এখন সব কল্পলোকের কথা ব'লে মনে হয় তাই আর অত উৎসাহ পাই না। বয়স হ'লো, দেখলাম অনেক, বুঝলাম তার থেকেও বেশী। চিনলাম গিরগিটির থেকেও ভয়ঙ্কর বহুরূপী সৎসঙ্গী। যার বা যাদের বহুরূপী রূপ দেখে গিরগিটিও ভয় পায়। লজ্জা পায় তাদের বহুরূপের সঙ্গে ভয়ঙ্কর ভয়াবহ বহুরূপী মানুষের তুলনা করা হয় ব'লে।
আর আজ তাই নির্ম্মম সত্য দেখে দেখে সব ইউটোপিয়া মনে হয়। মনে হয় মিথ্যা এক সুরম্য স্থান যাকে কল্পলোক বা কল্পস্বর্গ বলে, সেখানে বসবাস করেছি এতদিন। দিনের পর দিন, বছরের পর বছর প্রকাশ্যে বিভিন্ন এলাকায় বড় বড় সৎসঙ্গ আয়োজনে যে পরিকল্পিত বাধা পেয়েছি ও অবশেষে সৎসঙ্গীদের দ্বারা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রে দানা বেঁধে ওঠা সৎসঙ্গ আন্দোলনকে ভেঙে চুড়মার ক'রে দিতে দেখেছি তা জন্মজন্মান্তর আমার সাধনার অভিজ্ঞতার ফসল হ'য়ে থাকবে। যদি আমি অকপটভাবে একটুও দয়ালকে ভালোবেসে থাকি। হয়তো আবার আসবো আমি ভবিষ্যৎ ভয়ঙ্কর আগুন পরিবেশে এই অভিজ্ঞতাকে সাথী ক'রে।
যাই হ'ক, আগে তো মানুষ অকপট ও ইগো মুক্ত হ'ক তারপর তো তাঁর কাজ। কথার স্রোতে ভেসে মুখে তাঁর গান গাইছি, "ছাড় রে মন কপট চাতুরী----" আর পাশের গুরুভাইকে কনুইয়ের গুঁতো মেরে বলছি, কেমন দিলাম ওকে, ব--ল।
এ আমার তিক্ত অভিজ্ঞতা।
No comments:
Post a Comment