Powered By Blogger

Saturday, March 23, 2024

শ্রীশ্রীঅবিনদাদার বিরুদ্ধে মায়েদের অপমানজনক ও অশ্রদ্ধাপূর্ণ প্রশ্ন ও তার উত্তর।

নমস্কার আজ আমি মায়েদের কিছু বিতর্কিত অশ্রদ্ধাপূর্ণ, অপমানজনক প্রশ্ন নিয়ে এসেছি। শ্রীশ্রীঅবিনদাদার বিরুদ্ধে তাঁর অনুষ্ঠান নিয়ে যে পরিকল্পিত ষড়যন্তমূলক প্রচারের চক্রান্ত হয়েছিল তার বিরুদ্ধে আমার আগের ভিডিও গুলিতে বিশদে বিশ্লেষণ করা সত্ত্বেও নানা প্রশ্ন করেছেন মায়েরা; সঙ্গে তারা শ্রীশ্রীঅবিনদাদার পরিবার নিয়ে ও সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠান নিয়েও তীব্র কটু সমালোচনা অপমানজনক নানা প্রশ্ন রেখেছেন; আমি সেইসব প্রশ্নগুলিকে জড়ো ক'রে আপনাদের সামনে কয়েকটা তুলে ধরছি, তুলে ধরছি মায়েদের নাম উল্লেখ না করে। সঙ্গে তাদের প্রশ্নের জবাব আমি এখানে এই ভিডিওতে তুলে ধরলাম আপনারা যারা শুনছেন তারাই বিচার করুন প্রশ্নগুলির ধরণ ও ওজন।


১) সাউন্ড বক্স নিয়ে মায়েরা আবার প্রশ্ন তুলেছেন, বলেছেন সাউন্ড বক্স পা রাখার জায়গা নয়।


উত্তরঃ এর উত্তর আমি সবিস্তারে দিয়েছি আমি আমার আগের ভিডিওতে, তবুও যখন সেই প্রশ্ন উঠে এসেছে আমি মায়েদের জিজ্ঞেস করছি কেন পা রাখার জায়গা নয় সেটা তো বলুন? শুধু হাওয়ায় কথা উড়িয়ে দিলে তো হবে না। কেন, কি কারণে কথাটা বললেন সেটা তো যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে বলুন। মনের মধ্যে ভাবটা লুকিয়ে রেখে আর্ধেক কথা ব'লে নিজে বিভ্রান্ত হবেন না ও অন্যকেও করবেন না। সাউন্ড বক্সে পা রাখা যদি জায়গা না হ'য়ে থাকে তাহ'লে মঞ্চটাও পা রাখার জায়গা নয়। সাউন্ড বক্সকে এর আগে আপনারা বিশ্বকর্মা বলেছেন। সবটাই ধরিত্রি মাতা, আবার এই জগতটাই বিশ্বকর্মা, জগত যদি মিথ্যা হয় তাহ'লে বিশ্বকর্মাও মিথ্যা, আর বিশ্বকর্মা মিথ্যা হলে তাহ'লে জগতটাই মিথ্যা। আর যদি উল্টো হয়, বিশ্বকর্মা যদি সত্য হয় তাহ'লে তাঁর সৃষ্টি এই জগত, এই ব্রহ্মান্ড, ব্রহ্মান্ডের পর ব্রহ্মান্ড, হাজারো ব্রহ্মান্ড সব সত্য। তাহ'লে এই জগতের কোথাও পা রাখা যাবে না, পা টা মাথায় ক'রে নিয়ে ভেসে ভেসে চলতে হবে। ভগবানের মন্দিরে যখন ঢুকবো তখন মন্দিরের বাইরে জুতো খুলে যেমন আমরা মন্দিরে ঢুকি তেমনি পা দু'টো খুলে বগলে কিংবা মাথায় নিয়ে শূন্যে ভেসে ভেসে ঠাকুর মন্দিরে ঢুকবো ও প্রণাম করতে হবে। এইসব পা রাখা, না-রাখা নিয়ে ছুৎমার্গ অতি ভক্তি, ভুল ভক্তি, চোরুয়া ভক্তি, ভন্ডা ভক্তির নমুনা। এখানে ভক্তি নেই, ধর্ম নেই, ঈশ্বর নেই, নেই কোনও আধ্যাত্মিকতা বা বিজ্ঞান। এসবের ভিড়ে হারিয়ে যায় প্রকৃত ভক্তি, পুজো ইত্যাদি। কুসংস্কার ঘিরে ধরেছে মানুষকে। সংস্কার ভালো কুসংস্কার ভালো নয়,অস্তিত্ব ধ্বংসের কারণ কুসংস্কার।




প্রশ্নঃ অনুকুলচন্দ্রের ফ্যামিলি বিজনেস চালাচ্ছে। আমরা কষ্ট ক'রে রোজগার ক'রে খায় আর উনারা বিনা কস্টে রাজসুখ ভোগ করছেন এটা কেমন? একজন বলেছেন, আমার বাবা ১৯৬৯ সালে অনুকূল ঠাকুরের উপস্থিতিতে দীক্ষা নিয়েছেন তাই ব'লে উনার 5th Generation ঠাকুর হবে না। জয়গুরু।



উত্তরঃ এর উত্তরে প্রথমে বলি, আপনি ও আপনারাও ব্যবসা করুন না কেউ তো বাধা দেয়নি, দিয়েছে কি? নাকি ব্যবসা করার অধিকার নেই? সমাজে সবারই ব্যবসা করার অধিকার আছে। আপনিও ব্যবসা শুরু ক'রে দেখুন না কেউ আপনাকে সাহায্য করেন নাকি। বিশ্ব জুড়ে বি-শা-ল সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠান ছেড়ে দিন, ওসব ছেঁড়া কাথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখে লাভ নেই; 'সৎসঙ্গ'-এর মতো অকল্পনীয় অভুতপূর্ব প্রতিষ্ঠান শূন্য থেকে গড়ে তোলা এবং মধ্য বয়সে এসে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, অদূরদর্শিতা ও দেশভাগ ও শাসক শ্রেণীর আগ্রাসনের কারণে সেই বিশাল প্রতিষ্ঠানে মানব কল্যানে গড়ে ওঠা সব হারিয়ে ফেলা এবং জন্মভূমি মাতৃভূমি হারিয়ে, ভিটে মাটি হারিয়ে আবার অন্য জায়গায়, অন্য পরিবেশে শূন্য থেকে সৃষ্টি করা ও বিশ্বজুড়ে বি-শা-ল প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা এবং সেই প্রতিষ্ঠানের শাখা প্রশাখা সারা দেশের অলিতেগলিতে ছড়িয়ে দিয়ে তারপর দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বের অন্যান্য প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে দেওয়া জন্মজন্মান্তর হাজার বার জন্মালেও সাধারণ মানুষের কথা ছেড়ে দিন কোনও মহাত্মার দ্বারাও সম্ভব নয়। এরকম অকল্পনীয় অভুতপূর্ব অত্যাশর্য্য কর্মকান্ড ঈশ্বর ছাড়া কারও পক্ষে সম্ভব নয় আর সেই প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করা ও তাকে ক্রম বৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়া শ্রীশ্রীবড়দা, শ্রীশ্রীঅশোকদাদা, শ্রীশ্রীবাবাইদাদা ও হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ ইয়ং জেনারেশনের আইকং শ্রীশ্রীঅবিনদাদার মতো ঈশ্বরকোটি পুরুষের কাজ। এসব আপনি বা আপনারা জানেন না তার কারণ নিজের ব্যর্থ জীবন নিয়ে কোনও কিছু তলিয়ে না দেখেই, না জেনে অন্যের মুখে ঝাল খেয়ে ঝালে মুখ জ্বলে গেছে আর সেই ঝাল ঠাকুর, ঠাকুর পরিবার ও সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠানের উপর মেটাচ্ছেন। বুকভর্তি অকারণ জ্বালা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। এর জন্যে আপনি দায়ী না। আপনার পিতামাতা দায়ী। আপনার পিতামাতা ঠাকুরের দীক্ষা ১৯৬৯ সালে নিয়েছেন বলেছেন, কিন্তু এই ৫৫ বছরে আপনাকে আপনার বাবা-মা শ্রীশ্রীঠাকুর সম্পর্কে, সৎসঙ্গ সম্পর্কে ছোটোবেলা থেকে কিছুই শেখাতে পারেনি, জানাতে পারেনি এটা আপনার বাবামায়ের ব্যর্থতা। আপনার দোষ নয়। তারা নিজেরা বয়স হ'লে যে কোনও একজনের কাছে দীক্ষা নিতে হয় এই বস্তাপচা ধারণা থেকে দীক্ষা নিয়েছিলেন, কিন্তু কেন দীক্ষা নিলাম, কি হবে দীক্ষা নিয়ে, যারা দীক্ষা নেয়নি তারা আমার থেকে কি খারাপ বা ভালো আছে আর আমিই বা দীক্ষা নিয়ে কি ভালো বা খারাপ আছি তা তলিয়ে দেখেনি আর তাই আপনাকে দীক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও দীক্ষার মাহাত্ম্য কি বোঝাতে পারেনি, বোঝাতে পারেনি অনুকূল ঠাকুরের দীক্ষা কেন নেব। তাই আপনার আজ এই মানসিক দৈন্য অবস্থা। যার নামে প্রকাশ্যে নিন্দা, কুৎসা, সমালোচনা করলেন আবার নিজের অজান্তে তাঁর নামেই 'জয়গুরু' বলছেন। কেন? আপনার তো 'জয়গুরু' বলার অধিকার নেই। আপনি তো তাঁর দীক্ষা নেননি। আপনি আপনার বাবা-মায়ের গুরুর বিরুদ্ধাচরণ ক'রে তাকে পরাজিত করার খেলায় নেমেছেন আর মুখে বলছেন 'জয়গুরু'? এটা তো খিল্লি। এই খিল্লি করা জয়গুরু ডাক তো মঞ্চে, টিভির গানের অনুষ্ঠান গুলিতে শুনতে পাই। জয়গুরু আজ এঞ্জয় গুরু হ'য়ে খিল্লি হ'য়ে দাঁড়িয়েছে টিভি বা মঞ্চের অনুষ্ঠানগুলিতে। জয়গুরুর উত্তরে খিল্লি ক'রে এঞ্জয় গুরু বলার প্রবণতা চালু হয়েছে বর্তমানে পথঘাটে। আজকের এই খিল্লি ভবিষ্যতের তীব্র অনুশোচনার কারণ হ'য়ে দাঁড়াবে যা আপনারা না পারবেন গিলতে, না পারবেন উগলাতে। শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের জন্য আজ সারা বিশ্বে সৎসঙ্গী গুরুভাইবোনেদের শুধু নয় সমস্ত গুরুর শিষ্যদের মধ্যে চালু হয়েছে 'জয়গুরু' যা ব'লে সবাই আনন্দ পায়, শান্তি পায়। আপনি তাদের সবাইকে অপমান করেছেন।


যাক আপনি ঠাকুর ফ্যামিলি ব্যবসা করছেন বললেন তা আপনি এরকম ঠাকুর ফ্যামিলির মতো ব্যবসা করা ছেড়ে দিন অন্তত একটা টিকটিকি লজেন্স আর গুড়কাঠি বিক্রির একটি গুমটি খুলুন না, খুলে দেখুন না, এবং তাকে চালিয়ে দেখুন তারপর বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সর্ববৃহৎ মানব সেবায় নিয়োজিত, মানুষ তৈরীর কারখানা 'সৎসঙ্গ' প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বলুন। বিশাল মহাসাগরের জলরাশির মাঝে আপনি ও আপনারা এক একটি সামান্য যা সর্বোচ্চ শক্তিশালী দূরবীক্ষণ যন্ত্রতেও ধরা পড়বে না তেমনই এক একটি ক্ষুদ্র বুদবুদ মাত্র, যা ভেসে ওঠার আগেই মহাসমুদ্রের বুকে মিলিয়ে যায়। কার দৌড় কতটুকু সবাই জানে। মোল্লা বা পুরুহিতের দৌড় মসজিদ বা মন্দিরের চৌকাঠ পর্যন্ত। আপনাদেরও তাই।

১৯৬৯ সালে ঠাকুরের উপস্থিতিতে আপনার বাবা-মা দীক্ষা নিয়েছেন তাই বলেই তাঁর ৫ম জেনারেশন ঠাকুর হবে না কথাটা কেমন অর্থহীন বকোয়াস লাগলো। আপনার বাবা-মার দীক্ষা নেওয়ার সংগে ৫ম জেনারেশনের ঠাকুর হওয়া না-হওয়ার যোগসূত্রটা কোথায় বুঝতে পারলাম না। তাঁর মানে আপনার বাবা-মা শ্রীশ্রীঠাকুরের যদি দীক্ষা না নিতেন তাহ'লে কি ৫ম জেনারেশন ঠাকুর হ'য়ে যেতেন? কি বলেন আপনি? আর আপনাকে কে বললো, শ্রীশ্রীঠাকুরের ৫ম জেনারেশন ঠাকুর হ'য়ে গেছে? মনে মনে আপনি যা ইচ্ছা ভেবে নেবেন আর তা চাপিয়ে দেবেন ঠাকুর পরিবারের ওপর? কোটি কোটি শিষ্য কি সব বালখিল্য শিষ্য? কোটি কোটি শিষ্যের মাথাব্যথা নেই আর আপনি দীক্ষিত না হ'য়ে আপনার এত মাথাব্যাথা? আর কে ঠাকুর হ'লো কি ঠাকুর-হ'লো না তা'তে আপনার কি? আপনি কি ঠাকুরের শিষ্য? আপনি কষ্ট ক'রে রোজগার ক'রে খান বলেছেন তা' আপনি কি ইষ্টভৃতি করেন? আপনি তো দীক্ষিত না। তাহ'লে ইষ্টভৃতি নিয়ে বলবার আপনার কি অধিকার আছে? আমার রোজগারের টাকায় আমি মদ খাব কি গাঁজা টানবো বা বেশ্যাবাড়ি যাবো সেখানে ফুর্তিতে আমার রোজগারের টাকা ওড়াবো কি আমার সব টাকা, জমিজমা শ্রীশ্রীঠাকুরের চরণে ঠাকুর বাড়িতে ইষ্টভৃতি স্বরূপ দিয়ে দেবো সেটা কি আপনার বা আপনাদের কাছে কৈফিয়ত দেব নাকি পারমিশন নেবো? আপনার রোজগারের টাকা আপনি যা ইচ্ছা করুন কেউ আপনাকে বাধা দেবে না। কারও অধিকার আছে কি আপনার রোজগারের টাকা আপনি কি করবেন আর কি করবেন না তা নিয়ে বলবার? ঠিক তেমনি তিনারা রাজভোগ খাবেন নাকি রাজসুখ ভোগ করবেন, কি করবেন না সেটা আপনি কি ঠিক ক'রে দেবেন? আপনাকে কৈফিয়ত দেবে ঠাকুরবাড়ি ও সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠান? আপনাকে কৈফিয়ৎ দেবে নাকি, আপনার থেকে পারমিশন নেবে কোটি কোটি সৎসঙ্গী? আপনার সংসারের ব্যাপারে বাইরের লোক নাক গলালে আপনি মেনে নেবেন? এটা কি অনধিকার চর্চা নয়? আপনি কষ্ট করেন আর উনারা বিনা কষ্টে খান? আপনি আপনার ছোট্ট পরিবার নিয়ে কষ্ট ক'রে খাচ্ছেন, হিমসিম খাচ্ছেন আর বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার কেন্দ্র মন্দির আর কোটি কোটি শিষ্য নিয়ে বি-শা-ল সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা আপনার ক্ষুদ্র মাথা দিয়ে বোধগম্য হওয়ার সাবজেক্ট নয়। যাই হ'ক, আপনি আপনার ধারণা নিয়ে থাকুন আর অহেতুক অনধিকার চর্চা বন্ধ করুন, ভালো থাকবেন, শান্তিতে থাকবেন।




প্রশ্নঃ ঝুমা দেবঃ অনুকূল ঠাকুরের শিষ্যরা কি পরিবার নিয়ে ভালো আছেন, অন্যরা নন? রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম এরা সারা ভারত জুড়ে সেবা করছেন। অবিনদা মাত্র ২৪বছর বয়স, উনি দীক্ষা আর ঠাকুর সম্পর্কে আলোচনা করেন, গরীব পথ শিশুদের শিক্ষা দেন? এদের জামা কাপড় কিনে দেন? খাবার দেন?বৃদ্ধাশ্রমে ডোনেট করেন? বা সৎসঙ্গের কোনও ওল্ডেজ হোম আছে? শুধু দীক্ষায় দেশ চলে না, ঠাকুরের বাণী লীলা শুনে সমাজ চলে না। আমি নিজে অনাথাশ্রমে ফ্রি অফ কস্টে এডুকেশন দিই, ডোনেট করি। আমার কাছে ঐগুলি ঠাকুর থেকে বেশী, ইষ্টভৃতি থেকে বড়ো। অবিনদার মা কোনোদিন অসুস্থ মায়ের সেবা করেছেন? নিজে রাণী সেজে থাকেন। জয়গুরু। অনুকূলঠাকুরের জন্য, বাবাইদাদা বা অবিনদাদার জন্য নয়।

উত্তরঃ অন্যেরা ভালো আছেন কি নেই সেটা বলবো কি ক'রে? গরীব বড়লোক, ছোটোবড় যাকেই বলি, ভালো আছেন? ভালো আছো? খুব কষ্টে মুখে একটা কৃত্রিম হাসি ফুটিয়ে সবাই বলে ভালো আছি। কষ্টে, দুঃখে জর্জরিত হ'লে আর ঘনিষ্ঠ না হ'লে বিরক্তির সঙ্গে মুখ বেঁকিয়ে একটা নিম হাসি ঠোঁটে লাগিয়ে 'এই আছি' ব'লে তাড়াতাড়ি সরে পড়ে। বুঝি সে ভালো নেই। তবুও এটাই ভালো লাগে। সবসময় কষ্টের মধ্যেও হাসি মুখে থাকা। পজিটিভ থাকা। অন্ধকারেও আলোর সন্ধান করে। বুঝতে পারি তখন তার অন্তরে ভালো না থাকা ব্যপারটা। বাড়ির খেয়ে বনের মোষ তাড়াবার মতন চেষ্টা করি তার সঙ্গে গল্প করার অছিলায় ভালো থাকার, আনন্দে থাকার তুকটা তাকে জানিয়ে দিতে। ফলে তারা ভালো থাকার, আনন্দে থাকার পথ পায়। আর যদি ভালো থাকার, আনন্দে থাকার পথ পেয়েও, তুক জানতে পেরেও, চাবিকাঠি হাতে পেয়েও ভালো থাকতে না পারেন, আনন্দে থাকতে না পারেন সেটা তার ব্যক্তিগত সমস্যা, আমার নয়। এই যেমন আমি আপনাদের প্রশ্নের ও আপনার প্রশ্নটাকে উড়িয়ে না দিয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভিডিওর মাধ্যমে আপনার ও আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি, আর এই উত্তরের মধ্যে দিয়ে আপনি বা আরও যারা শুনছেন ভিডিওতে আমার বক্তব্য তারা যদি এই বক্তব্যের মধ্যে সমস্যা সমাধানের Clue খুঁজে না পান, চাবি পাওয়া সত্ত্বেও সমস্যার বন্ধ তালা খুলতে না পারেন তাহ'লে সেটা আপনার বা আপনাদের সমস্যা, আমার নয়। এই যে আপনাকে ভিডিওর মাধ্যমে গুরুত্ব দিয়ে বলছি একে যাজন বলে, এই যাজনকে বলে বাড়ির খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো। এই মোষ তাড়াবার ব্রত নিয়েছিলাম ঠাকুরের যেদিন দীক্ষা নিয়েছিলাম সেদিন থেকে। আর এই মোষ তাড়ানোও নিজের স্বার্থে। এই মোষ তাড়ানোর মধ্যে দিয়ে একজন মানুষও যদি বন্য জীবন ছেড়ে ঘরে ফেরার, ভালো থাকার, আনন্দে থাকার সত্যিকারের পথ খুঁজে পায় সে্ইটাও আমার আনন্দে থাকার, সুখে থাকার পথ ও মোক্ষম ওষুধ। একদিন বর্তমান শ্রীশ্রীআচার্যদেব আমায় বলেছিলেন বাড়ির খেয়ে বনের মোষ তাড়াচ্ছেন কেন? চুপ ক'রে মাথা নীচু ক'রে নিয়েছিলাম। আর মনে মনে ভেবেছিলাম কেন তিনি বললেন? তিনি অন্তর্যামী, তিনি সব জানেন। বাড়ির খেয়ে বনের মোষ যারা তাড়িয়ে বেড়ায় তারা বনের মোষ তাড়াবার সময় বনের কাঁটাঝোপে, গাছের ডালপালায় ও মোষের গুঁতো খেয়ে ক্ষতবিক্ষত হ'য়ে বনের মোষটিকে যখন ঘর্মাক্ত ক্ষতবিক্ষত শরীরে বাড়ির উঠোনে এনে বেঁধে রাখে তখন পাড়ার দামোদর ঘোষ নেপোয় মারে দইয়ের মতন মোষের বাট ভর্তি দুধ দুইয়ে নিয়ে চলে যায়, আর ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে থাকে মোষ তাড়ানো ক্ষতবিক্ষত মানুষটা। ফলে সেই অবস্থায় মোষ তাড়ানো ক্ষতবিক্ষত মানুষটা মানসিক যন্ত্রনায় বিধ্বস্ত হয়, সেই ভয়ংকর বিধ্বস্ত অবস্থা থেকেও রক্ষা করেন ঠাকুর আচার্যদেবের মাধ্যমে আর আচার্যদেব তাঁকে আবার আনন্দের জগতে হাতে ধ'রে পথ দেখিয়ে ঘরে ফিরিয়ে দেয়। যাক আচার্যদেবের সেই মোষ তাড়ানোর কথা আজ থাক। তার প্রেক্ষাপট অন্য কোনওদিন তুলে ধরবো। আজ নয়। এখন শুধু বলি, এতক্ষণ যা বলয়াম এই হ'লো আপনার প্রশ্ন অনুকূল ঠাকুরের শিষ্যরা কি পরিবার নিয়ে ভালো আছেন, অন্যরা নন?- এর উত্তর। হ্যাঁ, আবারও বলছি সৎসঙ্গীরা পরিবার নিয়ে ভালো আছে, আনন্দে আছে। যে বা যারা নেই তারা আপনার মত মানুষ। যারা ঠাকুরকে পেয়েও আপনার মত এরকম কটু অপমানজনক প্রশ্ন করার মত মানসিকতার অধিকারী তারা ভালো নেই। নিশ্চয়ই নেই।

আর আপনি আলোর মধ্যে অন্ধকার আর জোর ক'রে চুলকিয়ে পজিটিভের মধ্যেও নেগেটিভ আর সু-এর মধ্যে কু খুঁজে নিয়েছেন। কে কোথায় সেবা করছেন, কি সেবা করছেন, সেবার নামে আত্মপ্রতিষ্ঠা করছেন নাকি অর্থ রোজগার করছেন আর কোথায় কে কি করছেন সেটা সৎসঙ্গ দেখে না, সে নিজে কি করছে সেদিকেই সৎসঙ্গ সবসময় তাকিয়ে থাকে। আর আপনার মতো তা ঢাক পিটিয়ে প্রচারও করে না। মনে রাখবেন এটা ঈশ্বরের দরবার, এখানে লোকদেখানো প্রচার হয় না। এখানে ইশ্বরের দরবারে ডান হাত দিয়ে সাহায্য করলে বাঁ হাত জানতে পারে না। যদি জানতে হয় শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে আসুন, সৎসঙ্গে আসুন, সংগ করুন, দেখুন, শুনুন, পড়ুন, জানুন, বুঝুন শ্রীশ্রীঠাকুর ও তাঁর সৃষ্ট প্রতিষ্ঠান 'সৎসঙ্গ' ১৩৬ বছর ধ'রে কোথায় কোথায়, কা'কে কা'কে কি কি সাহায্য করেছে তার ইতিহাস পেয়ে যাবেন, তারপর কু বা সু যা ইচ্ছা হয় বলুন, মন্তব্য করুন। মানা, না-মানা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু দূর থেকে আর অন্যের মুখে ঝাল খেয়ে খেয়ে মুখ পুড়িয়ে কটু মন্তব্য করবেন না।


আর, শ্রীশ্রীঅবিনদাদা কি করছেন আর না করছেন সেটা সত্যি সত্যিই যদি জানতে চান তাহ'লে দূর থেকে তিক্ত সমালোচনার ঘোলা দৃষ্টিতে কি দেখা সম্ভব? ভালো চোখেও মানুষ যখন দূরের জিনিস দেখতে পায় না তখন আপনার চালসে দৃষ্টিতে আপনি দূর থেকে সব স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন? ভালো মানসিক দৃষ্টির মানুষেরা যেখানে মাঝে মাঝে নড়ে যাচ্ছে, বুঝে উঠতে পারছে না কি হচ্ছে আর আপনি নোংরা মনের চালসে দৃষ্টি নিয়ে সব দেখতে পাচ্ছেন এটাই আপনার বাহাদুরি। এর জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ ও স্যালুট জানাই।

কারও সম্পর্কে বা কোনও কিছু সম্পর্কে মন্তব্য করার আগে তার সম্পর্কে বা সেই বিষয় সম্পর্কে আগে পুঙ্খানুপুঙ্খ জানতে হয় তা সে ভালো বা মন্দ যে লোকই হ'ক না কেন। তবে প্রমাণ হয় আপনি কেমন মানুষ। আপনার দ্বারা সমাজের কতটা ভালো হ'তে পারে সেটা আপনার সুস্থ মনোভাবের ওপর নির্ভর করে। বৃদ্ধাশ্রমের কথা বলেছেন আপনি। বলেছেন ডোনেটের কথা। বলেছেন সৎসঙ্গের কোনও বৃদ্ধাশ্রম আছে কিনা। সৎসঙ্গের যারা প্রকৃত সৎসঙ্গী তাদের ঘরের বৃদ্ধ বাবা-মায়ের জন্য বৃদ্ধাশ্রম দরকার হয় না। সৎসঙ্গীরা সেই শিক্ষা পায়নি দয়াল ঠাকুর শ্রীশ্রীঅনুকূলচন্দ্রের কাছ থেকে। প্রকৃত সৎসঙ্গীরা বাবা-মায়ের সাথেই একসঙ্গে মিলেমিশে সুখেদুঃখে আনন্দে দিন কাটায়। বৃদ্ধাশ্রম কনসেপ্ট, যৌথ ফ্যামিলি ভেঙে বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে একলা সুখ ভোগ করার পয়মাল অর্থাৎ ধ্বংসকারী, নাশকারী দর্শন ঠাকুরের দর্শনে নেই। শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের সোনার সৎসঙ্গীরা বাবা-মাকে নিয়ে মিলেমিশে থাকার শ্রীশ্রীঠাকুরের শিক্ষায় শিক্ষিত হ'য়ে উঠেছে ও উঠছে। একদিন বৃদ্ধাশ্রম উঠে যাবে আবার ফিরে আসবে যৌথভাবে থাকার শিক্ষা। আর, আলাদা আলাদাভাবে থেকেও যৌথভাবে মিলেমিশে থাকা যায় সেই শিক্ষাও শ্রীশ্রীঠাকুর দিয়ে গেছেন। আসল কথা মানুষের মতন মানুষ হ'য়ে ওঠো। আপনার ঘোরালো জন্ডিস দৃষ্টি দিয়ে এই শিক্ষার গভীরতা আপনার মতন ভাঙাচোরা পাউডার হ'য়ে যাওয়া মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়।

আর, সৎসঙ্গ কোথায় কোথায় ডোনেট করে সেটা যারা জানার জানে, ঢাক পিটিয়ে সৎসঙ্গ সেটা প্রচার করে না। সেটা "সৎসঙ্গ'-এর দর্শন নয়। শ্রীশ্রীঠাকুর কখনও প্রচার পছন্দ করতেন না। তাঁর দর্শন, ডান হাত দিয়ে সাহায্য করার সময় যেন বাঁ হাত পর্যন্ত জানতে না পারে। আপনারা শ্রীশ্রীঠাকুর, ঠাকুর পরিবার ও সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিন্দুমাত্র জানেন না। অথচ অনেক বড় বড় কথা বলেছেন। আর তাই আপনারা শ্রীশ্রীঠাকুর ও তাঁর দর্শন, তাঁর পরিবার, তাঁর সৎসঙ্গ তাঁর পরিবার সম্পর্কে কটু কথা বলতে পেরেছেন। শ্রীশ্রীঠাকুর নীরবে তাঁর সারা জীবনে কি কি করেছেন, তাঁর সৎসঙ্গ কি কি ক'রে চলেছে সেটা কুয়োর ব্যাঙের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। সংকীর্ণ মনোভাবাপন্ন মানুষের পক্ষে তাঁর নোংরা ক্ষীণ দৃষ্টি দিয়ে বিশালতাকে দেখা যায় না। আপনি নিজের ঢাক নিজে পিটিয়েছেন। আপনি যদি ভালো কাজই ক'রে থাকেন, সমাজ সেবা করেই থাকেন তাহ'লে তা ভালো বড় অন্তর দিয়েই করেছেন কিন্তু সেই ভালো বড় অন্তর দিয়ে করা কাজের জন্য ঢাক পেটানোর কি আছে, প্রচারের কি দরকার আছে? আপনার কাজই তো আপনার ভালো মনের, ভালো অন্তরের, ভালো ব্যবহারের পরিচয় , তাই নাকি? বিন্দুমাত্র না জেনে অন্যের কাজের নিন্দা ক'রে, কটু প্রচার ক'রে কি বড় হওয়া যায় নাকি ভালো কাজ করা যায়? আপনি যাদের হ'য়ে কাজ করছেন তাদের দু'মুঠো খেতে দিচ্ছেন ঠিক কথা সঙ্গে তাদের ফ্রি অফ কস্ট-এ জীবন বিষিয়ে তুলে তাদের বিষাক্ত ক'রে ছেড়ে দিচ্ছেন সমাজে। ছেড়ে দিচ্ছেন শরীরে-মনে-আত্মায় বিষাক্ত ক'রে; এই আপনার এডুকেশন? আপনার ফ্রি অফ কস্টে বিষাক্ত এডুকেশন পাওয়া বিষে জর্জরিত মানুষগুলোই একদিন বাঁচতে সৎসঙ্গ-এর পতাকার তলায় শ্রীশ্রীঠাকুরের চরণে আশ্রয় নেবে এইটাই সতসংগ-এর সার্থকতা আর আপনার ব্যর্থতা। আপনি এদের ছোট্ট বয়স থেকেই হিংসা, নিন্দা, কুৎসা, অপমান, অশ্রদ্ধা, সমালোচনা করার শিক্ষা দিয়ে, ডোনেট করার কথা সাড়ম্বরে প্রচার ক'রে এদের মেরুদন্ড ভেঙে দিয়ে বড় ক'রে তুলছেন। আপনার বিষাক্ত শিক্ষা শেষে এদের মধ্যে থেকেই একদিন কেউ কেউ শ্রীশ্রীঠাকুরের দীক্ষা নিয়ে, শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণীতে নিজেকে রাঙিয়ে নিয়ে, দু'হাতে আগ্রহ ভরে শ্রীশ্রীঠাকুরের উদ্দেশ্যে ইষ্টভৃতি ক'রে আপনার দ্বারা নষ্ট হ'য়ে যাওয়া জীবনে নোতুন ক'রে বাঁচার পথ খুঁজে পাবে। এরকম হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানুষ আছে যারা এরকম তথাকথিত সমাজ কো বদল ডালো হুঙ্কারে সমাজসেবী মসীহাদের দ্বারা ক্ষতবিক্ষত হ'য়ে সৎসঙ্গের ছত্রছায়ায় শ্রীশ্রীআচার্যদেবের আশীর্বাদে ও শ্রীশ্রীঅবিন্দাদার সাহচর্যে জীবনে আবার নোতুন ক'রে বাঁচার পথ খুঁজে পেয়ে ফিরে এসেছে ভুল পথ, ধ্বংসের পথ ছেড়ে। আপনি সেইসব সমাজ কো বদল ডালো সমাজসেবী মসীহাদের সমুদ্রে সামান্য ছোট্ট একটা বুদবুদ মাত্র। আপনার শেষের সেদিনে দেখবেন এরা আপনার পাশে নেই কারণ দু'টো খেতে দিয়ে আর ভুল শিক্ষা দিয়ে এদের ভবিষ্যৎ জীবন আপনি নষ্ট ক'রে দিয়েছেন, তাই এদের শেষের সেদিনে এরা আপনাকে কা্ঠগড়ায় দাঁড় করাবে এটা মনে রাখবেন। সেই মা মরা মাসীর শয়তানী আদরে বড় হ'য়ে শয়তান বাঁদর হওয়া ছেলেটা এবং ছেলেটার হাতে মাসীর পরিণতির গল্পটা মনে আছে তো? গল্পটা হ'লো।

এবার আসি শ্রীশ্রীঅবিনদাদার মায়ের কথায়। আপনি একজন নারী হ'য়ে, মা হ'য়ে শ্রীশ্রীঅবিনদাদার মায়ের নামে কটুক্তি করেছেন আপনার মন্তব্যে। শ্রীশ্রীঅবিনদাদার মতো যে বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ ইয়ং জেনারেশনের আইকন, হাজার হাজার বিপথে চালিত, এই বিষাক্ত অন্ধকার অলীক মায়া আর ভুল শিক্ষার চাদরে ঢাকা সমাজের অন্ধকার গলিত দুর্গন্ধময় ভুলভুলাইয়ার গলির ঘুলঘুলিতে ঘুরপাক খাওয়া বিধ্বস্ত ক্ষতবিক্ষত কত যুবক যুবতী আজ তাঁর টানে ছুটে এসেছে, আসছে পিছনের অন্ধকারের জালকে ছিন্নভিন্ন ক'রে, কত প্রাণ পেয়েছে জীবনে আরাম তাকে দর্শন ক'রে, তাঁর স্পষ্ট অপ্রিয় মিষ্ট ভাষণে কত ভুলের, কত ভুল শিক্ষার জাল থেকে পেয়েছে মুক্তি তা যার নির্মল চোখ আছে, আছে পবিত্র, সৎ অন্তর সেই পারবে দেখতে, বুঝতে। শ্রীশ্রীঅবিনদাদা হলেন সেই সুন্দর অনুপম সন্তান অর্থাৎ নিরুপম, তুলনা বা উপমাহীন, অতুলনীয়, সর্বোৎকৃষ্ট সন্তান। যে সন্তান বিশ্ব জুড়ে ঘরে ঘরে প্রতিটি মা-ই চায়। এরকম নিরুপম, তুলনা বা উপমাহীন, অতুলনীয়, সর্বোৎকৃষ্ট একটা সন্তানের যে জন্ম দিতে পারবে সেই মা-ই সেই দেশের রাণীর আসনে বসার যোগ্যতা অর্জন করবে। ঈশ্বর যতবার এসেছেন এই মাটির বুকে নেমে মানুষ মায়ের গর্ভে ততবার সেই মা ধন্য হ'য়ে আছে জগতের বুকে আজও। সেই জীবন্ত ঈশ্বরের মায়েদের কাছে অশ্রুসজল চোখে কান্নায় ভরা একটাই ছিল আবেদন, সুসন্তানে দেশ ভরে দাও মা, সুসন্তানে দেশ ভরে দাও। আবার তাঁর সঙ্গে এবং পরে ইশ্বরকোটি পুরুষ যারা নেমে আসেন ইষ্টপ্রতিষ্ঠা ও ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠার জন্য যে মায়েদের গর্ভে সেই মায়েদের জন্য আজ পৃথিবী ধন্য, আজও সূর্য তাদেরই জন্য পূর্ব দিকে ওঠে পশ্চিমদিকে অস্ত যায়। আপনাদের মানসিকতা দেখে মনে হয় মনুষ্যত্বের মূল ভিত্তিই একদিন হয়তো লুপ্ত হ'য়ে যাবে। যে ভয় শ্রীশ্রীঠাকুর স্বয়ং পেয়েছেন। আপনি শ্রীশ্রীঅবিনদাদার মাকে কটাক্ষ ক'রেছেন, সেটা আপনার শিক্ষা, সেটা আপনার রুচী। কিন্তু এরকম একটা সন্তান আপনি/ আপনারা জন্ম দিতে পারবেন? এরকম অপূর্ব দেবতাতুল্য সন্তানের মা কোন নারী হ'তে চায় না তা আমার জানা নেই। আপনি যে অনাথ শিশুদের ফ্রি অফ কস্টে শিক্ষা দেন, তাদের জন্য ডোনেট করেন তাদের মধ্যে একজনকেও এরকম গড়ে তুলতে পারবেন যার জন্য এরকম পাগল হবে আগামী প্রজন্মের যুবসমাজ? এরকম সুন্দর অনুপম সন্তান, অতুলনীয়, সর্বোৎকৃষ্ট সন্তান ঘরে ঘরে নেমে আসার জন্য আমাদের মাথার ওপর স্পিরিট রূপে ঘুরছে কিন্তু নামার মতো সেই জমি পাচ্ছে না। এরোপ্লেন কি মাঠেঘাটে, বাড়ির ছাদে, জঙ্গলে নামে? নামে না। নামার জন্য, ল্যান্ড করার জন্য এয়ারপোর্ট চাই। আবার যেখানে যত বড় বড় উন্নত এয়ারপোর্ট সেখানে তত বড় বড় প্লেন ল্যান্ড করে। তাই শ্রীশ্রীঅবিনদাদার মায়ের অপমান ক'রে নিজেকে ঢাক পিটিয়ে পুতুল রাণি সাজার ব্যর্থ ছেলেখেলা করা যেতে পারে কিন্তু মানুষের মাঝে প্রকৃত রাণী হওয়া যায় না। যে রাণি হওয়ার সে রাণী হওয়ার ও সুসন্তানের জননী হওয়ার যোগ্যতা ও গুণাবলী নিয়েই মায়ের গর্ভে জন্ম নেয়।

হঠাৎ ইষ্বরকোটি সন্তানের মা হওয়া যায় না। শ্রীশ্রীঅবিনদাদা হ'লেন সেই ঈশ্বরকোটী পুরুষ আর তাঁর মা হ'লেন বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ সৎসঙ্গী ইয়ং জেনারেশনের মা।
আর অনুকূল ঠাকুরের জন্য জয়গুরু জানিয়েছেন আর বলেছেন বাবাইদা, অবিনদার জন্য জয়গুরু বলেননি। শ্রীশ্রীঠাকুরের জন্য জয়গুরু জানিয়েছেন এর অর্থটা বোঝা গেল না। আমরা সৎসঙ্গীরা পরস্পরের সঙ্গে দেখা হ'লে একে অপরকে জয়গুরু বলি অর্থাৎ গুরুর জয়ধ্বনি দিই, গুরুর জয় হ'ক বলি। আমরা সৎসঙ্গীরা শ্রীশ্রীঠাকুরকে জয়গুরু বলি না। আর আপনাকে কে বলেছে বাবাইদাদা ও অবিনদাদাকে জয়গুরু বলতে? বলেছে কেউ? বলেনি। আর, যেখানে আপনি আপনার মন্তব্যের প্রতিটি লাইনে শ্রীশ্রীঠাকুরকে, তাঁর দর্শন, তাঁর কর্মধারা, তাঁর পরিবারের সদস্যদের, তাঁর 'সৎসঙ্গ' প্রতিষ্ঠানের তীব্র সমালোচনা করেছেন, অপমান অশ্রদ্ধায় ভরিয়ে গুষ্টির তুষ্টি করেছেন, করেছেন শব্দের দ্বারা বলাৎকার সেখানে আবার শেষে শ্রীশ্রীঠাকুরকেই জয়গুরু বলছেন? অবাক মায়েরা, অবাক করলেন আপনি আপনারা। কমেন্ট পড়েই বুঝি অস্থির চিত্তের আপনি, আপনারা। আজ এই পর্যন্ত।
নমস্কার।







No comments:

Post a Comment