প্রকৃত ঈশ্বরপ্রেমী? হিন্দু সেজে লুকিয়ে মন্দিরে নামাজ পাঠ করতে যাবে কেন? কোন উদ্দেশ্যে? এরা কি সত্যি রসূল ভক্ত!? সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার এই ঘৃণ্য চক্রান্ত কেন? কেনই বা পাল্টা মসজিদে হনুমান চল্লিশা পাঠ? এরা কি সত্যি রামভক্ত হনুমানের পূজারী!?
কেন এমন হবে?
দেশে কি প্রকৃত ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও ধর্মপ্রাণ হিন্দু নেই!? কবে দেশের সাধারণ মানুষের প্রকৃত ধর্মবোধ জাগবে? ধর্ম ও প্রেরিতদের নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভেদাভেদ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কবে সচেতন প্রকৃত ধর্মপ্রাণ ঈশ্বরে নিবেদিতপ্রাণ মানুষ সোচ্চার হবে? কবে সম্প্রদায় নির্বিশেষে মানুষকে বোঝাবে এরা যে প্রেরিতদের মধ্যে কোনও ভেদ নেই। প্রেরিতরা নিরাকার ঈশ্বরের সাকার রূপ। প্রেরিতরা সবাই একজনই বারবার এসেছেন মানুষকে প্রকৃত বাঁচাবাড়ার পথ দেখাতে। তাঁদের মধ্যে কোনও ভেদ, কোনও ভিন্নতা নেই। যখন যেখানে তিনি নামার মত পরিবেশ পান সেখানেই তিনি নেবে আসেন। এই নিয়ে প্রকৃত প্রেরিত প্রেমীদের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই। সবাই আমরা এঁকেরই অনুগামী। প্রেরিতরা যুগে যুগে ভিন্ন ভিন্ন রূপে এলেও সেই রাম, সেই কৃষ্ণ, সেই বুদ্ধ, যীশু, মোহাম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ ও সর্বশেষ শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র একই ব্যক্তি যিনি ঈশ্বর, আল্লা, গড ইত্যাদি যে নামেই ডাকা হ'ক না কেন সেই নিরাকারের জীবন্ত রক্তমাংসসংকুল সাকার রূপ! আমরা পৃথিবীর ৭০০ কোটি মানুষ সবাই তাঁর সন্তান!
কবে বুঝবো এই সহজ সরল কথা!? কবে বোঝাবে সমস্ত ধর্মের ধর্মপ্রাণ মানুষ তাদের তাদের সম্প্রদায়ের ধর্মপ্রাণ মানুষকে এই সহজ সরল কথা!?
কেন মন্দির, মসজিদ, গির্জা ইত্যাদি ঈশ্বরের আবাস স্থলে প্রেরিত রূপে আসা জীবন্ত ঈশ্বরের আরাধনা করা, নাম করা, ধ্যান করা যাবে না তা সে যে ধর্মের, যে সম্প্রদায়ের, যে প্রেরিতের অনুগামী হ'ক না কেন!? কেন লুকিয়ে বদ উদ্দেশ্য নিয়ে বা বদলা নেওয়ার মানসিকতায় অন্য সম্প্রদায়ের আরাধনা স্থলে আল্লা বা ঈশ্বর আরাধনার নাটক কেন?
কেন!? কেন!? কেন!? কেউ কি বুঝিয়ে দেবেন।
( ৪ই নভেম্বর'২০২০)
No comments:
Post a Comment