Powered By Blogger

Wednesday, March 1, 2023

প্রবন্ধঃ একা এবং অনেকজন।

যখন ভারতের মানুষ মনস্থির করে ফেলেছে, ভারতের নেতৃত্ব, বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীর হাতে দেওয়ার।
তখন কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী, কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে নরেন্দ্র মোদীকে পাগলের মতো আক্রমন করছে, কখনও নোংরা কদর্য ভাষায়, কখনও নরেন্দ্র মোদীর শৈশবের কষ্টের দিনগুলিকে ব্যঙ্গ করে।
কংগ্রেসী নেতা মণিশঙ্কর আইয়ার, তাঁর চা বিক্রির কথাকে ব্যঙ্গ করে, তাঁকে কংগ্রেস অধিবেশনে চা বিক্রি করতে বলেন।

সমাজবাদী নেতা নরেশ অগ্রবাল, তাঁকে চা বিক্রেতা বলে অপমান করেন।
কংগ্রেসি নেতা রশিদ অলভি, তাঁকে যমরাজ বলেন।
মমতা ব্যানার্জি তাঁকে দাঙ্গার মুখ বলেন।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তাঁকে রক্ত মাখা হাত বলেন
আর আজ অসভ্য সলমন খুরশিদ তাঁকে অকথ্য কথায় অপমান করেছেন।
মোদীজি নাকি নপুংশক।
ছিঃ এই যদি কংগ্রেসি নেতাদের ভাষা হয়, মানুষ এদের ক্ষমা করবে না।
২০১৪ দূরে নয়।
TAKEN FROM: বাংলার বিজেপি।
'একা এবং অনেকজন' কথাটায় অনেককিছু একসঙ্গে মাথার মধ্যে এসে দাপাদাপি করতে লাগল। এলোমেলো হয়ে যেতে লাগল সবকিছু! কোনটা আগে, কোনটা পরে সামনে আনবো ভাবতে গিয়ে মনে হলো,

বন্ধু, ভাবনা কাহারে বলে। বন্ধু , যাতনা কাহারে বলে। তোমরা যে বলো দিবস রজনী 'নরেন্দ্র মোদী, নরেন্দ্র মোদী'-- বন্ধু, নরেন্দ্র মোদী কে হয়? সে-কি কেবলই যাতনাময়? সে কি কেবলই চোখে জল! সেকি কেবলই দুঃখেরই শ্বাস! লোকে তবে করে কী সুখেরই তরে এমন দুখের আশ !?

এবারের লোকসভা নির্বাচনে দল মত নির্বিশেষে ভারতের জনগণের মনে একটা নাম দিনের আলোর মত পরিস্কার উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য তা' হল 'নরেন্দ্র মোদী'। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন কিনা সে প্রশ্ন স্বতন্ত্র। জনগণ সে যে দলেরই সমর্থক, কর্মী বা নেতা হ'ন না কেন কিম্বা সম্পুর্ণ নিরপেক্ষ হোক না কেন মানসিক ভাবে আমজনতা স্বীকার করেন নরেন্দ্র মোদীর গ্রহণযোগ্যতা। ভোটের বাক্সে তার প্রতিফলন নির্ভর করে দলের নেতৃত্বের দুরদর্শিতা, যোগ্যতা ও দক্ষতা আর সাংগঠনিক শক্তির ওপর। এটা অনেকটা ক্ষেতে ফসল পাকা ও সময়মত ঘরে তোলার মত ব্যাপার। ক্ষেতে ফসল পেকেছে আর সেই ফসলকে গোলায় তুলে আনতে হবে ফসল লুট হবার আগেই। ফসলকে পোকায় কাটা, পঙ্গপালের আক্রমণ, লুটেরার লুট করে নিয়ে যাওয়া ও হঠাৎ প্রাকৃতিক দুর্যোগ সবকিছু আগাম মাথায় রেখে কঠিন মানসিকতায় আন্তরিকতার সঙ্গে প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণের মধ্যে দিয়ে ঘরে তুলে আনতে হবে।
জনগণ আজ রাজনৈতিক প্রতিদিনের কর্মকান্ডে দ্বিধাগ্রস্থ। নেতৃত্বের ক্ষমতা দখলের জন্য কৌশলী পদক্ষেপ, গিরগিটির মত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও সমাজের তথাকথিত এলিটদের সবজান্তা ব্যাখ্যা, পক্ষপাতিত্বমূলক রাজনৈতিক, সামাজিক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সাধারণ মানুষকে, ভাঙ্গাচোরা মানুষকে বিভ্রান্ত ক'রে দিকভ্রষ্ট করছে! মানুষ আজ কাঁচের গুলি আর হীরের টুকরোর মধ্যে তফাৎ করার জ্ঞানের অধিকারী নয়! মানুষ আজ মনের জগতে সম্পুর্ণ দিশাহারা! নতুন নতুন পরিস্থিতি ও নানারকম জটিল পরিবেশের চাপে পড়ে মানুষ নিত্য নতুন অভিভূতিতে আক্রান্ত! এ-কথা লিখতে গিয়ে Present Living Supreme Being, The Wisest & The Most Experienced Man of The World Sri Sri Thakur Anukul Chandra-এর কথা মনে পড়ে গেল! তিনি বলেছেন, "Pulverized into psycho microscopic personality_____অর্থাৎ একই মানুষ নানা পরিস্থিতিতে পড়ে নানারকম ব্যক্তিত্বের দ্বারা রঞ্জিত হচ্ছে। অর্থাৎ তার mental identity বলে কিছু থাকছে না"।

এ-রকম অবস্থা থেকে ভারতের মুক্তি কবে হবে তা' আমার জানা নেই। ভারত কোনদিনই শক্তিমান নেতৃত্বকে পায়নি ভারতের সিংহাসনে। ভারতের দুর্ভাগ্য নেতাজীর মত শক্তিশালী দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বকে পেতে পেতেও ভারত হারিয়েছে। যখনই কোনও Powerful personality সামনে এসেছে তখনই দায়িত্ব নিয়ে তাঁকে পিছনে সরিয়ে দিতে কোমর বেঁধেছে দেশের স্বার্থান্বেষী শক্তি, সঙ্গে বিদেশী শক্তি। এই Tradition সমানে চলেছে ভারতের স্বাধীনতার সময় থেকেই। ভারত যাতে শক্তিশালী হ'য়ে না ওঠে কোনদিন বিশ্বশক্তির এই চক্রান্তের Tradition-ও সেই স্বাধীনতার সময় থেকেই। নরেন্দ্র মোদী এর কোনো ব্যতিক্রম নয়! নরেন্দ্র মোদীকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করে, নোংরা ছিটিয়ে এটা প্রমাণ করে দিয়েছে তারা যে, ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদী আমজনতার মনে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। একা নরেন্দ্র মোদীকে অনেকজন একসঙ্গে ব্যঙ্গ করে এটা প্রমাণ করে দিয়েছে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী নেতা হিসাবে এক এবং অদ্বিতীয়! নরেন্দ্র মোদীকে অকথ্য ভাষায় অপমান করে একসঙ্গে অনেকজন এটা প্রমাণ করে দিয়েছে ভারতবর্ষের মত ১২৩কোটির এতবড় দেশে ৬৬বছরেও প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসার জন্য এবারের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে একজন নেতা খুজে পেল না কোন দল যার নাম আগাম ঘোষণা করা যায় বা ঘোষণা ক'রে নির্বাচনে লড়বে! একসঙ্গে অনেকজন মিলে নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ ক'রে এটা প্রমাণ করে দিল নরেন্দ্র মোদী কতটা ভারী তাদের কাছে! অনেকজন একসঙ্গে একজনকে আক্রমণ করে প্রমাণ করে দিল 'ব্যষ্টি থেকে সমষ্টির সৃষ্টি আবার সমষ্টি থেকেই ব্যষ্টিতে অবতরণ'! অর্থাৎ ১ থেকেই ১০০ আবার ১০০ থেকে নেবে আসতে আসতে সেই একে এসেই সমাপ্তি! অনেকজন মিলে একজনকে এত অপমান, এত গালি, এত ভয়ঙ্কর চতুর্মুখী আক্রমণ মনে করিয়ে দিল সেই শ্লোক, "হাতি চলে বাজার মে, কুত্তা ভোকে হাজার। সাধুওন কো দুর্ভাবন নেহী, যব ঘিরে সংসার"। নরেন্দ্র মোদীকেও এ কথা মনে রাখতে হবে এই শ্লোকের "সাধুওন কো দুর্ভাবন নেহী' লাইনটা।
কয়েকদিন আগে রাহুল গান্ধী গুয়াহাটীর এক জনসভায় নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যকে কটাক্ষ করে বললেন, "নেতা দেশ বদলতা নেহী, জনতা দেশ বদলতা হ্যায়'। নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, "Netaji had said, Give me blood, I will give you freedom, I tell you, Give me 60months at the centre, I'll give you a life of peace and happiness". এত বড় কথা বলার মত আত্মবিশ্বাস, বুকের পাটা, মনের জোর, সাহস, অদম্য ইচ্ছাশক্তি, দূরদৃষ্টি, অভিজ্ঞতা, জ্ঞান দরকার। এটা বুঝতে হবে রাহুল গান্ধীকে। নেতাজীর কথা মনে করিয়ে দেবার মত হিম্মত ৬৬বছরেও কোন দলের এমনকি মোদীর নিজের দলেও একটাও নেতার হয়নি ও হ'ল না। কথায় আছে, 'বাপ কা বেটা সহিসকা ঘোড়া কুছ নেহী তো থোড়া থোড়া'! নরেন্দ্র মোদী তো নেতাজীরই উত্তরসূরি! পরবর্তী প্রজন্ম!

রাহুল গান্ধীর কথা এক দিক দিয়ে ঠিক! জনতা সত্যিই দেশ বদলেছে ৬৬বছর ধরে! তার ফল ভোগ করছে ৬৬বছর ধরে দেশবাসী! সত্যিই তো কোন নেতা ৬৬বছরেও দেশকে বদলাতে পারেনি। একটা সাইকেল গাড়ী চালাবার যার অভিজ্ঞতা নেই সে এতবড় ভারত নামক দেশগাড়ীটা চালাবার স্বপ্ন দেখে! সে দেশের নেতা হিসাবে কি করে দেশ কে বদলাবে? সে নিজেই ঘোষণা করে দিয়েছে যে 'নেতা দেশ বদলতা নেহী'! তবে কি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসে রাহুল গান্ধী আম জনতাকে বলবেন, এবার আপনারা দেশকে চালান? রাজনীতির শুরুতেই নবীন প্রজন্মের প্রতিনিধি হয়ে জনগণকে কথার সুড়সুড়ি দিলেন!?

যাই হোক, রাহুল গান্ধীর এ-কথায় মনে পড়ে গেল ছোটোবেলায় স্কুলে পড়েছিলাম, Environment makes a man. কিন্তু বড় হয়ে প্রতিনিয়ত ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে, সেই তৈলাক্ত বাঁশের ১ফুট উপরে উঠে দু'ফুট নিচে পড়ে যাওয়া অঙ্কের মত জীবনের তৈলাক্ত বাঁশে খালী নীচে পড়ে যেতে যেতে একটা উপলব্ধি হয়েছে, A Man makes the environment and then environment makes the man !!!!!!!!!!!
(লেখা ১লা মার্চ'২০১৪)
No photo description available.
All reactions

No comments:

Post a Comment