করোনা আতঙ্কে এখন সারা বিশ্ব আতঙ্কগ্রস্ত। এই রোগের প্রতিষেধক এখনও নেই যা এই মারণাস্ত্রকে খতম করতে পারে। জমিদার থেকে জমাদার সবাই তটস্থ। সবাই চায় বাঁচতে। ঠেলার নাম বাবাজী-মাইজী। ঠেকায় পড়লে বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খায়! যেমন দেশ ও বিশ্ব জুড়ে শত্রু-মিত্র এই মারণ রোগের হাত থেকে বাঁচবার তাগিদে এক সুরে কথা বলছে, পরামর্শ দিচ্ছে যা কিনা সম্পূর্ণ সদাচার নির্ভর। আর দ্রষ্টাপুরুষ রক্তমাংসের জীবন্ত নারায়ণ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বহু পূর্বেই বিশদ আকারে বলে গেছেন। যা কিনা কেউ গুরুত্ব দিয়ে দেখার প্রয়োজন মনে করেনি, মনে করেনি দেশের বুদ্ধিজীবী, সমাজসেবী, সমাজ সংস্কারক, ধর্ম ও দেশনেতারা তাঁকে মানবজাতির বাঁচা-বাড়ার স্বার্থে সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে আবির্ভুত পরমাত্মা পুরুষোত্তম হিসেবে মেনে নিতে! পুরুষোত্তম পরমাত্মা শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র যে ভবিষ্যৎ ভয়ঙ্কর পৃথিবীর কথা বলে গেছেন তার কাছে এই করোনা ভাইরাস নস্য মাত্র; সামান্য এক মারণাস্ত্র!
যাই হ'ক এই ভয়াবহ মারণাস্ত্র থেকে বাঁচার প্রতিষেধক হিসেবে প্রশাসন থেকে যা বলা হচ্ছে তার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা যাক বহু পূর্বেই শ্রীশ্রীঠাকুর এই সম্পর্কে আরো কি কি বলেছিলেন। কি কি সদাচার মেনে চলতে বলেছিলেন আর কি কি করতে না বলেছিলেন অর্থাৎ অসদাচারী জীবন যাপন থেকে দূরে থাকতে বলেছিলেন।
শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন,
রোগ হ'লে তুই থাকিস স'রে কিছুতেই তা' ছড়াবি না,
ছোঁয়াছুঁয়িতে নাকাল হ'বি সাবধান ওটা চারাবি না।১৬
নাকে-মুখে আঙ্গুল দিয়ে অমনি তাহা ধুতেই হয়,
নইলে কুটিল রোগের হাতে নষ্ট মানুষ হয়ই হয়।১৭
দাঁড়িয়ে হাগা, প্রস্রাব করা দুই-ই মস্ত কু-অভ্যাস,
স্নায়ু শিথিল কৈলব্য আসে থাকেই হ'য়ে ব্যাধির দাস।১৮
পরের গামছা কাপড় পরা বিছানা-বালিশে শোওয়া,
ব্যাধির বিপাক দুর্দ্দশাকে কুড়িয়ে দেহে নেওয়া।
বিছানার চাদর বালিশের ওয়াড় নিত্য-ব্যবহারী কাপড়-জামা
জলে ধুয়ে রৌদ্র-তপ্ত না করলে ঘটে ঢের হাঙ্গামা।২৩
ক্রমশঃ। ( লেখা ২০শে মার্চ'২০২০)
No comments:
Post a Comment