এর বলিষ্ঠ উদাহরণ শ্রীশ্রীঠাকুর সৃষ্ট 'সৎসঙ্গ'। বিশ্বজুড়ে সৎসঙ্গের কোটি কোটি দীক্ষিত সৎসঙ্গীর মধ্যে হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ ইত্যাদি সমস্ত ধর্মমতের, সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ আছে। তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ সম্প্রদায়ের, নিজ নিজ ধর্মমতের মানুষ হ'য়েও তারা প্রত্যেকেই সৎসঙ্গী। শ্রীশ্রীঠাকুরের দীক্ষিত সৎসঙ্গীদের একটাই পরিচয় তারা সবাই শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের আদরের, ভালোবাসার, প্রেমের সোনার সৎসঙ্গী। শ্রীশ্রীঠাকুরের দীক্ষিতরা হিন্দু, মুসলমান, খীষ্টান ইত্যাদি না, তারা পরমপ্রেমময়ের সৃষ্ট সৎসঙ্গ জগতের সৎসঙ্গী। শ্রীশ্রীঠাকুরের বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি শিষ্যের এক ও একমাত্র পরিচয় তারা সবাই সৎসঙ্গী।
এইভাবে ক্রমে ক্রমে কোনও একদিন যদি সৎসঙ্গী ধর্ম বা সম্প্রদায় হ'য়ে ওঠে তাও উঠতে পারে। কিন্তু বিশ্বের যে প্রান্তে প্রায় ৮০০ কোটি মানুষের মধ্যে যে মানুষ অস্তিত্বের পুজারী সেই সৎসঙ্গী। সে হিন্দু হ'ক, মুসলমান হ'ক, খ্রীষ্টান হ'ক, বৌদ্ধ হ'ক, জৈন হ'ক, শিখ হ'ক, ইহুদী হ'ক, ইরানের বাহাই হ'ক, চীনের হান হ'ক বা জাপানের শান্তো হ'ক বা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অন্যান্য যে বর্তমানে প্রায় ৪,৩০০ ধর্মমতে বিশ্বাসী মানুষ আছে তা সে যে ধর্মমতের মানুষই হক না কেন সমস্ত মানুষই শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের কথা অনুযায়ী বাঁচতে চায় ও বাড়তে চায়। সৃষ্টির প্রতিটি জীবের মধ্যে এই বাঁচা ও বাড়া অর্থাৎ শ্রীশ্রীঠাকুরের কথায় Being & Becoming or Live & Grow-এর জন্মগত প্রবণতা আছে।
বিশ্বের এই প্রায় ৮০০কোটি মানুষই জন্মেছে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত থাকাটাকে উপভোগ করতে। আর উপভোগ তখনি সম্ভব হয় যখন বেঁচে থাকা যায় ও এই বেঁচে থাকা ক্রমশ শরীরে-মনে-আত্মায় পরিবেশকে নিয়ে উন্নতির দিকে বৃদ্ধি পায়। আমি এমনি এমনি এবং একা একা বাঁচতে পারি না। বাঁচার ও বেড়ে ওঠার কিছু শর্ত থাকে। বাঁচতে গেলেই চায় মানুষের কিছু চাহিদা আর সেই চাহিদা পূরণের জন্য চায় কর্ম। এবং সেই চাহিদা ও কর্ম সমাজবদ্ধ জীবের সমস্ত রকমের পারস্পরিক সহাবস্থানের মাধ্যমে পূরণ হয়। আর এ যেখানে হয় না তা সে যে কারণেই হ'ক সেখানেই মানুষের বেঁচে থাকা ও বেড়ে ওঠা ক্ষুণ্ণ হয়, হতাশ হয়, আহত হয়, দলিত ও মথিত হয়। সেখানে ধর্মের প্রকৃত অর্থ, প্রকৃত প্রয়োগ ব্যহত হয়, উপেক্ষিত হয়, লাঞ্ছিত হয়। অর্থাৎ পারিপার্শ্বিক সহ বাঁচা ও বাড়া সেখানে নেই, তা' সে যতই ধর্মীয় রীতিনীতি, আচার আচরণ, ক্রিয়াকলাপ পালন করুক না কেন। ঐ সমস্ত আচরণ ধর্মের নামে বাহ্যিক আচরণ। যে ধর্মীয় আচরণ চরিত্রে নেই, জীবনের আচার আচরণে ফুটে ওঠা না তা' অধর্মীয় আচরণ। অতএব বাঁচা তখন উপভোগ করা হ'য়ে ওঠে না।
তাই শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বললেন,
"তুমি কেন জন্মেছ মোটাভাবেও কি দেখেছ ? থাকাটাকে কি উপভোগ ক'রতে নয় ---- চাহিদা ও কর্ম্মের ভিতর - দিয়ে পারস্পরিক সহবাসে ----- প্রত্যেকরকমে ?
আমরা শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের দীক্ষিত শিষ্যরা এককথায় সৎসঙ্গীরা শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে শিখেছি, "সৎ-এ সংযুক্তির সহিত তদগতিসম্পন্ন যা'রা তা'রাই সৎসঙ্গী।" অর্থাৎ আমরা সৎ এর সঙ্গে যুক্ত এবং সেই গতির সঙ্গে যুক্ত। এর মানে কি দাঁড়ালো? এর মানে, সৎ কথাটা এসেছে অস ধাতু থেকে; মানে থাকা বা বিদ্যমানতা বা অস্তিত্ব। আমি সৎসঙ্গী মানে আমি নিজের ও অন্যের বাঁচা ও বেড়ে ওঠার সেবক। আমি সৎসঙ্গী মানে আমি অস্তিত্বের অস্তিত্ব পরম অস্তিত্ব, আমার উৎসের উৎস পরম উৎস, পরম মঙ্গলময় সৃষ্টিকর্তার জীবন্ত রূপের সঙ্গে ও তাঁর গতির সঙ্গে অর্থাৎ তাঁর নিরন্তর বাস্তব জীবন বৃদ্ধির চলমানতার সঙ্গে যুক্ত। আর এই যুক্তি যারাই চায় তারাই সৎসঙ্গী তা সে হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, ইহুদী, বাহাই, হান, শান্তো ইত্যাদি ইত্যাদি বিশ্বের প্রায় ৪,৩০০ ধর্মের প্রায় ৮০০ কোটি মানুষের যেই-ই হ'ক না কেন। এই পারিপার্শ্বিক সহ বাঁচা-বাড়া অর্থাৎ Being & Becoming or Live & Grow মানুষ মাত্রেই চায়। তাই সবাই সৎসঙ্গী।
এইভাবে ক্রমে ক্রমে কোনও একদিন যদি সৎসঙ্গী ধর্ম বা সম্প্রদায় হ'য়ে ওঠে তাও উঠতে পারে। কিন্তু বিশ্বের যে প্রান্তে প্রায় ৮০০ কোটি মানুষের মধ্যে যে মানুষ অস্তিত্বের পুজারী সেই সৎসঙ্গী। সে হিন্দু হ'ক, মুসলমান হ'ক, খ্রীষ্টান হ'ক, বৌদ্ধ হ'ক, জৈন হ'ক, শিখ হ'ক, ইহুদী হ'ক, ইরানের বাহাই হ'ক, চীনের হান হ'ক বা জাপানের শান্তো হ'ক বা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অন্যান্য যে বর্তমানে প্রায় ৪,৩০০ ধর্মমতে বিশ্বাসী মানুষ আছে তা সে যে ধর্মমতের মানুষই হক না কেন সমস্ত মানুষই শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের কথা অনুযায়ী বাঁচতে চায় ও বাড়তে চায়। সৃষ্টির প্রতিটি জীবের মধ্যে এই বাঁচা ও বাড়া অর্থাৎ শ্রীশ্রীঠাকুরের কথায় Being & Becoming or Live & Grow-এর জন্মগত প্রবণতা আছে।
বিশ্বের এই প্রায় ৮০০কোটি মানুষই জন্মেছে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত থাকাটাকে উপভোগ করতে। আর উপভোগ তখনি সম্ভব হয় যখন বেঁচে থাকা যায় ও এই বেঁচে থাকা ক্রমশ শরীরে-মনে-আত্মায় পরিবেশকে নিয়ে উন্নতির দিকে বৃদ্ধি পায়। আমি এমনি এমনি এবং একা একা বাঁচতে পারি না। বাঁচার ও বেড়ে ওঠার কিছু শর্ত থাকে। বাঁচতে গেলেই চায় মানুষের কিছু চাহিদা আর সেই চাহিদা পূরণের জন্য চায় কর্ম। এবং সেই চাহিদা ও কর্ম সমাজবদ্ধ জীবের সমস্ত রকমের পারস্পরিক সহাবস্থানের মাধ্যমে পূরণ হয়। আর এ যেখানে হয় না তা সে যে কারণেই হ'ক সেখানেই মানুষের বেঁচে থাকা ও বেড়ে ওঠা ক্ষুণ্ণ হয়, হতাশ হয়, আহত হয়, দলিত ও মথিত হয়। সেখানে ধর্মের প্রকৃত অর্থ, প্রকৃত প্রয়োগ ব্যহত হয়, উপেক্ষিত হয়, লাঞ্ছিত হয়। অর্থাৎ পারিপার্শ্বিক সহ বাঁচা ও বাড়া সেখানে নেই, তা' সে যতই ধর্মীয় রীতিনীতি, আচার আচরণ, ক্রিয়াকলাপ পালন করুক না কেন। ঐ সমস্ত আচরণ ধর্মের নামে বাহ্যিক আচরণ। যে ধর্মীয় আচরণ চরিত্রে নেই, জীবনের আচার আচরণে ফুটে ওঠা না তা' অধর্মীয় আচরণ। অতএব বাঁচা তখন উপভোগ করা হ'য়ে ওঠে না।
তাই শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বললেন,
"তুমি কেন জন্মেছ মোটাভাবেও কি দেখেছ ? থাকাটাকে কি উপভোগ ক'রতে নয় ---- চাহিদা ও কর্ম্মের ভিতর - দিয়ে পারস্পরিক সহবাসে ----- প্রত্যেকরকমে ?
আমরা শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের দীক্ষিত শিষ্যরা এককথায় সৎসঙ্গীরা শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে শিখেছি, "সৎ-এ সংযুক্তির সহিত তদগতিসম্পন্ন যা'রা তা'রাই সৎসঙ্গী।" অর্থাৎ আমরা সৎ এর সঙ্গে যুক্ত এবং সেই গতির সঙ্গে যুক্ত। এর মানে কি দাঁড়ালো? এর মানে, সৎ কথাটা এসেছে অস ধাতু থেকে; মানে থাকা বা বিদ্যমানতা বা অস্তিত্ব। আমি সৎসঙ্গী মানে আমি নিজের ও অন্যের বাঁচা ও বেড়ে ওঠার সেবক। আমি সৎসঙ্গী মানে আমি অস্তিত্বের অস্তিত্ব পরম অস্তিত্ব, আমার উৎসের উৎস পরম উৎস, পরম মঙ্গলময় সৃষ্টিকর্তার জীবন্ত রূপের সঙ্গে ও তাঁর গতির সঙ্গে অর্থাৎ তাঁর নিরন্তর বাস্তব জীবন বৃদ্ধির চলমানতার সঙ্গে যুক্ত। আর এই যুক্তি যারাই চায় তারাই সৎসঙ্গী তা সে হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, ইহুদী, বাহাই, হান, শান্তো ইত্যাদি ইত্যাদি বিশ্বের প্রায় ৪,৩০০ ধর্মের প্রায় ৮০০ কোটি মানুষের যেই-ই হ'ক না কেন। এই পারিপার্শ্বিক সহ বাঁচা-বাড়া অর্থাৎ Being & Becoming or Live & Grow মানুষ মাত্রেই চায়। তাই সবাই সৎসঙ্গী।
আর সৎসঙ্গীদের সৎসঙ্গ হ'লো সেই প্রতিটি থাকা বা বিদ্যমানতা বা অস্তিত্বের মিলন স্থল (সৎ অর্থাৎ অস্তিত্ব আর সঙ্গ অর্থাৎ সনজ ধাতু অর্থ মিলন) যেখানে সৎসঙ্গীরা অর্থাৎ বিশ্বের প্রতিটি প্রাণ, প্রতিটি অস্তিত্ব-এর পূজারীরা প্রতিটি প্রাণের সঙ্গে, প্রতিটি অস্তিত্বের সঙ্গে মিলিত হয়।
তাই তিনি বিশ্বের প্রায় ৮০০ কোটি মানুষের উদ্দেশ্যে বললেন,
"সৎসঙ্গ চায় মানুষ,
ঈশ্বর বল
খোদাই বল
ভগবান বা
অস্তিত্বই বল----
ভূ ও মহেশ্বর যিনি এক-- তারই নামে,
সে বোঝে না হিন্দু
সে বুঝে না খ্রীষ্টান
সে বুঝে না মুসলমান
সে বুঝে না বৌদ্ধ
সে বোঝে প্রীতি প্রত্যেকে তারই সন্তান,
সে আনত করে তুলতে চায়
সকলকেই সেই একে,
সে পাকিস্তানও বোঝে না
হিন্দুস্হানও বোঝে না
রাশিয়াও বোঝে না
চায়নাও বোঝে না
ইউরোপ,আমেরিকাও বোঝে না ---
সে চায় মানুষ,
সে চায় প্রত্যেকটি লোক
সে হিন্দুই হোক
মুসলমানই হোক
খ্রীষ্টানই হোক
বৌদ্ধই হোক
বা যে'-ই যা হোক না কেন
যেন সমবেত হয় তাঁরই নামে
পঞ্চবর্হি উদাত্ত আহবানে-----
অনুসরণ-- পরিপলনে
-- পরিপূরণে-উৎসৃজী উপায়নে--
পারিস্পরিক সহ্যদয়ী সহযোগিতায়---
শ্রম কুশল উদ্বর্দ্ধনী চলনে
---- যাতে খেটেখুটে প্রত্যেকে
দুটো খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে
সত্ত-স্বাতন্ত্র্যকে বজায় রেখে
সম্বর্দ্ধনার পথে চ'লে,
প্রত্যেকটি মানুষ যেন বুঝতে পারে
প্রত্যেকেই তার,
কেউ যেন না বুঝতে পারে
সে অসহায়,অর্থহীন,নিরাশ্রয়,
প্রত্যেকটি লোক যেন বুক ফুলিয়ে
বলতে পারে-----
আমি সবারই----
আমার সবাই---
সক্রিয় সহচয্যী অনুরাগোন্মাদায়,
সে চায় একটা পরম রাষ্ট্রীক সমবায়
যাতে কারউ সৎ-সম্বর্দ্ধনায়
এতটুকুও ত্রুটি না থাকে
অবাধ হয়ে চলতে পারে প্রতিপ্রত্যেকে
এই দুনিয়ার বুকে
এক সহযোগিতায়
আত্মোন্নয়নী শ্রমকুশল
সেবা- সম্বর্দ্ধনা নিয়ে
পারস্পরিক পরিপূরণী সংহতি-উৎসারণায়
উৎকর্ষী অনুপ্রেরণায় সন্দীপ্ত হ'য়ে
সেই আর্দশ পুরুষে
সার্থক হ'তে সেই এক- অদ্বিতীয়ে।"
( ধৃতি-বিধায়না,১ম খণ্ড/ শ্লোক- ৩৯৪)
আর, তাই আমাদের প্রকৃত সৎসঙ্গীদের মধ্যে বিশ্বে কোথাও বিরোধ নেই।
( লেখা ৩০শে নভেম্বর'২০২৩)
No comments:
Post a Comment