"মৃত্যু আমাদের স্পর্শ করতে পারবে না যদি মন তাঁতে ন্যস্ত থাকে। আমি কিন্তু কিছুই চাই না-রক্ষা চাই না, হতাশা কি তা জানি না, আনন্দও জানি না। আমি শুধু তোমাকে চাই তাই ছুটে চলেছি। এই যদি মন হয়, সব অবস্থায় তিনি আমাদের রক্ষা করবেন।"---শ্রীশ্রীবাবাইদাদা।
নাম, নাম আর নাম তাঁর সাথে যুক্ত থাকার এক ও একমাত্র উপায় ও পথ! তবেই শ্রীশ্রীবাবাইদাদার কথা ফলবেই ফলবে!
বর্তমান বিশ্বে যে ভয়ঙ্কর মারণ ব্যাধি মানুষকে ভয়ঙ্কর ভাবে আক্রমণ করেছে সেই আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় বর্তমান বিশ্বের কোনও পন্ডিতের জানা নেই। অহংকারী সবজান্তা জ্ঞানী মানুষের উপর প্রকৃতির এ ভয়ঙ্কর প্রত্যঘাত! ১০০ বছর পর পর এমন আঘাত ফিরে আসে বিগত দিনের ইতিহাস তাই বলছে। আর তারপরেই যখন প্রকৃতির ধ্বংসলীলা থেমে যায় তখন এই অহংকারী প্রজন্মের পরবর্তী প্রজন্ম তাদের পূর্বসূরীদের এই ভুল, মহাভুল আর ঘেতমি মহা ঘেতমি ভুলে যায় আর আবার উলঙ্গ অহংকারের রথে চড়ে বসে! তখন তারা ঘুণাক্ষরে বুঝতে বা ধরতে পারে না পরবর্তী আরো বড় বিপদের কথা। এত উন্নত পৃথিবীর আসল রূপ নগ্ন ও কলঙ্কিত! কোথায় আজ বিশ্বের তাবড় তাবড় অহংকারী রাষ্ট্রনেতা, সমাজ সংস্কারক, ডাক্তার, বিজ্ঞানী এককথায় সমস্ত এলিট সম্প্রদায়!? কেন আজ ভীত, সন্ত্রস্ত!? কোথায় বিশ্ব জুড়ে সমস্ত ইজমের মুখ্য কারিগরI? জীবনবাদ যে আজ দরজায় কড়া নাড়ছে! শুনতে পাচ্ছো জীবনবাদের আর্তনাদ! কোথায় গেল তোমার ....... জ্ঞান-বিজ্ঞান!? কোথায় তোমার .......মতবাদ!? আছে বাপের বেটা কেউ অভয় হস্ত হাতে এসে দাঁড়ায় মনুষ্যত্বের ভিত নড়ে যাওয়া মানবজাতির সামনে!? ধর্মাত্মারা কোথায় লুকিয়েছ মুখ!? ঈশ্বরের সিংহাসনে বসে চালিয়েছে রাজপাট যে ধর্মগুরুরা কোথায় তাঁরা আত্মগোপন ক'রে আছে আজকের এই কঠিন সময়ে!? জীবাত্মা তুমি মহাত্মা হয়েই বসে গেছো পরমাত্মার দরবারে পরমাত্মা সেজে!? তা এবেলা এসো, দূরে কেন আছো সরে, ব'লে যাও মৃত্যুপথযাত্রী মুমূর্ষু মানুষের কানের কাছে 'ভয় নাই, নাই ভয়, আমি আছি'!!!!! বালখিল্য যতসব ঈশ্বরের অহংকারী সন্তান!?
তাই বলি বন্ধু! কেউ নাই, নাই কেউ তোমার চারপাশে এই বিপদের দিনে বাড়াতে হাত! ঈশ্বর দয়া করবেন, করবেন দয়া, যতদিন না অহংকার ভেঙে চুরমার হ'য়ে তাঁর পদতলে এসে আত্মসমর্পণ না করছে অহংকারী মানুষ! আর তার নমুনা শুরু হ'য়ে দেশে দেশে রাষ্ট্রনেতাদের আচরণে! তারপর হয়তো তাঁর দয়ায় বিপদ যাবে কেটে, আবিষ্কার হবে ওষুধ হঠাৎ এক সুন্দর সকালে! ততদিনে ধ্বংশলীলায় শেষ হ'য়ে যাবে বহু বহু অসহায় নিরপরাধ মানুষ! প্রশ্ন, কে বা কারা এর জন্য দায়ী!? আর এই বিপদ, এই মারণ যজ্ঞ তো কিছুই নয় আগামী ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলার কাছে! যার ইঙ্গিত দিয়ে গেছেন দয়াল ঠাকুর শ্রীশ্রী অনুকূলচন্দ্র! গঙ্গা দিয়ে সেদিন জল বইবে না, বইবে জলের পরিবর্তে রক্তের স্রোত! মাটির স্তুপ, পাহাড় নয় মরদেহের স্তুপ আর পাহাড় নজরে পড়বে চতুর্দিকে! এক মুঠো সোনা দিয়ে বাজারে এক মুঠো চাল পাবে না! দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে! আগামী যে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আসছে তার কাছে এই ক্ষয় এই ক্ষতি কিছুই নয়! সামান্য মাত্র! --------কোনও বাদ, কোনও নেতা সেদিন বাঁচাতে পারবে না মানুষকে, রক্ষা করতে পারবে না এই সৃষ্টিকে! মানুষ যে কত হিংস্র, ভয়ঙ্কর জীব বা জন্তু হ'তে পারে তা তার শারীরিক ও মানসিক খাদ্যখানা, আচার-আচরণের দিকে নজর দিলেই বুঝতে পারা যায়! আমরা রাক্ষস-খোক্কসের গল্প পড়েছি আর আজ তার নমুনা দেখতে পারছি বিশ্ব জুড়ে! অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকি এদের খাদ্যখানার দিকে আর ভাবি এরা সৃষ্টিকর্তার সৃষ্ট উন্নত জীব, মানুষ!? এরাই আবার মানুষকে দেবে বাঁচা-বাড়ার সন্ধান! আর আবাল জনতা শুনবে এদের কথা!
যাই হ'ক এই ভয়ঙ্কর সময়ে ঈশ্বর যে একেবারে মুখ ঘুরিয়ে বসে থাকেন না তার নমুনা আমরা একটু ধ্যানস্থ হ'লেই দেখতে পায়! নামধ্যান পরায়ণ মানুষ তার সাড়া পায়! তিনি সাড়া দেন! সেই সাড়া ধরবার জন্য শারীরমানস সঙ্গতি চায়! শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সব সময় আউড়াতেন: আজও লীলা করে গৌরচাঁদ রায়, কোনও কোনও ভাগ্যবান দেখিবারে পায়!" সেই ইঙ্গিত আজ এই খতরনাক সময়ে আমাদের সামনে ধরা দিয়েছে! ধরা দিয়েছে ঠাকুরেরই বলা "ইষ্টগুরু পুরুষোত্তম, প্রতীক গুরু বংশধর, রেত শরীরে সুপ্ত থেকে জ্যান্ত তিনি নিরন্তর" বাণীকে ভিত্তি ক'রে। একেবারে প্রথমে বাবাইদাদার যে কথা লেখা হয়েছে তার মধ্যেই আছে বর্তমান ভয়ঙ্কর ভয়ের পরিবেশে বাঁচার ও শান্তির দিকনির্দেশনা! শ্রীশ্রীঠাকুর শ্রীশ্রীবাবাইদাদার মধ্যে রেত শরীরে সুপ্ত থেকে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তির উপায় বলে দিয়েছেন! আসুন আমরা বাবাইদাদার মধ্যে দিয়ে ঠাকুরের বলে দেওয়া কথাকে অনুসরণ ক'রে ঠাকুরের শ্রীচরণে, তাঁর শ্রীচলনে মন ন্যস্ত করি! আসুন আমরাও বাবাইদাদার মুখনিঃসৃত ঠাকুরের বলা মত কিছুই চাই না, রক্ষা চাই না, আমরাও তাঁর বলা মত হতাশা কি জানি না, আনন্দও কি জানি না! আমরাও বাবাইদাদার মুখনিঃসৃত শ্রীশ্রীঠাকুরের কথামত আমি শুধু ঠাকুর তোমাকেই চাই আর তাই ছুটে চলেছি এই কথাকে অকপট হৃদয়ে জীবনের ব্রত ক'রে তাঁর প্রতিষ্ঠায় জীবন সঁপে দিয়ে এই করোনা নামক মৃত্যুভয় থেকে নিশ্চিত নিস্তার লাভ করি। আর এই যদি আমাদের মানসিকতা হয় তাহলে ঠাকুর বাবাইদাদার মুখনিঃসৃত কথার মধ্যে পরিষ্কার ক'রে স্পষ্ট ভাষায় ব'লে দিয়েছেন যে তিনি সব অবস্থায় আমাদের রক্ষা করবেন! তাই বলি, মাভৈ! চায়না থেকে উদ্ভূত কোনও করোনা বা হায়না আমাদের কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। জয়গুরু।
(লেখা ২৪শে মার্চ'২০২০)
No comments:
Post a Comment