এখন প্রশ্ন এই নীতি তৈরী করবে কারা? নীতিশাস্ত্রে অভিজ্ঞরাই তো নীতি তৈরী করবে। ভালমন্দ ন্যায়-অন্যায় বা কর্তব্যাকর্তব্য সম্পর্কে জ্ঞান বা বিষয় সম্বন্ধে বোধসম্পন্ন ব্যাক্তিরাই নীতি তৈরী করবে। স্বাধীনতার ৬৬বছর পর দেশের ষোলতম সাধারণ (লোকসভা) নির্বাচন নীতির ওপর দাঁড়িয়ে লড়াই করবে বামপন্থীরা! নীতি যারা তৈরি করবেন তারা কি বামফ্রন্টে নতুন? নতুন তাজা বুদ্ধিদীপ্ত প্রজ্ঞাবান রক্ত কি এই নীতি তৈরী করবে? না-কি সেই যারা ৩৪বছর সুযোগ পেয়েছিল রাজ্যটাকে শাসন করার, যারা একটা রাজ্যকে গড়ে তোলার মধ্যে দিয়ে গোটা দেশকে পথ দেখাবার দীর্ঘ সুযোগ পেয়েছিল তারা তৈরী করবে নীতি? কমিউনিজম যে ফলিত বিজ্ঞান (applied, practical science), এই দর্শন যে সত্যরুপে প্রমানিত, এই মতবাদ যে পরীক্ষা বা গবেষনার দ্বারা সিদ্ধ মতবাদ, একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে বহমান উন্নত নিখুঁত এক কৃষ্টি ও সংস্কৃতির স্রোত যে এই সমাজ কো বদল ডালো নীতি সেটা প্রমাণ করার জন্য দীর্ঘ সময়ের দরকার এবং সেই দীর্ঘ সময়ের সুযোগ পেয়েছিল যারা তারা আজ তৈরী করবে নীতি? তারা এতদিন সুযোগ পেয়েও এই দর্শনকে প্রতিষ্ঠা করতে পারলো না? এতদিন কি তাহলে তাদের সামনে কোন নীতি ছিল না? বামপন্থী দলগুলোর নেতৃবৃন্দ নিজেদের প্রজ্ঞা সম্পর্কে কি মেসেজ পাঠালো সাধারণ জনগনের কাছে?
(লেখা ২৫শে মার্চ'২০১৪)
No comments:
Post a Comment