনই গরীব ছিলেন না, বড়লোক ছিলেন শ্রীশ্রীঅবিনদাদার এই সত্য কথা হজম করতে পারেননি শ্রীশ্রীঠাকুরের কিছু প্রবীণ পরম ভক্তেরা, তারা এই সত্য কথাকে অহংকারী কথা ব'লে বিরূপ সমালোচনা ক'রে চলেছেন তখন এদের ছাগলের তিন নম্বর ছানার মত বাটের দু'পাশে লম্ফ ঝম্প করা দেখে হাসি পায়, বলতে ইচ্ছে করে সেদিনের ৮০০ বিঘা জমি যদি কোনও ধর্ম প্রতিষ্ঠান বা ধর্ম গুরু পেত বা বর্তমানে পায় সরকার থেকে মুফতে তারা কি তা অবহেলায় রিজেক্ট ক'রে দিতে পারতেন বা পারবেন? আছে সেই সততাপূর্ণ সিনার জোর? এখান থেকে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও বড়লোকের অবস্থান বোঝা যায়।


আচ্ছা শ্রীশ্রীঠাকুরের যদি একটাই সন্তান শ্রীশ্রীবড়দা হ'তেন তাহ'লে বহিরাগত যারা সৎসঙ্গী পরিচয় দেয় নিজেদের তারা কি এই বিরোধ, এই আচার্য প্রথা ও আচার্য পরম্পরা নিয়ে, ঠাকুরের পাশে ফটো রাখা নিয়ে, ইষ্টভৃতি মন্ত্র ইত্যাদি নিয়ে জবরদস্তি বিরোধের প্রশ্ন তুলতে পারতো? আর যদি উঠতো তাহ'লে ৫৫বছর ধ'রে এই রকম উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ষড়যন্ত্রমূলক শ্রীশ্রীঠাকুর আদর্শ বিরোধী প্রচার চলতো? অক্সিজেন পেত? টিকে থাকতো? ফেসবুকে বিরোধীদের বিভিন্ন পোষ্টে দেখেছি এরা শ্রীশ্রীবড়মা, শ্রীশ্রীবড়দার ও শ্রীশ্রীদাদার ছবির মুখের ওপর লাল কালি দিয়ে কেটে দিতে এই সমস্ত তথাকথিত সৎসঙ্গীদের বিন্দুমাত্র হাত কাঁপেনি। এরা সেই ছবি শুধু লাল কালি দিয়ে কেটে শুধু ক্ষান্ত হননি সঙ্গে অশ্লীল কমেন্ট করতে এদের বিন্দুমাত্র বাঁধেনি। এরা সৎসঙ্গী? শ্রীশ্রীঠাকুরের এরা সোনার সৎসঙ্গী? শ্রীশ্রীবড়দা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এরা ননস্টপ তীব্র সমালোচনা ও অশ্লীল কথা বলেছে। এরা ঘর শ্ত্রু দুর্যোধন। বিভিষণ কখনো ঘরশত্রু ছিলএন না। ঘরশত্রু ছিল দুর্যোধন, শত্রু ছিল শকুনি, ছিল মিরজাফর। এইসমস্ত শ্রীশ্রীবড়দা বিরোধী প্রবীণ সৎসঙ্গীরা দুর্যোধন, শকুনি ও মীরজাফরের জ্বলন্ত জীবন্ত উদাহরণ।



এতটাই মাকাল ফল এরা। ভিত্তিহীন সারহীন বোকা বোকা কথার হামবড়াই চাল এদের। ওপরে মাকাল ফলের মতো লাল টুকটুকে কিন্তু ভেতরে বীভৎস সাদা কালো একেবারে কাকের গু! বাচাল বাচ্চা ছেলের মতো বাচাল কথাবার্তা। এদের পথপ্রদর্শক ও তাঁদের কতিপয় অনুগামীরা সবাই বুদ্ধিমান, জ্ঞানবান, পন্ডিত, মহাপন্ডিত, বিদগ্ধ ইষ্টপ্রাণ মহান একনিষ্ঠ ভক্ত প্রহ্লাদের দল। আর শ্রীশ্রীবড়দা, শ্রীশ্রীদাদা ও তাঁদের পরিবারের সদস্য সহ বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি দীক্ষিত শ্রীশ্রীঠাকুর সৃষ্ট 'সৎসঙ্গ'-এর অনুগামী সৎসঙ্গী সবাই বরাহনন্দনের দল; যারা কিছুই বোঝে না, জানে না মূর্খ, আকাট, বলদের দল। এদের বালখিল্য ভক্তি জ্ঞানের কাছে আজ সৎসঙ্গীদের ভক্তি ও জ্ঞান অর্জনের শিক্ষা নিতে হবে। মোবাইলে বসে এরা শ্রীশ্রীবড়দাকে স্বার্থরক্ষাকারী ও মীরজাফর বলছে। এরা সৎসঙ্গীদের মগজ ধোলাই করার জন্য প্রতিনিয়তই শ্রীশ্রীবড়দা, শ্রীশ্রীদাদাকে ঠাকুর বানিয়ে দিয়ে সৎসঙ্গীদের বিভ্রান্ত ক'রে ঠাকুর থেকে সরিয়ে আনার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। প্রতিদিন ভিডিও বানিয়ে চ্যানেলের মাধ্যমে ও প্রকাশ্যে শ্রীশ্রীঠাকুরের অনুষ্ঠানে এরা সৎসঙ্গ, শ্রীশ্রীবড়দা, শ্রীশ্রীদাদা ও ঠাকুর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের গায়ে ছিটিয়ে চলেছে পরিকল্পিতভাবেই প্রতিদিন মিথ্যের কালি। এদের এছাড়া আর কোনও কাজ নেই। এরা সম্পূর্ণ শ্রীশ্রীঠাকুর দর্শনের বিরোধী রটন সোল। এদের প্রকৃতিই নোংরা ঘাঁটা, সুন্দরে কুৎসিত দেখা। শ্রীশ্রীঠাকুর দেহ রাখার পর থেকে ৫৫বছর ধ'রে প্রতিদিন কোনও সৎসঙ্গী নিয়ম ক'রে সকাল বিকাল পেজ, চ্যানেল খুলে ভিডিও ক'রে, শর্টস, রীলের মাধ্যমে এবং মঞ্চে মঞ্চে শ্রীশ্রীবড়দা, শ্রীদাদা ও ঠাকুর পরিবারের বিরুদ্ধে নিন্দা, সমালোচনা করতে পারে, অপমান অশ্রদ্ধা করতে পারে, আচার্য প্রথা, আচার্য পরম্পরা, পূর্ণাঙ্গ ও সংক্ষিপ্ত প্রার্থনা, ইষ্টভৃতি মন্ত্র পরিবর্তন, ঠাকুরের পাশে শ্রীশ্রীবড়মা, শ্রীশ্রীবড়দা, আচার্যদেবের ফটো রাখা, শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণী পরিবর্তন, প্রফুল্লদার জায়গায় শ্রীশ্রীবড়দার নাম লেখা ইত্যাদি নানা বিষয় নিজের মতো ক'রে ব্যাখ্যা ক'রে অপবাদ দিয়ে মিথ্যে, কুৎসা ছড়িয়ে সৎসঙ্গীদের বিভ্রান্ত ক'রে মন বিষাক্ত ক'রে তুলতে পারে, সৎসঙ্গ সম্পর্কে, শ্রীশ্রীঠাকুরের ভাবমূর্তিকে, শ্রীশ্রীঠাকুর পরিবারকে প্রকাশ্যে আম জনতার মাঝে কলঙ্কিত করতে পারে একথা মনে পড়লেই আশ্চর্য হ'য়ে ভাবি এরা সৎসঙ্গী? এই সৎসঙ্গীদের শ্রীশ্রীঠাকুর সোনার সৎসঙ্গী বলতেন? কুৎসা করা, নিন্দা করা, সমালোচনা করা, অপমান-অশ্রদ্ধার চাষ করা এদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি? শ্রীশ্রীঠাকুর যে নিন্দা, কুৎসা, দোষ, ত্রুটি, সমালোচনা, হিংসা, ঘৃণা, অপমান, অশ্রদ্ধা, লোভ, লালসা ইত্যাদি অবগুণের বিরুদ্ধে সারাজীবন যে হাজার হাজার বাণী, নানা বিষয়েের মধ্যে লাইনে লাইনে প্রেম-ভালোবাসা-দয়া-মায়ার কথা বলেছেন সেগুলি সব বৃথা হ'য়ে গেল? সব মূল্যহীন হ'য়ে গেল প্রবীণ প্রথিতযশা ইষ্টপ্রাণ সৎসঙ্গী যারা তাঁদের কাছে? তারা কি শেখাচ্ছে সৎসঙ্গীদের? কি শিখছে নবীন সৎসঙ্গীরা তাঁদের কাছে? আজ তুমি প্রবীণ হ'য়ে নবীনদের ঠাকুর পরিবারের ঠাকুর আত্মজদের বিরুদ্ধে যে কুৎসা, নিন্দা, সমালোচনার বিষোদ্গার করার, বিষ উগলে দেবার শিক্ষা দিচ্ছ, দিয়ে যাচ্ছো বড়ভাইকে অপমান অশ্রদ্ধা করার তালিম, ট্রেনিং তা একদিন ফিরে আসবে নিজের জীবনে, নিজের পরিবারে। এরকম হাজারো উদাহরণ ছিল ও আজও আছে সৎসঙ্গ জগতে প্রবীণ সৎসংগীদের জীবনে ও পরিবারে যা'' ফিরে এসেছে সুদে আসলে। অস্বীকার করতে পারবেন ভুক্তভোগী প্রবীণ ও বর্তমান সৎসঙ্গীররা? শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে বিচার নিখুঁত। সে যেই-ই হ'ক না কেন তা সে ঔরসজাত বা কৃষ্টিজাত যে সন্তানই হ'ক না কেন সেক্ষেত্রে বিধাতার যে বিধি, যে বিধান অর্থাৎ ব্যবস্থা, নিয়ম তা নড়চড় হয় না। শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন, "তুমি যা করছো বা ক'রে রেখেছো ভগবান তাই-ই গ্রাহ্য করবেন আর সেগুলির ফলও পাবে ঠিক তেমনি।" একথা বলার পর তিনি বলেছিলে্‌ন, এ কথা আগে আমার জীবনে প্রযোজ্য তারপড়ে অন্যদের, সত্যানুসরণ গ্রন্থে তিনি বললেন, "তুমি যেমনতর প্রকৃত হবে প্রকৃতি তোমায় তেমনতর উপাধি দেবেন এবং নিজের ভেতরে তেমন অধিকারও দেবেন।" শ্রীশ্রীঠাকুর দেহ রাখার পর সেই ১৯৬৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত শ্রীশ্রীবড়দা ও তাঁর পরিবার থেকে এবং 'সৎসঙ্গ' প্রতিষ্ঠানের থেকে শ্রীশ্রীবড়দা ও তাঁর পরিবার এবং সৎসঙ্গের বিরোধী তৎকালীন ও বর্তমানে জীবিত প্রবীণ ও নবীন সৎসঙ্গীদের বিরুদ্ধে একটা বিন্দুমাত্র কটুক্তি বা সমালোচনা পূর্ণ উক্তি শুনতে পায়নি ও বিরুদ্ধাচরণের শিক্ষা পায়নি বিশ্বের কোটি কোটি সৎসঙ্গী।
যাই হ'ক, এবার আসি ফটো রাখা প্রসঙ্গে। আচ্ছা শ্রীশ্রীঠাকুর এর আগে কতবার এসেছেন? সাতবার। বাঙ্গালী হ'য়ে বাংলার বুকে এসেছেন তিন তিনবার। শ্রীশ্রীরামচন্দ্র থেকে যদি দেখি আমরা কি দেখতে পাবো? শ্রীশ্রীরামচন্দ্রের সঙ্গে কাকে কাকে আমরা দেখতে পাই? শ্রীশ্রীরামচন্দ্রের সঙ্গে সব মন্দিরে দেখতে পাই মাতা সীতা ও ভ্রাতা লক্ষ্মণকে। আর দেখতে পাই পরম ভক্ত শ্রীশ্রীহনুমানকে। শ্রীশ্রীকৃষ্ণের বেলায় কি দেখতে পাই? শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে প্রায় জায়গায়, ছবিতে আমরা দেখতে পাই পরম ভক্ত শ্রীশ্রীঅর্জুনকে, কোথাও কোথাও শ্রীশ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে মাতা রুক্মিণীকে আমরা দেখতে পাই, শ্রীশ্রীবুদ্ধদেবের বেলায় কি দেখতে পাই ভগবান বুদ্ধদেবের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভক্ত আনন্দের নাম, শ্রীশ্রীযীশুর সঙ্গে দেখতে পাই সমানভাবে উচ্চারিত হয় মেরী ম্যাগডালিন, সেন্ট পলের নাম,, হজরত মহম্মদের সঙ্গে ওমর, আবু বকর, মহাপ্রভুর সঙ্গে পরম ভক্ত শ্রীশ্রীনিত্যানন্দ কে দেখতে পাই আর সপ্তমবারে শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণের সাথে মা সারদা ও স্বামী বিবেকানন্দকে দেখতে পাই। কেন? কারণ পরম ভক্ত আর ভগবান অভেদ,অভিন্ন। হনূমান ছাড়া যেমন শ্রীশ্রীরামচন্দ্র অসম্পূর্ণ, ঠিক তেমনি অর্জুনের সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণের সম্পর্ক অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। মহাভারতের যুদ্ধের প্রসঙ্গ এলেই শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীঅর্জুন স্বাভাবিকভাবে একই সঙ্গে উচ্চারিত হয়। ঠিক তেমনি বুদ্ধের বেলায় আনন্দ, উপগুপ্ত, প্রভু যীশুর বেলায় সেন্ট পল। প্রভু যীশূর কথা আসলেই যীশুতে উৎসর্গিত মেরী ম্যাকডালীনের নাম আসবেই। আর এভাবেই ওমর, আবু বকরের নাম এসে যায় প্রভু মহম্মদের নামের সঙ্গে, আর নিত্যানন্দ ও বিবেকানন্দ ছাড়া মহাপ্রভু আর রামকৃষ্ণকে ভাবাই যায় না। ঠাকুর রামকৃষ্ণের সঙ্গে মা সারদার ছবি রাখা আছে। প্রভু রামচন্দ্র পরম ভক্ত হনূমান সম্পর্কে বলেছিলেন, যে হনুমানকে ভালবাসে না সে আমাকেও ভালোবাআএ না। ঠিক তেমনি শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বলেছিলেন, আমাকে প্রণাম ক'রে যে বড়খোকাকে প্রণাম করে না তাঁর প্রণাম আমি গ্রহণ করি না। আর শ্রীশ্রীবড়মা সম্পর্কে বলেছিলেন, তোদের ঠাকুর যদি নারী রূপে জন্ম নিত তাহ'লে যে রূপ হতো তা ঐ বড় বৌ-এর রূপ। তাই যে যে মন্দিরে শ্রীশ্রীবড়মা ও শ্রীশ্রীবড়দার প্রতিকৃতি নেই সেখানে শ্রীশ্রীঠাকুরের ফটো থাকলেও সেটা শুধু একটা ফটো, সেখানে সেই মন্দিরে শ্রীশ্রীঠাকুর নেই, থাকেন না। কারণ সেখানে শ্রীশ্রীঠাকুরকে প্রণাম করার পর তাঁর নারী রূপের যে প্রতিমূর্তি শ্রীশ্রীবড়মার মূর্তি এবং তাঁর যে পরম ভক্ত এ যুগের হনূমান, অর্জুন, আনন্দ, সেন্ট পল, ওমর, নিত্যানন্দ, বিবেকানন্দ ইত্যাদি ইত্যাদির সম্মিলিত যে রূপ শ্রীশ্রীবড়দার মূর্তি না থাকায় সেখানে ভক্ত মন্ডলী শ্রীশ্রীঠাকুরের সোনার সৎসঙ্গীরা তাঁদের প্রণাম করার সুযোগ পায় না, সুযোগ পায় না কারণ সেগুলি শ্রীশ্রীঠাকুর প্রতিষ্ঠিত এক ও একমাত্র প্রতিষ্ঠান 'সৎসঙ্গ'-এর মন্দির নয়।

তাই স্বাভাবিকভাবেই এ যুগের হনূমান শ্রীশ্রীঠাকুরের একমাত্র একইসঙ্গে ঔরসজাত ও কৃষ্টিজাত সন্তান, প্রধান ও পরম ভক্ত, শ্রীশ্রীঠাকুরের কুকুর শ্রীশ্রীবড়দা এবং তাঁর নারী রূপ শ্রীশ্রীবড়মা ছাড়া শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের কোনও অস্তিত্বই নেই বাস্তবে। তাই সেইসব মন্দির শ্রীশ্রীঠাকুর আর শ্রীশ্রীবড়দা সমার্থক, অভিন্ন, মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। আর শ্রীশ্রীবড়মা স্বয়ং শ্রীশ্রীনারায়ণের ঘরণী লক্ষ্মী,। তাই শ্রীশ্রীবড়মা ছাড়া ঠাকুর অসম্পূর্ণ। এরকম একইসঙ্গে ঔরসজাত ও কৃষ্টিজাত সন্তানের উদাহরণ ইতিহাসে আর নেই। এর আগে এরকম উদাহরণ দেখা যায় না। এর আগে হনূমান থেকে বিবেকানন্দ পর্যন্ত কেউই ঔরসজাত সন্তান ভক্ত ছিল না। ছিল কৃষ্টিজাত সন্তান। ফলে তাঁর প্রতিটি রূপের বেলায় বিচ্ছিন্নতা মাথা চাড়া দিয়েছিল। এবারও তিনি জানতেন এরকম হবে, আরও ভয়ংকর হবে, কারণ যুগটা চরম ঘোর কলি যুগ। তাই তিনি এবার তাঁর প্রধান পরমভক্ত ক'রে নিয়ে এলেন শ্রীশ্রীবড়দাকে একইসঙ্গে ঔরসজাত ও কৃষ্টিজাত সন্তান ক'রে। তিনি জানতেন এই ঘোর কলি যুগে তাঁর শ্রীশ্রীবড়দাকে শুধু কৃষ্টিজাত সন্তান ক'রে নিয়ে এলে তাঁর এবারের যে কলি যগ থেকে সত্য যুগে অভিযান তা সহজ হবে না। সহজ হবে না তাঁর অভিযান কৃষ্টিজাত সন্তানদের অনৈক্যের কারণে, শয়তানী বুদ্ধির কারণে। তাই তিনি আগের রূপের তাঁর পরম ভক্তকে একইসঙ্গে তাঁর ঔরসজাত সন্তান আর কৃষ্টিজাত সন্তান ক'রে নিয়ে এসেছিলেন শ্রীশ্রীবড়দাকে।

যাই হ'ক, এটা হয় শ্রীশ্রীঠাকুরকে ভালোবাসায় খাকতি থাকলে আর কপটতা থাকলে। যারা শ্রীবড়মা, শ্রীশ্রীবড়দার ফটো রাখা নিয়ে কূট পরিকল্পিত উদ্দেশ্যপূর্ণ অযৌক্তিক বিতর্ক ক'রে সৎসঙ্গীদের মধ্যে ভাঙ্গন তৈরী করেছে ও ক'রে চলেছে নিরবচ্ছিন্নভাবে তারা ঠাকুরের কথায় ছেদক। এদের ঠাকুরের প্রতি ভালোবাসা নেই এটা প্রমাণিত।
এই জন্যই ঠাকুরকে কেমন ক'রে ভালোবাসবো সেই নিখুঁত, অকপট ভালোবাসা শেখার জন্য আমাদের সামনে একজন থাকা দরকার ছিল। শ্রীশ্রীঠাকুর যেমন হাজারো দেব দেবতার ভিড়ে আমাদের নিজে হাতে কলমে ক'রে করিয়ে শিখিয়েছিলেন এক ও অদ্বিতীয়ের প্রতি একাগ্র ভালোবাসা, এক ও অদ্বিতীয়ের প্রতি কন্সেন্ট্রিক হওয়া ঠিক শ্রীশ্রীঠাকুরকে কেমনভাবে ভালোবাসবো, কেমনভাবে শ্রীশ্রীঠাকুরকে জীবন্ত এক ও অদ্বিতীয় ঈশ্বর জ্ঞানে এক ও একমাত্র জীবনের ধ্রুবতারা ক'রে সমস্যা জর্জরিত ঘোর অন্ধকার পথে চলবো সেটা আমাদের হাতে কলমে আচরণ ক'রে করিয়ে শিখিয়েছিলেন শ্রীশ্রীঠাকুরের পরম ভক্ত শ্রীশ্রীবড়দা, শ্রীশ্রীদাদা এবং বর্তমানে শ্রীশ্রীআচার্যদেব শ্রীশ্রীবাবাইদাদা। তাই তাঁরা আমাদের সৎসঙ্গীদের আচার্য। আচার্যদেব না থাকলে আমরা এইসমস্ত বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্রে, চক্রান্তে, মিথ্যে প্রচারে বিভ্রান্ত হ'য়ে ডিরেইল হ'য়ে ধ্বংসের মুখে পতিত হতাম। ধ্বংস হ'য়ে পরিবার পরিজন। আজ বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি সৎসঙ্গী বাঁচার পথ খুঁজে পেয়েছে আচার্য প্রথা ও আচার্য পরম্পরার কারণে শত সমস্যায় ক্ষতবিক্ষত জীবনে। তাই যখন যে আচার্যদেব আমাদের সামনে থাকেন ও পথ দেখিয়ে নিয়ে চলেন তখন একমাত্র সেই আচার্যদেবের ফটো শ্রীশ্রীঠাকুরের পাশে রাখা হয়। বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা ভিডিওর মাধ্যমে মিথ্যে প্রচার ক'রে সৎসঙ্গীদের ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্ত ক'রে চলেছেন যে আচার্যদেবের পরপর ফট শ্রীশ্রীঠাকুরের পাশে রাখা হয় বংশপরম্পরায়। এই পাপের বিচার করবেন শ্রী শ্রীঠাকুর।

যাই হ'ক, এবার শেষ কথা বলি, একবার আমেরিকান ভক্ত প্রফেসর রবার্ট ( বব ) কামিং ঠাকুরের দীক্ষা নেওয়ার পর শ্রীশ্রীঠাকুরকে প্রণাম ক'রে ঠাকুরকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, Thakur, you guide me. (ঠাকুর আপনি আমাকে পরিচালনা করুন ) You love me and that love will dictate you how to be guided. (তুমি আমাকে ভালোবেসো। ঐ ভালোবাসাই তোমাকে ব' লে দেবে যে কেমন ক'রে পরিচালিত হবে।)

এই কথা জানার পরেও আমরা ঠাকুরকে কেমনভাবে ভালোবাসবো বুঝে উঠতে পারি না। তাই ঠাকুরের বলা 'ঐ ভালোবাসা'=টা কেমন ভালোবাসা সেটা নিখুঁত শিখিয়ে দেন আমাদের বর্তমান আচার্যদেব শ্রীশ্রীবাবাইদাদা। যেমন শ্রীশ্রীঠাকুরের পরে দেখিয়ে ছিলেন শ্রীশ্রীবড়দা ও শ্রীশ্রীবড়দার পরে শ্রীশ্রীদাদা।

আজ এই পর্যন্তই পরবর্তী ভিডিওতে আবার আপনাদের সাথে দেখা হবে। আপনারা সবাই খুব খুব ভালো থাকুন এই অকপট আন্তরিক প্রার্থনা জানিয়ে এখানেই শেষ করছি আজকের ভিডিও। নমস্কার, জয়গুরু।

No comments:

Post a Comment