লেখাটা পড়লাম। পড়ে মনে হ'ল লেখাটার উপসংহার যদি টানি তাহ'লে কিন্তু দুঃখ, ব্যথা, বেদনাকেই বহন ক'রে চলতে হবে। আক্রমদা যেন একটা শব্দ দিয়ে তৈরি ঢিল ছুঁড়ে মারলেন আমার মনোজগতে। খেলে গেল তরঙ্গ, নাড়া দিল স্মৃতিবাহী চেতনায়! ভেসে উঠলো মনের আয়নায় শ্রীশ্রীঠাকুরের টুকরো টুকরো কথা আর স্মৃতি হাতড়ে মনে এলো যা তাই লিখলাম।
নারী ও পুরুষ প্রকৃতিই একটা যেন আরেকটার পরিপূরক। একটা শান্ত, সমাহিত আরেকটা উদ্দাম, উচ্ছ্বাস। এর ব্যতিক্রমও অবশ্যই আছে আর তাই তা ব্যতিক্রম। শ্রীশ্রীঠাকুরের কথা অনুযায়ী একটা যেন ঢেউ এর উদ্বেলায়িত অবস্থা আরেকটা অববেলায়িত অবস্থা। উদ্বেলায়িত যেন পুরুষ আর অববেলায়িত যেন নারী। উদ্বেলায়িত অর্থাৎ উচ্ছ্বসিত, উচ্ছ্বলিত অবস্থা হ'ল পুরুষ আর অববেলায়িত অর্থাৎ ঢেউয়ের নেমে যাওয়া অবস্থা হ'ল নারী। নেমে যাওয়া ঢেউ এর উপর ভর দিয়ে উথলিত অর্থাৎ স্ফীত ঢেউ-এর উঠে দাঁড়ানো। নারী সেই অববেলায়িত সত্ত্বা অর্থাৎ শান্ত স্থিতিভুমি। এই স্থিতিভুমি অর্থাৎ নারীর উপর দাঁড়িয়ে পুরুষের উত্থান। তাই প্রকৃতিগতভাবেই নারী শান্ত আর পুরুষ উদ্দাম। তাই, নারী বৈশিষ্ট অনুযায়ী তার বিপরীত বৈশিষ্ট উদ্দামতাকেই পছন্দ করে। আর পুরুষও ঠিক তার উল্টো। এটাই স্বাভাবিক, এটাই বাস্তব।
যাই হ'ক, নারীকে এটা মাথায় রাখতে হবে যে তাই ব'লে উদ্দামতা, উচ্ছলতা, উথলতা ইত্যাদি মানেই ছন্নছাড়া, বাউনডুলে অর্থাৎ উচ্ছৃঙ্খলতা বা বিশৃঙ্খলা নয়। আর শান্ত স্থিতিভুমি মানে কি বোধবুদ্ধিহীন স্থবির? তা নয়। তাই নারী তার বৈশিষ্ট অনুযায়ী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে পুরুষ খুঁজে নিতে চায়। এই খুঁজে নেওয়ার ক্ষেত্রে ক্ষেত্র যেন ভুল না হয় নারীর।
আর এই অন্তর্নিহিত অর্থ না বুঝে যদি বোঝার ভান ক'রে অজ্ঞানতাকে জ্ঞান ব'লে মনে ক'রে ছন্নছাড়া বাউনডুলে পুরুষদের নারী অগ্রাধিকার দেয় তাতে সাধু পুরুষের কি কিছু এসে যায় নাকি তাতে সাধু পুরুষদের কোনও ক্ষতি হয়? কি আর করা যাবে, ক্ষতি যাদের হবার তাদেরই হয় আর এই ক্ষতির জন্য সাধু পুরুষদের মনে ঐ মেয়েদের জন্য দুঃখের সংগে সংগে করুণাও হয়। এই ধরণের মেয়েরা ব'লেই থাকে আমাদের ইচ্ছাটা আমাদেরই তাই আমরা ইচ্ছের ডানা মেলে উড়বই। তা উড়তেই পারে কারণ সবাই স্বাধীন, সবারই ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে; খালি দেখতে পাওয়া যায় যে দিনের শেষে এদের অবস্থা হয় জটায়ুর মত। আজকের রাবণরুপী ছন্নছাড়া বাউনডুলে শয়তানের কোপে ডানা কেটে পড়ে থাকা জটায়ুর মত করুণ অবস্থা হয় যখন তখন শুধু একটাই কথা মনে আসে এরা রবীন্দ্রনাথের বড় প্রিয় ভক্ত। রবীন্দ্রনাথের "আমি জেনেশুনে বিষ করেছি পান, প্রাণেরও আশা ছেড়ে সঁপেছি প্রাণ আমি..." কবিতার এরা জীবন্ত রূপ। রবীন্দ্রনাথ কেন এই কবিতা লিখেছিলেন কিম্বা এদের নিয়েই লিখেছিলেন কিনা তা আমার জানা নেই শুধু জানা আছে কাঠ খেলে আলমারি, ড্রেসিং টেবিল ইত্যাদি ফার্নিচারের যে কোনও একটা মলত্যাগ হবেই। এরা তথাকথিত সেয়ানা, চালাক, বুদ্ধিমতী, লেখাপড়াজানাওয়ালা কিম্বা একেবারেই বোকা, বেকুব প্রকৃতির যারা কাঠ খায় আর ............।
আর এটাও বলতে পারি কোনও প্রকৃত বুদ্ধিমতী, চালাক, শিক্ষিত মেয়ে এ কাজ করে না। তাই কথায় আছে, 'ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিয়ো না।'
এটা যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবে মেয়েরা ততই তাদের জন্য মঙ্গল।
( লেখা ১৪ইমার্চ'২০১৮ )
No comments:
Post a Comment