Powered By Blogger

Saturday, March 30, 2024

চিঠিঃ সৎসঙ্গী গুরুভাইবোনেদের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি। (১)

আমার প্রিয় গুরুভাইবোন,
বর্তমান করোনা নামক ভয়ঙ্কর জৈবিক মারণাস্ত্রের আঘাতে যখন গোটা বিশ্ব ধ্বস্ত-বিধ্বস্ত, যখন সমস্ত দেশের সরকার-প্রশাসন ঝাঁপিয়ে পড়েছে এই সংকট মোকাবিলায়, যখন নানাদিক থেকে কমবেশি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সচেতন মানুষ তখন কিছু সৎসঙ্গ বিরোধী দুর্বৃত্ত সচেতনভাবেই সৎসঙ্গী পরিবারের সদস্য সেজে কখনো বা নিজেকেই সৎসঙ্গী দাবি ক'রে পরিকল্পিতভাবেই নেবে পড়েছে শ্রীশ্রীঠাকুর আর তাঁর বংশধরদের সঙ্গে সঙ্গে সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠানকে বদনাম করতে, অপমান করতে। তারা এইসময় প্রশ্ন তুলেছে, করোনা বিপর্যয়ের মোকাবিলায় সৎসঙ্গ কি করছে বা কি করেছে? এর আগেও যতবার দেশে বিপর্যয় নেবে এসেছে প্রত্যেকবারই এরা অতি উৎসাহে ময়দানে নেবে পড়ে পরিকল্পিতভাবেই ও সংঘবদ্ধভাবে। এর পিছনে কাজও করে কোনও কোনও কায়েমী স্বার্থরক্ষাকারী মুষ্টিমেয় মানুষের দল ও সংগঠন। এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে না বুঝেই অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের একটা অংশ কিছু একটা করতে হবেই এই অতি বিপ্লবী বালখিল্য মনোভাবে।
সাজা সৎসঙ্গী বা সৎসঙ্গী পরিবারের সদস্য হিসেবে দাবি করা প্রশ্নকর্তা সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলা যেতে পারে,
এদের বাবা মা দীক্ষিত কিন্তু এরা কি দীক্ষিত? এদের কথা অনুযায়ী মনে হচ্ছে এরা দীক্ষিত নন। এদের বাবা মা ইষ্টভৃতি নিয়ম ক'রে পাঠান বলেই কি সৎসঙ্গ কি করছে আর না করছে সেটা এদের জানার অধিকারের মধ্যে পড়ে? এদের কথা অনুযায়ী এদের বাবা মা যখন নিয়ম ক'রে ইষ্টভৃতি পাঠান তখন নিয়ম ক'রে কি এদের বাবা-মা সৎসঙ্গের ব্যাপারে আপডেটেড থাকেন? এই আপডেট থাকাটা সৎসঙ্গী হিসেবে এদের বাবা মা-র দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। যারা সৎসঙ্গী নন তাদের বা তাদের পরিবারের কেউ সৎসঙ্গী হ'লেই তাদের জানাতে যাবে কেন সৎসঙ্গ? এই সমস্ত বালখিল্য দাবী অনধিকার চর্চার মধ্যেই পড়ে। এদের যদি বলা হয়, আপনি বা আপনারা কি সৎসঙ্গী? তখন আর প্রশ্ন থাকে না। প্রশ্ন থাকলেও বেসামাল ভিত্তিহীন ক'রে নিজেদের জালে নিজেরাই জড়িয়ে যায়, তখন পালিয়ে কুল পায় না, মন্তব্য ডিলিট ক'রে পালায়।


কিন্তু প্রকৃত সৎসঙ্গীকে সৎসঙ্গের সমস্ত বিষয়ে আপডেটেড থাকতে হয়। আর যদি না থাকে---হয়তো হ'য়ে ওঠে না সবসময়---তাহ'লে কিছু বলার আগে ভাবতে হয়। এইসমস্ত উল্টোপাল্টা প্রশ্ন করা ব্যক্তিদের বাবা-মা যারা সৎসঙ্গী তাঁরা এই বিষয়ে কিছু বলেননি ও বলেননা। উঠলো বাতিক তো কটক যায়-এর মত করোনা মোকাবিলায় সৎসঙ্গ কি ভূমিকা নিচ্ছে তা জানবার জন্য হঠাৎ এদের ভিতরে চাগার দিয়ে উঠলো? সৎসঙ্গ কি ভূমিকা নিচ্ছে না নিচ্ছে তা কি এইসমস্ত বালখিল্য প্রশ্নকর্তাদের জানাতে সৎসঙ্গ বাধ্য? রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘ কি এইসমস্ত জীবনে ব্যর্থ হওয়া বালখিল্যদের তারা কি করছে না করছে তা প্রতিমুহূর্তে আপডেট দিচ্ছে? রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যে ত্রাণ বন্টন করছে সেই ত্রাণ বন্টনের সঙ্গে এইসমস্ত অতি উৎসাহী মানুষজন কি সরাসরি যুক্ত!? আর যদি রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘ ত্রাণ বন্টন করেই থাকে আর এইসমস্ত মানুষ যদি যুক্ত হ'য়েও থাকেন এদের সঙ্গে তাহ'লে কি রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রম ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য, প্রচারের জন্য এইসব সেবামূলক কাজ করছেন আর এদেরকে দায়িত্ব দিয়ে সৎসঙ্গ কি করছে না করছে তা সরেজমিন তদন্ত ক'রে তাদের জানাতে বলেছেন? নাকি 'কাজ নেই তো খই ভাজ' মানসিকতায় ফেসবুকে সৎসঙ্গ কে একটু চুলকে দেওয়ার জন্য এরা হঠাৎ হঠাৎ আবির্ভুত হন? এদের বাবা মা বলেছেন নাকি এদেরকে এই চুলকে দিতে? নিশ্চয়ই না। কারণ যারা ইষ্টভৃতি করে তারা আর যাই-ই করুক এমন নিন্দনীয় সৎসঙ্গ বিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত হবে না এবং তাদের ছেলেমেয়েদেরও এইসমস্ত নোংরা কাজে যুক্ত হওয়ার জন্য উৎসাহিত করবেন না। আর ছেলেমেয়েরা যদি যুক্তও থাকে তাহ'লে এরা বিপথে ভুল পথে চালিত কিছু জীবনে ব্যর্থ ও ধান্দাবাজ মানুষ দ্বারা প্রভাবিত। যার ফলে এদের ভবিষ্যৎ জীবনেও নেবে আসবে ব্যর্থতার ঘোর অন্ধকার। বাবা-মা সাবধান!
একজন লিখেছে সে দীক্ষিত পরিবারের সদস্য আর তাই তার দেখতে ইচ্ছে করছে সৎসঙ্গ মানুষের পাশে দাঁড়াক ও তাদের সাহায্য করুক----এই প্রসঙ্গে বলি দীক্ষিত পরিবারের সদস্যের কোনও মূল্য নেই সৎসঙ্গ জগতে যদি না নিজে সৎসঙ্গী হন; সে নিজে যখন সৎসঙ্গ পরিবারের সদস্য নন তখন সৎসঙ্গ কি করছে না করছে তা দেখা তার অধিকারের মধ্যে পড়ে না, আর সে যেদিন সদস্য হবে (হ'লে এমন প্রশ্ন করতো না ও করবে না) আর সেদিন সে যদি সমর্পিত হৃদয়ে বুঝতে চেষ্টা করে শ্রীশ্রীঠাকুর আর তাঁর সৃষ্ট প্রতিষ্ঠানের কার্যকলাপ সম্পর্কে তবেই সেদিন সে জানতে পারবে আর তাও কিঞ্চিৎ পরিমাণে! কারণ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র আর তাঁর সৃষ্ট প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপন নির্ভর গুরু বা প্রতিষ্ঠান নয়! বোঝে সে, প্রাণ বোঝে যার।
তাই এদের উদ্দেশ্যে শুধু একথায় বলতে পারি, আসুন শ্রীশ্রীঠাকুর ও তাঁর সৃষ্ট প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে গভীর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখুন, পড়ুন, জানুন, বুঝুন, শেষ দেখুন তারপর মতামত প্রকাশ করুন। আর শেষ কথা বলি, নিজে কিছু সমাজসেবামূলক কাজ করেন তো এইসব মানুষজন? নাকি তাত্ত্বিক আমেজে ডুবে থেকে ডুডু তামাক খেতে খেতে ফেসবুকে সৎসঙ্গ বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শুধু চুলকে যান? চুলকোতে চুলকোতে শেষে নিজের বড় প্রিয় আপনজনকেও না চুলকে দেন এরা! আর তার পরিণতিতে সেই চুলকানি রোগ বংশপরম্পরায় বংশগত হ'য়ে না দাঁড়ায় অবশেষে!


আর সৎসঙ্গীদের বলি, আপনারা এদের কোনও কথায় বিচলিত ও উদ্বিগ্ন হবেন না। প্রচার সংক্রান্ত বিষয়ে শ্রীশ্রীঠাকুরের কি দৃষ্টিভঙ্গি ছিল তা আগে জানুন। তাহলেই দেখবেন সব অস্থিরতার মেঘ কেটে গেছে। অনেকের মন্তব্যে দেখি তারা এদের দ্বারা ভীষণভাবে প্রভাবিত! আর নিজের অজান্তেই এদের ট্র্যাপে পড়ে এদের মতোই প্রশ্ন ক'রে বসেন! অনেক নিয়মিত যুক্ত গুরুভাইবোনদেরও বলতে শুনি, সৎসঙ্গ কোথায় কি সাহায্য করছে তা প্রচার করা দরকার। এদের অবগতির জন্য বলি, একবার খেপুদা শ্রীশ্রীঠাকুরের ভাই, ঠাকুরকে বলেছিলেন, বড়দা, রামকৃষ্ণ, ভারত সেবাশ্রম সংঘের মত আমরাও কিছু কিছু সমাজসেবামূলক কাজ করলে পারি। তার উত্তরে ঠাকুর বলেছিলেন, তা পারো কিন্তু মাথায় রেখো আমার সৎসঙ্গ মানুষ তৈরির কারখানা। আরো অনেক কিছুই তিনি বলেছিলেন, যতটুকু মাথায় আছে ততটুকু তুলে ধরার চেষ্টা করছি মাত্র।
এছাড়া এটা মাথায় রাখবেন আজ থেকে ৭৪বছর আগে স্বাধীনতার অনেক আগেই ঠাকুর সেই সময়ের হিসেবে কোটি টাকার উপর মূল্যের সম্পত্তি হেলায় অবহেলায় পিছনে ফেলে এক কাপড়ে চলে এসেছিলেন ভারতের আজকের ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে। একদিনের জন্যও তিনি ওই বিশাল সম্পত্তি ফেলে আসার কথা মুখে আনেননি! কেউ জানতেও পারেনি কোনোদিন কত টাকা মূল্যের সম্পত্তি তিনি ছেড়ে এসেছিলেন! কোনও প্রচার, কোনও দরবারও করেননি তিনি কোনোদিন পাকিস্তান সরকারের কাছে! বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার শ্রীশ্রীঠাকুরের বিশাল সম্পত্তি সৎসঙ্গ কে ফিরিয়ে দেবার সদিচ্ছা প্রকাশ করেছে। কোথায় কবে তিনি কাকে কি সাহায্য করেছেন ঘুণাক্ষরেও কেউ জানতে পারতো না এবং তিনি তা পছন্দও করতেন না! তাঁর মানসিকতা ছিল, ডান হাত দিয়ে সাহায্য করলে বাঁ হাত যেন জানতে না পারে, গোটা শরীর তো দূরের কথা! সেই সময়ে যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক পাবনা আশ্রমের বি-শা-ল অঞ্চল জুড়ে কর্মকান্ড---- যা দেখে মহাত্মা গান্ধী বিস্ময়ে হতবাক হ'য়ে আপ্লুত কণ্ঠে বলেছিলেন, এ তো আমার স্বপ্নের ছোট ভারত যা ইতিমধ্যে এখানে গড়ে গেছে!-------দেখে অবাক বিস্ময়ে শ্রীশ্রীঠাকুরকে বলেছিলেন, এই যে আপনার আশ্রম জুড়ে বি-শা-ল কর্মযজ্ঞ এর খবর তো কেউ জানতেই পারলো না, এর উত্তরে শ্রীশ্রীঠাকুর হাসিমুখে বলেছিলেন, দাদা, আপনি যখন অফিস থেকে বাড়ি ফেরেন তখন বাড়ির আপনজনদের জন্য হাতে ক'রে কিছু আনেন? উত্তরে তৎকালীন যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক বলেছিলেন, হ্যাঁ মাঝে মাঝেই নিয়ে যায়। শ্রীশ্রীঠাকুর তখন বললেন, তা' আপনি যখন নিয়ে যান তখন কি ওই জিনিসগুলি রাস্তায় গাড়িতে মানুষজনকে দেখিয়ে বলতে বলতে নিয়ে যান, যে জিনিসগুলি বাড়ির আপনজনদের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন!? সম্পাদক মশাই সঙ্গে সঙ্গে ব'লে উঠলেন, তা কি ক'রে সম্ভব!? বাড়ির আপনজনদের জন্যে জিনিস নিয়ে যাবার সময় দেখাতে দেখাতে বলতে বলতে নিয়ে যাবো কেন!? শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন, ঠিক তাই! এই যে যা কিছু দেখছেন, এ সবই আমার আপনজনদের জন্য করা। আপনজনদের জন্য করা জিনিস কি বিজ্ঞাপন বা প্রচার হয়!? দাদা, এ জন্মে আমার একটা আফসোস রয়ে গেল, হয়তো আর কোনোদিনও এর পূরণ হবে না! এ জন্মে আমার পরোপকার করা আর হ'লো না! পর-ই পেলাম না দাদা যে পরোপকার করবো।


এখান থেকে সৎসঙ্গীদের যা বোঝার বুঝে নিতে হবে। শ্রীশ্রীঠাকুরের এই প্রচারহীন নীরব যজ্ঞ শ্রীশ্রীবড়দা, শ্রীশ্রীদাদা, শ্রীশ্রীবাবাইদাদা বংশপরম্পরায় নিখুঁতভাবে হ'য়ে চলেছে আজ ৭০ বছরের ওপর! সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠানের কত শত হাজার লক্ষ সাহায্যের অদৃশ্য হাত যে এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় দেশের প্রতিটি রাজ্যের কোণায় কোণায় এমনকি দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে তার হিসেব একমাত্র দয়াল রাখেন, আর কেউ না। সৎসঙ্গীরা যারা জানে তারা জানে আর যারা জানে না তারা জানলে ভালো, না জানলেও ক্ষতি নেই। শ্রীশ্রীঠাকুর প্রশ্নহীন, যুক্তিহীন এমনই দেখতে চেয়েছিলেন সৎসঙ্গীদের! তাঁকে দেওয়ার পিছনে নেই কোনও প্রশ্ন, নেই কোনও যুক্তি, নেই কোনও কৈফিয়ৎ! শুধু তাঁকে দেওয়াতেই সুখ! সুখ!! অনাবিল সুখ!!! কোথায় সেই দেওয়া যাচ্ছে তার খবর রাখার প্রয়োজন মনে করে না ঠাকুরকে নিবেদিত প্রাণ! যেসব সৎসঙ্গী ভাইবোন কোনও খবর রাখেন না তারা শুধু একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন কত হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ ঠাকুর পাগল মানুষ ইষ্টভৃতি, স্বস্তয়নী, প্রণামী আরও কতরকমভাবে তাদের সর্বস্ব উজাড় ক'রে দিয়েও তৃপ্তি পাচ্ছে না; আরো, আরো আরো দিতে চায় মন, প্রাণ, হৃদয়!!!!!! দেওয়ার কিছুই দেখেনি এখনও দুনিয়ার মানুষ! এ ঘোর কলি! মহাকাল!! একটা ট্রানজিশনাল পিরিয়ডের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এই যুগ! ভয়ঙ্কর ভয়াবহ ভবিষ্যৎ আসছে আগামীতে যার কাছে চায়নার এই করোনা, হায়না তুচ্ছ, নস্য বন্ধু, গুরুভাইবোন আমার!!!!!!! যার বর্ণনা ঠাকুর নিজেই দিয়ে গেছেন!!!! পরবর্তী কোনও সময়ে তুলে ধরার ইচ্ছা রইলো। সেদিনের কথা ভেবে কত প্রাণ তাদের তন, মন, ধন সমস্ত উজাড় ক'রে দিয়ে জীবনকে ধন্য ক'রে তুলছে! তার খবর কেউ রাখে না!
যাই হ'ক,
সৎসঙ্গীদের কোনও দায় পড়েনি এই সমস্ত বাপের হোটেলে কিম্বা বাঁ হাতি টান মেরে খেয়ে কিম্বা বটতলায় বসে চা খেয়ে সিগারেট বিড়ি ফুঁকতে ফুঁকতে মুখে মুখে তুড়ি মেরে হাতি ঘোড়া মেরে ফেলা, কথায় কথায় জ্ঞান বিজ্ঞানের ফোয়ারা তুলে মহাজ্ঞানীদের পায়ের নীচে ফেলে পা দিয়ে মাড়িয়ে অশ্রদ্ধার লাঙ্গল চালাতে চালাতে ত্রিভঙ্গের ভঙ্গিমায় দাঁড়িয়ে ওঠা মেরুদন্ডহীন প্রাণীদের কৈফিয়ৎ দেওয়ার। ফেসবুকে আমার সৎসঙ্গী গুরুভাইবোনেদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এইসমস্ত মেরুদণ্ডহীন প্রাণী চেটে দিয়ে যায় আর চাটন খেয়ে আমার গুরুভাইবোন অসহায় হ'য়ে এদের গুরুত্ব বাড়িয়ে দেয় কিংবা এদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে তাদের বলি,
"কুকুরের কাজ কুকুর করেছে কামড় দিয়েছে পায়,
তাই ব'লে কি মানুষের কুকুরকে কামড়ানো শোভা পায়!?


আর,
হাতি চলে বাজার মে কুত্তা ভোঁকে হাজার
সাধুঁ ও কো দুর্ভাবন নেহী যব ঘিরে সংসার।"
হয়তো এই দুই প্রবাদের মধ্যে উত্তর পেয়ে যাবে আমার সৎসঙ্গী গুরুভাইবোনেরা।
পরমপিতার শ্রীচরণে সকলের মঙ্গল প্রার্থনা করি। বর্তমান কঠিন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে, দুঃসময়ে শ্রীশ্রীঠাকুর পক্ষ-বিপক্ষ, শত্রু-মিত্র সকলকে সুস্থ ও স্বস্থ রাখুন। আসুন আমরা কোটি কোটি সৎসঙ্গীরা এই কঠিন সময়ে হোম কোয়ারেন্টাইন-এর সময়ে নেগেটিভ চিন্তা মুক্ত হ'য়ে নামময় হ'য়ে থাকি! আমরাই পারি, হ্যাঁ আমরা বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি সৎসঙ্গীরাই পারি এইসময় নামময় হ'য়ে থেকে আকুল প্রার্থনায় দয়ালের দয়ার প্রবল বর্ষণে করোনার বিষকে নির্বিষ ক'রে দিতে, ভোঁতা ক'রে দিতে করোনার বিষাক্ত দাঁতকে! হে দয়াল! দয়া করো! জয়গুরু।
( ৩০শে মার্চ, ২০২০)

No comments:

Post a Comment