করোনা ভাইরাসে যখন গোটা বিশ্বের পায়ের তলার মাটি নড়ে গিয়ে সারা বিশ্বজুড়ে প্রানের বুকে ভয়াবহ ভূমিকম্পের আকার ধারণ করেছে তখন নড়ে বসেছে বিশ্বের সমস্ত প্রথম সারির এলিট সম্প্রদায় আর চড়ে বসেছে প্রশাসন। এই মরণকালে হরির নামের মালা জপার মত এখন চতুর্দিকে কাগজে, টিভিতে, রেডিওতে, ফোনে, নেটে, পথে পথে, মাঠে- ঘাটে, কলে-কারখানায়, অফিসে-কাছাড়িতে, দোকানে-বাজারে, স্কুল-কলেজে শুধু সদাচার, সদাচার আর সদাচারের ঢাক পিটিয়ে চলেছে বিশ্ব জুড়ে সচেতন প্রশাসক থেকে শুরু ক'রে আম জনতা। কেন!!!!!!!!
মৃত্যুভয়! একটাই ভয় মানুষকে, ট্যারাব্যাকা ঘেতো মানুষকে সিধে করে তা হ'লো মৃত্যুভয়!! আর তখন ত্রাহি ত্রাহি রবে ভয়ে দিগ্বিদিক হ'য়ে উচ্শৃঙ্খল আচরণে লম্প দিয়ে ঝম্প মারে বাঁচাবার তাগিদে। শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র মানুষকে ধর্মের প্রকৃত স্বরূপ বাঁচা-বাড়ার পথ দেখাতে বিভিন্ন বাণীর মধ্যে দিয়ে হাতে কলমে ক'রে করিয়ে সচেতন করার প্রয়াস ক'রে গেছেন দীর্ঘ ৮২বছর দেহ রাখার শেষ দিন পর্যন্ত। তিনি তাঁর বাণীতে এই ভয়ঙ্কর মারণরোগের হাত থেকে বাঁচতে 'ক'রো না' সম্পর্কে অর্থাৎ ভুল করা থেকে বিরত থাকতে বলেছিলেন,
রোগগ্ৰস্ত যখন তুমি
জন-সংসর্গ হইতে যতদূর সম্ভব দূরে থাকিও,-
নজর রাখিও, তোমা হইতে কেহ সংক্রামিত না হয়;
যাঁহারা তোমার সেবা-শুশ্রূষায় নিরত আছেন
তাঁহারা যেন শুদ্ধ ও পরিচ্ছন্ন না হইয়া
জন-সংসর্গে না যান;
আর, শোওয়া, বসা, আলাপ ইত্যাদিতেও
খুব সাবধান থাকিও,-
যেন ইহাতে তোমার রোগ
অন্যে সংক্রামিত না হয়-
তোমার এই রোগগ্রস্ত অবস্থা
কাটিয়া গেলেই
পুনরায় আক্রান্ত হইবার ভয়
কমই থাকিবে;
তাই বলিয়া রোগত্রস্ত হইয়া থাকিও না ! ২৩৮(চলার সাথী)।
শ্রীশ্রীঠাকুর রোগগ্রস্ত অবস্থায় রোগত্রস্ত না হওয়ার জন্যও আবেদন জানিয়ে রেখেছেন।
ক্রমশঃ।
(লেখা ২০শে মার্চ'২০২০)
No comments:
Post a Comment