Powered By Blogger

Saturday, March 25, 2023

প্রবন্ধঃ সরকার ও প্রশাসনের প্রতি!

তাদের হাতে একদিনের জন্য দিন প্রশাসন!

করোনার আক্রমণের এই কঠিন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সচেতন প্রচন্ড সিরিয়াস বুদ্ধিমান মানুষ যারা আছে তাদের হাতে একবার অন্ততঃ একবার দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্ব দেওয়া হ'ক! তাদের খুঁজে বের করা হ'ক তৎপরতার সঙ্গে যারা ভয়ানক ভয়ঙ্কর ভয়াবহ বিষম সিরিয়াস! অন্ততঃ আর্জেন্সি ও ইমার্জেন্সি ভিত্তিতে। তারপর আপনারা আবার নিজেদের হাতে নিয়ে নেবেন দায়িত্ব! যদিও জানি যে সম্ভব নয়। আপনারা যে যে দলেরই হ'ন না কেন আপনারা কোনও যোগ্য ও দক্ষ ব্যক্তিকে তুলে আনবেন না, সামনে জায়গা দেবেন না! এই হীনমন্যতা চিরকালের! তবুও বললাম। যদি আকবরের মত কোনও সম্রাট ভুল ক'রেও তাঁর নবরত্ন নিয়ে এসে যায় আবার সিংহাসনে!
যাই হ'ক, করোনা ভাইরাসে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি সাধারণ মানুষ মরার চেয়ে একদিনে সেইসমস্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন শোধ-বোধহীন মানুষ তা সে হিন্দু হ'ক, মুসলমান হ'ক, খ্রিষ্টান হ'ক আর যে বা যাই-ই ধর্মের হ'ক গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে মেরে ফেলা হ'ক! অন্ততঃ কিছু মানুষ যারা সরকারের প্রশাসনের নির্দেশিকা মেনে চলছে তারা বাঁচুক! একজন দু'জন চার অক্ষরের দ্বারা পরিবেশ নষ্ট হওয়ার জন্য মৃত্যুর মিছিল ডেকে আনার জন্য বাকি সবাই দুঃখ পাবে কেন!? কেন সেই সমস্ত বাচাল উদাসীন সীমাহীন উচ্শৃঙ্খল বিশৃঙ্খল মানুষের প্রতি সরকারের এত ভয় বা চিন্তা!? পুলিশকে দেখছি মানুষকে মারছে কিন্তু সেই সমস্ত মানুষের চোখে মুখে ভয়ের লেশ মাত্র নেই! পুলিশ মারছে নাকি মারার অভিনয় করছে!? পুলিশকে দেখে কেউ ভয়ে সিঁটিয়ে যাচ্ছে না! প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত ইতিবাচক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সত্ত্বেও একদল তা অনিচ্ছাকৃতই হ'ক, না জেনেবুঝেই হ'ক, কিংবা ষড়যন্ত্র ক'রেই হ'ক বানচাল ক'রে দেবার জন্য সচেষ্ট! তাদের সম্পর্কে ভাবতে, সিদ্ধান্ত নিতে এত শিথিলতা কেন!? কেন সরকার প্রশাসনের আদেশ-নির্দেশ মেনে চলা অসহায় নির্দোষ নাগরিকের প্রতি সরকারের তৎপরতায় ঢিলেমি!? সংখ্যাগুরু বাধ্য জনতার প্রতি দায় আছে কি নেই সরকার প্রশাসনের!? অবাধ্যকে এত ছাড় প্রশ্রয় কেন!? কেন তারা সরকারি নির্দেশিকাকে ভয় পাবে না!? কবে আসবে সেই কঠোর-কোমল, নির্মম-নরম রাষ্ট্রপ্রধান!? শাহীনবাগে বা আরও অন্য কোথাও সরকারের আদেশ-নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মারণ রোগকে জনসমাজে জেনেবুঝে ছড়িয়ে দেওয়ার কার্যক্রম নেওয়ার জন্য কেন সরকারকে এত সময় ভাবতে হ'লো তাদের জন্য!? দেরি হ'লো তাদের প্রতি কড়া ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিতে!? কাকে ভয়!? কিসের ভয়!? ভয়ংকর মারণ ভাইরাস কি হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন ইত্যাদি দেখে!? এতে সরকারের নপুংশতা প্রমাণ হ'লো না!? এর জন্য যেটুকু বা যতটুকু ক্ষতি হ'লো তার দায় সরকার পক্ষ নেবে তো!? কবে আসবে সেই নেতৃত্ব যেদিন এইসমস্ত বদমাশ শয়তান ধান্দাবাজ মানুষ সে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান ইত্যাদি যেই হ'ক না কেন সরকারের শুধুমাত্র ঘোষণাকেই ভয় পাবে, আতঙ্কে ঘরে ঢুকে যাবে, কাজে কিছু করতে হবে না! কবে এমন ভয়াবহ রাতের ঘুম ছুটে যাওয়া অভিজ্ঞতা হবে দেশের এইসমস্ত মুষ্টিমেয় বালখিল্য শয়তান চার অক্ষরদের!? সে দিন কবে আসবে!? ১৩০কোটির দেশে একজনও কি প্রচণ্ড ক্ষমতাসম্পন্ন সৎ সাহসী দক্ষ যোগ্য দূরদর্শী জ্ঞানী চরিত্রবান দায়িত্ববান আদর্শবান ঈশ্বর বিশ্বাসী ভালোবাসাময় পবিত্র হৃদয়ের মানুষ, কথার মানুষ রাজনৈতিক ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ নেই!? ১৩০কোটির দেশে এমন মানুষের অভাব!? কেন!? কি বলেন দেশের কবি, সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী, সমাজসেবী ইত্যাদি সমাজের যত এলিট সম্প্রদায়!? মহাভারতের পুনরাবৃত্তি!? কৌরবের রাজ সভার ভীষ্ম, দ্রোনো, কর্ণ ইত্যাদি এলিটদের নীরবতার পুনরাবৃত্তি!? তাই আর কি করা যাবে!? মহাভারতের ধ্বংসের পুনরাবৃত্তি তো অবশ্যম্ভাবী, শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র! আমার মত বালখিল্য আরও যারা সমাজ সচেতন পাগলা------- আছে তাদের হাতেই না হ'ক ছেড়ে দেওয়া হ'ক দেশের শাসনভার। কিছু হবে না তা নিশ্চিত কিন্তু অভিজ্ঞতা তো হবে। কিন্তু তাদের খুঁজে বের করুক সরকার প্রশাসন যারা যোগ্য ও দক্ষ, সৎ ও সাহসী, আদর্শবান ও চরিত্রবান, ঈশ্বরবিশ্বাসী ও দেশপ্রেমী আগামী ধ্বংসের কথা ভেবে।
(লেখা ২৫শে মার্চ'২০২০)

No comments:

Post a Comment