Powered By Blogger

Sunday, March 5, 2023

কবিতাঃ আলো ফুটুক। কেটে যাক দুঃস্বপ্নের রাত।

হে বিপ্লবী! হে বিজ্ঞানী! সমাজ সংস্কারক, মানব দরদী, হে পূজারী!
মানবজাতি ধ্বংসের তুমিই ঈশ্বর অবিশ্বাসী ভয়ঙ্কর আনাড়ি কান্ডারি।
কোনও মন্তব্য করার আগে একবার থমকে দাঁড়াও
আর কি বলছো, কাকে বলছো দেখে নাও, বুঝে নাও!
অর্থ-মান-যশের অহংকারে ছুটছো তুমি যেন পাগলা ঘোড়া
স্রষ্টার বুকে করছো পদাঘাত অন্তরে বাহিরে জড়িয়ে অহংমেখলা।
টাকা আসবে টাকা যাবে ধ'রে রাখতে পারবে না
চলন চরিত্র ঠিক না হ'লে ভোগ করতে পারবে না!
জ্ঞানের পাখনা মেলে যাও উড়ে গ্রহ থেকে গ্রহে বুধে মঙ্গলে
অসভ্যতা আজ সভ্যতা, দুর্গতিই প্রগতি আর দুর্নীতি উন্নতির
হাতিয়ার হ'য়ে ছুটে চলেছে জ্ঞানের হাত ধ'রে অমঙ্গলে। 
ধর্ম্ম ঈশ্বর মানো না তুমি তোমরা তাতে কুঠারাঘাত করো
জালি ধর্ম্ম আর জালি বোবা ঈশ্বরে মোহগ্রস্থ মানুষ সাথে
তোমরাও তাতে জান্তে-অজান্তে ডুবে মরো।
The greatest phenomenon of the world:
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।
আর, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ লজ্জা: বাংলা ও বাঙালি! ভাগ্য মন্দ!!
তাঁকে মানো না তুমি-তোমরা, কারণ তাঁকে জানো না;
আর জানো না বলেই তুমি-তোমরা তাঁকে মানো না।
কুৎসা আর গালাগালিতে মলিন করো তাঁর জীবন
তোমার আমার তরে এসেছিলেন যিনি হরণ করিতে মরণ।
আর, অহং বোধের প্রাবল্যে তুমি বলবান হে মহাশয়, মহাশয়া
ঠাকুর নিয়ে মাতাল হৃদয়ে পায় না আশ্রয় অসহায়-অসহায়া।
ঠাকুর ভাঙ্গিয়ে তুমি তোমার প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়াও!
তাঁর নামের আড়ালে ঐশ্বর্যের পাহাড় তুমি বানাও!
রাজনীতির যোগসাজশে ঠাকুরকে বানিয়ে চাটনি
ঠাকুরের মাথায় ভাঙো কাঁঠাল সন্তানকে রাখতে দুধে ভাতে
মাতাল তুমি নবযুগের ঈশ্বরী পাটনী।
অসহায় মূর্খ দুর্বল ভক্ত যে জন তোমারে মহান ভাবে!
তাদের চোখে দাও ধুলো তুমি হাতে নিয়ে লাঠি মোক্ষম চাবিকাঠি
সেজে ভক্তপ্রাণ সাদা কাপড়ে আর হাবেভাবে!
ঠাকুরের বাণী-কথার ব্যাখ্যা করো এতবড় পন্ডিত তুমি!?
মনের আয়নায় নিজের জীবন দেখো দেখতে পাবে ফাঁকির খনি!!
ঠাকুরের বাণী, কথার অনুবাদ, ব্যাখ্যা করতে যেও না যদি সিদ্ধ না হও
সিদ্ধ হ'লে কথা যাবে কমে সিদ্ধপুরুষ আচার্যদেবের যদি শরণ নাও!
নিজের জীবনটাই ঠাকুরের বাণী, কথার মূর্ত রূপ হ'য়ে উঠুক!
আচার্যদেবের সান্নিধ্যে জীবন মাঝে তোমার
সেই বাণী-কথার মর্মার্থের আলো ফুটুক!!
পরকাল ডাকছে তোমায় ছেড়ে যেতে হবে ইহকাল
আজ না-হয় কাল; ওপারে গেলে দেখতে পাবে
পরকাল কত ভয়ানক ভয়াল!!
এখনো সময় আছে বন্ধু! 
আচার্য মাঝে নাও শরণ দয়ালের 
প্রায়শ্চিত্ত করো তুমি তোমার মহাপাপের।
সৎসঙ্গী আমি বাড়িয়ে দিলাম আমার হাত
ধরো হাত, আসুক সুদিন কেটে যাক দুঃস্বপ্নের রাত।

No comments:

Post a Comment