SriSri Thakur AnukulChandra.
ঐশিকার খোলা চিঠির উত্তরে.........
ঐশিকা হয়তো এমন একটা দিন আসবে যখন আমরা দেখবো বিজ্ঞানীরা আকাশে কৃত্রিম সূর্য তৈরী ক'রে পাঠাচ্ছে পৃথিবীর বুক থেকে অন্ধকারকে চিরতরে দূর করার জন্য!!! তাহ'লে আমরা কি বুঝবো? মানুষের প্রয়োজনে, সভ্যতার অগ্রগতির কারণে বিজ্ঞান এগিয়ে চলেছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। এ পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু তাই ব'লে কি আমরা বলব মানুষের তৈরি সূর্য আর ঈশ্বরের সৃষ্টি সূর্য এক? বিজ্ঞানীর তৈরী সূর্য আর সৃষ্টিকর্তার সৃষ্ট সূর্য-এর মূল্যায়ন কি একই সারিতে রেখে হয়? যেদিন মহাকাশের ওই আদি ও অকৃত্রিম ঈশ্বর সৃষ্ট সূর্য নিভে যাবে সেদিন কি খোদার ওপর খোদকারি করা অহংকারী দেমাকি মানুষ বা মানুষের তৈরী কৃত্রিম সূর্য পৃথিবীকে হিম শীতল গভীর অন্ধকারের অতল গহ্বর থেকে বাঁচাতে পারবে??? পারবে না। ঐশিকা সত্য বড় নির্মম। সবাই যে যার জায়গায় সত্য! কেউ কারও জায়গা নিতে পারে না। নিতে গেলেই মুশকিল। এটা মনে রাখতে হবে। প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ীই সবার সবকিছুর সহাবস্থান। এ অবস্থানকে মেনে নিয়ে এবং মাথায় রেখে চলতে হবে সবাইকে। এই অবস্থানকে যে বা যারা ভাঙতে যাবে তাকেই প্রকৃতির রোষে পড়তে হবে। প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ীই ঝরা পাতার মত সে ঝরে পড়ে যাবে। এর জন্য কাউকে কিছু করতে হবে না ঐশিকা! শুধু একটু ধৈর্য নিয়ে নির্বিকার ভাবে দেখে যেতে হবে। ঐশিকা কারও জন্য বা কোনও কিছুর জন্য কিম্বা কাউকে খুশি বা অখুশি করার জন্য সামনে এগিয়ে চলা থামানো যাবে না। মনে রাখতে হবে ঐশিকা 'You have come to fulfill not to destroy'!!!! এখন পিছন ফিরে তাকাবার সময় নেই। আর সেই যুগও নেই কেউ কারও জন্য ঢাক পেটাবে। সবাই যে যার নিজের ঢাক নিজে পেটাতেই ব্যস্ত। ব্যস্ত নিজেকে নিয়েই। এখন ‘যার ধন তার নয়, নেপোয় মারে দই’-এর যুগ। এখন ‘বাড়িয়ে দাও তোমার হাত, আমি আবার তোমার আঙ্গুল ধরতে চায়’ বললে বাড়িয়ে দেবে তেল চকচকে বাঁশ। আমরা সবাই একা। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে ঐশিকা। বিশ্বাস রাখতে হবে ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে’- এই বাণীর ওপর। চারিদিকে ঘোর অন্ধকার আর এই অন্ধকারের মাঝে বুকের পাঁজর জ্বালিয়ে নিয়ে একলা এগিয়ে চলো। চলতে চলতে সাথী পাবেই এ-বিশ্বাসও রেখো অন্তরে, তবে বেকুবী ক’রো না। ধরণী আর কতবার দ্বিধা হবে? ধরণীর বুকেও ব্যথা হয় একথা ভুলে যেও না। ধরণী চান তার সন্তান মানে তুমি সমস্ত প্রতিকূলতার মাঝেও মাথা উঁচু ক’রে দাঁড়াও। এগিয়ে চল সামনে। শুধু এগিয়ে চলা, অন্তহীন এই চলা!!!! ঠিকই বলেছো, তুমি তোমার মত লিখে যাও। এই আত্মবিশ্বাস একদিন তোমাকে প্রতিষ্ঠিত লেখকদের মত প্রতিষ্ঠা দেবে। অসম্ভব কথাটা জীবনের অভিধান থেকে একেবারে মুছে ফেল। কে বলল ফেসবুকে গল্প লেখায় তোমার চরম মূল্যায়ন হ’য়ে গেছে? তাহ’লে এই লেখাটা কিসের মূল্যায়ন? ফেসবুকে বা ব্লগে কারও জন্য লেখা বন্ধ করাটা বুদ্ধিমানের সিদ্ধান্ত নয়। কারও জন্য লিখতে যেও না। কে কি বলছে দেখতে যেও না। লিখে, লেখার বিষয়বস্তুতে নিজে আনন্দ পাচ্ছো কিনা দেখ। আর তারপরে শুধু লিখে যাও, আর লিখে যাও। এ-প্রসঙ্গে The greatest phenomenon of the world SriSri Thakur AnukulChandra-এর কথা মনে পড়ে গেল। তোমার যদি এতটুকু কাজে লাগে বা সুবিধা হয় আগামীদিনে পথ চলতে তাই লিখলাম।
ঐশিকার খোলা চিঠির উত্তরে.........
ঐশিকা হয়তো এমন একটা দিন আসবে যখন আমরা দেখবো বিজ্ঞানীরা আকাশে কৃত্রিম সূর্য তৈরী ক'রে পাঠাচ্ছে পৃথিবীর বুক থেকে অন্ধকারকে চিরতরে দূর করার জন্য!!! তাহ'লে আমরা কি বুঝবো? মানুষের প্রয়োজনে, সভ্যতার অগ্রগতির কারণে বিজ্ঞান এগিয়ে চলেছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। এ পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু তাই ব'লে কি আমরা বলব মানুষের তৈরি সূর্য আর ঈশ্বরের সৃষ্টি সূর্য এক? বিজ্ঞানীর তৈরী সূর্য আর সৃষ্টিকর্তার সৃষ্ট সূর্য-এর মূল্যায়ন কি একই সারিতে রেখে হয়? যেদিন মহাকাশের ওই আদি ও অকৃত্রিম ঈশ্বর সৃষ্ট সূর্য নিভে যাবে সেদিন কি খোদার ওপর খোদকারি করা অহংকারী দেমাকি মানুষ বা মানুষের তৈরী কৃত্রিম সূর্য পৃথিবীকে হিম শীতল গভীর অন্ধকারের অতল গহ্বর থেকে বাঁচাতে পারবে??? পারবে না। ঐশিকা সত্য বড় নির্মম। সবাই যে যার জায়গায় সত্য! কেউ কারও জায়গা নিতে পারে না। নিতে গেলেই মুশকিল। এটা মনে রাখতে হবে। প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ীই সবার সবকিছুর সহাবস্থান। এ অবস্থানকে মেনে নিয়ে এবং মাথায় রেখে চলতে হবে সবাইকে। এই অবস্থানকে যে বা যারা ভাঙতে যাবে তাকেই প্রকৃতির রোষে পড়তে হবে। প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ীই ঝরা পাতার মত সে ঝরে পড়ে যাবে। এর জন্য কাউকে কিছু করতে হবে না ঐশিকা! শুধু একটু ধৈর্য নিয়ে নির্বিকার ভাবে দেখে যেতে হবে। ঐশিকা কারও জন্য বা কোনও কিছুর জন্য কিম্বা কাউকে খুশি বা অখুশি করার জন্য সামনে এগিয়ে চলা থামানো যাবে না। মনে রাখতে হবে ঐশিকা 'You have come to fulfill not to destroy'!!!! এখন পিছন ফিরে তাকাবার সময় নেই। আর সেই যুগও নেই কেউ কারও জন্য ঢাক পেটাবে। সবাই যে যার নিজের ঢাক নিজে পেটাতেই ব্যস্ত। ব্যস্ত নিজেকে নিয়েই। এখন ‘যার ধন তার নয়, নেপোয় মারে দই’-এর যুগ। এখন ‘বাড়িয়ে দাও তোমার হাত, আমি আবার তোমার আঙ্গুল ধরতে চায়’ বললে বাড়িয়ে দেবে তেল চকচকে বাঁশ। আমরা সবাই একা। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে ঐশিকা। বিশ্বাস রাখতে হবে ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে’- এই বাণীর ওপর। চারিদিকে ঘোর অন্ধকার আর এই অন্ধকারের মাঝে বুকের পাঁজর জ্বালিয়ে নিয়ে একলা এগিয়ে চলো। চলতে চলতে সাথী পাবেই এ-বিশ্বাসও রেখো অন্তরে, তবে বেকুবী ক’রো না। ধরণী আর কতবার দ্বিধা হবে? ধরণীর বুকেও ব্যথা হয় একথা ভুলে যেও না। ধরণী চান তার সন্তান মানে তুমি সমস্ত প্রতিকূলতার মাঝেও মাথা উঁচু ক’রে দাঁড়াও। এগিয়ে চল সামনে। শুধু এগিয়ে চলা, অন্তহীন এই চলা!!!! ঠিকই বলেছো, তুমি তোমার মত লিখে যাও। এই আত্মবিশ্বাস একদিন তোমাকে প্রতিষ্ঠিত লেখকদের মত প্রতিষ্ঠা দেবে। অসম্ভব কথাটা জীবনের অভিধান থেকে একেবারে মুছে ফেল। কে বলল ফেসবুকে গল্প লেখায় তোমার চরম মূল্যায়ন হ’য়ে গেছে? তাহ’লে এই লেখাটা কিসের মূল্যায়ন? ফেসবুকে বা ব্লগে কারও জন্য লেখা বন্ধ করাটা বুদ্ধিমানের সিদ্ধান্ত নয়। কারও জন্য লিখতে যেও না। কে কি বলছে দেখতে যেও না। লিখে, লেখার বিষয়বস্তুতে নিজে আনন্দ পাচ্ছো কিনা দেখ। আর তারপরে শুধু লিখে যাও, আর লিখে যাও। এ-প্রসঙ্গে The greatest phenomenon of the world SriSri Thakur AnukulChandra-এর কথা মনে পড়ে গেল। তোমার যদি এতটুকু কাজে লাগে বা সুবিধা হয় আগামীদিনে পথ চলতে তাই লিখলাম।
ঠাকুর বলেছেন, “এগিয়ে যাও, কিন্তু মেপে দেখতে যেও না কতদুর এগিয়েছ; তাহ’লে আবার পিছিয়ে প’ড়বে। সরল হও, কিন্তু বেকুব হ’য়ো না। বিনীত হও, তাই ব’লে দুর্ব্বল-হৃদয় হ’য়ো না। তোমার একটু উন্নতি হ’লেই দেখবে কেউ তোমাকে ঠাকুর বানিয়ে ব’সেছে, কেউ মহাপুরুষ ব’লছে, কেউ অবতার, কেউ সদগুরু ইত্যাদি বলছে; আবার, কেউ শয়তান, বদমায়েশ, কেউ ব্যবসাদার ইত্যাদিও বলছে; সাবধান! তুমি এদের কারো দিকে নজর দিও না; তোমার পক্ষে এঁরা সবাই ভূত, নজর দিলেই ঘাড়ে চেপে ব’সবে, তা’ ছাড়ানও মহা মুশকিল। তুমি তোমার মত কাজ ক’রে যাও, যা’ ইচ্ছা তাই হোক”।
No comments:
Post a Comment