ঠাকুরের সমস্ত বাণী স্থান, কাল ও পাত্র অনুযায়ী সৃষ্টি হয়েছে আর তার পরিবেশনও হওয়া উচিত স্থান, কাল ও পাত্র অনুযায়ী। তাহ'লে অযথা বিতর্ক তৈরী হয় না। মাথায় রাখতে হবে আমার কাছে ঠাকুরের মূল্য বিরাট বলেই সমস্ত মানুষের কাছেই তাঁর মূল্য বিরাট ও বিতর্কহীন; তা কিন্তু নয়। ঠাকুরের যারা দীক্ষিত বা অনুগামী নয় তাঁদের কাছে প্রসঙ্গবহির্ভূত হঠাৎ হঠাৎ ফেসবুকে প্রকাশিত আপাত বিতর্কিত বাণীর গ্রহণযোগ্যতা নাও থাকতে পারে কারণ তাদের ঠাকুর সম্পর্কে ধারণা কম বা একেবারেই নেই। তাই ফেসবুকের মতন ওপেন মিডিয়াতে হঠাৎ হঠাৎ এমন বাণী পোষ্ট করার অর্থ সেধে বিতর্ককে আহ্বান করা। ঠাকুরের আসা ও তাঁর অবস্থান ঠাকুরের প্রকৃত আসার সময়ের অনেক অনেক আগে হ'য়ে গেছে আর তা হয়েছে তাঁর ইচ্ছাতেই। এই যে তিনি এত Advance এসেছেন তারও কারণ আছে। ঠাকুর তাঁর প্রকৃত আসার সময়ের অনেক অনেক আগে এসেছেন বলেই তাঁকে বর্তমান সময় বুঝতে পারবে না, তাঁর আসাকে মর্যাদা দিতে পারবে না। তাই যতটা সম্ভব তাঁর অনুগামী শিষ্যরা যেন তাঁকে অযথা বিতর্কিত ক'রে না তুলি। আমরা যারা তাঁর শিষ্য বা অনুগামী তারাই জানি না তাঁর আগমনের উদ্দেশ্য ও কারণ এবং তাঁর ভবিষ্যৎ রুপরেখা। আমরা তাঁর অনুগামী শিষ্যরা যদি তাঁর মিশন পরিপূরণ করতে না পারি তাহ'লে আমরা তাঁর অপদার্থ সন্তান এবং এর জন্য তিনি সশরীরে থাকাকালীন বহু কষ্ট, যন্ত্রণা, ব্যথা, বেদনা পেয়েছিলেন এবং এখনও তিনি পেয়ে চলেছেন আচার্য পরম্পরায় রেত শরীরে। তাঁর অনেক বাণী আছে যেগুলি অনায়াসেই পোষ্ট করা যেতে পারে। উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে তিনি অকারণ অনেক লাঞ্ছিত, অপমানিত হয়েছেন এবং তাঁর আত্মজরাও হয়েছে এবং এখনও হচ্ছেন সেই একই উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে। অনুপযুক্ত পরিবেশের কারণে রাজাধিরাজ মহারাজ তিনি ভিখিরির মত জীবন যাপন করেছেন নিজের দেশে, মাতৃভূমিতে। বর্তমান পরিবেশের পক্ষে ঠাকুরকে বোঝা সম্ভব নয়, সম্ভব নয় বৃত্তি প্রবৃত্তিতে ডুবে থাকা ও রিপু তাড়িত এবং তাত্ত্বিক আমেজে ডুবে থাকা সীমাহীন ভাঙাচোরা মানুষের পক্ষে আর সাধারণ মানুষের কথা না হয় বাদই দিলাম। তাই যে বাণী মানুষকে ইষ্টকে গ্রহণ করা ও মেনে চলার সহজ বোধ গজাতে সাহায্য করে আপাতত তাই-ই না হয় পোষ্ট হ'ক ফেসবুকে, আলোচনা হ'ক সহজবোধ্য বিষয়গুলি নিয়ে বাকিগুলি সময়োপযোগী পরিবেশন করা যেতে পারে। জয়গুরু।
(লেখা ৬ই মার্চ'২০১৮)
No comments:
Post a Comment