Powered By Blogger

Thursday, November 7, 2024

বিচিত্রাঃ ৩৯

জীবনের সেরা উপলব্ধি:
ভালো কাজে প্রভূত বাধা!
সেরা অভিজ্ঞতা:
বাধাদানকারীরা সব ভালো লোক, 
তথাকথিত ভালো!!

"ধরার কিছু না হলে তো মানুষ বাঁচে না।"---শ্রীশ্রীঠাকুর।
মানুষ বাঁচবার জন্য খড়কুটোকেও জড়িয়ে ধরে।
আমাদের ধরার জন্য দয়াল ঠাকুর আছে; 
আমাদের ভয় কি?-

আহ্বান জানাই।

রিপাব্লিক ভারত চ্যানেলের চীফ এডিটর অর্ণব গোস্বামীর জামানতের জন্য আদালতের রায়ের অপেক্ষায় গোটা ভারত। কিন্তু মনে কয়েকটা প্রশ্ন জাগেঃ
*যেখানে অর্ণব গোস্বামীর গ্রেপ্তারই অবৈধ ও অন্যায়, যেখানে আদালতের রায়ে বন্ধ হ'য়ে যাওয়া কেস রিওপেনের নিয়ম না মেনেই পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে গ্রেপ্তার করে অর্ণব গোস্বামীকে এবং এই অন্যায় গ্রেপ্তার যেখানে আদালত ঘোর অন্যায়, অবৈধ ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ব'লে স্বীকৃতি দিয়েছে সেখানে সেই নিরপরাধ অর্ণব গোস্বামীকে সরাসরি মুক্তি দিল না কেন আদালত!?
*কেন অর্ণব গোস্বামীকে ১৪দিনের জেল কাস্টডিতে পাঠাল আদালত!?
*কেন আদালত সত্য জানা সত্ত্বেও এবং এই বিষয়ে তার মতামত দেওয়া সত্ত্বেও নিরপরাধ ব্যক্তিকে আদালতের কাছে জামিনের আবেদন করতে হবে!?
*কেন জামিন ছাড়াই নিরপরাধ ব্যক্তিকে সস্মমানে মুক্তি দেওয়া হবে না!?
*কেন অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে তার অন্যায় কাজের জন্য কঠিন শাস্তি গ্রহণ করা হবে না এই বিষয় জানিয়ে শো কজ করা হ'লো না বা হবে না!?
*এ কি রকম আইন ব্যবস্থা!? এ কি রকম বিচার!?
*সরাসরি মুক্তি বা জামিন না দেওয়া এবং জেল কাস্টডিতে রাখার সপক্ষে যুক্তি কি!?
*এই সমস্ত আইন ব্যবস্থা কি ব্রিটিশের সময়ের আইন ব্যবস্থা!?
*আইন ব্যবস্থা কি নাবালক?
* যদি তাই হয় তবে কবে বিচারব্যবস্থা সংস্কার হ'য়ে সাবালক হবে!?
এই বিষয়ে কেউ কি যিনি আইন বিষয়ে অভিজ্ঞ আমায় বিস্তারিত জানাবেন? বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য আইন বিষয়ে অভিজ্ঞ বন্ধুদের আহ্বান জানাই। অপেক্ষায় রইলাম। ( লেখা ৭ই নভেম্বর'২০২০)

কবিতাঃ তুমি মানো না।

সবাইকে তুমি টেনে তোলো
সবাইকে বলো তাঁর কথা
আদর ক'রে বুকে নাও জড়িয়ে
দিও না কাউকে ব্যাথা!
ব্যাথা যে পান তিনি আসলে
তাও তুমি জানো না,
জানো না তার কারণ
তাঁকে তুমি মানো না।
( লেখা ৭ই নভেম্বর' ২০১৯)

বিচিত্রা ৩৮

বিশ্বাস! বিশ্বাস! বিশ্বাস!একবার বিশ্বাস ক'রে আলোর দিকে মুখ ফেরাও। একবার নির্ভর ক'রে দেখো দয়ালের উপর। একটু ধৈর্য ধরো; দেখবে নিমেষে কেটে যাবে অন্ধকার, খুলে যাবে বন্ধ দরজা, ঘুচে যাবে হাহাকার!
( লেখা ৭ই নভেম্বর' ২০২১)

টাকা দিয়ে ঠাকুর হয় না সেবা, হয় না তাঁর প্রতিষ্ঠা; যে ব্যবহার, কথা, কাজে ঠাকুর পান ব্যাথা তা থেকে দূরে থাকার করো তুমি চেষ্টা।

ঠাকুর বলেন,
আমায় তুমি ফেলেছো মেরে শেষ যে তোমার পুঁজি!
তোমার চলা, তোমার বলা, তোমার চিন্তা, তোমার কথা সেথায় যে আমি বাঁচি!

ঠাকুর বললেন,
ছোটোকে বড় করো, বড়কে করো আরো বড়!
আমরা বলি, বড়কে ছোট করো, ছোটকে করো আরো ছোট, লাথি মেরে দাও ঢুকিয়ে পাতালে!

টাকা দিয়ে কি আর ইষ্টপ্রতিষ্ঠা হয়?
আত্মপ্রতিষ্ঠা-ই হয় না তো ইষ্টপ্রতিষ্ঠা!!

অন্তরে হামবড়াই লুকিয়ে চোরের মত
বিবেককে দেবে আর কত ফাঁকি?
অবশ্য থাকে বেঁচে বিবেক যদি।

টাকা একটা বিশেষ ভূমিকা পালন করে মাত্র
কিন্তু তা দিয়ে কাজের মূল্যায়ণ হয় না
তাই টাকার অহংকার করা ভালো না।
( লেখা ৭ই নভেম্বর'২০১৯)












Wednesday, November 6, 2024

বিচিত্রাঃ ৩৭

'সৎসঙ্গ' বাগিচায় মালি আমি ভাই
বাবু সেজে বাবুয়ানী করি না সেথায়!
মালি খালি চেয়ে থাকে কবে ফুল হবে
বাবু খালি ভাবে বসে, কবে ফল খাবে!!

কোনও জাতিকে হত্যা ক'রে শেষ করা যায় না বা জয় করা যায় না তা সে যত বড় পরাক্রমী শাসক বা দেশ হ'ক না কেন যদি তার মধ্যে জমাট ক্ষীরের মতো জ্ঞান চর্চার উগ্র ক্ষিধে থাকে।
উদাহরণঃ ইহুদী জাতি।
কোনও জাতিকে জয় করা যায় একমাত্র প্রেম ভালোবাসা দিয়ে। নতুবা নয়। আক্রমণকারীর ধ্বংস অনিবার্য।


"মহাশক্তি ঘুমায় তোর হৃদয়ে তুই কেন রে মরার মতো।"এ কথা মনুষ্যজাতীর জন্য। বিশ্বের যে প্রান্তে যে মানুষের মধ্যে এই মহাশক্তি জেগে উঠবে তাকে কেউই কোনওদিনই কোনও অপশক্তি দাবিয়ে রাখতে পারবে না। এটাই সৃষ্টিকর্তা বা বিধির বিধান। শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের জীবন দর্শন।
( লেখা ৬ই নভেম্বর' ২০২৩)

দিনের বার্তাঃযে কোন সম্পর্কই নষ্ট হয়
পরস্পর পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাস থেকে।

পরম প্রেমময়ের পতাকার তলায় চরম হিংসার জীবন!?
দয়াল যখন ভয়াল হবেন কি করবো তখন!?

হে দয়াল! দিনের শেষে জমার খাতা শূন্য!?শুধু কুৎসা, নিন্দা, গালাগালিতে পরিপূর্ণ!?

এবার বিদায় দাও দয়াল ঘুরে আসি!হাসি হাসি পড়বো ফাঁসি নয়ন জলে ভাসি!!

হে দয়াল! বিচার ক'রো।যদি ভুল ক'রে থাকি, ক'রে থাকি কোনও দোষ
তবে ক'রো বিচার।
আমি অপেক্ষায় আছি ক'রো বিচার।

হে দয়াল! দিনের শেষে কি পেলাম?শুধু দলাদলি আর গালাগালি ভরা
ঘোর অন্ধকার রাত ভয়াল!?
( লেখা ৬ই নভেম্বর'২০১৯)

সৎসঙ্গী মানে ঈশ্বরের সঙ্গী, দয়াল প্রভুর সঙ্গী।
সাবধান! দয়াল আহত হন, আঘাত পান, ব্যথা পান
এমন কাজ ক'রো না।

যে পরিবেশে থাকলে পরে নষ্ট হয় স্কীল সেট
সেখানে হাজার লাভ হোলেও থেকো না,
থাকলে পরে ফেড হবে ফেট।
( লেখা ৬ই নভেম্বর'২০১৮)






















কবিতা/গানঃ আগুন! ঝড়! জল!

বুকেতে আগুন জ্বলে চোখেতে জল ঝরে
বুকেতে আগুন জ্বলে চোখেতে জল ঝরে
মনেরি অতল তলেতে যে তোমারি ঝড় চলে!
চোখেতে জল ঝরে তোমারি ঝড় চলে!
বুকেতে আগুন জ্বলে চোখেতে জল ঝরে
মনেরি অতল তলেতে যে তোমারি ঝড় চলে!

তোমায় ভুলে আর যাবো না
রিপুর টানে মাতাল হ'য়ে পাগল হ'য়ে অন্ধকারে।
চরণতলে থাকবো পড়ে
চলনপুজায় মগ্ন থেকে শান্ত হ'য়ে আলোর সাগরে।
ভুলে চরণখানি হয়েছে চলনহানি ভেঙ্গেছে জীবন তরী।
আমার দয়াল প্রভু দাও গো স্থান চরনতলে;
মনেরি অতল তলেতে যে তোমারি ঝড় চলে!

তুমি দেখালে, দেখালে আলো ধ'রে জীবন খুঁজে পাওয়ার পথ
মন আঁধারে ডোবে যখন তুমি তখন রোশনি হ'য়ে চালাও রথ
জীবন হাসে ডগমগিয়ে আলোর ঝরণা ঝরে ঝর্ঝরিয়ে!
আমার দয়াল প্রভু দাও গো স্থান চরণতলে
মনেরি অতল তলেতে যে তোমারি ঝড় চলে!
চোখেতে জল ঝরে তোমারি ঝড় চলে!
বুকেতে আগুন জ্বলে চোখেতে জল ঝরে
মনেরি অতল তলেতে যে তোমারি ঝড় চলে!
বুকেতে আগুন জ্বলে
বুকেতে আগুন জ্বলে
মনেরি অতল তলে
মনেরি অতল তলেতে যে তোমারি ঝড় চলে!
( লেখা ৬ই নভেম্বর' ২০২১)
 ( SIKANDAR FILM/ গুলো মে রঙ্গ ভরে (UPBEAT VIRSION)

Monday, November 4, 2024

উপলব্ধিঃ আমাদের দেখাটা সম্পূর্ণ নয়।

উপরের চাকচিক্য দেখেই সব কিছু বিচার করা যায় না।
যেমন, চকচক করলেই সোনা হয় না। 
উপরের চাকচিক্য দেখেই যদি বিচার করা হয় সে ভালো আছে আর তাহ'লে বুঝতে হবে এটা হতাশার স্বাভাবিক বহির্প্রকাশ।
 
কর্মফল আমাদের সকলকেই ভোগ করতেই হবে আর তা আজ কিংবা কাল এই জন্মেই। প্রয়োজনে carry forward হ'য়ে যাবে তা পরজন্মে তা আমরা যে রূপেই পরজন্মে আসি না কেন। 

অনেকের প্রোফাইল দেখে মনে হয় সে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের লাভার কিন্তু দীক্ষিত কিনা জানি না। দীক্ষিত হ'লেও তাঁর প্রতি সৎসঙ্গীদের বিশ্বাস, ভরসা ও নির্ভরতা নেই। আর নেই বলেই তাঁর লাভার বা দীক্ষিত হ'য়েও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। যেমন বিপর্যস্ত আমরা দুঃখ কষ্ট ও সমস্যায় জর্জরিত সৎসঙ্গীরা।
আমই যদি শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের লাভার বা দীক্ষিত হ'য়ে বিপর্যস্ত হ'ই তাহ'লে যারা লাভার বা দীক্ষিত নন তারা দুঃখে, কষ্টে, সমস্যায় বিপর্যস্ত হবে এ আর আশ্চর্য কি?

আবার বলছি, আজ না হয় কাল আমাদের কর্মফল ভোগ করতে হবেই। আজ যদি কাউকে ভালো আছে ব'লে মনে হচ্ছে সেটাও তার কর্মফল। ভাঙ্গিয়ে খাচ্ছে এখন। গত জন্মের কিংবা প্রথম জীবনের কর্মফলের ব্যাঙ্কে জমানো সুফল শেষ হ'লে এই জীবনের ও বর্তমানে যদি কিছু কুফল থাকে তা' জমা থাকছে ভবিষ্যতের জন্য। তা' এই জীবনে ভোগ করতে তো হবেই আবার পরবর্তী জীবনে তা' Carry forward হ'য়ে যাবে যদি এই পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়ার আগে বাকী কিছু থাকে। শুধু সেদিনের অপেক্ষা, শেষের সেদিন ভয়ংকর।

পুরুষোত্তম পরমপিতা শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বললেন, "তুমি যা করছো বা ক'রে রেখেছো ভগবান তাই-ই গ্রাহ্য করবেন আর সেগুলির ফলও পাবে ঠিক তেমনি। ভালো ছাড়া মন্দ করলে পরিস্থিতি ছাড়বে না।" 
শুধু সময়ের অপেক্ষা। সময় সবসে বড়া বলবান। বিজ্ঞানী নিউটনের তৃতীয় সূত্রও অর্থাৎ বিজ্ঞানও তাই বলে। "Every action has opposite and equal reaction." 
এ আমার, আপনার ও সবার জন্য প্রযোজ্য। সেইজন্য এসব নিয়ে ভাবার দরকার নেই। ভেবে ভেবে হতাশাগ্রস্থ ও অবসাদের শিকার হ'তে নেই।
যাই হ'ক, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। আর, কর্মফল ভোগ দেখতে চাওয়াও আর একধরণের পাপ। সেই চাওয়ারও কর্মফল ভোগ আছে।

বিচিত্রা ৩৬

এটাই একমাত্র সত্য যে, ঈশ্বর ছাড়া প্রকৃতপক্ষে আমাদের অসহায় গরীব দুঃখী মানুষদের রক্ষা করবার কেউ নেই। তাই ঈশ্বরের ওপর নির্ভর ক'রে থাকাটাই বাঁচার ও বেড়ে ওঠার এবং সমস্যা সমাধানের এক ও একমাত্র নির্ভরযোগ্য বিশ্বস্ত পথ। 

অর্থহীন কথা বলা পাগলের প্রলাপ,
অকৃতজ্ঞ বেইমান করে কথার খেলাপ।

সৃষ্টি মাত্রেই ক্ষয় আছে লয় আছে, আছে সুখ দুঃখ। দয়াল আমার পরমপিতা পায় ব্যথা ক'রো না এমন কাজ কখনো। দেখবে তাঁর দয়ায় শরীরে মনে শত ক্ষয় মাঝেও হবে না কোনও ক্ষতি, পাবে না কখনো কোনও ভয়। আর লয়? জেনো লয় হবে আনন্দময়!

সুখ দুঃখ?
যদি হৃদমাঝারে থাকে দয়াল তবে সুখের বর্ম দিয়ে ঘেরা থাকে সে হৃদয় আর শত দুঃখবোমাও ভাঙতে পারে না সে সুখের কঠিন দেওয়াল!

উপলব্ধিঃ যে সয় সে রয় আর যে রয় সে হয়।

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৃষ্ট সৎসঙ্গ- এর প্রধান আচার্যদেব পরম পূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দাকে জিজ্ঞেস করা হ'লো,
শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণী, "অন্যায়কে সহ্য ক’রতে চেষ্টা কর, প্রতিরোধ ক’রো না, শীঘ্রই পরম মঙ্গলের অধিকারী হবে” ---এ-কথার অর্থ কী ?

শ্রীশ্রীবড়দা বললেন, তোমার প্রতি কেউ অন্যায় করলে তা সহ্য কর। আমি তাই ক’রে থাকি, কিন্তু অপরের ক্ষেত্রে কেউ অন্যায় করলে তা প্রতিরোধ করতেই হবে । ‘সত্যানুসরণ’ কার জন্য ? যে পড়ছে তার জন্য । নিজের প্রতি অন্যায় সহ্য করা দুর্বলতার লক্ষণ নয় । এটা সবল হৃদয়ের লক্ষণ । কথায় বলে, ‘যে সয় সে রয়’ । কিন্তু একটা পিপীলিকা বা পশুপক্ষীর উপরও কেউ আক্রমণ ক’রলে সেখানে রুখে দাঁড়াতে হবে---তা’ না করাই দুর্বলতা, ভীরুতা । হিংসাকে হিংসা দ্বারা প্রতিরোধ কর । হিংসাকে হিংসা কর---হিংসাভাবকে দূর কর ।

শ্রীশ্রীঠাকুর দেহ ত্যাগ করার আগে ও পরে শ্রীশ্রীবড়দার উপর কত অন্যায় যে করা হয়েছে, কত হিংসা করা হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। আজকের যে সমস্ত বিশ্বজুড়ে সৎসঙ্গের সূর্য মাথার উপর জ্বলজ্বল ক'রে জ্বলছে আর তার রশ্মি ছড়িয়ে পড়েছে দিক থেকে দিগন্তে, আলোয় আলোকিত হ'য়ে উঠেছে স্বর্গ, মর্ত, পাতাল এই সৎসঙ্গকে বুক দিয়ে আগলে রেখেছিলেন কে? ঠাকুরের দেহ ত্যাগের পর চরম অপমান, লাঞ্ছনা, গঞ্জনা, অপবাদ, অশ্রদ্ধাকে দিনের পর দিন সহ্য ক'রে চোখের মণির মত কে রক্ষা করেছিলেন ঠাকুরের স্বপ্নের সৎসঙ্গকে!? এই দুঃখ, কষ্ট, জ্বালা, যন্ত্রণাকে বুকের গভীরে পাথর চাপা দিয়ে রেখেছিলেন সৎসঙ্গ জগতের সকলের আদরের, শ্রদ্ধার, ভালোবাসার মানুষ শ্রীশ্রীবড়দা, কাউকেই বুঝতে দেননি তিনি পাহাড় প্রমাণ এই কষ্ট, যন্ত্রণা, অপমান, অশ্রদ্ধা! নীরবে সহ্য করেছেন অন্যায়, অত্যাচার! আর প্রাণ দিয়ে, সমস্ত জীবন নিংড়ে দিয়ে সেদিন রক্ষা করেছিলেন ঠাকুরের বড় সাধের 'সৎসঙ্গ' কে! কাউকে কিছু বলেননি, কোনও উত্তর দেননি; শুধু মুখ বুঝে লক্ষ্যে অবিচল থেকে ঠাকুরের দেওয়া কাজ, দায়িত্ব পালন ক'রে গেছিলেন! বোঝে সে, প্রাণ বোঝে যার!!!!! আজ সব ইতিহাস। শুধু সেই ট্রাডিশান সমানে বয়ে চলেছে তাঁর আত্মজদের মধ্যে আর সমস্ত কুৎসিত সমালোচনা, নিন্দা, গালাগালি মাথায় নিয়ে সৎসঙ্গকে আগলে রেখেছেন দুই বলিষ্ঠ কঠিন হাতে পরম স্নেহে, ভালোবাসায় বর্তমান আচার্যদেব পূজ্যপাদ শ্রীশ্রীদাদা, শ্রীশ্রীবাবাইদাদা ও শ্রীশ্রীঅবিনদাদা ও ঠাকুরবাড়ির অন্যান্য সদস্যরা!!!!!!!!

আর, পরমপূজ্যপাদ প্রধান আচার্যদেব শ্রীশ্রীবড়দার উপলব্ধি হ'লো তিনি বললেন,
হনুমানের জীবনে আমরা কি দেখি ? ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠার জন্য হনুমানের অসাধ্য কিছুই ছিল না । ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠা হচ্ছে কি না এটাই ছিল তার একমাত্র বিচারের বিষয়, অন্য কোন বিচার নয় । কিন্তু এখানে একটা কথা থেকে যায় । ইষ্টের প্রতি প্রকৃত ভালবাসা না থাকলে ‘ইষ্টস্বার্থ কি’ তা ঠিক বোঝা যায় না । তা’ ঠিক বোঝা না গেলে, ইষ্টের প্রতি প্রকৃত ভালবাসা না থাকলে নিজের প্রবৃত্তি-মাফিক ইষ্টপূজা চলতে থাকে । তখন শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণীর বিকৃত ব্যাখ্যা হ’তে থাকে। (ইষ্টপ্রসঙ্গে)।

আর আমাদের তাই শ্রীশ্রীআচার্যদেবকে অনুসরণ ক'রে চলা উচিৎ আর তাই শেখা ও করা উচিৎ। আমরা সৎসঙ্গিরা কি তাই করছি? প্রতিনিয়তই আমরা দেখতে পাচ্ছি ও শুনতে পাচ্ছি  ফেসবুকে ও সৎসঙ্গে শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণীর বিকৃত ব্যাখ্যা।
( লেখা ৪ই নভেম্বর'২০২০)

উপলব্ধিঃ করোনায় আক্রান্ত কিছু প্রিয়জনের উদ্দেশ্যে-------

করোনা নিয়ে এত ভয় পাওয়ার কিছু নেই। করোনা ইনফ্লুয়েঞ্জার এডভান্সড স্টেজ। মনকে শক্ত করুন। ডাক্তারের নির্দেশমত ওষুধ খান আর সদাচার মেনে চলুন। দেখবেন দু'সপ্তাহ পরে আবার সব নর্মাল হ'য়ে যাবে। মাইন্ড সেট আপ চেঞ্জ করুন। বি পজিটিভ, ডু পজিটিভ এন্ড দেন হ্যাভ পজেটিভ। সত্যি সত্যিই মনে করুন এটা কিছু নয়। এটা কিউরেবল ডিজিজ। একটা ভয়ের মেঘ গোটা পৃথিবীকে ঢেকে ফেলেছে। পৃথিবী জুড়ে এই জ্বর হয়েছে ব'লে মানুষ এত ভয় পেয়েছে; যে ভয় ক্যান্সার, এইডস ইত্যাদি মারণ রোগে মানুষ পায়নি। দেশে দেশে নেতৃবৃন্দ এইসব মারণ রোগের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে সোচ্চার হয়নি। অনেক মানুষ একসঙ্গে আজ এফেক্টেড আর তাই একটা মৃত্যুভয় মানুষকে গ্রাস করেছে। এটাও স্বাভাবিক। আপনাকে এই স্বাভাবিক অবস্থাকে বুঝতে হবে আর অস্বাভাবিক মানসিক শক্তির অধিকারী হ'তে হবে আর তখনই দেখবেন ঈশ্বরের আশীর্বাদ নেবে আসছে মাথার ওপর বৃষ্টির মত। ডোন্ট ওয়ারি, বি হ্যাপি। আপনি সেরে গ্যাছেন।
( ৪ই নভেম্বর'২০২০)

উপলব্ধিঃ মাইন্ড সেট আপ চেঞ্জ করুন।

হিন্দু সেজে মন্দিরে ঢুকে নামাজ পাঠ আর তার বদলায় মসজিদে ঢুকে হনুমান চল্লিশা পাঠ এরা কি প্রকৃত মুসলমান ও হিন্দু?
প্রকৃত ঈশ্বরপ্রেমী? হিন্দু সেজে লুকিয়ে মন্দিরে নামাজ পাঠ করতে যাবে কেন? কোন উদ্দেশ্যে? এরা কি সত্যি রসূল ভক্ত!? সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার এই ঘৃণ্য চক্রান্ত কেন? কেনই বা পাল্টা মসজিদে হনুমান চল্লিশা পাঠ? এরা কি সত্যি রামভক্ত হনুমানের পূজারী!?
কেন এমন হবে?

দেশে কি প্রকৃত ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও ধর্মপ্রাণ হিন্দু নেই!? কবে দেশের সাধারণ মানুষের প্রকৃত ধর্মবোধ জাগবে? ধর্ম ও প্রেরিতদের নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভেদাভেদ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কবে সচেতন প্রকৃত ধর্মপ্রাণ ঈশ্বরে নিবেদিতপ্রাণ মানুষ সোচ্চার হবে? কবে সম্প্রদায় নির্বিশেষে মানুষকে বোঝাবে এরা যে প্রেরিতদের মধ্যে কোনও ভেদ নেই। প্রেরিতরা নিরাকার ঈশ্বরের সাকার রূপ। প্রেরিতরা সবাই একজনই বারবার এসেছেন মানুষকে প্রকৃত বাঁচাবাড়ার পথ দেখাতে। তাঁদের মধ্যে কোনও ভেদ, কোনও ভিন্নতা নেই। যখন যেখানে তিনি নামার মত পরিবেশ পান সেখানেই তিনি নেবে আসেন। এই নিয়ে প্রকৃত প্রেরিত প্রেমীদের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই। সবাই আমরা এঁকেরই অনুগামী। প্রেরিতরা যুগে যুগে ভিন্ন ভিন্ন রূপে এলেও সেই রাম, সেই কৃষ্ণ, সেই বুদ্ধ, যীশু, মোহাম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ ও সর্বশেষ শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র একই ব্যক্তি যিনি ঈশ্বর, আল্লা, গড ইত্যাদি যে নামেই ডাকা হ'ক না কেন সেই নিরাকারের জীবন্ত রক্তমাংসসংকুল সাকার রূপ! আমরা পৃথিবীর ৭০০ কোটি মানুষ সবাই তাঁর সন্তান!

কবে বুঝবো এই সহজ সরল কথা!? কবে বোঝাবে সমস্ত ধর্মের ধর্মপ্রাণ মানুষ তাদের তাদের সম্প্রদায়ের ধর্মপ্রাণ মানুষকে এই সহজ সরল কথা!?

কেন মন্দির, মসজিদ, গির্জা ইত্যাদি ঈশ্বরের আবাস স্থলে প্রেরিত রূপে আসা জীবন্ত ঈশ্বরের আরাধনা করা, নাম করা, ধ্যান করা যাবে না তা সে যে ধর্মের, যে সম্প্রদায়ের, যে প্রেরিতের অনুগামী হ'ক না কেন!? কেন লুকিয়ে বদ উদ্দেশ্য নিয়ে বা বদলা নেওয়ার মানসিকতায় অন্য সম্প্রদায়ের আরাধনা স্থলে আল্লা বা ঈশ্বর আরাধনার নাটক কেন?
কেন!? কেন!? কেন!? কেউ কি বুঝিয়ে দেবেন।
( ৪ই নভেম্বর'২০২০)

Saturday, November 2, 2024

উপলব্ধিঃ মা কালি

OM KALI KALI MAHAKALI KALIKE PAPAHARINI, DHARMARTHA MOKSADE DEVI NARAYANI NAMO-STUTE.

OM GODDESS WHO TAKES AWAY DARKNESS, GODDESS WHO TAKES AWAY DARKNESS, GREAT GODDESS WHO TAKES AWAY DARKNESS, BELOVED GODDESS WHO TAKES AWAY DARKNESS, WHO TAKES AWAY ALL SIN, GIVE THE WAY OF PEACE AND HARMONY, THE NECESSITIES FOR PHYSICAL SUSTENANCE AND LIBERATION. OTHERWISE KNOWN AS SELF REALIZATION. OH GODDESS , EXPOSER OF CONSCIOUSNESS, WE BOW TO YOU.
( লেখা ৩রা নভেম্বর'২০১৩)

বিচিত্রা ৩৫

আমার প্রিয়জন।
বর্তমান কঠিন, ভবিষ্যত ভয়ঙ্কর! যা শুধরে নেবার শুধরে নাও নিজেকে এখনি। যদি ভবিষ্যত দেখতে চাও সুন্দর পজিটিভ পরিবেশ তৈরী করো গৃহে। এখনো সময় আছে, যদি বাঁচতে চাও ও বাঁচাতে চাও পরিবারকে তবে দয়ালের রঙে রাঙাও নিজেকে। চরণপূজা নয়, তাঁর চলনপূজায় মাতাল হ'ক পরাণ।

আমার প্রিয়জন।
অন্তত তোমরা ঠাকুরের বিষয়ে কপট হ'য়ো না। আর সাদা পোষাক ও কাঁধে কালো ব্যাগ ঝুলিয়ে কপট সৎসঙ্গী সেজো না, সৎসঙ্গী হওয়ার চেষ্টা ক'রো।

আমার প্রিয়জন।
সাবধান! মনে রেখো ঠাকুরের নিজের হাতে তৈরী 'সৎসঙ্গ" প্রতিষ্ঠান। তাই মূল স্রোত থেকে কখনও কোনও অবস্থায় স'রে যেও না। স'রে গিয়ে খালে, বিলে আটকে যেও না। দম বন্ধ হ'য়ে হাঁসফাঁস ক'রে মারা পড়বে। দয়াল ঠাকুরই তোমার এক ও একমাত্র আরাধ্য, ধ্যেয় আর কেউ নন। আচার্য হ'লেন তাঁরই জীবন্ত প্রতিভু, তাঁরই পতাকাবাহী, তাঁর ধামে নিয়ে যাবার এক ও একমাত্র নিখুঁত পথপ্রদর্শক। নকল 'সৎসঙ্গ' থেকে সাবধান! নকল থেকে আসলেতে মনটা মজাও।

আমার প্রিয়জন।

তোমার প্রিয়জন সম্পর্কে সাবধান হও, সতর্ক হও, মনোযোগী হও। জীবন বিধ্বংসী যা কিছু সব চুপিসারে নানাভাবে ঢুকে পড়েছে তোমার ঘরে তোমার প্রিয়জনকে, সন্তানকে ছোবল মারবে ব'লে। বাঁচাতে তুমি পারবে না। কেউ বাঁচাতে পারবে না। ঘরে বাইরে সব সবাই বিষে জর্জরিত, নীল! নিজে যদি মরতে চাও মরো। কিন্তু নিজের সন্তানকে যদি ভালোবেসে থাকো তাহ'লে তাকে দয়ালের চরণতলে বসিয়ে যাও। গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, মরেও শান্তি পাবে।
( লেখা ৩রা নভেম্বর'২০২২)

















উপলব্ধিঃ ‘কালী করালবদনা বিনিষ্ক্রান্তা সিপাশিনী’।

 


চন্ডাশুর বধের সময় মা দুর্গার মুখ ক্রোধে কৃষ্ণবর্ণ হ’য়ে উঠলে মায়ের ললাট থেকে করালবদনা, অসিপাশযুক্তা মা কালী আবির্ভূতা হন। মা কালী মা দুর্গারই অপর এক রুপ। সে রুপ অসৎ বিনাশার্থে ‘জিহবা-ললনভীষণা’ ভয়ঙ্করী শ্যামা। মায়ের আগমনে ফিরে আসুক ধরণীর শান্তি-স্বস্তি। জীবের নিথরতা অপসারিত হ’য়ে সঞ্চারিত হ’ক জীবনে সাত্বত গতিবেগ।

Friday, November 1, 2024

বিচিত্রা ৩৪

শ্রদ্ধা তোমার নেইকো মনে
তুমি কেমনতর মানুষ!
বেলুনের পিছনে লাগিয়ে আগুন
যেমন উড়িয়ে দেওয়া ফানুশ।

শান্তি যদি পেতে চাও
গালমন্দ ক'রে যাও।
সুখ পেতে চাও যদি
অশ্রদ্ধাকে করো সাথী।।

গালাগালির অভিধান খুলে
বন্ধু করছো গালমন্দ;
নিজের পায়ে নিজে মারছো কুড়ুল
হারিয়ে জীবন ছন্দ।

বোধ নেই বুদ্ধি নেই বাকি কি অবশিষ্টাংশ?
হাড় নেই গোড় নেই যেন একতাল মাংস!
এমন মানুষ নেতা!?

এখন বুঝতে পারি পরমপিতার বুকের ব্যাথা!
বুঝতে পারি মানুষ তৈরির মূলকথা!!

এক বুক গরল নিয়ে কি আর 
অমৃত বৃক্ষ গজানো যায়!? 
অম্ল ঢেঁকুর তুলে তুলে 
শরীর যে জ্বলে যায়!!

গালাগালি-কুৎসা ক'রে 
হয়তো বুকের জ্বালা মেটে
কিন্তু তা সাময়িক, আবার জ্বালা!
বুক যে জ্বলে যায় সেই কুৎসার আগুনে,
তা জানো কি?
( লেখা ১লা নভেম্বর' ২০১৭/২০১৯)














উপলব্ধি ৫৩

এইজন্য কে বা কারা দায়ী? শুধু কি মুসলিম ইতিহাস? এছাড়া আমরা অন্য কোনও ইতিহাস শিখিনি? আমাদের শেখানো হয়নি বিপ্লবের নামে অন্য বহিরাগতদের ইতিহাস? মার্ক্স, এঙ্গেলস, লেনিন, মাও সেতুং, গুয়েভারা ইত্যাদি ইত্যাদি!? কোনও কিছু ছুড়ে ফেলে দেওয়া নয়, নয় কোনও কিছু ত্যাগ। জীবনে ত্যাগ বা ফেলে দেওয়া ব'লে কিছু নেই আছে শুধু গ্রহণ আর গ্রহণ। শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের কাছে শিখেছি, "মল, মূত্র আর বায়ু ছাড়া জীবনে ত্যাগ ব'লে কিছুই নেই, আছে শুধু গ্রহণ আর ভোগ। আর ত্যাগ মানে ঠাকুর বললেন, ভোগের বস্তু নিকটে রাখিয়া ত্যাগের নামই তাগ।" তাই আসুন জীবনে সব কিছুই যা কিছু বেচে থাকা ও বেড়ে ওঠার প্রয়োজন তাই গ্রহণ করুন। কোনও কিছুই ফেলে দেবার নয়। মানসিকতা থাকুক, ঠাকুর বলতেন, "আমার মা বলতেন, যেদিকে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখো তাই পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন।"

প্রবন্ধঃ দর্শন তত্ত্ব।

আজ ফেসবুকে Istaranjan Deb-এর একটা লেখা পড়লাম। ভালো লাগলো। সঙ্গে মনে প্রশ্ন জাগলো। তারপর কমেন্ট করলাম। ভাবলাম শেয়ার করব। কিন্তু শেয়ার অপশান না থাকায় শেয়ার করতে পারলাম না। সেই লেখার বিষয় হ'লো যারা মাছ মাংস খায় তারা যদি জ্যান্ত প্রাণীর প্রথম অবস্থা থেকে ছাল চামড় তুলে ফেলে কেটে টুকরো টুকরো ক'রে একেবারে রান্না করা পর্যন্ত বিষয়টা দেখে তাহ'লে তিনি চ্যালেঞ্জ করছেন সেই ব্যক্তি আমিষ খাওয়া ছেড়ে দেবে। লেখক Istaranjan Deb আমার গুরুভাই। গুরুভাইয়ের চ্যালেঞ্জ আমাকে ভালো লাগার সাথে সাথে ভাবালো। খুব ভালো লাগলো আমাকে ভাবাতে পারার জন্য। গুরুভাই লেখককে ধন্যবাদ। মূল লেখাটা লেখকের টাইম লাইনে গিয়ে পড়ার জন্য পাঠকদের প্রতি রইলো আমার একান্ত অনুরোধ।

বিষয়টা পড়তে ভালো লাগলো। কিন্তু ভাবলাম বাস্তব কি বলে? বাস্তব কি তাই-ই বলে বা সমর্থন করে? লেখকের তাঁর লেখার স্বপক্ষে নেওয়া চ্যালেঞ্জ কি বাস্তবে সফল হবে? এমন সমস্ত প্রশ্ন মনকে ভাবিয়ে তুললো। তাই মনকে ভাবনার সাগরে ভাসিয়ে দিলাম, করলাম রোমন্থন। অমৃত বা গরল যা উঠে এলো তাই শেয়ার করছি এবার। গ্রহণ বর্জন আপনাদের ব্যক্তিগত।


যাই হ'ক আবার বলছি লেখাটা ভালো লাগলো। কথাটা ভেবে দেখার মতো।


কিন্তু প্রতিদিন বাজারে, রাস্তার ওপরে প্রকাশ্যে যে জ্যান্ত মাছ, মুরগী, পাঁঠা, গরু কাটা হয় সেগুলি জ্যান্ত থেকে একেবারে ছাল চামড়া উপড়ে ফেলে দিয়ে টুকরো টূকরো ক'রে প্যাকেটে ভরে তবেই তো নিয়ে আসে মানুষ একেবারে সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেই! তাই তো? খাঁচার ভিতর গাদা গাদা ক'রে রাখা মুরগীর ভিতর থেকে একটাকে টেনে বের ক'রে নিয়ে আসে। আর একটানে বের করার সময় খাঁচার তারের গায়ে লেগে গায়ের ছাল চামড়া উঠে আসে মুরগীর তারপর তা কাঁটা হয় প্রকাশ্যে তাও তো দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই দেখে মানুষ। সাইকেলের ক্যারিয়ারের দু'পাশে ঝুলিয়ে একসাথে অনেক মুরগীতে বেঁধে যখন নিয়ে যায় বা আসে, কখনও কখনও ঝুলে থাকা মুরগীর মাথা সাইকেলের স্পোকের মধ্যে পেঁচিয়ে গিয়ে মারা যাওয়া এইসমস্ত যন্ত্রণাদায়ক দৃশ্য তো পথচলতি মানুষ কিংবা মাংসের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ দেখতে পায় প্রতিদিন প্রতিনিয়ত আর তারপরেও মাংস কিনে নিয়ে যায় দোকান থেকে হাসিমুখে। জ্যান্ত মাছকে খচাখচ পাখনা কেটে জ্যান্ত অবস্থায় গায়ের আঁশ ছাড়িয়ে নিয়ে তারপর গলা কেটে টুকরো টুকরো ক'রে প্যাকেটে ভরে নিয়ে আসে বাজার থেকে মানুষ সামনে দাঁড়িয়ে থেকেই প্রথম থেকে শেষ অব্দি দেখতে দেখতে। পাঁঠাগুলি কেটে ছাল চামড়া ছাড়িয়ে প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখে প্রকাশ্য দিবালোকে আর সেখান থেকে লাইন ধ'রে মানুষ দাঁড়িয়ে থেকেই হাত পা শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে টুকরো টুকরো ক'রে নিয়ে যায় মানুষ বিন্দাস মনের আনন্দে সেই দৃশ্য উপভোগ করতে করতে ছুটির দিনে দুপুরে ভোজের কথা ভেবেই। প্রকাশ্যে রাস্তার ওপরে এবং পার্বনের সময় বিরাট বড় বড় পশুগুলোকে সামনে পিছনে পা বেঁধে নালী কেটে ফেলে রাখে আর রক্তের নদী ব'য়ে যায় তারপর মহানন্দে দোকানী কিংবা পার্বণের সময় সেই বিরাট পশুর বিরাট মাথা প্রকাশ্যে পথচলতি মানুষের সামনে কেটে ছাল ছাড়িয়ে যখন টুকরো টুকরো ক'রে কাটে আর তা দেখে বাচ্চা থেকে বুড়ো সবাই তখন আনন্দ উপভোগ করে। এইভাবে বছরের পর বছর, বছরের পর বছর চলে আসছে মনুষ্য সমাজে। কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে কি যারা সেইসব দৃশ্য দেখে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাড়িয়ে তাড়িয়ে তাদের মধ্যে? কেউ কোন আজ পর্যন্ত দাবী তুলেছে কি প্রকাশ্যে কোন রকম জীব হত্যা বা দৃষ্টিকটুভাবে সেই নৃশংসতার বিজ্ঞাপন বন্ধ হ'ক বা প্রকাশ্য স্থান থেকে সরিয়ে ফেলা হ'ক? হয়নি।


আর, এছাড়া ইউ টিউবে এখন বাচ্চা বুড়ো সবাই দেখতে পায় কতরকম নৃশংস উপায়ে জীব হত্যা করা হয় উদোর পূরণের জন্য। যা বাচ্চারা আগে দেখতে পেত না সেই নির্ম্মম দৃশ্য তারা তাদের শিশু বয়সেই দেখতে পায় আর তাদের সুকুমার অর্থাৎ অতিশয় কোমল মনের উপর কি প্রভাব পড়ে ও তার পরিণতি কি তা সহজেই অনুমেয়।
আবার যখন মানুষ টোপের সাহায্যে মাছকে বোকা বানিয়ে পুকুরে নদীতে বড়শিতে গেঁথে নেয় তখন ঐ মাছের বড়শিতে গাঁথা অবস্থায় যন্ত্রণা মহানন্দে উপভোগ করে মানুষ। এমনকি সেই মাছটিকে বড়শি থেকে আলাদা করার সময় এক টানে তার ঠোঁট টেনে ছিঁড়ে নেয় এবং জালের সাহায্যে ধরা মাছগুলোকে রেখে দেয় জলহীন পাত্রে বা ব্যাগে। তখন মানুষের বোধের ঘরে কি কোনও ঘা মারে ঐ যন্ত্রণাদায়ক দৃশ্য? আনন্দে মাতোয়ারা হ'য়ে থাকে বিশ্ববিজয়ের মতো। তাই সবটাই অরণ্যে রোদন।


তবে হ্যাঁ এটাও সত্য এমন অনেক মানুষ যারা মাছ মাংস খায় কিন্তু ঐ হত্যা বা টুকরো টুকরো ক'রে পিস পিস ক'রে কাটা বা জীবের শরীরের অংশকে থেঁতলে কিমা বানানো দেখতে পারে না।


এইসমস্ত গভীর অনুভূতির ব্যাপার, বোধের ব্যাপার। যেমনটা ঠাকুরের হয়েছিল নৌকোর ওপর জেলেদের নদী থেকে ধরা জালের মধ্যে ও নৌকোর মধ্যে ছটফট করতে থাকা মাছগুলোকে দেখে এবং নদীতে মাছগুলোকে ছেড়ে দেবার জন্য জেলেদের পায়ে ধ'রে কাঁদার ব্যাপারটা। আর তাই দেখে জেলেরা বলেছিল, দু'পয়সা দিলে সব মাছ নদীতে ছেড়ে দেবে। আর তাই ঠাকুর ছুটে গিয়েছিলে মায়ের কাছে আর কেঁদে পড়েছিল দু'পয়সা দেবার জন্য। আর সেই পয়সা এনে জেলেদের দিলে জেলেরা যখন মাছগুলোকে নদীতে ছেড়ে দিয়েছিল সেই ছাড়া মাছগুলোকে জলের মধ্যে কিলবিল করতে করতে চলে যাওয়া দেখে বালক অনুকূল আনন্দে নেচে উঠেছিল, দু'চোখ ভ'রে গিয়েছিল আনন্দাশ্রুতে। এই হ'লো একাত্মবোধের নমুনা।
তাই, এই বোধ শুধু ঐ দর্শন তত্ত্ব দিয়ে সম্ভব নয় জাগ্রত করার। সৃষ্টির কর্তার ওপর সারেন্ডার না হ'লে এই বোধ জাগ্রত হয় না। আর সারেন্ডার মানে সারেন্ডার। যা হয়েছিল হনুমানের, প্রহ্লাদের ইত্যাদির। বাকী সব বকোয়াস।
( লেখা ১লা নভেম্বর'২০২৩)