কি আর করা যাবে বন্ধু। ভালোবেসে কিই বা আর দিতে পারি বা করতে পারি? আমার ক্ষমতাই বা কতটুকু। তবুও পাশে আছি বন্ধু। শুধু এটুকু বলতে পারি, পদক্ষেপ যখন ভুল হয়েই গেছে, ফিরে আসা যদি আর নাই হয় তখন মাঝপথে ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে কি লাভ আর কি লাভ মাঝপথে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে? এগিয়ে যাও। পিছন ফিরে আর তাকিয়ো না বন্ধু। কথায় আছে, ‘ভাবিয়া করিয়ো কাজ, করিয়া ভাবিয়ো না’। ভেবে যখন কাজ করা হয়নি তখন ভুল ক'রে ফেলার পর আর সেই ভুল ভেবে ভেবে ক্লান্ত, হতাশ, আর বিধস্ত না হ'য়ে একবার আকাশের দিকে মুখ তুলে বুক ফাটো ফাটো ক'রে ‘হে ঈশ্বর ক্ষমা করো, বাড়িয়ে দাও তোমার হাত, আর আমায় গ্রহণ করো’ ব'লে দু'হাত বাড়িয়ে দাও তাঁর দিকে আর গভীর বিশ্বাসে শেষবারের মত উঠে দাঁড়াও শরীরে-মনে সর্ব্বশক্তি নিয়ে তাঁকে জীবনে গ্রহণ করার জন্য। তারপর গভীর বিশ্বাসে ঐ দশদিক ঘেরা মোহের ইন্দ্রজালকে ছিঁড়ে ফেল দু'হাত দিয়ে একটানে এক নিশ্বাসে আর এগিয়ে যাও তাঁর নামে ধ্বনি দিতে দিতে সামনের দিকেই। দেখবে সামনের ঐ নরকের পথ তাঁর নামের ইন্দ্রজালে অদৃশ্য হ'য়ে স্বর্গের পথ খুলে গেছে, সামনের ঘোর অন্ধকার কেটে গিয়ে ফুটে উঠেছে ভোরের নরম স্নিগ্ধ আলো কোন জাদুবলে আর সামনের নিশ্চিত শ্মশান ঢেকে গেছে স্বর্গের পারিজাত গাছের ফুলে ফুলে!!!!!!!!!!!!!!!
বন্ধু, পথের আর কি দোষ? কোন দোষ নেই, একথা ঠিক, যেমন ঠিক 'পদক্ষেপ ভুল'। শুধু সাবধান ক'রে দিই বন্ধু, তাঁর দয়ায় নিশ্চিত মৃত্যুকে জয় ক'রে আবার দ্বিতীয়বার যেন ঐ ভুল পথ, সর্বনাশা পথ হাতছানি দিয়ে ডেকে নিয়ে না যায়; আর যেন পদক্ষেপ ভুল না হয়! পথ পথের কাজ করবেই, তুমি তোমার কাজ কোরো বন্ধু। সেখানে যেন কোনো ভুল না হয় আর। এই প্রসঙ্গে The greatest phenomenon of the world Sri Sri Thakur Anukul Chandra-এর একটা কথা মনে পড়ে গেল:
“অনুতাপ কর; কিন্তু স্মরণ রেখো যেন পুনরায় অনুতপ্ত হ’তে না হয়। যখনই তোমার কুকর্ম্মের জন্য তুমি অনুতপ্ত হবে, তখনই পরমপিতা তোমাকে ক্ষমা করবেন; আর, ক্ষমা হ’লেই বুঝতে পারবে, তোমার হৃদয়ে পবিত্র সান্ত্বনা আসছে; আর, তা’ হ’লেই তুমি বিনীত, শান্ত ও আনন্দিত হবে। যে অনুতপ্ত হ’য়েও পুনরায় সেই প্রকার দুষ্কর্মে রত হয়, বুঝতে হবে সে সত্বরই অত্যন্ত দুর্গতিতে পতিত হবে। শুধু মুখে-মুখে অনুতাপ অনুতাপই নয়, ও আরও অন্তরে অনুতাপ আসার অন্তরায়। প্রকৃত অনুতাপ এলে তার সমস্ত লক্ষনই অল্পবিস্তর প্রকাশ পায়”।
( লেখা ৩০শে নভেম্বর'২০১৫)
Saturday, November 30, 2024
Friday, November 29, 2024
প্রবন্ধঃ আলোচনা বা সমালোচনা
দেশের সমস্ত প্রথম সারির ব্যক্তিত্বদের নিয়েই কারণে-অকারণে, নিরপেক্ষ বা পক্ষপাতিত্যে আলোচনা বা সমালোচনা হয়েই চলেছে। আর এই চলা আবহমানকাল ধ’রে। দেশের প্রথম সারির নেতা, অভিনেতা, কবি, শিল্পী, গায়ক, বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, আইনজীবী ইত্যাদি সম্মানীয় ব্যক্তিত্বদের বিশ্বাসযোগ্যতা আজ প্রশ্নের মুখে! বিশ্বাস আজ নিঃশ্বাস হারিয়ে শববাহকের কাঁধে আসীন। আর জেনে বুঝেই কিছু মানুষ এই সমস্ত ব্যক্তিত্বদের নিয়ে বিতর্কিত বা অন্যায় জেনেও প্রশংসাসূচক মন্তব্যে ব্যস্ত থাকে আর সেটা তাদের প্রচারে আসার কৌশল কিম্বা তাদের দয়া, কৃপার প্রতিদান। আর তাদের সেই কৌশল বা প্রতিদান নিভে যাবার আগে দপ করে জ্বলে ওঠার মত সাময়িক ব্যাপার মাত্র। সেদিকে তাকিয়ে সময় নষ্ট করার মত পর্যাপ্ত সময় সিরিয়াস আলোচকদের নেই। এর পরেও অজান্তে যদি সময় কিছু থেকে থাকে আলোচকদের, সময়ের স্রোতে জীবনের অভিজ্ঞতায় তাও তাদের ঝরে যাবে একদিন এ বিশ্বাস আমার আছে।
দেশ জুড়ে ঘটে চলা নানা ঘটনাবলী সম্পর্কে কেউ কেউ জনগণের ওপর সম্পুর্ণ দোষ চাপিয়ে দেয়। আর তা জেনে বুঝেই হোক বা না জেনেই হোক কিম্বা কৌশলেই ক’রে থাকে। একথা ঠিক যে জনগণ যদি সতর্ক থাকতো, জেগে না ঘুমাতো, চোখ কান খোলা রাখতো, যে যা বলছে তা যদি বোধবুদ্ধি দিয়ে বিচার করতো, নিজের বিবেককে যদি অনুসরণ করতো তাহ’লে জনগণের ওপর দোষ চাপাবার সুযোগ বোধকরি সুযোগসন্ধানী কৌশলী মানুষ বা জনগণের ওপর ক্ষিপ্ত অভিমানী মানুষ পেত না।
যাই হোক এই সমস্ত কৌশলী বা অভিমানী মানুষ দেশের নানাবিধ বিতর্কিত অসাধু ঘটনার সঙ্গে জড়িত নেতাদের থেকেও বেশী দোষ দিয়েছেন জনগণের ওপর। এখন প্রশ্ন, আচ্ছা বলুনতো আপনি আমি কার কাছে কি আশা করেন বা করি? উদাহরণ স্বরুপ পশ্চিমবঙ্গে ৩৪বছরের একটানা বাম শাসনের যে ইতি হ’ল, পরিবর্তন হ’ল একটানা একটা ব্যবস্থার তার দাবীদার কে? জনগণ না-কি নেতৃত্ব? এই যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনাকে কেন্দ্র ক’রে ‘হোক কলরব’-এর জন্ম হ’ল এবং উপাচার্যের পদত্যাগের দাবীতে গণভোটের আয়োজন করা হ’ল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সমস্ত বিষয় সংঘটিত করার মূল কারিগর কে? যাদবপুরের ছাত্রবৃন্দ না-কি ছাত্র নেতৃত্ব? আবার যাদবপুরের ছাত্র আন্দোলনের প্রতিবাদে সংগঠিত ছাত্র আন্দোলনের জনক কে ছিল? প্রতিবাদী ছাত্র সমাজ না-কি নেতৃত্ব? এই যে সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে মিছিল পাল্টা মিছিলে অংশগ্রহণকারী মানুষের জমায়েতের পিছনে কার অবদান বেশী বা কম? অংশগ্রহণকারী সাধারণ বোকা বা লোভী মানুষ, বুদ্ধিজীবী নামধারী অদ্ভুত জীব নাকি মুশকিল আসান করে ওগো নেতৃত্ব!?
আসলে ভাঙাচোরা জীবনের অধিকারী বিক্ষিপ্ত জনগণ সবসময় পরিস্থিতির মুখাপেক্ষী। দেখুন পাঠক, শ্রোতা, দর্শক, কর্মী ইত্যাদি তৈরী করার দায়িত্ব কিন্তু লেখক, গায়ক, শিল্পী, পরিচালক ও নেতাদের। মাথা, কান, চোখ, মুখ সবার তৈরী থাকে না। ওটা জন্মগত ও ব্যতিক্রম। আর এই জন্মগত ও ব্যতিক্রমী প্রতিভা বা শক্তি নিয়ে যারা জন্মায় তারাই অনুকূল পরিবেশ তৈরী করে এবং সেই অনুকূল পরিবেশ বাকী সবার মাথা, কান, চোখ খুলে দিয়ে পাঠক, শ্রোতা, দর্শক, কর্মী ইত্যাদি তৈরী করে। যদিও এখন কার্বাইডের যুগ, গাছ পাকা আম জামের স্বাদ পাওয়া এখন দূর অস্ত! দই-এর স্বাদ এখন ঘোলে মেটানোর যুগ! গবেষণা এখন নেট থেকে কপি পেষ্টিং নির্ভর! বর্তমান লেখক, গায়ক, শিল্পী, পরিচালক ইত্যাদির কাছে ‘সাধনা’ এখন গরুর গাড়ীর যুগের ধারণা ও সময় নষ্টের বিষয়। অর্থ, মান, যশ ইত্যাদি লাভ এখন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সহজলভ্য বিষয়! সিনেমা, সিরিয়াল, গল্প, উপন্যাসে মুখ্য চরিত্রের নারীকে অগুন্তি পুরুষের অঙ্কশায়িনী করে তোলায় আজ সাহিত্য সৃষ্টির সেরা সময়, সিনেমা তৈরীর সেরা মুন্সিয়ানা, বুদ্ধিজীবীদের সেরা সম্পাদন, সেরা কৃতিত্ব, সেরা সম্পন্ন কাজ! পা ফাঁক করে বাহু উর্ধ্বে তুলে ভাঙ্গা গলায় উর্ধ্ব থেকে হাত কাঁপিয়ে কোমরের নীচে নাবিয়ে আনলেই এখন ক্লাসিক্যাল গানের গলার কাজ হ’য়ে যায়! এরাই এখন জিনিয়াস! মাষ্টার মাইন্ড! এদের মন্ত্রমুগ্ধের মত অনুসরণ করে ভাঙাচোরা আম জাম আদমি!
যাইহ’ক কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, লেখক, গায়ক, শিক্ষাবিদ, অভিনেতা ইত্যাদি বুদ্ধিজীবীরা যেমন সুস্থ ও বলিষ্ট সমাজ গঠনে তাদের সামাজিক গুরুদায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না ঠিক তেমনি জনগণ হ’ল কুম্ভকর্ণ! এই কুম্ভকর্ণরুপী জনগণকে জাগাতে সম্মিলিত ঢাকঢোল এর আওয়াজের যে শক্তি সেই প্রচন্ড শক্তি স্বরুপ এই সমস্ত বিভিন্ন দিকের নেতৃত্বও ঘুমিয়ে থাকা, বৃত্তি প্রবৃত্তিতে ডুবে থাকা রিপু তাড়িত জনগণকে জাগাতে তাদের দায় দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না! আর নেতৃত্বের হাতে থাকে সেই রাজকন্যার গল্পের মত দু’টো জাদুকাঠি! সোনার কাঠি ও রুপোর কাঠি! একটার স্পর্শে রাজকন্যা জেগে ওঠে আর একটার স্পর্শে ঘুমিয়ে পড়ে। সবটাই নির্ভর ক’রে ঐ জাদুকরের ওপর। কখন রাজকন্যাকে জাগাবে আবার কখন রাজকন্যাকে ঘুম পাড়িয়ে দেবে সবটাই ঐ জাদুকরের ইচ্ছা ও জাদু ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। এখানে জনগণও ঐ রাজকন্যার মতো আর নেতা হ’ল জাদুকর! যেমন ধরুন মাকড়া কান্ডে যখন গোটা রাজ্য তোলপাড়, গোটা গ্রাম যখন শশ্মানে পরিণত হয়েছে তখন বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার শাহরুখ খান মত্ত রয়েছেন সেন্ট জেভিয়ার্সের তরুণ তাজা রক্তদের নিয়ে উন্মাদনার ফোয়ারা তুলে নিজের হ্যাপি নিউ ইয়ার ফিল্মের ব্যপক ব্যবসায়িক সাফল্যের সেলিব্রেশন অনুষ্টানে। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের শহুরে আধুনিক তরুণ তাজা প্রাণ আদৌ অনুভব করলো না মাকড়া গ্রামের অকালে হারানো তরুণ তাজা প্রাণের অনুরণন! আর কলকাতায় সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ফুর্তিতে ব্যস্ত বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর শাহরুখ কিং খান!! সেন্ট জেভিয়ার্সের ছাত্র সমাজ যেমন জনগণের মধ্যে পড়ে ঠিক তেমনি শাহরুখ কিং খান ‘বাংলার অ্যাম্বাসাডর’ হিসাবে অভিভাবকের জায়গা অধিকার ক’রে আছেন। অভিভাবক হিসাবে তাঁর কর্তব্য ও দায়িত্ব আম জনগণের চেয়ে হাজার লক্ষ কোটি গুণ বেশী এ-কথা যেন আমরা ভুলে না যায় আর ভুলেও সাধারণ ভাঙাচোরা আম জনতার সঙ্গে গুলিয়ে না ফেলি!
পশ্চিমবঙ্গের বামপন্থীদের আন্দোলন, নকশাল আন্দোলন থেকে শুরু ক’রে সাম্প্রতিক পরিবর্তনের আন্দোলন, যাদবপুরের ছাত্র আন্দোলন ও প্রতিবাদী ছাত্র আন্দোলন ইত্যাদি সব আন্দোলনের জোয়ারের পিছনের রহস্য ঐ সমুদ্রের বিশাল একটা ঢেউ-এর মতো এক বা একাধিক নেতৃত্ব! এই যে সম্প্রতি লোকসভা ভোটে দেশজুড়ে একাধিক আঞ্চলিক দলের ভিড়ের মাঝেও বহুদিন পর এককভাবে কোনও দলের সরকার গঠন হ’ল কেন্দ্রে তার পিছনেও সেই জনগণকে মন্ত্রমুগ্ধ করার কারিগর একজন নেতা! পৃথিবী জুড়ে এর অসংখ্য উদাহরণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। নেতৃত্ব দেওয়ার সহজাত গুণের অধিকারী নেতাদের কাছে জনগণকে জাগানো এবং ঘুম পাড়ানো হাতের ময়লা। তাই বৃত্তি প্রবৃত্তিতে ডুবে থাকা সরল সিধাসাধা বেকুব রিপু তাড়িত ভাঙাচোরা জনগণকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো মানে নেতাদের গা বাঁচিয়ে পালিয়ে যাবার জন্য safe passage তৈরী করে দেওয়া। দেশ ভাগ করা না করার মত জটিল বিষয়, দুর্বোধ্য অংক, স্পর্শকাতর ইস্যু আম চাষার দল জানবে, বুঝবে, চিন্তা করবে এবং এই কঠিন বিষয় নিয়ে নির্ভুল পজিটিভ সিদ্ধান্ত নেবে এ যদি সত্য হ’ত; এই ক্ষমতা যদি আম জনতার থাকতো; এই বোধ, এই বুদ্ধি, এই চেতনা, এই শিক্ষা যদি দেশের জনগণের থাকতো তাহ’লে তথাকথিত জ্ঞানী পন্ডিত মহান আত্মাসম্পন্ন নেতাদের স্থান হ’ত আস্তাকুড়ে আর ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ট আসন লাভ ক’রে নিত এতদিনে!
তাই ভাঙাচোরা আয়ারাম-গয়ারাম আম জনগণের ওপর সম্পুর্ণ দোষ চাপাবার আগে, জনগণকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবার আগে যারা সাধারণ সরল সিধেসাধা বোকা আম জনতাকে, জনতার বিশ্বাস, জনতার আশা-ভরসা-নির্ভরতাকে নিয়ে পিংপং বলের মতো লোফালুফির ভেলকি বাজী দেখায় সেই কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, গায়ক, লেখক, নেতা, অভিনেতা, পরিচালকরুপী বাজিকরদের বিচার, তাদের ভবিষ্যৎ না-হয় সর্ব্বশক্তিমান বলে যদি কেউ বা কিছু থেকে থাকে তাঁর ওপরে ছেড়ে দেওয়া গেল কিন্তু যারা বোকা হাবা জনগণকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে কথার ঝিকিমিকিতে সেইসমস্ত বহুরুপী বাজিকরদের পাশ কাটিয়ে চলে যাবার সুযোগ করে দেয় তাদের জন্য বেহেস্ত ব’লে যদি কিছু থেকে থাকে তার দরজা জন্মজন্মান্তরের জন্য বন্ধ কিন্তু খোলা আছে পরবর্তী ঘৃণ্য চরম যন্ত্রণাময় ভয়ংকর অন্ধকার জীবনের অন্তহীন পথচলা! এ কথা অতি সত্য। মানা, না মানা গৌণ, যার যার নিজের ব্যাপার; একান্তই ব্যক্তিগত।
( ৩০শে নভেম্বর'২০১৪ )
দেশ জুড়ে ঘটে চলা নানা ঘটনাবলী সম্পর্কে কেউ কেউ জনগণের ওপর সম্পুর্ণ দোষ চাপিয়ে দেয়। আর তা জেনে বুঝেই হোক বা না জেনেই হোক কিম্বা কৌশলেই ক’রে থাকে। একথা ঠিক যে জনগণ যদি সতর্ক থাকতো, জেগে না ঘুমাতো, চোখ কান খোলা রাখতো, যে যা বলছে তা যদি বোধবুদ্ধি দিয়ে বিচার করতো, নিজের বিবেককে যদি অনুসরণ করতো তাহ’লে জনগণের ওপর দোষ চাপাবার সুযোগ বোধকরি সুযোগসন্ধানী কৌশলী মানুষ বা জনগণের ওপর ক্ষিপ্ত অভিমানী মানুষ পেত না।
যাই হোক এই সমস্ত কৌশলী বা অভিমানী মানুষ দেশের নানাবিধ বিতর্কিত অসাধু ঘটনার সঙ্গে জড়িত নেতাদের থেকেও বেশী দোষ দিয়েছেন জনগণের ওপর। এখন প্রশ্ন, আচ্ছা বলুনতো আপনি আমি কার কাছে কি আশা করেন বা করি? উদাহরণ স্বরুপ পশ্চিমবঙ্গে ৩৪বছরের একটানা বাম শাসনের যে ইতি হ’ল, পরিবর্তন হ’ল একটানা একটা ব্যবস্থার তার দাবীদার কে? জনগণ না-কি নেতৃত্ব? এই যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনাকে কেন্দ্র ক’রে ‘হোক কলরব’-এর জন্ম হ’ল এবং উপাচার্যের পদত্যাগের দাবীতে গণভোটের আয়োজন করা হ’ল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সমস্ত বিষয় সংঘটিত করার মূল কারিগর কে? যাদবপুরের ছাত্রবৃন্দ না-কি ছাত্র নেতৃত্ব? আবার যাদবপুরের ছাত্র আন্দোলনের প্রতিবাদে সংগঠিত ছাত্র আন্দোলনের জনক কে ছিল? প্রতিবাদী ছাত্র সমাজ না-কি নেতৃত্ব? এই যে সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে মিছিল পাল্টা মিছিলে অংশগ্রহণকারী মানুষের জমায়েতের পিছনে কার অবদান বেশী বা কম? অংশগ্রহণকারী সাধারণ বোকা বা লোভী মানুষ, বুদ্ধিজীবী নামধারী অদ্ভুত জীব নাকি মুশকিল আসান করে ওগো নেতৃত্ব!?
আসলে ভাঙাচোরা জীবনের অধিকারী বিক্ষিপ্ত জনগণ সবসময় পরিস্থিতির মুখাপেক্ষী। দেখুন পাঠক, শ্রোতা, দর্শক, কর্মী ইত্যাদি তৈরী করার দায়িত্ব কিন্তু লেখক, গায়ক, শিল্পী, পরিচালক ও নেতাদের। মাথা, কান, চোখ, মুখ সবার তৈরী থাকে না। ওটা জন্মগত ও ব্যতিক্রম। আর এই জন্মগত ও ব্যতিক্রমী প্রতিভা বা শক্তি নিয়ে যারা জন্মায় তারাই অনুকূল পরিবেশ তৈরী করে এবং সেই অনুকূল পরিবেশ বাকী সবার মাথা, কান, চোখ খুলে দিয়ে পাঠক, শ্রোতা, দর্শক, কর্মী ইত্যাদি তৈরী করে। যদিও এখন কার্বাইডের যুগ, গাছ পাকা আম জামের স্বাদ পাওয়া এখন দূর অস্ত! দই-এর স্বাদ এখন ঘোলে মেটানোর যুগ! গবেষণা এখন নেট থেকে কপি পেষ্টিং নির্ভর! বর্তমান লেখক, গায়ক, শিল্পী, পরিচালক ইত্যাদির কাছে ‘সাধনা’ এখন গরুর গাড়ীর যুগের ধারণা ও সময় নষ্টের বিষয়। অর্থ, মান, যশ ইত্যাদি লাভ এখন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সহজলভ্য বিষয়! সিনেমা, সিরিয়াল, গল্প, উপন্যাসে মুখ্য চরিত্রের নারীকে অগুন্তি পুরুষের অঙ্কশায়িনী করে তোলায় আজ সাহিত্য সৃষ্টির সেরা সময়, সিনেমা তৈরীর সেরা মুন্সিয়ানা, বুদ্ধিজীবীদের সেরা সম্পাদন, সেরা কৃতিত্ব, সেরা সম্পন্ন কাজ! পা ফাঁক করে বাহু উর্ধ্বে তুলে ভাঙ্গা গলায় উর্ধ্ব থেকে হাত কাঁপিয়ে কোমরের নীচে নাবিয়ে আনলেই এখন ক্লাসিক্যাল গানের গলার কাজ হ’য়ে যায়! এরাই এখন জিনিয়াস! মাষ্টার মাইন্ড! এদের মন্ত্রমুগ্ধের মত অনুসরণ করে ভাঙাচোরা আম জাম আদমি!
যাইহ’ক কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, লেখক, গায়ক, শিক্ষাবিদ, অভিনেতা ইত্যাদি বুদ্ধিজীবীরা যেমন সুস্থ ও বলিষ্ট সমাজ গঠনে তাদের সামাজিক গুরুদায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না ঠিক তেমনি জনগণ হ’ল কুম্ভকর্ণ! এই কুম্ভকর্ণরুপী জনগণকে জাগাতে সম্মিলিত ঢাকঢোল এর আওয়াজের যে শক্তি সেই প্রচন্ড শক্তি স্বরুপ এই সমস্ত বিভিন্ন দিকের নেতৃত্বও ঘুমিয়ে থাকা, বৃত্তি প্রবৃত্তিতে ডুবে থাকা রিপু তাড়িত জনগণকে জাগাতে তাদের দায় দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না! আর নেতৃত্বের হাতে থাকে সেই রাজকন্যার গল্পের মত দু’টো জাদুকাঠি! সোনার কাঠি ও রুপোর কাঠি! একটার স্পর্শে রাজকন্যা জেগে ওঠে আর একটার স্পর্শে ঘুমিয়ে পড়ে। সবটাই নির্ভর ক’রে ঐ জাদুকরের ওপর। কখন রাজকন্যাকে জাগাবে আবার কখন রাজকন্যাকে ঘুম পাড়িয়ে দেবে সবটাই ঐ জাদুকরের ইচ্ছা ও জাদু ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। এখানে জনগণও ঐ রাজকন্যার মতো আর নেতা হ’ল জাদুকর! যেমন ধরুন মাকড়া কান্ডে যখন গোটা রাজ্য তোলপাড়, গোটা গ্রাম যখন শশ্মানে পরিণত হয়েছে তখন বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার শাহরুখ খান মত্ত রয়েছেন সেন্ট জেভিয়ার্সের তরুণ তাজা রক্তদের নিয়ে উন্মাদনার ফোয়ারা তুলে নিজের হ্যাপি নিউ ইয়ার ফিল্মের ব্যপক ব্যবসায়িক সাফল্যের সেলিব্রেশন অনুষ্টানে। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের শহুরে আধুনিক তরুণ তাজা প্রাণ আদৌ অনুভব করলো না মাকড়া গ্রামের অকালে হারানো তরুণ তাজা প্রাণের অনুরণন! আর কলকাতায় সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ফুর্তিতে ব্যস্ত বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর শাহরুখ কিং খান!! সেন্ট জেভিয়ার্সের ছাত্র সমাজ যেমন জনগণের মধ্যে পড়ে ঠিক তেমনি শাহরুখ কিং খান ‘বাংলার অ্যাম্বাসাডর’ হিসাবে অভিভাবকের জায়গা অধিকার ক’রে আছেন। অভিভাবক হিসাবে তাঁর কর্তব্য ও দায়িত্ব আম জনগণের চেয়ে হাজার লক্ষ কোটি গুণ বেশী এ-কথা যেন আমরা ভুলে না যায় আর ভুলেও সাধারণ ভাঙাচোরা আম জনতার সঙ্গে গুলিয়ে না ফেলি!
পশ্চিমবঙ্গের বামপন্থীদের আন্দোলন, নকশাল আন্দোলন থেকে শুরু ক’রে সাম্প্রতিক পরিবর্তনের আন্দোলন, যাদবপুরের ছাত্র আন্দোলন ও প্রতিবাদী ছাত্র আন্দোলন ইত্যাদি সব আন্দোলনের জোয়ারের পিছনের রহস্য ঐ সমুদ্রের বিশাল একটা ঢেউ-এর মতো এক বা একাধিক নেতৃত্ব! এই যে সম্প্রতি লোকসভা ভোটে দেশজুড়ে একাধিক আঞ্চলিক দলের ভিড়ের মাঝেও বহুদিন পর এককভাবে কোনও দলের সরকার গঠন হ’ল কেন্দ্রে তার পিছনেও সেই জনগণকে মন্ত্রমুগ্ধ করার কারিগর একজন নেতা! পৃথিবী জুড়ে এর অসংখ্য উদাহরণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। নেতৃত্ব দেওয়ার সহজাত গুণের অধিকারী নেতাদের কাছে জনগণকে জাগানো এবং ঘুম পাড়ানো হাতের ময়লা। তাই বৃত্তি প্রবৃত্তিতে ডুবে থাকা সরল সিধাসাধা বেকুব রিপু তাড়িত ভাঙাচোরা জনগণকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো মানে নেতাদের গা বাঁচিয়ে পালিয়ে যাবার জন্য safe passage তৈরী করে দেওয়া। দেশ ভাগ করা না করার মত জটিল বিষয়, দুর্বোধ্য অংক, স্পর্শকাতর ইস্যু আম চাষার দল জানবে, বুঝবে, চিন্তা করবে এবং এই কঠিন বিষয় নিয়ে নির্ভুল পজিটিভ সিদ্ধান্ত নেবে এ যদি সত্য হ’ত; এই ক্ষমতা যদি আম জনতার থাকতো; এই বোধ, এই বুদ্ধি, এই চেতনা, এই শিক্ষা যদি দেশের জনগণের থাকতো তাহ’লে তথাকথিত জ্ঞানী পন্ডিত মহান আত্মাসম্পন্ন নেতাদের স্থান হ’ত আস্তাকুড়ে আর ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ট আসন লাভ ক’রে নিত এতদিনে!
তাই ভাঙাচোরা আয়ারাম-গয়ারাম আম জনগণের ওপর সম্পুর্ণ দোষ চাপাবার আগে, জনগণকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবার আগে যারা সাধারণ সরল সিধেসাধা বোকা আম জনতাকে, জনতার বিশ্বাস, জনতার আশা-ভরসা-নির্ভরতাকে নিয়ে পিংপং বলের মতো লোফালুফির ভেলকি বাজী দেখায় সেই কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, গায়ক, লেখক, নেতা, অভিনেতা, পরিচালকরুপী বাজিকরদের বিচার, তাদের ভবিষ্যৎ না-হয় সর্ব্বশক্তিমান বলে যদি কেউ বা কিছু থেকে থাকে তাঁর ওপরে ছেড়ে দেওয়া গেল কিন্তু যারা বোকা হাবা জনগণকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে কথার ঝিকিমিকিতে সেইসমস্ত বহুরুপী বাজিকরদের পাশ কাটিয়ে চলে যাবার সুযোগ করে দেয় তাদের জন্য বেহেস্ত ব’লে যদি কিছু থেকে থাকে তার দরজা জন্মজন্মান্তরের জন্য বন্ধ কিন্তু খোলা আছে পরবর্তী ঘৃণ্য চরম যন্ত্রণাময় ভয়ংকর অন্ধকার জীবনের অন্তহীন পথচলা! এ কথা অতি সত্য। মানা, না মানা গৌণ, যার যার নিজের ব্যাপার; একান্তই ব্যক্তিগত।
( ৩০শে নভেম্বর'২০১৪ )
প্রবন্ধঃ আমরা সৎসঙ্গী ও আমাদের সৎসঙ্গ।
ভারতের হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান ইত্যাদি সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে থেকে বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। এই মিলেমিশে একাত্ম হ'য়ে থাকার আবেদন শুধু মুখে নয় তা বাস্তবে বাস্তবভাবে একাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ হ'য়ে মিলেমিশে থাকার উদাহরণ হ'য়ে উঠুক ভারতের ১৪২ কোটি মানুষ। আর তার প্রভাব পড়ুক সারা বিশ্বে। বিশ্ব হ'য়ে উঠুক একটি পরিবার।
আর সৎসঙ্গীদের সৎসঙ্গ হ'লো সেই প্রতিটি থাকা বা বিদ্যমানতা বা অস্তিত্বের মিলন স্থল (সৎ অর্থাৎ অস্তিত্ব আর সঙ্গ অর্থাৎ সনজ ধাতু অর্থ মিলন) যেখানে সৎসঙ্গীরা অর্থাৎ বিশ্বের প্রতিটি প্রাণ, প্রতিটি অস্তিত্ব-এর পূজারীরা প্রতিটি প্রাণের সঙ্গে, প্রতিটি অস্তিত্বের সঙ্গে মিলিত হয়।
তাই তিনি বিশ্বের প্রায় ৮০০ কোটি মানুষের উদ্দেশ্যে বললেন,
"সৎসঙ্গ চায় মানুষ,
ঈশ্বর বল
খোদাই বল
ভগবান বা
অস্তিত্বই বল----
ভূ ও মহেশ্বর যিনি এক-- তারই নামে,
সে বোঝে না হিন্দু
সে বুঝে না খ্রীষ্টান
সে বুঝে না মুসলমান
সে বুঝে না বৌদ্ধ
সে বোঝে প্রীতি প্রত্যেকে তারই সন্তান,
সে আনত করে তুলতে চায়
সকলকেই সেই একে,
সে পাকিস্তানও বোঝে না
হিন্দুস্হানও বোঝে না
রাশিয়াও বোঝে না
চায়নাও বোঝে না
ইউরোপ,আমেরিকাও বোঝে না ---
সে চায় মানুষ,
সে চায় প্রত্যেকটি লোক
সে হিন্দুই হোক
মুসলমানই হোক
খ্রীষ্টানই হোক
বৌদ্ধই হোক
বা যে'-ই যা হোক না কেন
যেন সমবেত হয় তাঁরই নামে
পঞ্চবর্হি উদাত্ত আহবানে-----
অনুসরণ-- পরিপলনে
-- পরিপূরণে-উৎসৃজী উপায়নে--
পারিস্পরিক সহ্যদয়ী সহযোগিতায়---
শ্রম কুশল উদ্বর্দ্ধনী চলনে
---- যাতে খেটেখুটে প্রত্যেকে
দুটো খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে
সত্ত-স্বাতন্ত্র্যকে বজায় রেখে
সম্বর্দ্ধনার পথে চ'লে,
প্রত্যেকটি মানুষ যেন বুঝতে পারে
প্রত্যেকেই তার,
কেউ যেন না বুঝতে পারে
সে অসহায়,অর্থহীন,নিরাশ্রয়,
প্রত্যেকটি লোক যেন বুক ফুলিয়ে
বলতে পারে-----
আমি সবারই----
আমার সবাই---
সক্রিয় সহচয্যী অনুরাগোন্মাদায়,
সে চায় একটা পরম রাষ্ট্রীক সমবায়
যাতে কারউ সৎ-সম্বর্দ্ধনায়
এতটুকুও ত্রুটি না থাকে
অবাধ হয়ে চলতে পারে প্রতিপ্রত্যেকে
এই দুনিয়ার বুকে
এক সহযোগিতায়
আত্মোন্নয়নী শ্রমকুশল
সেবা- সম্বর্দ্ধনা নিয়ে
পারস্পরিক পরিপূরণী সংহতি-উৎসারণায়
উৎকর্ষী অনুপ্রেরণায় সন্দীপ্ত হ'য়ে
সেই আর্দশ পুরুষে
সার্থক হ'তে সেই এক- অদ্বিতীয়ে।"
( ধৃতি-বিধায়না,১ম খণ্ড/ শ্লোক- ৩৯৪)
আর, তাই আমাদের প্রকৃত সৎসঙ্গীদের মধ্যে বিশ্বে কোথাও বিরোধ নেই।
( লেখা ৩০শে নভেম্বর'২০২৩)
এর বলিষ্ঠ উদাহরণ শ্রীশ্রীঠাকুর সৃষ্ট 'সৎসঙ্গ'। বিশ্বজুড়ে সৎসঙ্গের কোটি কোটি দীক্ষিত সৎসঙ্গীর মধ্যে হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ ইত্যাদি সমস্ত ধর্মমতের, সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ আছে। তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ সম্প্রদায়ের, নিজ নিজ ধর্মমতের মানুষ হ'য়েও তারা প্রত্যেকেই সৎসঙ্গী। শ্রীশ্রীঠাকুরের দীক্ষিত সৎসঙ্গীদের একটাই পরিচয় তারা সবাই শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের আদরের, ভালোবাসার, প্রেমের সোনার সৎসঙ্গী। শ্রীশ্রীঠাকুরের দীক্ষিতরা হিন্দু, মুসলমান, খীষ্টান ইত্যাদি না, তারা পরমপ্রেমময়ের সৃষ্ট সৎসঙ্গ জগতের সৎসঙ্গী। শ্রীশ্রীঠাকুরের বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি শিষ্যের এক ও একমাত্র পরিচয় তারা সবাই সৎসঙ্গী।
এইভাবে ক্রমে ক্রমে কোনও একদিন যদি সৎসঙ্গী ধর্ম বা সম্প্রদায় হ'য়ে ওঠে তাও উঠতে পারে। কিন্তু বিশ্বের যে প্রান্তে প্রায় ৮০০ কোটি মানুষের মধ্যে যে মানুষ অস্তিত্বের পুজারী সেই সৎসঙ্গী। সে হিন্দু হ'ক, মুসলমান হ'ক, খ্রীষ্টান হ'ক, বৌদ্ধ হ'ক, জৈন হ'ক, শিখ হ'ক, ইহুদী হ'ক, ইরানের বাহাই হ'ক, চীনের হান হ'ক বা জাপানের শান্তো হ'ক বা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অন্যান্য যে বর্তমানে প্রায় ৪,৩০০ ধর্মমতে বিশ্বাসী মানুষ আছে তা সে যে ধর্মমতের মানুষই হক না কেন সমস্ত মানুষই শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের কথা অনুযায়ী বাঁচতে চায় ও বাড়তে চায়। সৃষ্টির প্রতিটি জীবের মধ্যে এই বাঁচা ও বাড়া অর্থাৎ শ্রীশ্রীঠাকুরের কথায় Being & Becoming or Live & Grow-এর জন্মগত প্রবণতা আছে।
বিশ্বের এই প্রায় ৮০০কোটি মানুষই জন্মেছে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত থাকাটাকে উপভোগ করতে। আর উপভোগ তখনি সম্ভব হয় যখন বেঁচে থাকা যায় ও এই বেঁচে থাকা ক্রমশ শরীরে-মনে-আত্মায় পরিবেশকে নিয়ে উন্নতির দিকে বৃদ্ধি পায়। আমি এমনি এমনি এবং একা একা বাঁচতে পারি না। বাঁচার ও বেড়ে ওঠার কিছু শর্ত থাকে। বাঁচতে গেলেই চায় মানুষের কিছু চাহিদা আর সেই চাহিদা পূরণের জন্য চায় কর্ম। এবং সেই চাহিদা ও কর্ম সমাজবদ্ধ জীবের সমস্ত রকমের পারস্পরিক সহাবস্থানের মাধ্যমে পূরণ হয়। আর এ যেখানে হয় না তা সে যে কারণেই হ'ক সেখানেই মানুষের বেঁচে থাকা ও বেড়ে ওঠা ক্ষুণ্ণ হয়, হতাশ হয়, আহত হয়, দলিত ও মথিত হয়। সেখানে ধর্মের প্রকৃত অর্থ, প্রকৃত প্রয়োগ ব্যহত হয়, উপেক্ষিত হয়, লাঞ্ছিত হয়। অর্থাৎ পারিপার্শ্বিক সহ বাঁচা ও বাড়া সেখানে নেই, তা' সে যতই ধর্মীয় রীতিনীতি, আচার আচরণ, ক্রিয়াকলাপ পালন করুক না কেন। ঐ সমস্ত আচরণ ধর্মের নামে বাহ্যিক আচরণ। যে ধর্মীয় আচরণ চরিত্রে নেই, জীবনের আচার আচরণে ফুটে ওঠা না তা' অধর্মীয় আচরণ। অতএব বাঁচা তখন উপভোগ করা হ'য়ে ওঠে না।
তাই শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বললেন,
"তুমি কেন জন্মেছ মোটাভাবেও কি দেখেছ ? থাকাটাকে কি উপভোগ ক'রতে নয় ---- চাহিদা ও কর্ম্মের ভিতর - দিয়ে পারস্পরিক সহবাসে ----- প্রত্যেকরকমে ?
আমরা শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের দীক্ষিত শিষ্যরা এককথায় সৎসঙ্গীরা শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে শিখেছি, "সৎ-এ সংযুক্তির সহিত তদগতিসম্পন্ন যা'রা তা'রাই সৎসঙ্গী।" অর্থাৎ আমরা সৎ এর সঙ্গে যুক্ত এবং সেই গতির সঙ্গে যুক্ত। এর মানে কি দাঁড়ালো? এর মানে, সৎ কথাটা এসেছে অস ধাতু থেকে; মানে থাকা বা বিদ্যমানতা বা অস্তিত্ব। আমি সৎসঙ্গী মানে আমি নিজের ও অন্যের বাঁচা ও বেড়ে ওঠার সেবক। আমি সৎসঙ্গী মানে আমি অস্তিত্বের অস্তিত্ব পরম অস্তিত্ব, আমার উৎসের উৎস পরম উৎস, পরম মঙ্গলময় সৃষ্টিকর্তার জীবন্ত রূপের সঙ্গে ও তাঁর গতির সঙ্গে অর্থাৎ তাঁর নিরন্তর বাস্তব জীবন বৃদ্ধির চলমানতার সঙ্গে যুক্ত। আর এই যুক্তি যারাই চায় তারাই সৎসঙ্গী তা সে হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, ইহুদী, বাহাই, হান, শান্তো ইত্যাদি ইত্যাদি বিশ্বের প্রায় ৪,৩০০ ধর্মের প্রায় ৮০০ কোটি মানুষের যেই-ই হ'ক না কেন। এই পারিপার্শ্বিক সহ বাঁচা-বাড়া অর্থাৎ Being & Becoming or Live & Grow মানুষ মাত্রেই চায়। তাই সবাই সৎসঙ্গী।
এইভাবে ক্রমে ক্রমে কোনও একদিন যদি সৎসঙ্গী ধর্ম বা সম্প্রদায় হ'য়ে ওঠে তাও উঠতে পারে। কিন্তু বিশ্বের যে প্রান্তে প্রায় ৮০০ কোটি মানুষের মধ্যে যে মানুষ অস্তিত্বের পুজারী সেই সৎসঙ্গী। সে হিন্দু হ'ক, মুসলমান হ'ক, খ্রীষ্টান হ'ক, বৌদ্ধ হ'ক, জৈন হ'ক, শিখ হ'ক, ইহুদী হ'ক, ইরানের বাহাই হ'ক, চীনের হান হ'ক বা জাপানের শান্তো হ'ক বা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অন্যান্য যে বর্তমানে প্রায় ৪,৩০০ ধর্মমতে বিশ্বাসী মানুষ আছে তা সে যে ধর্মমতের মানুষই হক না কেন সমস্ত মানুষই শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের কথা অনুযায়ী বাঁচতে চায় ও বাড়তে চায়। সৃষ্টির প্রতিটি জীবের মধ্যে এই বাঁচা ও বাড়া অর্থাৎ শ্রীশ্রীঠাকুরের কথায় Being & Becoming or Live & Grow-এর জন্মগত প্রবণতা আছে।
বিশ্বের এই প্রায় ৮০০কোটি মানুষই জন্মেছে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত থাকাটাকে উপভোগ করতে। আর উপভোগ তখনি সম্ভব হয় যখন বেঁচে থাকা যায় ও এই বেঁচে থাকা ক্রমশ শরীরে-মনে-আত্মায় পরিবেশকে নিয়ে উন্নতির দিকে বৃদ্ধি পায়। আমি এমনি এমনি এবং একা একা বাঁচতে পারি না। বাঁচার ও বেড়ে ওঠার কিছু শর্ত থাকে। বাঁচতে গেলেই চায় মানুষের কিছু চাহিদা আর সেই চাহিদা পূরণের জন্য চায় কর্ম। এবং সেই চাহিদা ও কর্ম সমাজবদ্ধ জীবের সমস্ত রকমের পারস্পরিক সহাবস্থানের মাধ্যমে পূরণ হয়। আর এ যেখানে হয় না তা সে যে কারণেই হ'ক সেখানেই মানুষের বেঁচে থাকা ও বেড়ে ওঠা ক্ষুণ্ণ হয়, হতাশ হয়, আহত হয়, দলিত ও মথিত হয়। সেখানে ধর্মের প্রকৃত অর্থ, প্রকৃত প্রয়োগ ব্যহত হয়, উপেক্ষিত হয়, লাঞ্ছিত হয়। অর্থাৎ পারিপার্শ্বিক সহ বাঁচা ও বাড়া সেখানে নেই, তা' সে যতই ধর্মীয় রীতিনীতি, আচার আচরণ, ক্রিয়াকলাপ পালন করুক না কেন। ঐ সমস্ত আচরণ ধর্মের নামে বাহ্যিক আচরণ। যে ধর্মীয় আচরণ চরিত্রে নেই, জীবনের আচার আচরণে ফুটে ওঠা না তা' অধর্মীয় আচরণ। অতএব বাঁচা তখন উপভোগ করা হ'য়ে ওঠে না।
তাই শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বললেন,
"তুমি কেন জন্মেছ মোটাভাবেও কি দেখেছ ? থাকাটাকে কি উপভোগ ক'রতে নয় ---- চাহিদা ও কর্ম্মের ভিতর - দিয়ে পারস্পরিক সহবাসে ----- প্রত্যেকরকমে ?
আমরা শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের দীক্ষিত শিষ্যরা এককথায় সৎসঙ্গীরা শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে শিখেছি, "সৎ-এ সংযুক্তির সহিত তদগতিসম্পন্ন যা'রা তা'রাই সৎসঙ্গী।" অর্থাৎ আমরা সৎ এর সঙ্গে যুক্ত এবং সেই গতির সঙ্গে যুক্ত। এর মানে কি দাঁড়ালো? এর মানে, সৎ কথাটা এসেছে অস ধাতু থেকে; মানে থাকা বা বিদ্যমানতা বা অস্তিত্ব। আমি সৎসঙ্গী মানে আমি নিজের ও অন্যের বাঁচা ও বেড়ে ওঠার সেবক। আমি সৎসঙ্গী মানে আমি অস্তিত্বের অস্তিত্ব পরম অস্তিত্ব, আমার উৎসের উৎস পরম উৎস, পরম মঙ্গলময় সৃষ্টিকর্তার জীবন্ত রূপের সঙ্গে ও তাঁর গতির সঙ্গে অর্থাৎ তাঁর নিরন্তর বাস্তব জীবন বৃদ্ধির চলমানতার সঙ্গে যুক্ত। আর এই যুক্তি যারাই চায় তারাই সৎসঙ্গী তা সে হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, ইহুদী, বাহাই, হান, শান্তো ইত্যাদি ইত্যাদি বিশ্বের প্রায় ৪,৩০০ ধর্মের প্রায় ৮০০ কোটি মানুষের যেই-ই হ'ক না কেন। এই পারিপার্শ্বিক সহ বাঁচা-বাড়া অর্থাৎ Being & Becoming or Live & Grow মানুষ মাত্রেই চায়। তাই সবাই সৎসঙ্গী।
আর সৎসঙ্গীদের সৎসঙ্গ হ'লো সেই প্রতিটি থাকা বা বিদ্যমানতা বা অস্তিত্বের মিলন স্থল (সৎ অর্থাৎ অস্তিত্ব আর সঙ্গ অর্থাৎ সনজ ধাতু অর্থ মিলন) যেখানে সৎসঙ্গীরা অর্থাৎ বিশ্বের প্রতিটি প্রাণ, প্রতিটি অস্তিত্ব-এর পূজারীরা প্রতিটি প্রাণের সঙ্গে, প্রতিটি অস্তিত্বের সঙ্গে মিলিত হয়।
তাই তিনি বিশ্বের প্রায় ৮০০ কোটি মানুষের উদ্দেশ্যে বললেন,
"সৎসঙ্গ চায় মানুষ,
ঈশ্বর বল
খোদাই বল
ভগবান বা
অস্তিত্বই বল----
ভূ ও মহেশ্বর যিনি এক-- তারই নামে,
সে বোঝে না হিন্দু
সে বুঝে না খ্রীষ্টান
সে বুঝে না মুসলমান
সে বুঝে না বৌদ্ধ
সে বোঝে প্রীতি প্রত্যেকে তারই সন্তান,
সে আনত করে তুলতে চায়
সকলকেই সেই একে,
সে পাকিস্তানও বোঝে না
হিন্দুস্হানও বোঝে না
রাশিয়াও বোঝে না
চায়নাও বোঝে না
ইউরোপ,আমেরিকাও বোঝে না ---
সে চায় মানুষ,
সে চায় প্রত্যেকটি লোক
সে হিন্দুই হোক
মুসলমানই হোক
খ্রীষ্টানই হোক
বৌদ্ধই হোক
বা যে'-ই যা হোক না কেন
যেন সমবেত হয় তাঁরই নামে
পঞ্চবর্হি উদাত্ত আহবানে-----
অনুসরণ-- পরিপলনে
-- পরিপূরণে-উৎসৃজী উপায়নে--
পারিস্পরিক সহ্যদয়ী সহযোগিতায়---
শ্রম কুশল উদ্বর্দ্ধনী চলনে
---- যাতে খেটেখুটে প্রত্যেকে
দুটো খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে
সত্ত-স্বাতন্ত্র্যকে বজায় রেখে
সম্বর্দ্ধনার পথে চ'লে,
প্রত্যেকটি মানুষ যেন বুঝতে পারে
প্রত্যেকেই তার,
কেউ যেন না বুঝতে পারে
সে অসহায়,অর্থহীন,নিরাশ্রয়,
প্রত্যেকটি লোক যেন বুক ফুলিয়ে
বলতে পারে-----
আমি সবারই----
আমার সবাই---
সক্রিয় সহচয্যী অনুরাগোন্মাদায়,
সে চায় একটা পরম রাষ্ট্রীক সমবায়
যাতে কারউ সৎ-সম্বর্দ্ধনায়
এতটুকুও ত্রুটি না থাকে
অবাধ হয়ে চলতে পারে প্রতিপ্রত্যেকে
এই দুনিয়ার বুকে
এক সহযোগিতায়
আত্মোন্নয়নী শ্রমকুশল
সেবা- সম্বর্দ্ধনা নিয়ে
পারস্পরিক পরিপূরণী সংহতি-উৎসারণায়
উৎকর্ষী অনুপ্রেরণায় সন্দীপ্ত হ'য়ে
সেই আর্দশ পুরুষে
সার্থক হ'তে সেই এক- অদ্বিতীয়ে।"
( ধৃতি-বিধায়না,১ম খণ্ড/ শ্লোক- ৩৯৪)
আর, তাই আমাদের প্রকৃত সৎসঙ্গীদের মধ্যে বিশ্বে কোথাও বিরোধ নেই।
( লেখা ৩০শে নভেম্বর'২০২৩)
বিচিত্রা ৫৩
আনন্দ যদি পেতে চাও
কোনটা বেশী অপমানের?
দেশে যখনই কোথাও নারী নির্যাতন হয়
মানুষকে তুমি আনন্দ দাও।
If you want to get happiness,
you give happiness to people.
you give happiness to people.
( ৩০শে নভেম্বর'২০২৩)
পৃথিবীতে এমন কোনও বিখ্যাত মহাপুরুষ আছেন
যার নামে কুৎসা ও মিথ্যে কলঙ্ক নেই?
যার চরিত্র হনন হয়নি?
( লেখা ৩০শে ডিসেম্বর'২০২২)
কোনটা বেশী লজ্জার?
কোনটা বেশী কালো দিক?
বলাৎকার-হত্যা নাকি ক্ষমতাসীন নারীর চুপ থাকা।
বলাৎকার-হত্যা নাকি ক্ষমতাসীন নারীর চুপ থাকা।
রাজ্যে রাজ্যে নারী ক্ষমতায় আসীন,
দেশের শাসন ব্যবস্থায় অগুনতি রাগী নারীর মুখ!
তথাপি প্রিয়াঙ্কা রেড্ডিদের বেলায় নীরব!! কেন!?
দেশের যেখানেই নারীর ওপর অত্যাচার-বলাৎকার হয়
কেন চুপ ক'রে থাকে দেশের ক্ষমতাসীন নারী নেতৃত্ব!?
ডাঃ প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির অপমানজনক নির্ম্মম মৃত্যুতে
দেশের তামাম রাগী নারী নেতৃত্ব
আজও বরাবরের মত চুপ কেন!?
মাঠে-ময়দানে, বিধানসভা-লোকসভায়
ঝড় তোলা দেশের সব দলের বলিষ্ঠ নারী নেত্রীবৃন্দ
নারীদের ওপর পুরুষের নারকীয় অত্যাচারে নীরব কেন!?
তখন দেশের বুকে আগুনের ঝড় তোলা
সবদলের নারী নেত্রীরা চুপ ক'রে থাকে কেন!?
( লেখা ৩০শে নভেম্বর'২০১৯)
বাঁচিতে চাহি না আমি এই কুৎসিত ভূবনে
দানবের মাঝে আমি আর বাঁচিবারে না চাই।
প্রভু বিনতি আমার, শয়নে স্বপনে জাগরণে
শুধু তোমারেই যেন দেখিতে পাই।
( লেখা ৩০শে নভেম্বর' ২০১২)
Thursday, November 28, 2024
বিচিত্রা ৫২
যতই তুমি মুখ লুকোও বন্ধু
গন্ডগোলে কুপোকাৎ!!
এটাই নির্ম্মম সত্য!
'হাঁ জী! হাঁ জী'-র!?
চরিত্র নাই ঠাকুর নিয়ে শুধুই কথার হাই!
একদিন মুখোশ খসে পড়বেই!
মুখ আর মুখোশের দ্বন্ধে নিশ্চিত
উলঙ্গ তুমি হবেই হবে!
মুখ আর মুখোশের দ্বন্ধে নিশ্চিত
উলঙ্গ তুমি হবেই হবে!
একে মিনমিন, দুইয়ে পাঠ,
তিনে গন্ডগোল, চারে হাট!
হাট বসার আগেই ঠাকুরের বিচারেগন্ডগোলে কুপোকাৎ!!
কেষ্ট দাসেরা ফিরে ফিরে আসে ভাই!
ঠাকুরের দরবারে দলবাজির জায়গা নাই!!এটাই নির্ম্মম সত্য!
পৃথিবীর পবিত্র মাটির জমিদারী কার হাতে?
শ্রীশ্রীঠাকুরের হাতে নাকি সৎসঙ্গী নামধারী কিছু উজবুকের হাতে!?
'সৎসঙ্গ' কি জায়গা দলবাজির?
নাকি কিছু তোষামোদকারী'হাঁ জী! হাঁ জী'-র!?
সময় থাকতে সত্যকে ভয় পাও,
সত্যের কাছে মাথা নত করো!
সত্যই জেনো শ্রীশ্রীঠাকুর স্বয়ং,
সত্যকে আঁকড়ে ধরো!!
নচেৎ সত্য কিন্ত দয়াল সাথে ভয়াল!সাবাসী জানাই তোমার বুকের পাটাকে,
জানাই সেলাম তোমার সাহসকে!
হিম্মৎ তোমার আছে বন্ধু শয়তানকে নিয়ে বুকে
ঠাকুরকে চ্যালেঞ্জ জানাতে!
বক্তা চাই না, ভক্ত চাই।
মরতে চাই না, বাঁচতে চাই।চরিত্র নাই ঠাকুর নিয়ে শুধুই কথার হাই!
ঠাকুর সবার আয়ের উপকরণ তাই!!
( লেখা ২৯শে নভেম্বর'২০১৯)
চিঠীঃ ঐশিকার খোলা চিঠির উত্তরে.........
"MOVE FORWARD! BUT DON'T TRY TO MEASURE HOW FAR YOU HAVE GONE, LESS YOU FALL BACK AGAIN"
SriSri Thakur AnukulChandra.
ঐশিকার খোলা চিঠির উত্তরে.........
ঐশিকা হয়তো এমন একটা দিন আসবে যখন আমরা দেখবো বিজ্ঞানীরা আকাশে কৃত্রিম সূর্য তৈরী ক'রে পাঠাচ্ছে পৃথিবীর বুক থেকে অন্ধকারকে চিরতরে দূর করার জন্য!!! তাহ'লে আমরা কি বুঝবো? মানুষের প্রয়োজনে, সভ্যতার অগ্রগতির কারণে বিজ্ঞান এগিয়ে চলেছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। এ পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু তাই ব'লে কি আমরা বলব মানুষের তৈরি সূর্য আর ঈশ্বরের সৃষ্টি সূর্য এক? বিজ্ঞানীর তৈরী সূর্য আর সৃষ্টিকর্তার সৃষ্ট সূর্য-এর মূল্যায়ন কি একই সারিতে রেখে হয়? যেদিন মহাকাশের ওই আদি ও অকৃত্রিম ঈশ্বর সৃষ্ট সূর্য নিভে যাবে সেদিন কি খোদার ওপর খোদকারি করা অহংকারী দেমাকি মানুষ বা মানুষের তৈরী কৃত্রিম সূর্য পৃথিবীকে হিম শীতল গভীর অন্ধকারের অতল গহ্বর থেকে বাঁচাতে পারবে??? পারবে না। ঐশিকা সত্য বড় নির্মম। সবাই যে যার জায়গায় সত্য! কেউ কারও জায়গা নিতে পারে না। নিতে গেলেই মুশকিল। এটা মনে রাখতে হবে। প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ীই সবার সবকিছুর সহাবস্থান। এ অবস্থানকে মেনে নিয়ে এবং মাথায় রেখে চলতে হবে সবাইকে। এই অবস্থানকে যে বা যারা ভাঙতে যাবে তাকেই প্রকৃতির রোষে পড়তে হবে। প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ীই ঝরা পাতার মত সে ঝরে পড়ে যাবে। এর জন্য কাউকে কিছু করতে হবে না ঐশিকা! শুধু একটু ধৈর্য নিয়ে নির্বিকার ভাবে দেখে যেতে হবে। ঐশিকা কারও জন্য বা কোনও কিছুর জন্য কিম্বা কাউকে খুশি বা অখুশি করার জন্য সামনে এগিয়ে চলা থামানো যাবে না। মনে রাখতে হবে ঐশিকা 'You have come to fulfill not to destroy'!!!! এখন পিছন ফিরে তাকাবার সময় নেই। আর সেই যুগও নেই কেউ কারও জন্য ঢাক পেটাবে। সবাই যে যার নিজের ঢাক নিজে পেটাতেই ব্যস্ত। ব্যস্ত নিজেকে নিয়েই। এখন ‘যার ধন তার নয়, নেপোয় মারে দই’-এর যুগ। এখন ‘বাড়িয়ে দাও তোমার হাত, আমি আবার তোমার আঙ্গুল ধরতে চায়’ বললে বাড়িয়ে দেবে তেল চকচকে বাঁশ। আমরা সবাই একা। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে ঐশিকা। বিশ্বাস রাখতে হবে ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে’- এই বাণীর ওপর। চারিদিকে ঘোর অন্ধকার আর এই অন্ধকারের মাঝে বুকের পাঁজর জ্বালিয়ে নিয়ে একলা এগিয়ে চলো। চলতে চলতে সাথী পাবেই এ-বিশ্বাসও রেখো অন্তরে, তবে বেকুবী ক’রো না। ধরণী আর কতবার দ্বিধা হবে? ধরণীর বুকেও ব্যথা হয় একথা ভুলে যেও না। ধরণী চান তার সন্তান মানে তুমি সমস্ত প্রতিকূলতার মাঝেও মাথা উঁচু ক’রে দাঁড়াও। এগিয়ে চল সামনে। শুধু এগিয়ে চলা, অন্তহীন এই চলা!!!! ঠিকই বলেছো, তুমি তোমার মত লিখে যাও। এই আত্মবিশ্বাস একদিন তোমাকে প্রতিষ্ঠিত লেখকদের মত প্রতিষ্ঠা দেবে। অসম্ভব কথাটা জীবনের অভিধান থেকে একেবারে মুছে ফেল। কে বলল ফেসবুকে গল্প লেখায় তোমার চরম মূল্যায়ন হ’য়ে গেছে? তাহ’লে এই লেখাটা কিসের মূল্যায়ন? ফেসবুকে বা ব্লগে কারও জন্য লেখা বন্ধ করাটা বুদ্ধিমানের সিদ্ধান্ত নয়। কারও জন্য লিখতে যেও না। কে কি বলছে দেখতে যেও না। লিখে, লেখার বিষয়বস্তুতে নিজে আনন্দ পাচ্ছো কিনা দেখ। আর তারপরে শুধু লিখে যাও, আর লিখে যাও। এ-প্রসঙ্গে The greatest phenomenon of the world SriSri Thakur AnukulChandra-এর কথা মনে পড়ে গেল। তোমার যদি এতটুকু কাজে লাগে বা সুবিধা হয় আগামীদিনে পথ চলতে তাই লিখলাম।
ঐশিকার খোলা চিঠির উত্তরে.........
ঐশিকা হয়তো এমন একটা দিন আসবে যখন আমরা দেখবো বিজ্ঞানীরা আকাশে কৃত্রিম সূর্য তৈরী ক'রে পাঠাচ্ছে পৃথিবীর বুক থেকে অন্ধকারকে চিরতরে দূর করার জন্য!!! তাহ'লে আমরা কি বুঝবো? মানুষের প্রয়োজনে, সভ্যতার অগ্রগতির কারণে বিজ্ঞান এগিয়ে চলেছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। এ পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু তাই ব'লে কি আমরা বলব মানুষের তৈরি সূর্য আর ঈশ্বরের সৃষ্টি সূর্য এক? বিজ্ঞানীর তৈরী সূর্য আর সৃষ্টিকর্তার সৃষ্ট সূর্য-এর মূল্যায়ন কি একই সারিতে রেখে হয়? যেদিন মহাকাশের ওই আদি ও অকৃত্রিম ঈশ্বর সৃষ্ট সূর্য নিভে যাবে সেদিন কি খোদার ওপর খোদকারি করা অহংকারী দেমাকি মানুষ বা মানুষের তৈরী কৃত্রিম সূর্য পৃথিবীকে হিম শীতল গভীর অন্ধকারের অতল গহ্বর থেকে বাঁচাতে পারবে??? পারবে না। ঐশিকা সত্য বড় নির্মম। সবাই যে যার জায়গায় সত্য! কেউ কারও জায়গা নিতে পারে না। নিতে গেলেই মুশকিল। এটা মনে রাখতে হবে। প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ীই সবার সবকিছুর সহাবস্থান। এ অবস্থানকে মেনে নিয়ে এবং মাথায় রেখে চলতে হবে সবাইকে। এই অবস্থানকে যে বা যারা ভাঙতে যাবে তাকেই প্রকৃতির রোষে পড়তে হবে। প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ীই ঝরা পাতার মত সে ঝরে পড়ে যাবে। এর জন্য কাউকে কিছু করতে হবে না ঐশিকা! শুধু একটু ধৈর্য নিয়ে নির্বিকার ভাবে দেখে যেতে হবে। ঐশিকা কারও জন্য বা কোনও কিছুর জন্য কিম্বা কাউকে খুশি বা অখুশি করার জন্য সামনে এগিয়ে চলা থামানো যাবে না। মনে রাখতে হবে ঐশিকা 'You have come to fulfill not to destroy'!!!! এখন পিছন ফিরে তাকাবার সময় নেই। আর সেই যুগও নেই কেউ কারও জন্য ঢাক পেটাবে। সবাই যে যার নিজের ঢাক নিজে পেটাতেই ব্যস্ত। ব্যস্ত নিজেকে নিয়েই। এখন ‘যার ধন তার নয়, নেপোয় মারে দই’-এর যুগ। এখন ‘বাড়িয়ে দাও তোমার হাত, আমি আবার তোমার আঙ্গুল ধরতে চায়’ বললে বাড়িয়ে দেবে তেল চকচকে বাঁশ। আমরা সবাই একা। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে ঐশিকা। বিশ্বাস রাখতে হবে ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে’- এই বাণীর ওপর। চারিদিকে ঘোর অন্ধকার আর এই অন্ধকারের মাঝে বুকের পাঁজর জ্বালিয়ে নিয়ে একলা এগিয়ে চলো। চলতে চলতে সাথী পাবেই এ-বিশ্বাসও রেখো অন্তরে, তবে বেকুবী ক’রো না। ধরণী আর কতবার দ্বিধা হবে? ধরণীর বুকেও ব্যথা হয় একথা ভুলে যেও না। ধরণী চান তার সন্তান মানে তুমি সমস্ত প্রতিকূলতার মাঝেও মাথা উঁচু ক’রে দাঁড়াও। এগিয়ে চল সামনে। শুধু এগিয়ে চলা, অন্তহীন এই চলা!!!! ঠিকই বলেছো, তুমি তোমার মত লিখে যাও। এই আত্মবিশ্বাস একদিন তোমাকে প্রতিষ্ঠিত লেখকদের মত প্রতিষ্ঠা দেবে। অসম্ভব কথাটা জীবনের অভিধান থেকে একেবারে মুছে ফেল। কে বলল ফেসবুকে গল্প লেখায় তোমার চরম মূল্যায়ন হ’য়ে গেছে? তাহ’লে এই লেখাটা কিসের মূল্যায়ন? ফেসবুকে বা ব্লগে কারও জন্য লেখা বন্ধ করাটা বুদ্ধিমানের সিদ্ধান্ত নয়। কারও জন্য লিখতে যেও না। কে কি বলছে দেখতে যেও না। লিখে, লেখার বিষয়বস্তুতে নিজে আনন্দ পাচ্ছো কিনা দেখ। আর তারপরে শুধু লিখে যাও, আর লিখে যাও। এ-প্রসঙ্গে The greatest phenomenon of the world SriSri Thakur AnukulChandra-এর কথা মনে পড়ে গেল। তোমার যদি এতটুকু কাজে লাগে বা সুবিধা হয় আগামীদিনে পথ চলতে তাই লিখলাম।
ঠাকুর বলেছেন, “এগিয়ে যাও, কিন্তু মেপে দেখতে যেও না কতদুর এগিয়েছ; তাহ’লে আবার পিছিয়ে প’ড়বে। সরল হও, কিন্তু বেকুব হ’য়ো না। বিনীত হও, তাই ব’লে দুর্ব্বল-হৃদয় হ’য়ো না। তোমার একটু উন্নতি হ’লেই দেখবে কেউ তোমাকে ঠাকুর বানিয়ে ব’সেছে, কেউ মহাপুরুষ ব’লছে, কেউ অবতার, কেউ সদগুরু ইত্যাদি বলছে; আবার, কেউ শয়তান, বদমায়েশ, কেউ ব্যবসাদার ইত্যাদিও বলছে; সাবধান! তুমি এদের কারো দিকে নজর দিও না; তোমার পক্ষে এঁরা সবাই ভূত, নজর দিলেই ঘাড়ে চেপে ব’সবে, তা’ ছাড়ানও মহা মুশকিল। তুমি তোমার মত কাজ ক’রে যাও, যা’ ইচ্ছা তাই হোক”।
উপলব্ধিঃ এটা নির্ম্মম সত্য----
ঐশিখা,
এটা নির্ম্মম সত্য ও অপ্রিয় যে বাপ, মা প্রিয়জন মারা গেলে ছেলেকে তার কাছের মানুষ থেকে শুরু ক’রে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পাড়াপ্রতিবেশী সবাই জিজ্ঞেস করে, ‘ডেড বডি হাসপাতাল থেকে কখন আসবে, ডেড বডি কখন শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হবে’ ইত্যাদি ইত্যাদি। একটু আগে যে ছিল আমার বাবা, আমার মা, ভাই, বোন স্ত্রী, স্বামী; মারা যাবার সঙ্গে সঙ্গে সে হ’য়ে যায় ডেডবডি। এটাই আজকের সভ্যতা, এটাই সংস্কৃতি, এটাই শিক্ষা, এটাই চেতনা। একেই বলে ঘোর কলিযুগ।
আজকের এই সংস্কৃতিতে বড় হ’য়ে উঠছে আজকের ছোট্ট তুতুলেরা।
( লেখা ২৯শে নভেম্বর'২০১৭)
বিচিত্রা ৫১
পুলিশ প্রশাসন বা বিচারপতির বিচারের ভুলে
কিম্বা ইচ্ছাকৃতভাবে কারও জেল হ'লে
তার বিচার কি? শুধুই ধমক?
গলায় ঝোলে ঠাকুর ফটো,
মুখে চলে খিস্তি!
শরীর জুড়ে সাদার আবরণ,
করতে চাও মাতকিস্তি!?
ধ্বংস অনিবার্য!
এই ধ্বংসের হাত থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করে
বিশ্বজুড়ে জীবন্ত ঈশ্বর ও তাঁর দর্শন ছাড়া
এমন বাপের বেটা বা নিখুঁত দর্শন কেউ বা কিছু নেই।
হে অহংকারী মানব! সাবধান!!
হে অহংকারী মানব! সাবধান!!
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র হ'লেন সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ!
তাঁকে গ্রহণ করা মানে তাঁর আদর্শকে গ্রহণ করা। তাঁর প্রদত্ত প্রেস্ক্রিপশানকে চরিত্রায়ন করা।
নতুবা সব ভণ্ডামি, বকোয়াস।
আমার শেষ ইচ্ছা কি?
দিনের শেষে অন্যায়-ন্যায় কাজে
হয় কার জয়, কার ক্ষয় তা দেখা।
জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা ক'রে
নিজের সঙ্গে নিজে মুখোমুখি হ'তে চাই।
ঈশ্বরের শেষ ইচ্ছা কি?
তাঁর সৃষ্টিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা।পরমপিতা ঈশ্বরের কাছে কিছু পাইনি,
কিছু চাইও না; শুধু চাই মধুরেন সমাপয়েৎ
অর্থাৎ ইষ্টরত সক্রিয় সুন্দর মৃত্যু!
( ২৮শে নভেম্বর'২০২০)
উপলব্ধিঃ আদর্শকে ঘায়েল
মহারাষ্ট্রের বর্তমান রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণী:
"আদর্শকে ঘায়েল ক'রে চুক্তি রফায় বাঁধতে দল
যতই যাবি পড়বি ঘোরে হাতে হাতেই দেখবি ফল!"
বিরোধী মতাদর্শে অবস্থানকারী ও দীর্ঘ দিনের শত্রু তিন দল শিবসেনা, কংগ্রেস ও এন. সি. পি সরকার গঠনের লোভে আজ এক পতাকার তলায়। মহারাষ্ট্রের জনতা আজ দেখলো তাদের কোনও মূল্য আজ আর অবশিষ্ট নেই! চুক্তি রফা করার জন্য এই সমস্ত আদর্শহীন দল তাদের লোক দেখানো, জনতা ভুলানো আদর্শকে (?) সিংহাসন ও ক্ষমতা দখলের লোভে কত অনায়াসেই ঘায়েল করতে পারে! আর এই জনগণের কোনও মূল্য নেই! এই জনগণকেই নির্বাচন পূর্ব পরিস্থিতিতে কি ভয়ঙ্কর মিথ্যের ঘুলঘুলিতে ঘুরিয়ে দিয়ে কিভাবে তাদের সমর্থন আদায় ক'রে নিতে হয় আর নির্বাচন পরবর্তী ১৮০ডিগ্রি ঘুরে যেতে হয়, পাল্টি খেতে হয় তার নমুনা দেখিয়ে দিল তিন বিরোধী মতাদর্শে অবস্থানকারী দল শিবসেনা, এন. সি. পি এবং কংগ্রেস!
আজ আবার ঠাকুরের বাণী প্রমাণ হ'য়ে গেল!!!!
সাবাস! শিবসেনা, সাবাস! এন. সি. পি! সাবাস! কংগ্রেস!!!!!!!! ভাঁড় মে যায় দেশ, জনাদেশ! ভাঁড় মে যায় আদর্শ কিউ কি জনতা হাত কি ময়লা, নাক কি নস্য!
( লেখা ২৮শে নভেম্বর'২০১৯)
"আদর্শকে ঘায়েল ক'রে চুক্তি রফায় বাঁধতে দল
যতই যাবি পড়বি ঘোরে হাতে হাতেই দেখবি ফল!"
বিরোধী মতাদর্শে অবস্থানকারী ও দীর্ঘ দিনের শত্রু তিন দল শিবসেনা, কংগ্রেস ও এন. সি. পি সরকার গঠনের লোভে আজ এক পতাকার তলায়। মহারাষ্ট্রের জনতা আজ দেখলো তাদের কোনও মূল্য আজ আর অবশিষ্ট নেই! চুক্তি রফা করার জন্য এই সমস্ত আদর্শহীন দল তাদের লোক দেখানো, জনতা ভুলানো আদর্শকে (?) সিংহাসন ও ক্ষমতা দখলের লোভে কত অনায়াসেই ঘায়েল করতে পারে! আর এই জনগণের কোনও মূল্য নেই! এই জনগণকেই নির্বাচন পূর্ব পরিস্থিতিতে কি ভয়ঙ্কর মিথ্যের ঘুলঘুলিতে ঘুরিয়ে দিয়ে কিভাবে তাদের সমর্থন আদায় ক'রে নিতে হয় আর নির্বাচন পরবর্তী ১৮০ডিগ্রি ঘুরে যেতে হয়, পাল্টি খেতে হয় তার নমুনা দেখিয়ে দিল তিন বিরোধী মতাদর্শে অবস্থানকারী দল শিবসেনা, এন. সি. পি এবং কংগ্রেস!
আজ আবার ঠাকুরের বাণী প্রমাণ হ'য়ে গেল!!!!
সাবাস! শিবসেনা, সাবাস! এন. সি. পি! সাবাস! কংগ্রেস!!!!!!!! ভাঁড় মে যায় দেশ, জনাদেশ! ভাঁড় মে যায় আদর্শ কিউ কি জনতা হাত কি ময়লা, নাক কি নস্য!
( লেখা ২৮শে নভেম্বর'২০১৯)
Monday, November 25, 2024
বিচিত্রা ৫০
বাংলাদেশের পাবনা জেলার হিমায়েতপুর গ্রামে
দয়াল ঠাকুর জন্ম নিলেন অনুকূল নামে!
রাম কৃষ্ণ বুদ্ধ যীশু হযরত রসুল
মহাপ্রভু রামকৃষ্ণ হ'য়ে অনুকূল!! প্রবি।
দয়াল ঠাকুর জন্ম নিলেন অনুকূল নামে!
রাম কৃষ্ণ বুদ্ধ যীশু হযরত রসুল
মহাপ্রভু রামকৃষ্ণ হ'য়ে অনুকূল!! প্রবি।
ভাঙার মন্ত্র শিখলে শেষে সৎসঙ্গে এসে!
দয়াল প্রভু চেয়ে আছেন মিষ্টি হাসি হেসে!!( ২৬শে নভেম্বর'২০১৯)
ইগো সমস্যাই একমাত্র
দেশ, জাতি, সমাজ, সংসার
ধ্বংস হওয়ার মূল কারণ।
ইগো ভয়ানক এক ব্যাধি।
ইগো সমস্যা থেকে কেউই মুক্ত নয়।
তাই এই পৃথিবীতে মহাত্মা কেউ নয়।
পরমাত্মা আর জীবাত্মার মাঝে
তাই কেউ নেই, কিছু নেই।
পরমাত্মা একমাত্র ইগো মুক্ত।
সেই এক ও অদ্বিতীয় পরমাত্মা হ'লেন
রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মহম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ ও
সর্বশেষ The greatest phenomenon of the world
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।
আর তাদের প্রধান ও প্রকৃত ভক্তরা হ'লেন
একমাত্র মহাত্মা। বাকী সব জীবাত্মা।
( ২৬শে নভেম্বর'২০২২)
উপলব্ধিঃ সৎসঙ্গ ঠাকুরবাড়ি, চুঁচুড়া।
আজ সকাল সকাল বেরিয়ে পড়েছিলাম চুঁচুড়া সৎসঙ্গ ঠাকুরবাড়ির উদ্দেশ্যে। সঙ্গে ছিল স্ত্রী, পুত্র আর কয়েকজন গুরুভাই ও গুরুবোন। গিয়েছিলাম হুগলী জেলার ও চুঁচুড়া সৎসঙ্গ ঠাকুরবাড়ির দায়িত্বে আসীন শ্রদ্ধেয় শ্রী নিলয় মজুমদারদার আহ্বানে। পূজনীয় শ্রীশ্রীঅবিনদাদার নির্দেশে শ্রদ্ধেয় শ্রী নিলয় মজুমদারদা কিছু বিশেষ আলোচনা করার জন্য আহবান জানিয়েছিলেন।
শ্রীনীলয়দার নির্দেশ মতো আমরা হুগলী স্টেশনে নেবে টোটো স্ট্যান্ড থেকে টোটো নিয়ে মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। হুগলী থেকে মন্দির কাছে হওয়ায় শ্রদ্ধেয় নীলয়দা আমাদের হুগলীতে নাবার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেইমতো আমরা যখন মন্দিরে এসে পৌঁছোয় তখন সকাল ১০টা।
মন্দিরে পৌঁছে নীলয়দাদার সঙ্গে দেখা ক'রে শ্রীশ্রীঠাকুর, শ্রীশ্রীবড়মা, শ্রীশ্রীবড়দা ও শ্রীশ্রীআচার্যদেব প্রণাম ক'রে এসে বসলাম তাঁর ঘরে। তিনি আমাদের ঘরে বসতে বললেন। তারপর আলোচনার সুবিধার জন্য সবাই মিলে আমরা ঠাকুর মন্দিরে বিছানো বড় শতরঞ্জির ওপর বসলাম। তারপর শুরু হ'লো আলোচনা। আলোচ্য বিষয় নিয়ে হ'লো দীর্ঘ আলোচনা। মাঝখানে ঠাকুরের প্রসাদ গ্রহণ করলাম। তারপর কথা বলতে বলতে এলো চা বিস্কুট। শ্রদ্ধেয় শ্রীনীলয়দার মিষ্টি কথা ও মনোমুগ্ধকর আলোচনায় মনপ্রাণ জুড়িয়ে গেল সবার। ভাবছিলাম মানুষ এতো মিষ্টি হ'তে পারে!?
ঠাকুরের দরবারে ঠাকুরের সোনার সৎসঙ্গীরা এমনই হয়!!
যাই হ'ক তারপর দীর্ঘ আলোচনা শেষে তিনি আমাদের সমস্ত মন্দির, রাস্তার ওপর সুদৃশ্য গেট, সদ্য কেনা ডাক্তারবাবুর বাড়ি, আনন্দবাজার, তার পাশে নির্মাণ কাজ চলতে থাকা বিরাট এড়িয়া জুড়ে শ্রীশ্রীঅবিনদাদার স্বপ্ন সুইমিং পুল ইত্যাদি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখালেন। কোনও ক্লান্তি নেই। নেই কোনও বিরক্তি। আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখছিলাম এই বিশাল কর্মযজ্ঞ কত বাধা বিঘ্নকে অতিক্রম ক'রে হয়েছে ও হ'য়ে চলেছে! বাধাবিঘ্নের সেই ঝড় নিলয়দাকেও ঝাপ্টা মেরেছে প্রচন্ড।
দেখতে দেখতে অবাক হ'য়ে ভাবছিলাম কি সেই রহস্য যার অদৃশ্য অঙ্গুলিহেলনে দিকে দিকে ভারতবর্ষ তথা বিশ্বজুড়ে শ'য়ে শ'য়ে বিশাল বিশাল মন্দির গড়ে উঠছে!? এই নির্মাণকাজের পিছনে কার অবদান? শ্রদ্ধেয় নীলয়দাদার মত মিষ্টি মধুর ইষ্টপ্রাণ দাদাদের? নাকি আমার দয়াল ঠাকুরের অপার দয়ায় এই বিশাল মন্দির গড়ে উঠেছে, উঠছে?
শ্রদ্ধেয় নীলয়দা বললেন, এই সমস্ত কিছু দয়াল প্রভুর ইচ্ছায় গড়ে উঠেছে। তিনি চাইলে স-ব হয়, না চাইলে কিছুই হয় না। মনে পড়ে গেল আমার দয়াল প্রভুর পূর্ব রূপ শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণের কথা, তাঁর ইচ্ছা না হ'লে গাছের একটি পাতা পর্যন্ত নড়ে না। কেন জানি নিজের এলাকার কথা মনে ক'রে চোখের কোণাটা ভিজে গেল। রুমাল দিয়ে চোখটা আড়াল করলাম।
ইতিমধ্যে আমাদের টোটো এসে গেল। যে টোটোতে ক'রে এসেছিলাম সেই টোটোচালকেরা বলেছিল, দাদা আমাদের ফোন নাম্বারটা রেখে দিন আপনারা যখন ফিরবেন আমাদের ফোন ক'রে দেবেন আমরা চলে আসবো। সেইমতো শঙ্করদা তাদের ফোন ক'রে দিয়েছিল। যাবার সময় মনটা খারাপ হ'য়ে গেল। কয়েক ঘন্টার মেলামেশায় নিলয়দাকে ছেড়ে যেতে মন চাইছিলো না। এত স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অল্পসময়ের ব্যবধানে তিনি আমাদের তাঁর মিষ্টি মধুর ব্যবহারে আপন ক'রে নিয়েছিলেন যে তিনিও তাঁর ব্যস্ত সময়ের কথা ভুলে গিয়ে মন্দির ছেড়ে রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে টোটোর সামনে এসে দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন আর আমাদেরও তাঁকে ছেড়ে টোটোতে উঠতে ইচ্ছে করছিলো না।
কিন্তু একসময় তো বাস্তবকে মেনে নিতেই হয়। নীলয়দাকে বিদায় জানিয়ে আমরা টোটোতে উঠে বসলাম। টোটোর সামনে দাঁড়িয়ে তিনি আপনজনের মতো বিদায়ের হাত নাড়ালেন। আমি নেবে এসে তাঁর হাত দুটো জড়িয়ে ধরলাম। তারপর মাথায় বুকে ঠেকিয়ে বললাম আশীর্বাদ করুন আমরাও যেন ভদ্রকালীতে তাঁর দয়া পায়। বয়স হ'য়ে গেছে। জানি না থাকতে থাকতে তাঁর দয়া লাভ করবো কিনা। তিনি সস্নেহে মিষ্টি মধুর কন্ঠে বললেন, অমন বলবেন না। দয়ালের দরবারে বয়স কোনও ফ্যাক্টর নয়। ভাবগ্রাহী হ'য়ে প্রার্থনা করুন। সবাই মিলে প্রার্থনা করুন। স্বপ্ন পূরণ হবেই। তাছাড়া আপনি ছেলেকে সংস্কার দিয়েছেন, সে আছে, সে আপনার স্বপ্ন পূরণ করবেন, তারপর তার পরবর্তী জেনারেশন রয়েছে। আপনি দয়ালের চরণে ছেলেকে বসিয়েছেন, চিন্তা আবার কি? কি সুন্দর মিষ্টি ক'রে বললেন কথাগুলি। তারপর আগামী ৮ই জানুয়ারী'২২ বাৎসরিক উৎসবে আমন্ত্রণ জানালেন। তারপর আরও যারা আছে সবাইকে নিয়ে আবার আসার জন্য আন্তরিক ভাবে বললেন। আমি উনার ধ'রে থাকা হাত ছেড়ে দিয়ে টোটোতে গিয়ে বসলাম। তারপর টোটো এগিয়ে চললো, আমি পিছন ফিরে আবছা দৃষ্টিতে দেখলাম, তিনি তাকিয়ে আছেন আমাদের টোটোর দিকে। ক্ষণিকের মিলনের বিচ্ছিন্নতায় মনটা বিষন্ন ভারাক্রান্ত হ'য়ে উঠলো।
তারপর বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনে একটা কথায় ভাবছিলাম, এই জীবনে সৎসঙ্গ জগতে কত মানুষ দেখেছি। দেখেছি মিষ্টি মানুষ! দীর্ঘ জীবনের চলার পথে দেখা মানুষের ভিড়ে দেখলাম আরও একজন মিষ্টি মধুর সুন্দর দয়ালের সোনার সৎসঙ্গী শ্রদ্ধেয় নীলয়দাকে। স্মৃতির মণিকোঠায় গেঁথে গেল নামটা।
শ্রীনীলয়দার নির্দেশ মতো আমরা হুগলী স্টেশনে নেবে টোটো স্ট্যান্ড থেকে টোটো নিয়ে মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। হুগলী থেকে মন্দির কাছে হওয়ায় শ্রদ্ধেয় নীলয়দা আমাদের হুগলীতে নাবার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেইমতো আমরা যখন মন্দিরে এসে পৌঁছোয় তখন সকাল ১০টা।
মন্দিরে পৌঁছে নীলয়দাদার সঙ্গে দেখা ক'রে শ্রীশ্রীঠাকুর, শ্রীশ্রীবড়মা, শ্রীশ্রীবড়দা ও শ্রীশ্রীআচার্যদেব প্রণাম ক'রে এসে বসলাম তাঁর ঘরে। তিনি আমাদের ঘরে বসতে বললেন। তারপর আলোচনার সুবিধার জন্য সবাই মিলে আমরা ঠাকুর মন্দিরে বিছানো বড় শতরঞ্জির ওপর বসলাম। তারপর শুরু হ'লো আলোচনা। আলোচ্য বিষয় নিয়ে হ'লো দীর্ঘ আলোচনা। মাঝখানে ঠাকুরের প্রসাদ গ্রহণ করলাম। তারপর কথা বলতে বলতে এলো চা বিস্কুট। শ্রদ্ধেয় শ্রীনীলয়দার মিষ্টি কথা ও মনোমুগ্ধকর আলোচনায় মনপ্রাণ জুড়িয়ে গেল সবার। ভাবছিলাম মানুষ এতো মিষ্টি হ'তে পারে!?
ঠাকুরের দরবারে ঠাকুরের সোনার সৎসঙ্গীরা এমনই হয়!!
যাই হ'ক তারপর দীর্ঘ আলোচনা শেষে তিনি আমাদের সমস্ত মন্দির, রাস্তার ওপর সুদৃশ্য গেট, সদ্য কেনা ডাক্তারবাবুর বাড়ি, আনন্দবাজার, তার পাশে নির্মাণ কাজ চলতে থাকা বিরাট এড়িয়া জুড়ে শ্রীশ্রীঅবিনদাদার স্বপ্ন সুইমিং পুল ইত্যাদি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখালেন। কোনও ক্লান্তি নেই। নেই কোনও বিরক্তি। আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখছিলাম এই বিশাল কর্মযজ্ঞ কত বাধা বিঘ্নকে অতিক্রম ক'রে হয়েছে ও হ'য়ে চলেছে! বাধাবিঘ্নের সেই ঝড় নিলয়দাকেও ঝাপ্টা মেরেছে প্রচন্ড।
দেখতে দেখতে অবাক হ'য়ে ভাবছিলাম কি সেই রহস্য যার অদৃশ্য অঙ্গুলিহেলনে দিকে দিকে ভারতবর্ষ তথা বিশ্বজুড়ে শ'য়ে শ'য়ে বিশাল বিশাল মন্দির গড়ে উঠছে!? এই নির্মাণকাজের পিছনে কার অবদান? শ্রদ্ধেয় নীলয়দাদার মত মিষ্টি মধুর ইষ্টপ্রাণ দাদাদের? নাকি আমার দয়াল ঠাকুরের অপার দয়ায় এই বিশাল মন্দির গড়ে উঠেছে, উঠছে?
শ্রদ্ধেয় নীলয়দা বললেন, এই সমস্ত কিছু দয়াল প্রভুর ইচ্ছায় গড়ে উঠেছে। তিনি চাইলে স-ব হয়, না চাইলে কিছুই হয় না। মনে পড়ে গেল আমার দয়াল প্রভুর পূর্ব রূপ শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণের কথা, তাঁর ইচ্ছা না হ'লে গাছের একটি পাতা পর্যন্ত নড়ে না। কেন জানি নিজের এলাকার কথা মনে ক'রে চোখের কোণাটা ভিজে গেল। রুমাল দিয়ে চোখটা আড়াল করলাম।
ইতিমধ্যে আমাদের টোটো এসে গেল। যে টোটোতে ক'রে এসেছিলাম সেই টোটোচালকেরা বলেছিল, দাদা আমাদের ফোন নাম্বারটা রেখে দিন আপনারা যখন ফিরবেন আমাদের ফোন ক'রে দেবেন আমরা চলে আসবো। সেইমতো শঙ্করদা তাদের ফোন ক'রে দিয়েছিল। যাবার সময় মনটা খারাপ হ'য়ে গেল। কয়েক ঘন্টার মেলামেশায় নিলয়দাকে ছেড়ে যেতে মন চাইছিলো না। এত স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অল্পসময়ের ব্যবধানে তিনি আমাদের তাঁর মিষ্টি মধুর ব্যবহারে আপন ক'রে নিয়েছিলেন যে তিনিও তাঁর ব্যস্ত সময়ের কথা ভুলে গিয়ে মন্দির ছেড়ে রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে টোটোর সামনে এসে দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন আর আমাদেরও তাঁকে ছেড়ে টোটোতে উঠতে ইচ্ছে করছিলো না।
কিন্তু একসময় তো বাস্তবকে মেনে নিতেই হয়। নীলয়দাকে বিদায় জানিয়ে আমরা টোটোতে উঠে বসলাম। টোটোর সামনে দাঁড়িয়ে তিনি আপনজনের মতো বিদায়ের হাত নাড়ালেন। আমি নেবে এসে তাঁর হাত দুটো জড়িয়ে ধরলাম। তারপর মাথায় বুকে ঠেকিয়ে বললাম আশীর্বাদ করুন আমরাও যেন ভদ্রকালীতে তাঁর দয়া পায়। বয়স হ'য়ে গেছে। জানি না থাকতে থাকতে তাঁর দয়া লাভ করবো কিনা। তিনি সস্নেহে মিষ্টি মধুর কন্ঠে বললেন, অমন বলবেন না। দয়ালের দরবারে বয়স কোনও ফ্যাক্টর নয়। ভাবগ্রাহী হ'য়ে প্রার্থনা করুন। সবাই মিলে প্রার্থনা করুন। স্বপ্ন পূরণ হবেই। তাছাড়া আপনি ছেলেকে সংস্কার দিয়েছেন, সে আছে, সে আপনার স্বপ্ন পূরণ করবেন, তারপর তার পরবর্তী জেনারেশন রয়েছে। আপনি দয়ালের চরণে ছেলেকে বসিয়েছেন, চিন্তা আবার কি? কি সুন্দর মিষ্টি ক'রে বললেন কথাগুলি। তারপর আগামী ৮ই জানুয়ারী'২২ বাৎসরিক উৎসবে আমন্ত্রণ জানালেন। তারপর আরও যারা আছে সবাইকে নিয়ে আবার আসার জন্য আন্তরিক ভাবে বললেন। আমি উনার ধ'রে থাকা হাত ছেড়ে দিয়ে টোটোতে গিয়ে বসলাম। তারপর টোটো এগিয়ে চললো, আমি পিছন ফিরে আবছা দৃষ্টিতে দেখলাম, তিনি তাকিয়ে আছেন আমাদের টোটোর দিকে। ক্ষণিকের মিলনের বিচ্ছিন্নতায় মনটা বিষন্ন ভারাক্রান্ত হ'য়ে উঠলো।
তারপর বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনে একটা কথায় ভাবছিলাম, এই জীবনে সৎসঙ্গ জগতে কত মানুষ দেখেছি। দেখেছি মিষ্টি মানুষ! দীর্ঘ জীবনের চলার পথে দেখা মানুষের ভিড়ে দেখলাম আরও একজন মিষ্টি মধুর সুন্দর দয়ালের সোনার সৎসঙ্গী শ্রদ্ধেয় নীলয়দাকে। স্মৃতির মণিকোঠায় গেঁথে গেল নামটা।
( ২৬শে নভেম্বর'২০২২)
প্রবন্ধঃ আমরা কি ভেবে দেখবো না?
( ভিডিওটা দেখুন, শুনুন ও তারপর পড়ুন; তারপর আপনার মতামত অবশ্যই দিন।)
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে অষ্ট্রেলিয়ার কাছে ভারতের হারে একশ্রেণী বাংলাদেশীদের অষ্ট্রেলিয়ার পক্ষে বাধভাঙ্গা আনন্দ প্রকাশ ও ভারতের বিরুদ্ধে সীমাহীন দৃষ্টিকটু কটুক্তি ও খুল্লমখুল্লা নিন্দনীয় কুৎসিত উল্লাস এবং তার প্রত্যুত্তরে ভারতের একশ্রেণী ভারতীয়র নিন্দনীয় কুৎসিত ভূমিকা ভারত-বাংলাদেশ উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ককে চরম গরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এর জন্যে কাকে দায়ী করবো? যখন আমরা দেখি দেশের নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী ছাত্রছাত্রী খুল্লমখুল্লা রিপু তাড়িত উলঙ্গ কুৎসিত আচার আচরণ করতে পারে তখন সাধারণ বুদ্ধিহীন ভাঙাচোরা বৃত্তি-প্রবৃত্তিতে ডুবে থাকা মানুষ যা ইচ্ছা তাই করতেই পারে। আর, যখন সেই দেশের সরকার, রাষ্ট্রপ্রধানরা এইসমস্ত দেখেও চুপ ক'রে থাকে, দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ও সেই একশ্রেণীর উদ্দেশ্যে কোনও মানবতার, মনুষ্যত্বের বার্তা এবং বলিষ্ঠ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেয় না তখন ধরেই নিতে হয় উভয় দেশের শেষের সেদিন ভয়ংকর।
ভারত সরকার প্রতিবেশী রাষ্ট্র সম্পর্কে কি কঠোর ব্যবস্থা নেবে সেটা সরকারী বিবেচনাধীন ব্যাপার। নিশ্চয়ই কঠোর পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু ভিডিওতে আপনি আপনার ব্যক্তিগত ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে একজন ভারতীয় হিসেবে যে সিদ্ধান্তগুলি সম্পর্কে বললেন, যে ভাষা ব্যবহার করলেন সেগুলি আপনাকে বলবার জন্য ভারত সরকার প্রতিনিধি নিযুক্ত করেছিল? নাকি স্বাধীন ভারতের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে সংবিধান বহ্রির্ভূত কথা বলার------যা বললে, যে ভাষা প্রয়োগ করলে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট হ'তে পারে, সমস্ত ভারতবাসী কলঙ্কে জড়িয়ে পড়তে পারে-----অনুমতি ও অধিকার দিয়েছিল? আপনি ভারত সরকারের মুখপাত্র? রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি? প্রধানমন্ত্রীর দূত? বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক দপ্তরের বিশেষ দায়িত্বাধীন কোনও প্রভাবশালী সরকারী প্রতিনিধি?
ভারত সরকার কি সিদ্ধান্ত নেবে সেটা ভারত সরকারের ব্যাপার ও তা' সরকারী বৈদেশিক নীতির ওপর নির্ভর করে। ভিসা নিয়ে শুধু চিকিৎসা কেন প্রয়োজনে শিক্ষা, ব্যবসা, ভারত ভ্রমণ ইত্যাদি যে কোনও ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারী করতে পারে ভারত সরকার ভারতের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার স্বার্থে।
কিন্তু প্রতিবেশী দেশের নাগরিককে প্রকাশ্যে 'শুয়োরের বাচ্চা ও হোগা মারার কথা' বলার জন্য আপনাকে বা ভারতের কোনও নাগরিককে, ভারত সরকার ভারতের মুখপাত্র করেছিল? ভারতের জনগণকে প্রকাশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় যা ইচ্ছা তাই বলার ছাড় দেওয়ার ঘোষণা করেছিল নাকি ভারত সরকার? ভারতের বিদেশ দপ্তর নেট দুনিয়ায় এই উচ্ছৃঙ্খল বিশৃঙ্খল আচরণ প্রকাশের গুরুদায়িত্ব ভারতীয়দের বিশেষ ক'রে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালীদের দিয়েছিল নাকি? ভারত সরকার প্রতিবেশী দেশের জনগণকে প্রকাশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় অশ্লীল অশ্রাব্য ভাষায় অকথ্য কুকথ্য কথা বলার জন্য সরকারী লাইসেন্স দিয়েছিল নাকি? তাহ'লে যে অসভ্য অশালীন বন্য উল্লাসজনক আচরণ একশ্রেণীর বাংলাদেশী করেছিল ভারতের বিরুদ্ধে ভারতের হারের জন্য সেই একই আচরণ কি আমরা সভ্য ভারতীয় বিশেষ ক'রে পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালী করলাম না? এটা কি সেই টিট ফর ট্যাট থিয়োরি? এই থিয়োরি কি দেশের সবার জন্য ও সবজায়গায় প্রয়োগ করার জন্য প্রযোজ্য? একশ্রেণীর বাংলাদেশীর এই অসভ্য আচরণের জন্য যেমন সমস্ত বাংলাদেশী কলঙ্কিত হ'লো ঠিক তেমনি কি ভারতীয় যারা এইধরণের অশ্লীল ভাষায় তৈরী ভিডিও তৈরীর মাধ্যমে ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশীদের উদ্দেশ্যে যে বাক্যবাণ চালাচ্ছে তা'তে কি একইরকম ভাবে সমস্ত ভারতীয় কলঙ্কিত হ'লো না? আমার জিজ্ঞাস্য, ভারত সরকার কি দায়িত্ব দিয়েছিল ভিডিও তৈরী ক'রে হাতের অশ্লীল ভঙ্গি ক'রে ইঙ্গিতে একজন বাংলাদেশী নারীকে এরকম 'র' ভাষায় এইসব অশ্লীল, অকথ্য, কুৎসিত ভাষায় কথা বলার? দেয়নি। তাই না? যে নোংরা আচরণ একশ্রেণীর বাংলাদেশী করেছে তার উত্তরে আপনি ও আপনারা তার দ্বিগুণ করলেন। তাহ'লে আর জ্ঞান দেওয়ার, মূল্যবোধ শেখাবার, দোষ ধরার নৈতিক দায়িত্ব আর থাকে কি আপনার ও আপনাদের? ভদ্রভাষায় ভদ্রভাবে কঠোর কঠিন বলিষ্ঠ প্রতিবাদ কি করা যেত না?
ভিডিওতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত 'বারবার হোগা মারা', বারবার শুয়োরের বাচ্চা বলা, বাপের মায়ের অসুস্থ দেহ কাঁধে তুলে নিয়ে উল্লাস কর', ইদ উদযাপন কর' এরকম ভাষা দিয়ে একজন নারীকে কথা বলার জন্য ভারত সরকার আপনাকে দায়িত্ব দিয়েছিল? আপনি ভারত সরকারের মুখপাত্র নাকি? আপনি আপনার বাড়ির সামনে 'কুকুর ও মুসলমান প্রবেশ নিষেধ' এইরকম বা কি সাইনবোর্ড টাঙ্গাবেন বলেছেন তা' সেটা আপনার ব্যক্তিগত বিষয়। আর সেটা কতটা ন্যায় ও যুক্তিসঙ্গত তা রাজ্য সরকার ও ভারত সরকারের বিষয়। সেই স্বাধীনতা আপনার হয়তো আছে এবং কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের হয়তো বা সেই স্বাধীনতায় কঠোর হস্তক্ষেপ করার কোনও ক্ষমতা আছে; তা আমি জানি না। আপনি বাংলাদেশী কোনও মহিলাকে উদ্দেশ্য ক'রে তাদের এই জঘন্য উল্লাসের কি পরিণাম হ'তে পারে ও কি দশা হবে সে সম্পর্কে কল্পনা করার ক্ষমতা ওদের নেই বললেন, এবং বললেন, 'কল্পনা করার জন্য তোদের আই কিউ নেই, বোধবুদ্ধি নেই।' বারবার অসংখ্যবার হাতের কদর্য ইঙ্গিত ক'রে ক'রে ঐ নারীকে বললেন, মাদ্রাসার হুজুররা মাদ্রাসাতে তোদের হোগা মেরে মেরে তোদের মস্তিষ্ক একেবারে নষ্ট ক'রে ফেলেছে। শুধু জান্নাত, বাহাত্তর হুর আর মাদ্রাসার হুজুরদের সঙ্গে হোগা মারামারি ছাড়া আর কিছু চিন্তাশক্তি, কল্পনাশক্তি তোদের নেই । এই 'হোগা মারামারি'-র কথা শুরু থেকে কতবার বলেছেন আপনার জানা আছে? গুণে দেখেছেন? একবার ভিডিওতে গুণে দেখে নেবেন। আর এই ধরণের ভাষা প্রয়োগের ক্ষেত্রে আপনার এহেন ভাষা প্রয়োগ ও আচরণ সম্পর্কে ও আচরণের পরিণতি আপনার ও আপনার জন্য অন্য নিরপরাধ ভারতবাসীর কি হ'তে পারে সে সম্পর্কে চিন্তাশক্তি, কল্পনা শক্তি ও আই কিউ আপনার আছে? ওদের নেই বুঝলাম তা আপনার ছিল এই কথাগুলি বলার সময়?
কুচবিহার রাসমেলায় বা ভারতে বাংলাদেশী প্রোডাক্ট বয়কট হবে বলেছেন। যদি ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত তাই হয় আর তা যদি দেশের স্বার্থে হয় তাহ'লে তা হবে। আর সেই সিদ্ধান্ত তো আপনি নেবেন না, নিতে হবে ভারত সরকারকে। তা আপনাকে এসব কথা আগাম বলার কোনও দায়িত্ব সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে? দার্জিলিংয়ে বা ভারতের যে কোনও প্রান্তে বাংলাদেশীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ হবে কি হবে না সেটা সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত। সেটা ভারতের অভ্যন্তরে কিংবা বাইরে মানবে কি অস্বীকার করবে সেটা কঠোর হাতে মোকাবিলা করবে কেন্দ্র। আপনি কোনও ভারতীয় বিদেশীদের ঢুকতে দেওয়ার বা না দেওয়ার কে? এটা সরকারী অনুমতি ও বিধিনিষেদের ব্যাপার। আপনি আমি কে? আর চোরা পথে যখন বাংলাদেশীরা প্রবেশ করে তখন কিভাবে, কাদের হাত ধ'রে চোরা পথে প্রবেশ করে তারা ভারতে? ভারতীয় সীমান্তে ভারতীয়দের হাত ধ'রে নাকি অন্য বিদেশী নাগরিকদের হাত ধ'রে? এতদিন ধ'রে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের আপনি ভারতে প্রবেশ করা বন্ধ করতে পেরেছেন নাকি আপনার কোনও ক্ষমতা আছে? তাহ'লে আপনি বলেন কি ক'রে যে, কোনও ভারতীয় প্রবেশ করতে দেবে না বাংলাদেশীদের? এর পরেও যদি ঢোকে আপনি কি করবেন? ভালোমন্দ বোঝার কথা বলেছেন ঐ বাংলাদেশী নারীকে আপনি। অথচ আপনি বললেন, 'সবে হোগা মারা শুরু হয়েছে, ভবিষ্যতে আরো হোগা মারবেন বলেছেন, বলেছেন পরবর্তী প্রজন্মকে হোগা মারবেন এবং কিভাবে হোগা মারবেন, কোথা দিয়ে হোগা মারা হবে সেটা সময়ে টের পাবে বলেছেন। তা এসব ভাষা প্রয়োগ আপনার ক্ষেত্রে ভালোমন্দ বোঝার মধ্যে পরে কি? কথায় আছে আপনি আচরি ধর্ম পরেরে শেখায়।
আপনি ভারতের সঙ্গে শত্রুতা করার পরিণাম কি হয় তা' যুগ যুগ ধ'রে মনে রাখাতে হবে বলেছেন ঐ নারীকে ও ঐ নারীর মাধ্যমে বাংলাদেশীদের। অর্থাৎ যে শত্রুতার বীজ স্বাধীনতার সময়ে ভারত ভাগের ফলে ভুগতে হচ্ছে ভারত, পাকিস্তান আর ১৯৭১ সালে জন্ম হওয়া তৃতীয় টুকরো বাংলাদেশকে আজ ৭৬ বছর ধ'রে সেই বিষ আরও বিষাক্ত ভয়ংকর হ'য়ে ছড়িয়ে পড়ছে ও ছড়িয়ে দিতে চাইছেন প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে আপনাদের মতো তিন দেশের একশ্রেণীর উগ্র নাগরিকেরা পরস্পরের হাত ধ'রে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পুরোনো সেই ভারতবর্ষকে এক করার পরিবর্তে আরও টুকরো টুকরো ক'রে বিদেশীদের হাতে পুনরায় দেশকে তুলে দেওয়ার জন্য উদারতার ভংগীতে তীব্র দেশপ্রেমের দামামা বাজিয়ে চলেছেন।
যদি ভারত সরকার আপনাকে ও আপনাদের মতো নাগরিককে এই অধিকার দিয়ে থাকে তাহ'লে হয়ে যাক গালাগালির পাল্টা উৎসব, পাল্টা সংস্কৃতি।
আর যদি তা না দিয়ে থাকে তবে আমি একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে ও একজন সৎসঙ্গী হিসেবে দেশের সর্ব্বাঙ্গীন স্বার্থে সমস্ত নাগরিকের নিরাপত্তার স্বার্থে আমার আবেদন, দুই দেশের সমস্ত সচেতন নাগরিক সমাজ আরও ভয়ংকর খারাপ অবস্থা আসার আগেই আগামী দিনের কথা ভেবে গর্জে উঠুক প্রবল্ভাবে এই দেশপ্রেমের অছিলায় বা মূর্খামিতে তা দিয়ে দিয়ে শত্রুতার ডিমকে ফুটতে দেওয়ার বিরুদ্ধে এবং দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে আবেদন রাখুক তাঁরা আর দেরী না ক'রে বলিষ্ঠ কঠোর হাতে দেশের স্বার্থে সঠিক ন্যায্য ব্যবস্থা নিক তা' সে যতই কঠোর হ'ক।
আমরা সচেতন দেশবাসী কি ভেবে দেখবো না এ আমরা কোন সর্বনাশের দিকে হেঁটে চলেছি? কোন ভয়ংকর ভবিষ্যৎ কে আহ্বান করছি?
প্রকাশ বিশ্বাস।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে অষ্ট্রেলিয়ার কাছে ভারতের হারে একশ্রেণী বাংলাদেশীদের অষ্ট্রেলিয়ার পক্ষে বাধভাঙ্গা আনন্দ প্রকাশ ও ভারতের বিরুদ্ধে সীমাহীন দৃষ্টিকটু কটুক্তি ও খুল্লমখুল্লা নিন্দনীয় কুৎসিত উল্লাস এবং তার প্রত্যুত্তরে ভারতের একশ্রেণী ভারতীয়র নিন্দনীয় কুৎসিত ভূমিকা ভারত-বাংলাদেশ উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ককে চরম গরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এর জন্যে কাকে দায়ী করবো? যখন আমরা দেখি দেশের নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী ছাত্রছাত্রী খুল্লমখুল্লা রিপু তাড়িত উলঙ্গ কুৎসিত আচার আচরণ করতে পারে তখন সাধারণ বুদ্ধিহীন ভাঙাচোরা বৃত্তি-প্রবৃত্তিতে ডুবে থাকা মানুষ যা ইচ্ছা তাই করতেই পারে। আর, যখন সেই দেশের সরকার, রাষ্ট্রপ্রধানরা এইসমস্ত দেখেও চুপ ক'রে থাকে, দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ও সেই একশ্রেণীর উদ্দেশ্যে কোনও মানবতার, মনুষ্যত্বের বার্তা এবং বলিষ্ঠ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেয় না তখন ধরেই নিতে হয় উভয় দেশের শেষের সেদিন ভয়ংকর।
ভারত সরকার প্রতিবেশী রাষ্ট্র সম্পর্কে কি কঠোর ব্যবস্থা নেবে সেটা সরকারী বিবেচনাধীন ব্যাপার। নিশ্চয়ই কঠোর পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু ভিডিওতে আপনি আপনার ব্যক্তিগত ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে একজন ভারতীয় হিসেবে যে সিদ্ধান্তগুলি সম্পর্কে বললেন, যে ভাষা ব্যবহার করলেন সেগুলি আপনাকে বলবার জন্য ভারত সরকার প্রতিনিধি নিযুক্ত করেছিল? নাকি স্বাধীন ভারতের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে সংবিধান বহ্রির্ভূত কথা বলার------যা বললে, যে ভাষা প্রয়োগ করলে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট হ'তে পারে, সমস্ত ভারতবাসী কলঙ্কে জড়িয়ে পড়তে পারে-----অনুমতি ও অধিকার দিয়েছিল? আপনি ভারত সরকারের মুখপাত্র? রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি? প্রধানমন্ত্রীর দূত? বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক দপ্তরের বিশেষ দায়িত্বাধীন কোনও প্রভাবশালী সরকারী প্রতিনিধি?
ভারত সরকার কি সিদ্ধান্ত নেবে সেটা ভারত সরকারের ব্যাপার ও তা' সরকারী বৈদেশিক নীতির ওপর নির্ভর করে। ভিসা নিয়ে শুধু চিকিৎসা কেন প্রয়োজনে শিক্ষা, ব্যবসা, ভারত ভ্রমণ ইত্যাদি যে কোনও ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারী করতে পারে ভারত সরকার ভারতের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার স্বার্থে।
কিন্তু প্রতিবেশী দেশের নাগরিককে প্রকাশ্যে 'শুয়োরের বাচ্চা ও হোগা মারার কথা' বলার জন্য আপনাকে বা ভারতের কোনও নাগরিককে, ভারত সরকার ভারতের মুখপাত্র করেছিল? ভারতের জনগণকে প্রকাশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় যা ইচ্ছা তাই বলার ছাড় দেওয়ার ঘোষণা করেছিল নাকি ভারত সরকার? ভারতের বিদেশ দপ্তর নেট দুনিয়ায় এই উচ্ছৃঙ্খল বিশৃঙ্খল আচরণ প্রকাশের গুরুদায়িত্ব ভারতীয়দের বিশেষ ক'রে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালীদের দিয়েছিল নাকি? ভারত সরকার প্রতিবেশী দেশের জনগণকে প্রকাশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় অশ্লীল অশ্রাব্য ভাষায় অকথ্য কুকথ্য কথা বলার জন্য সরকারী লাইসেন্স দিয়েছিল নাকি? তাহ'লে যে অসভ্য অশালীন বন্য উল্লাসজনক আচরণ একশ্রেণীর বাংলাদেশী করেছিল ভারতের বিরুদ্ধে ভারতের হারের জন্য সেই একই আচরণ কি আমরা সভ্য ভারতীয় বিশেষ ক'রে পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালী করলাম না? এটা কি সেই টিট ফর ট্যাট থিয়োরি? এই থিয়োরি কি দেশের সবার জন্য ও সবজায়গায় প্রয়োগ করার জন্য প্রযোজ্য? একশ্রেণীর বাংলাদেশীর এই অসভ্য আচরণের জন্য যেমন সমস্ত বাংলাদেশী কলঙ্কিত হ'লো ঠিক তেমনি কি ভারতীয় যারা এইধরণের অশ্লীল ভাষায় তৈরী ভিডিও তৈরীর মাধ্যমে ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশীদের উদ্দেশ্যে যে বাক্যবাণ চালাচ্ছে তা'তে কি একইরকম ভাবে সমস্ত ভারতীয় কলঙ্কিত হ'লো না? আমার জিজ্ঞাস্য, ভারত সরকার কি দায়িত্ব দিয়েছিল ভিডিও তৈরী ক'রে হাতের অশ্লীল ভঙ্গি ক'রে ইঙ্গিতে একজন বাংলাদেশী নারীকে এরকম 'র' ভাষায় এইসব অশ্লীল, অকথ্য, কুৎসিত ভাষায় কথা বলার? দেয়নি। তাই না? যে নোংরা আচরণ একশ্রেণীর বাংলাদেশী করেছে তার উত্তরে আপনি ও আপনারা তার দ্বিগুণ করলেন। তাহ'লে আর জ্ঞান দেওয়ার, মূল্যবোধ শেখাবার, দোষ ধরার নৈতিক দায়িত্ব আর থাকে কি আপনার ও আপনাদের? ভদ্রভাষায় ভদ্রভাবে কঠোর কঠিন বলিষ্ঠ প্রতিবাদ কি করা যেত না?
ভিডিওতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত 'বারবার হোগা মারা', বারবার শুয়োরের বাচ্চা বলা, বাপের মায়ের অসুস্থ দেহ কাঁধে তুলে নিয়ে উল্লাস কর', ইদ উদযাপন কর' এরকম ভাষা দিয়ে একজন নারীকে কথা বলার জন্য ভারত সরকার আপনাকে দায়িত্ব দিয়েছিল? আপনি ভারত সরকারের মুখপাত্র নাকি? আপনি আপনার বাড়ির সামনে 'কুকুর ও মুসলমান প্রবেশ নিষেধ' এইরকম বা কি সাইনবোর্ড টাঙ্গাবেন বলেছেন তা' সেটা আপনার ব্যক্তিগত বিষয়। আর সেটা কতটা ন্যায় ও যুক্তিসঙ্গত তা রাজ্য সরকার ও ভারত সরকারের বিষয়। সেই স্বাধীনতা আপনার হয়তো আছে এবং কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের হয়তো বা সেই স্বাধীনতায় কঠোর হস্তক্ষেপ করার কোনও ক্ষমতা আছে; তা আমি জানি না। আপনি বাংলাদেশী কোনও মহিলাকে উদ্দেশ্য ক'রে তাদের এই জঘন্য উল্লাসের কি পরিণাম হ'তে পারে ও কি দশা হবে সে সম্পর্কে কল্পনা করার ক্ষমতা ওদের নেই বললেন, এবং বললেন, 'কল্পনা করার জন্য তোদের আই কিউ নেই, বোধবুদ্ধি নেই।' বারবার অসংখ্যবার হাতের কদর্য ইঙ্গিত ক'রে ক'রে ঐ নারীকে বললেন, মাদ্রাসার হুজুররা মাদ্রাসাতে তোদের হোগা মেরে মেরে তোদের মস্তিষ্ক একেবারে নষ্ট ক'রে ফেলেছে। শুধু জান্নাত, বাহাত্তর হুর আর মাদ্রাসার হুজুরদের সঙ্গে হোগা মারামারি ছাড়া আর কিছু চিন্তাশক্তি, কল্পনাশক্তি তোদের নেই । এই 'হোগা মারামারি'-র কথা শুরু থেকে কতবার বলেছেন আপনার জানা আছে? গুণে দেখেছেন? একবার ভিডিওতে গুণে দেখে নেবেন। আর এই ধরণের ভাষা প্রয়োগের ক্ষেত্রে আপনার এহেন ভাষা প্রয়োগ ও আচরণ সম্পর্কে ও আচরণের পরিণতি আপনার ও আপনার জন্য অন্য নিরপরাধ ভারতবাসীর কি হ'তে পারে সে সম্পর্কে চিন্তাশক্তি, কল্পনা শক্তি ও আই কিউ আপনার আছে? ওদের নেই বুঝলাম তা আপনার ছিল এই কথাগুলি বলার সময়?
কুচবিহার রাসমেলায় বা ভারতে বাংলাদেশী প্রোডাক্ট বয়কট হবে বলেছেন। যদি ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত তাই হয় আর তা যদি দেশের স্বার্থে হয় তাহ'লে তা হবে। আর সেই সিদ্ধান্ত তো আপনি নেবেন না, নিতে হবে ভারত সরকারকে। তা আপনাকে এসব কথা আগাম বলার কোনও দায়িত্ব সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে? দার্জিলিংয়ে বা ভারতের যে কোনও প্রান্তে বাংলাদেশীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ হবে কি হবে না সেটা সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত। সেটা ভারতের অভ্যন্তরে কিংবা বাইরে মানবে কি অস্বীকার করবে সেটা কঠোর হাতে মোকাবিলা করবে কেন্দ্র। আপনি কোনও ভারতীয় বিদেশীদের ঢুকতে দেওয়ার বা না দেওয়ার কে? এটা সরকারী অনুমতি ও বিধিনিষেদের ব্যাপার। আপনি আমি কে? আর চোরা পথে যখন বাংলাদেশীরা প্রবেশ করে তখন কিভাবে, কাদের হাত ধ'রে চোরা পথে প্রবেশ করে তারা ভারতে? ভারতীয় সীমান্তে ভারতীয়দের হাত ধ'রে নাকি অন্য বিদেশী নাগরিকদের হাত ধ'রে? এতদিন ধ'রে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের আপনি ভারতে প্রবেশ করা বন্ধ করতে পেরেছেন নাকি আপনার কোনও ক্ষমতা আছে? তাহ'লে আপনি বলেন কি ক'রে যে, কোনও ভারতীয় প্রবেশ করতে দেবে না বাংলাদেশীদের? এর পরেও যদি ঢোকে আপনি কি করবেন? ভালোমন্দ বোঝার কথা বলেছেন ঐ বাংলাদেশী নারীকে আপনি। অথচ আপনি বললেন, 'সবে হোগা মারা শুরু হয়েছে, ভবিষ্যতে আরো হোগা মারবেন বলেছেন, বলেছেন পরবর্তী প্রজন্মকে হোগা মারবেন এবং কিভাবে হোগা মারবেন, কোথা দিয়ে হোগা মারা হবে সেটা সময়ে টের পাবে বলেছেন। তা এসব ভাষা প্রয়োগ আপনার ক্ষেত্রে ভালোমন্দ বোঝার মধ্যে পরে কি? কথায় আছে আপনি আচরি ধর্ম পরেরে শেখায়।
আপনি ভারতের সঙ্গে শত্রুতা করার পরিণাম কি হয় তা' যুগ যুগ ধ'রে মনে রাখাতে হবে বলেছেন ঐ নারীকে ও ঐ নারীর মাধ্যমে বাংলাদেশীদের। অর্থাৎ যে শত্রুতার বীজ স্বাধীনতার সময়ে ভারত ভাগের ফলে ভুগতে হচ্ছে ভারত, পাকিস্তান আর ১৯৭১ সালে জন্ম হওয়া তৃতীয় টুকরো বাংলাদেশকে আজ ৭৬ বছর ধ'রে সেই বিষ আরও বিষাক্ত ভয়ংকর হ'য়ে ছড়িয়ে পড়ছে ও ছড়িয়ে দিতে চাইছেন প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে আপনাদের মতো তিন দেশের একশ্রেণীর উগ্র নাগরিকেরা পরস্পরের হাত ধ'রে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পুরোনো সেই ভারতবর্ষকে এক করার পরিবর্তে আরও টুকরো টুকরো ক'রে বিদেশীদের হাতে পুনরায় দেশকে তুলে দেওয়ার জন্য উদারতার ভংগীতে তীব্র দেশপ্রেমের দামামা বাজিয়ে চলেছেন।
যদি ভারত সরকার আপনাকে ও আপনাদের মতো নাগরিককে এই অধিকার দিয়ে থাকে তাহ'লে হয়ে যাক গালাগালির পাল্টা উৎসব, পাল্টা সংস্কৃতি।
আর যদি তা না দিয়ে থাকে তবে আমি একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে ও একজন সৎসঙ্গী হিসেবে দেশের সর্ব্বাঙ্গীন স্বার্থে সমস্ত নাগরিকের নিরাপত্তার স্বার্থে আমার আবেদন, দুই দেশের সমস্ত সচেতন নাগরিক সমাজ আরও ভয়ংকর খারাপ অবস্থা আসার আগেই আগামী দিনের কথা ভেবে গর্জে উঠুক প্রবল্ভাবে এই দেশপ্রেমের অছিলায় বা মূর্খামিতে তা দিয়ে দিয়ে শত্রুতার ডিমকে ফুটতে দেওয়ার বিরুদ্ধে এবং দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে আবেদন রাখুক তাঁরা আর দেরী না ক'রে বলিষ্ঠ কঠোর হাতে দেশের স্বার্থে সঠিক ন্যায্য ব্যবস্থা নিক তা' সে যতই কঠোর হ'ক।
আমরা সচেতন দেশবাসী কি ভেবে দেখবো না এ আমরা কোন সর্বনাশের দিকে হেঁটে চলেছি? কোন ভয়ংকর ভবিষ্যৎ কে আহ্বান করছি?
প্রকাশ বিশ্বাস।
( ২৬শে নভেম্বর'২০২৩)
https://www.youtube.com/watch?v=xCsrBekFh94
খোলা চিঠিঃ হামীম ফারুকদাকে।
শ্রদ্ধেয় হামীম ফারুকদা,
আপনার উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা আমাকেও ভাবিয়ে তুলেছে কিছুদিন ধ'রে। আগে আমি খেলা দেখতাম। কিন্তু এখন আর খেলা দেখায় তেমন আনন্দ পাই না, তাই দেখি না। যে কোনও খেলায় মনোরঞ্জন এখন মূল ব্যাপার নয়। হারজিৎ খেলার স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। যে কোনও একজন হারবে বা জিতবে সেই দিনের পারফরমেন্সের ওপর দাঁড়িয়ে। কিন্তু সেটা এখন গৌণ হ'য়ে গেছে। মূল ব্যাপার মনোরঞ্জন এখন খেলার হারজিৎ কে কেন্দ্র ক'রে ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে গেছে রাজনৈতিক উগ্রতায়, ধর্মীয় উন্মাদনায়, পারস্পরিক হিংসা ও ঘৃণায়। অথচ এই নিয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের সমর্হকদের মধ্যে সাম্প্রতিক ঘটে চলা ঘটনায় উভয় দেশেই দেশজুড়ে কোনও হেলদোল নেই। আপনি ঠিকই বলেছেন, খেলা সবাই দেখে না। আমিও বলি, অথচ উগ্রতার বিষে সবাইকে জ্বলতে হবে। কেন?
তাই আপনার এই আবেদন সময়োচিত এবং শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের কাছে তা গ্রহণযোগ্য শুধু নয় তা' নিয়ে পারস্পরিক গম্ভীর সিরিয়াস আলোচনা হওয়া জরুরী। আপনার আবেদনকে সম্পূর্ণ সমর্থন ও শ্রদ্ধা জানিয়ে আপনাকে খোলা চিঠি লিখলাম।
কোনও লাভ নেই ব'লে।
দুই দেশের সমস্ত দিকের সমস্ত বিষয়ের মাথা যদি সুপরামর্শ, গঠনমূলক পরামর্শ দিতে অসমর্থ, অক্ষম হয় তবে অন্তত তারা দাবী তুলুক, মনোরঞ্জনের জন্য আয়োজিত সামান্য এক খেলাকে কেন্দ্র ক'রে যদি দুই দেশের জনগণের মধ্যে হিংসা, ঘৃণার বীজ বপন হয় তবে দু'দেশের মধ্যে খেলা বন্ধ হ'ক এবং দেশের অভ্যন্তরে কঠোর হাতে নির্মূল করা হ'ক খেলাকে কেন্দ্র ক'রে তৈরী করা হিংস্রতা, ঘৃণার বাতাবরণের উৎস।।
প্রশ্নঃ নেট দুনিয়ায় বালখিল্য বাহাদুরির ঝড় তোলা নেটিজেনদের প্রতিবেশীর ঘরে আগুন লাগলে কি নিজের ঘরে আগুন লাগবে না ও ঘরের প্রিয়জনেরা পুড়ে মরবে না? মনুষ্যত্বের মূল বুনিয়াদ কি ধ্বংস হ'য়ে গেছে, নষ্ট হ'য়ে গেছে?
কোনো স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী নিশ্চয় এর পেছনে রয়েছে"---আপনার একথাটা যেমন সত্যি তার থেকেও বড় সত্যি দুই দেশের মেরুদন্ডহীন তথাকথিত বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ এবং ক্ষমতালোভী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উদাসীনতা ও 'আমার গায়ে আঁচ না লাগে ফুরিয়ে যাবে মামলা' গোছের মানসিকতা।
দেশের উচ্চবিত্ত ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী নাগরিক আজ চুপ কেন? দেশের ঘুমিয়ে থাকা, লেখাপড়াজানাওয়ালা অশিক্ষিত, সহজ, সরল, মূর্খ ও আবেগ সম্পন্ন সীমাহীন ভাঙাচোরা জনগণ কি আগামী দুই দেশের সুসম্পর্ক নষ্টের জন্য দায়ী নয়? দেশের লেখাপড়া জানাওয়ালা ইয়ং জেনারেশন যতদিন না শিক্ষিত ও সচেতন হ'য়ে উঠবে এবং সহজ, সরল, আবেগ তাড়িত মূর্খ ভাঙাচোরা জনগণ অজ্ঞানতার ঘুম থেকে নিজেদেরকে জাগিয়ে তুলবে, যতদিন না মনোরঞ্জনের জন্য আয়োজিত খেলাকে কেন্দ্র ক'রে অপরিণত বালখিল্য মানসিকতায় ধ্বংসের আগুন নিয়ে খেলা বন্ধ হবে ততদিন আগত শেষের সেদিনের নিশ্চিত ভয়ঙ্করের হাত থেকে রক্ষা পাবে না দুই দেশের আজকের নালায়েক নাগরিক।
এর জন্য জ্ঞান-বিজ্ঞান, ব্যবসা-বাণিজ্য, গণমাধ্যম, ধর্ম-সম্প্রদায় সমস্ত দিকের দেশের মাথাদের যা করার দরকার ছিল তা যখন তারা করতে অপারগ, অনিচ্ছুক বরং তারা যখন নিরোর মতো আরাম কেদারায় শুয়ে আরামে হারাম বেহালার সুরে গভীর নিদ্রায় ব্যস্ত শয়তানদের বিষাক্ত নিঃশ্বাস আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ ক'রে দিতে এবং জনগণ যখন ঠিকই ক'রে নিয়েছে একশ্রেণীর এই আগুন নিয়ে খেলার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদে সরব হবে না তখন ধ্বংস অনিবার্য। তবে তাই-ই হ'ক।
ধন্যবাদান্তে,
প্রকাশ বিশ্বাস।
হামিম ফারুক
November 25' 2023
ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়দেশেরই একটি উগ্রশ্রেণী দুইদেশকে নিয়ে নানা বিদ্বেষমূলক, অপমানকর মন্তব্য করে যাচ্ছেন। এরা মূলত তরুণ বয়সেরই বলে অনুমিত হয়। কিন্তু তাদেরসাথে কিছু বয়স্ক ও তথাকথিত শিক্ষিত মানুষও জুটেছে। সামান্য একটি খেলাকে কেন্দ্র করে যে চূড়ান্ত পাগলামো ও উগ্রতা দুদেশে তৈরি হয়েছে তাতে ইন্ধন যোগাচ্ছে আবার একশ্রেণির রাজনৈতিক নেতা বা উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠী।
এইসব অপমানকর ট্রলে নিজেকে যুক্ত করবেন না, অপরকে ছোটো করতে গিয়ে নিজেকে আরও নিচে নামাবেন না। আমি এই ধরণের পোস্ট বা ভিডিও দেখলে সেগুলো ডিলিট করছি অথবা এড়িয়ে যাচ্ছি।
ভারত এবং বাংলাদেশ দুদেশই একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে দুদেশেরই পারস্পরিক নির্ভরতা রয়েছে, সেটাকে কেউ অস্বীকার করতে পারে না। কিন্তু খেলাকে কেন্দ্র করে দুটি দেশের জনগণের মন বিষিয়ে তুলবেন না কেউ এবং বিষিয়ে তোলার সুযোগও দেবেন না। সবাই অাপনাদের এই ক্রিকেট খেলা দেখে না।
সবকিছু দেখে এখন মনে হচ্ছে কোনো বিশেষ গোষ্ঠী নিশ্চয় দুদেশেই একটি পরিস্থিতি তৈরি করার সুযোগ খুঁজছে। আর আমরাও তাদের ইন্ধনে ছাগলের ৩ নম্বর বাচ্চার মতো লাফালাফি করছি।
কাজেই, সাধু সাবধান!
আপনার উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা আমাকেও ভাবিয়ে তুলেছে কিছুদিন ধ'রে। আগে আমি খেলা দেখতাম। কিন্তু এখন আর খেলা দেখায় তেমন আনন্দ পাই না, তাই দেখি না। যে কোনও খেলায় মনোরঞ্জন এখন মূল ব্যাপার নয়। হারজিৎ খেলার স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। যে কোনও একজন হারবে বা জিতবে সেই দিনের পারফরমেন্সের ওপর দাঁড়িয়ে। কিন্তু সেটা এখন গৌণ হ'য়ে গেছে। মূল ব্যাপার মনোরঞ্জন এখন খেলার হারজিৎ কে কেন্দ্র ক'রে ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে গেছে রাজনৈতিক উগ্রতায়, ধর্মীয় উন্মাদনায়, পারস্পরিক হিংসা ও ঘৃণায়। অথচ এই নিয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের সমর্হকদের মধ্যে সাম্প্রতিক ঘটে চলা ঘটনায় উভয় দেশেই দেশজুড়ে কোনও হেলদোল নেই। আপনি ঠিকই বলেছেন, খেলা সবাই দেখে না। আমিও বলি, অথচ উগ্রতার বিষে সবাইকে জ্বলতে হবে। কেন?
তাই আপনার এই আবেদন সময়োচিত এবং শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের কাছে তা গ্রহণযোগ্য শুধু নয় তা' নিয়ে পারস্পরিক গম্ভীর সিরিয়াস আলোচনা হওয়া জরুরী। আপনার আবেদনকে সম্পূর্ণ সমর্থন ও শ্রদ্ধা জানিয়ে আপনাকে খোলা চিঠি লিখলাম।
কোনও লাভ নেই ব'লে।
সুরকার এ, আর, রেহমান কোথায় কোন বইয়ে নজরুলের গানের সুরে বিকৃতি ঘটিয়ে গানের ওপর নাকি বলাৎকার করেছে তা' নিয়ে নেটিজেনরা সুরের বিশুদ্ধতা নষ্টের প্রশ্নে চতুর্দিকে সরোষে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিল এবং নজরুলের প্রতি তাদের কাগুজে ভালোবাসায় নীল মূত্রপাত ঘটিয়েছিল ভয়ংকর তীব্র প্রতিবাদে নেট দুনিয়ায় কিন্তু দুই দেশের জনগণের মধ্যে সামান্য এক খেলাকে কেন্দ্র ক'রে যখন ক্রীড়াপ্রেমী সীমাহীন উচ্ছৃংখলা ও বিশৃংখলার যে উগ্র হিংস্রতার নির্দশন রাখতে বদ্ধপরিকর হ'য়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে একে অন্যের ওপর নেটদুনিয়ায় ফলে দুই দেশের সুসম্পর্ক যে তলানিতে গিয়ে ঠেকছে ও তা দিয়ে দিয়ে ক্রমশঃ যে শত্রুতার ডিম ফুটিয়ে চলেছে অদূর ভবিষ্যতে কোনও শয়তানী শক্তিকে জন্ম দেওয়ার জন্য ও ধ্বংসক্ষেত্র প্রস্তুতের জন্য তখন সেইসব তথাকথিত সচেতন নেটিজেনরা নীরব!!!!!!
কেন? কেন?? কেন???
কেন? কেন?? কেন???
দুই দেশের সমস্ত দিকের সমস্ত বিষয়ের মাথা যদি সুপরামর্শ, গঠনমূলক পরামর্শ দিতে অসমর্থ, অক্ষম হয় তবে অন্তত তারা দাবী তুলুক, মনোরঞ্জনের জন্য আয়োজিত সামান্য এক খেলাকে কেন্দ্র ক'রে যদি দুই দেশের জনগণের মধ্যে হিংসা, ঘৃণার বীজ বপন হয় তবে দু'দেশের মধ্যে খেলা বন্ধ হ'ক এবং দেশের অভ্যন্তরে কঠোর হাতে নির্মূল করা হ'ক খেলাকে কেন্দ্র ক'রে তৈরী করা হিংস্রতা, ঘৃণার বাতাবরণের উৎস।।
প্রশ্নঃ নেট দুনিয়ায় বালখিল্য বাহাদুরির ঝড় তোলা নেটিজেনদের প্রতিবেশীর ঘরে আগুন লাগলে কি নিজের ঘরে আগুন লাগবে না ও ঘরের প্রিয়জনেরা পুড়ে মরবে না? মনুষ্যত্বের মূল বুনিয়াদ কি ধ্বংস হ'য়ে গেছে, নষ্ট হ'য়ে গেছে?
কোনো স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী নিশ্চয় এর পেছনে রয়েছে"---আপনার একথাটা যেমন সত্যি তার থেকেও বড় সত্যি দুই দেশের মেরুদন্ডহীন তথাকথিত বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ এবং ক্ষমতালোভী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উদাসীনতা ও 'আমার গায়ে আঁচ না লাগে ফুরিয়ে যাবে মামলা' গোছের মানসিকতা।
দেশের উচ্চবিত্ত ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী নাগরিক আজ চুপ কেন? দেশের ঘুমিয়ে থাকা, লেখাপড়াজানাওয়ালা অশিক্ষিত, সহজ, সরল, মূর্খ ও আবেগ সম্পন্ন সীমাহীন ভাঙাচোরা জনগণ কি আগামী দুই দেশের সুসম্পর্ক নষ্টের জন্য দায়ী নয়? দেশের লেখাপড়া জানাওয়ালা ইয়ং জেনারেশন যতদিন না শিক্ষিত ও সচেতন হ'য়ে উঠবে এবং সহজ, সরল, আবেগ তাড়িত মূর্খ ভাঙাচোরা জনগণ অজ্ঞানতার ঘুম থেকে নিজেদেরকে জাগিয়ে তুলবে, যতদিন না মনোরঞ্জনের জন্য আয়োজিত খেলাকে কেন্দ্র ক'রে অপরিণত বালখিল্য মানসিকতায় ধ্বংসের আগুন নিয়ে খেলা বন্ধ হবে ততদিন আগত শেষের সেদিনের নিশ্চিত ভয়ঙ্করের হাত থেকে রক্ষা পাবে না দুই দেশের আজকের নালায়েক নাগরিক।
এর জন্য জ্ঞান-বিজ্ঞান, ব্যবসা-বাণিজ্য, গণমাধ্যম, ধর্ম-সম্প্রদায় সমস্ত দিকের দেশের মাথাদের যা করার দরকার ছিল তা যখন তারা করতে অপারগ, অনিচ্ছুক বরং তারা যখন নিরোর মতো আরাম কেদারায় শুয়ে আরামে হারাম বেহালার সুরে গভীর নিদ্রায় ব্যস্ত শয়তানদের বিষাক্ত নিঃশ্বাস আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ ক'রে দিতে এবং জনগণ যখন ঠিকই ক'রে নিয়েছে একশ্রেণীর এই আগুন নিয়ে খেলার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদে সরব হবে না তখন ধ্বংস অনিবার্য। তবে তাই-ই হ'ক।
ধন্যবাদান্তে,
প্রকাশ বিশ্বাস।
হামিম ফারুক
November 25' 2023
ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়দেশেরই একটি উগ্রশ্রেণী দুইদেশকে নিয়ে নানা বিদ্বেষমূলক, অপমানকর মন্তব্য করে যাচ্ছেন। এরা মূলত তরুণ বয়সেরই বলে অনুমিত হয়। কিন্তু তাদেরসাথে কিছু বয়স্ক ও তথাকথিত শিক্ষিত মানুষও জুটেছে। সামান্য একটি খেলাকে কেন্দ্র করে যে চূড়ান্ত পাগলামো ও উগ্রতা দুদেশে তৈরি হয়েছে তাতে ইন্ধন যোগাচ্ছে আবার একশ্রেণির রাজনৈতিক নেতা বা উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠী।
এইসব অপমানকর ট্রলে নিজেকে যুক্ত করবেন না, অপরকে ছোটো করতে গিয়ে নিজেকে আরও নিচে নামাবেন না। আমি এই ধরণের পোস্ট বা ভিডিও দেখলে সেগুলো ডিলিট করছি অথবা এড়িয়ে যাচ্ছি।
ভারত এবং বাংলাদেশ দুদেশই একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে দুদেশেরই পারস্পরিক নির্ভরতা রয়েছে, সেটাকে কেউ অস্বীকার করতে পারে না। কিন্তু খেলাকে কেন্দ্র করে দুটি দেশের জনগণের মন বিষিয়ে তুলবেন না কেউ এবং বিষিয়ে তোলার সুযোগও দেবেন না। সবাই অাপনাদের এই ক্রিকেট খেলা দেখে না।
সবকিছু দেখে এখন মনে হচ্ছে কোনো বিশেষ গোষ্ঠী নিশ্চয় দুদেশেই একটি পরিস্থিতি তৈরি করার সুযোগ খুঁজছে। আর আমরাও তাদের ইন্ধনে ছাগলের ৩ নম্বর বাচ্চার মতো লাফালাফি করছি।
কাজেই, সাধু সাবধান!
বিচিত্রা ৪৯
বন্ধু! যার হাত ধ'রে তুমি শিখলে সাঁতার
তারেই মারতে চাও ডুবিয়ে!?
আসবে সেদিন যেদিন ঘোর আঁধারে
আসবে সেদিন যেদিন ঘোর আঁধারে
তুমি নিশ্চিত যাবে হারিয়ে!
ভাঙার জাল শুধু বুনলে তুমি
গড়লে না কিছুই জীবনে!
ভাঙার কারিগর হ'লে শেষে বন্ধু
প্রভুর চোখে চোখ রাখো কেমনে!?( লেখা ২৫শে নভেম্বর'২০১৯)
আর এছাড়া আমার নিকট ও দূরের জনদের
নিজের জাগতিক বাপকে
যে চিনতে পারে নি বা পারে না
সে এই মহাজাগতিক সৃষ্টির যে বাপ,
পরমবাপ অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা
তাঁকে চিনবে কেমন ক'রে!?.
ঈশ্বরের কি কোনও ভুল আছে ?
(লেখা ২৫শে নভেম্বর;২০২০)
(লেখা ২৫শে নভেম্বর;২০২০)
সৃষ্টিকর্তা কাউকেও অ-সুখ গুঁজে দেননি।
সুখ ও অ-সুখ সবটাই
আমি যা করেছি ও করছি তার ফল।
আমার করা অনুযায়ী আমার ফল লাভ হয়।
যদি সৃষ্টিকর্তা ব'লে কিছু বা কেউ থেকে থাকেন
তাহ'লে আমার যাবতীয় করাকে তিনি গ্রাহ্য করেন
আর সেই অনুযায়ী আমার সুখ ও অ-সুখ লাভ হয়।
আমার সব সুখের পিছনে তাঁর দয়া আছে
আর সব অ-সুখের পিছনে আমার করায় ত্রুটি আছে।
এছাড়া অন্যের কারণেও অ-সুখ হয়।আর এছাড়া আমার নিকট ও দূরের জনদের
সচেতন ক'রে তোলার প্রতি অবহেলা
আমার অন্যতম অ-সুখের কারণ।
হে দয়াল! তুমি মানুষ ভিক্ষা চেয়েছিলে?
ভিক্ষা চেয়েছিলে আমাদেরই প্রাণের জন্য, আমাদেরই প্রাণভিক্ষায়,
আমাদেরই সত্তার সম্বর্দ্ধনার জন্য
ব্যাকুল হয়ে ইতস্ততঃ ঘুরে বেড়িয়ে;
'কে আছ এমন দরদী আর্য্য-আত্মজ সন্তান!
--আমাকে মানুষ ভিক্ষা দেবে?' ব'লে
আমাদের দ্বারে দ্বারে নতজানু হ'য়ে।
আর আমরা?
তোমার ভক্ত সেজে
আর আমরা?
তোমার ভক্ত সেজে
আমার গায়ে আঁচ না লাগে
ফুরিয়ে যাবে মামলা মানসিকতায়
মুখ ঘুরিয়ে আছি!
( লেখা ২৫শে নভেম্বর'২০২৩)
Sunday, November 24, 2024
বিচিত্রা ৪৮
তোমার যা ইচ্ছে তাই করো,
শোনো শয়তান!
আমাকে স্পর্শ ক'রো না।
তোমার মন যা চাই তাই বলো,
তোমার চোখ যা চাই তাইদেখো
কিন্তু মনে রেখো-----
সময় সবসে বড়া বলবান!
সময় সবসে বড়া বলবান!
তুমি ঠাকুরের চোখে চোখ রেখে
বলো দেখি বন্ধু, তুমি নির্দোষ! তুমি নিরপরাধ!
আলো নিভিয়ে, বিষ ছড়িয়ে
আলো নিভিয়ে, বিষ ছড়িয়ে
করোনি তুমি কাউকে নির্মম আঘাত!?
( লেখা ২৪শে নভেম্বর'২০১৯)
( লেখা ২৪শে নভেম্বর'২০১৯)
হে আমার প্রিয়জন,
এসো সবাই আমরা দৃঢ়চিত্তে গভীর বিশ্বাস নিয়ে বলি,শোনো শয়তান!
আমাকে স্পর্শ ক'রো না।
আমি দয়ালকে স্পর্শ ক'রে বসে আছি;
বসে আছি শয়নে স্বপনে জাগরণে শরীরে মনে আত্মায়!
শোনো রোগ, শোক, গ্রহদোষ, বুদ্ধি বিপর্যয় আর
দারিদ্র্যাদি আমাকে ভুলেও স্পর্শ ক'রো না;
ঝলসে যাবে, ধ্বংস হ'য়ে যাবে, শেষ হ'য়ে যাবে,
মুছে যাবে চিরতরে।
( লেখা ২৪শে নভেম্বর' ২০২২)
চলতে চলতে হঠাৎ চলা থেমে গেলে
তার অসহ্য কষ্ট, যন্ত্রণা তুমি বুঝবে না।
কারণ হয় তুমি চলা শুরুই করোনি
কিংবা সবে শুরু করেছো। তাই না?
শোনো, এখনও পথ চলা বহুদূর বাকি।
বাকী অনেক অজানা অচেনা পথ
আর তার রহস্যময়তা আর
পথের বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে থাকা
না জানা নানা বাধা বিপত্তি।
অনেক কষ্ট ক'রে, ঘাম রক্ত ঝড়িয়ে,
রক্ত জল করা অর্থের অর্থ না বুঝে
খরচ ক'রে, বাড়ির খেয়ে বনের মোষ তাড়িয়ে
কোনও কিছু গড়ে তোলা জিনিস
যখন ভেঙে যায় কিংবা কেউ ভেঙে দেয়
তখন সে যন্ত্রণা যে জন্ম দেয় সে ছাড়া
আর কেউ বোঝে না।
সাজানো বাগানে ফুল তুলতে আসা
মানুষ সে যন্ত্রণার ধার ধারে না।
( লেখা ২৪শে নভেম্বর' ২০২৩)
Thursday, November 21, 2024
উপলব্ধিঃ পার্থক্য কি?
এখন প্রায় জায়গায় অনেক সৎসঙ্গী গুরুভাইবোনদের দেখি অনেক প্রদীপ, মোমবাতি জ্বালিয়ে ও ধুপ ধুনোয় ঘর ভরিয়ে দম বন্ধ করা পরিবেশে অমূর্ত ভগবানের পুজোর মত ভক্তিতে গদগদ হ'য়ে সাজা সাধুর মত জীবন্ত ঈশ্বর শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের চলনপুজার পরিবর্তে চরণপূজায় মগ্ন হ'য়ে থাকে! আর চরিত্রে, অন্তরে থাকে ঘেয়ো ভিখারি! ঠাকুর কি তাই চেয়েছিলেন!?
সৎসঙ্গীদের সঙ্গে
হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ইত্যাদি
ধর্মীয় মানুষদের সঙ্গে মৌলিক পার্থক্য কি?
Wednesday, November 20, 2024
বিচিত্রা ৪৭
জীবন জুড়ে জীবনেশ্বর যদি না থাকে জবনে
তাহ'লে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর, স্ত্রীর প্রতি স্বামী
পিতামাতার প্রতি সন্তানের, সন্তানের প্রতি
পিতামাতার টান গজায় কেমনে?
তাহ'লে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর, স্ত্রীর প্রতি স্বামী
পিতামাতার প্রতি সন্তানের, সন্তানের প্রতি
পিতামাতার টান গজায় কেমনে?
জীবন্ত ঈশ্বর হ'লেন যে কোনও
সম্পর্কের মাঝে সিমেন্ট স্বরুপ!
তাঁর জীবন্ত উপস্থিতি জীবনকে
ক'রে তোলে অপরূপ!!
মানো আর না মানো দুই ইটের মাঝে যদি
না থাকে সিমেন্ট, থাকে না ইট জোড়া,
তেমনি দুই জীবন মাঝে যদি না থাকে
জীবনেশ্বর, জীবন জেনো মরা।
( লেখা ২০শে নভেম্বর' ২০১৭)
ঠিক পথ তো চিনি না
আর যেটা চিনতাম সেটাও
ঘুরপথ, ভুলপথ।
তাই মন বলে,
তাই মন বলে,
তুমি আছো তাই আমি আছি, আমি থাকি।
তুমি নাই, আমিও তাই নাই।
তুমি সত্য, তুমিই সৎ
তুমিহীন যা কিছু, যে জীবন
সব মিথ্যা, সব অসৎ।
( লেখা ২০শে নভেম্বর' ২০১৮)
বেইমান- অকৃতজ্ঞকে কি ক্ষমা করা যায়!?
হে ঈশ্বর! তুমি আছো, আমি জানি তাই!!( লেখা ২০শে নভেম্বর' ২০১৯)
আর থাকলেও কলিযুগ শেষে!
অর্থাৎ সৃষ্টির লয় অনিবার্য!!!
মতবাদ মানুষের বেঁচে থাকা ও বেড়ে ওঠার
পথপ্রদর্শকের কাজ করে।
তাহ'লে মতবাদে মতবাদে
এত বিরোধ ও বিদ্বেষ কেন!?
কেন এত জীবন হানি!?
সত্যিই কি ঠাকুরের স্বপ্ন সফল হবে কোওদিন!?
সত্যিই কি সত্যযুগ ব'লে কিছু আছে!?আর থাকলেও কলিযুগ শেষে!
অর্থাৎ সৃষ্টির লয় অনিবার্য!!!
( লেখা ২০শে নভেম্বর' ২০২১)
Monday, November 18, 2024
বিচিত্রা ৪৬
আমার জন্য আছেন প্রভু,
প্রভুর জন্য কি আমি?
একথা কি ভেবেছি কভু
প্রভু আমার জীবন স্বামী!?
মোটা টাকা প্রণামী দিলেই মুক্তি
টাকা উড়িয়ে, টাকা ছিটিয়ে
টাকার বান্ডিল ছুঁড়ে দিয়ে
আমি হলাম ইষ্টনিষ্ঠ!
টাকা দিয়ে তাঁরে যায় না বাঁধা
মোটা টাকা প্রণামী দিলেই মুক্তি
রামায়ণ-মহাভারত কি যুগে যুগে অনিবার্য!?
প্রভুর জন্য কি আমি?
একথা কি ভেবেছি কভু
প্রভু আমার জীবন স্বামী!?
প্রণাম ক'রে প্রণামী দেওয়া
নয় ঘুষ, নয় কিন্তু ক্যাসিনো;মোটা টাকা প্রণামী দিলেই মুক্তি
তা' নয় বন্ধু এ কথা কিন্তু জেনো।
টাকার বান্ডিল আর প্রণামী
নয় সমার্থক!টাকা উড়িয়ে, টাকা ছিটিয়ে
জীবন্ত ঈশ্বর পূজা হয় না সার্থক!!
আমি হলাম ইষ্টনিষ্ঠ!
টাকা দিয়ে তাঁরে যায় না বাঁধা
বুঝলি না পাপিষ্ঠ!!??
টাকার অহংকারে চাস বুঝি তুই
প্রভুকে বেঁধে রাখতে!?
প্রভু কি আমার বাপের গোলাম
বাঁধা আছে আমার গোয়ালে
ফাই ফরমাশ খাটতে!!??
প্রণাম ক'রে প্রণামী দেওয়া
নয় ঘুষ, নয় কিন্তু ক্যাসিনো;মোটা টাকা প্রণামী দিলেই মুক্তি
তা' নয় বন্ধু এ কথা কিন্তু জেনো।
'সৎসঙ্গ' কিন্তু নয় আখড়া বাজি,
'সৎসঙ্গ' কিন্তু নয় আখড়া বাজি,
নয় বটতলার আড্ডা।
'সৎসঙ্গ' জেনো স্কুল আর হয় সেথায় স্কুলিং;
মানো, নইলে সামনে গাড্ডা।
( লেখা ১৯শে নভেম্বর'২০১৯)
'সৎসঙ্গ' জেনো স্কুল আর হয় সেথায় স্কুলিং;
মানো, নইলে সামনে গাড্ডা।
( লেখা ১৯শে নভেম্বর'২০১৯)
তুমি কোথায় প্রভু?
আমি আছি আঁধারে।
হাত ধ'রে আমায় নিয়ে চলো প্রভু
প্রাণ যায়, প্রায় যায় যে জ্বলে।
হে দয়াল! কি করবো ব'লে দাও।
কি ক'রে বন্ধ হবে দেশ জুড়ে এই হাঁউ মাউ কাঁউ!!রামায়ণ-মহাভারত কি যুগে যুগে অনিবার্য!?
সৎসঙ্গী বন্ধু আমার, তোমরা কি তা' চাও?
অন্যের বিপদে বন্ধু আনন্দে মশগুল?
বিপদকে তুমি আনছো ডেকে ফোটাতে তোমায় হুল!!
নিজের ঘরকে হরিহরের গোয়াল ঘরে
পরিণত ক'রো না।
নচেৎ মা অন্নপূর্ণার মত শ্রীশ্রীঠাকুর
ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যাবে!
সাবধান হও।( লেখা ১৯শে নভেম্বর' ২০১৯)
আগামী স্বর্ণযুগ আসছে যেখানে
প্রকৃত সৎসঙ্গীদের পরিবারে
অকাল মৃত্যু, স্বল্পায়ু, রোগ, শোক,
গ্রহদোষ, বুদ্ধি বিপর্যয় আর দারিদ্রতা
ব'লে কিছু থাকবে না।
কর্ম আছে চিন্তা ও পথ অসৎ
অসৎ-এর যম হয় অসৎ।( লেখা ১৯শে নভেম্বর'২০২২)
বিচিত্রা ৪৫
J.N.U-এর সমর্থনে যাদবপুর কবে পথে নামবে?
বিবেকানন্দের অপমানের বিরুদ্ধে দেশের সেরা
শিক্ষা কেন্দ্রের ছাত্র প্রতিক্রিয়া কি?
ছাত্র তোমার ভাঙবে কবে ঘুম?
ছাত্র তোমার ভাঙবে কবে ঘুম?
আন্দোলন নাকি অরাজকতার ধুম?
ছাত্র জীবন নষ্ট করার জন্য দায়ী কে?
J. N. U-র গরীব ছাত্রের আর্থিক অবস্থা
ছাত্র জীবন নষ্ট করার জন্য দায়ী কে?
J. N. U-র গরীব ছাত্রের আর্থিক অবস্থা
দেশের আম জনতাকে জানাবে কি
আন্দোলনকারীরা?
J.N.U-র গরীব ছাত্রদের Economic profile
দেশের আম জনতাকে জানানো হ'ক।
ভারতের কমিউনিস্টদের দেশ রত্নদের চেয়ে
দেশ রত্নদের অপমানের দায় কি কমিউনিষ্টরা নেবে?
কমিউনিস্টদের বদনাম করার জন্যই J.N.U-তে
বিবেকানন্দের অপমান? কি বলে কমিউনিস্টরা?
ভারতের কমিউনিস্টদের দেশ রত্নদের চেয়ে
বিদেশী রত্ন কেন ভালো লাগে!?
দেশরত্নদের গায়ে আধ্যাত্মিকতার গন্ধ আছে তাই?
দেশরত্নদের গায়ে আধ্যাত্মিকতার গন্ধ আছে তাই?
( ১৮ই নভেম্বর' ২০১৯)
উপলব্ধিঃ মামেকং শরণং ব্রজ।
আমাকেই একমাত্র স্মরণ করো।
আমার জন্য আছেন প্রভু,
প্রভুর জন্য কি আমি?
একথা কি ভেবেছি কভু
প্রভু আমার জীবন স্বামী!?
একথা কি ভেবেছি কভু
প্রভু আমার জীবন স্বামী!?
(লেখা ১৮ই নভেম্বর/২০১৭)
Saturday, November 16, 2024
বিচিত্রা ৪৪
১) আবেগ ভালো আবেগে ভেসে যাওয়া ভালো নয়।
২) সরল হওয়া ভালো কিন্তু সব বিষয়কে সরলীকরণ করা ভালো না।
৩) সাহস ভালো দুঃসাহস ভালো না।
৪) নারী হ'ন আর পুরুষ হ'ন বাস্তব অবস্থা অস্বীকার করা মূর্খামি।
৫) আপনি নারী এই বাস্তব সত্য অস্বীকার করা আর জেনে শুনে বিষ পান করা সমার্থক।
৬) বিপদে পড়লে মানুষ যতই ছুটে আসুক আর না আসুক বিপদে পড়ার জন্য আপনার নিজের অসচেতনতা, অসতর্কতা, অজ্ঞানতা প্রথমে দায়ী।
৭) আপনার ক্ষতি হ'লে আপনার; অন্যের বা কারও ক্ষতি নয়, এটা নির্ম্মম অপ্রিয় সত্য। বড়জোর প্রিয়জন দু'ফোটা চোখের জল ফেলবে। তারপর সব ভুলে যাবে।
৯) নিখুঁত সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা ইউটোপিয়া। ভাবা বা আশা করা বেকুবি বা মুর্খামি।
১০) যে নিজের অস্তিত্বকে ভালোবাসে না সে কোনও অস্তিত্বের পরিপূরক নয়। ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি।
এখানেই ইতি টানলাম। ভালো লাগতেও পারে, নাও পারে। জ্ঞান বা বকোয়াস মনে হ'তে পারে। গ্রহণ বর্জন ব্যক্তিগত।
২) সরল হওয়া ভালো কিন্তু সব বিষয়কে সরলীকরণ করা ভালো না।
৩) সাহস ভালো দুঃসাহস ভালো না।
৪) নারী হ'ন আর পুরুষ হ'ন বাস্তব অবস্থা অস্বীকার করা মূর্খামি।
৫) আপনি নারী এই বাস্তব সত্য অস্বীকার করা আর জেনে শুনে বিষ পান করা সমার্থক।
৬) বিপদে পড়লে মানুষ যতই ছুটে আসুক আর না আসুক বিপদে পড়ার জন্য আপনার নিজের অসচেতনতা, অসতর্কতা, অজ্ঞানতা প্রথমে দায়ী।
৭) আপনার ক্ষতি হ'লে আপনার; অন্যের বা কারও ক্ষতি নয়, এটা নির্ম্মম অপ্রিয় সত্য। বড়জোর প্রিয়জন দু'ফোটা চোখের জল ফেলবে। তারপর সব ভুলে যাবে।
৮) যে নিজেকে রক্ষা করতে ও নিরাপদে রাখতে জানে না সে অন্যের দায়িত্ব নেওয়ার পক্ষে অনুপযুক্ত ও অযোগ্য, অদক্ষ।
৯) নিখুঁত সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা ইউটোপিয়া। ভাবা বা আশা করা বেকুবি বা মুর্খামি।
১০) যে নিজের অস্তিত্বকে ভালোবাসে না সে কোনও অস্তিত্বের পরিপূরক নয়। ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি।
এখানেই ইতি টানলাম। ভালো লাগতেও পারে, নাও পারে। জ্ঞান বা বকোয়াস মনে হ'তে পারে। গ্রহণ বর্জন ব্যক্তিগত।
( লেখা ১৭ই নভেম্বর'২০২৩)
বিচিত্রা ৪৩
যেমন সঙ্গ তেমন ভাব,
রাজনীতির জাঁতাকলে হ'চ্ছ পিষ্ট,
নেত্রী হ'চ্ছে বণিক!!
যেমন ভাব তেমন লাভ!
লাভের কড়ি গুনতে গিয়ে
লাভের কড়ি গুনতে গিয়ে
দেখলে সব অচল কড়ি,
শুধুই হাব, শুধুই গাব!!
শুধুই হাব, শুধুই গাব!!
ছাত্র, যুব, কৃষক, শ্রমিক
ব'নছো মোহড়া, নেতা ব'নছে ধনিক!রাজনীতির জাঁতাকলে হ'চ্ছ পিষ্ট,
নেত্রী হ'চ্ছে বণিক!!
(লেখা ১৭ই নভেম্বর' ২০১৭)
If you must open your mouth,
open your mouth about all injustice;
if it really becomes the cause of destruction of
society, civilization, culture and creation.
Otherwise it makes no sense to heat the environment for no reason.
আপনি যদি আপনার মুখ খুলবেনই, তবে,
সমস্ত অন্যায় সম্পর্কে আপনার মুখ খুলুন;
যদি তা সত্যিই সমাজ, সভ্যতা, সংস্কৃতি ও সৃষ্টির
ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
অন্যথায় বিনা কারণে পরিবেশ
গরম করার কোনো মানে হয় না।
Magnifying a small issue is like
blowing a cat's butt and making a tiger.
This bad practice is a curse for
future generations or posterity.
O mankind, beware.
Terrible is the day of your
end and your successors.
একটি ছোট বিষয় বড় করা
একটি বিড়ালের নিতম্বে ফুঁ দিয়ে
একটি বাঘ বানানোর মত।
এই কুপ্রথা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বা পরবর্তী
প্রজন্মের জন্য অভিশাপ।
হে মানবজাতি, সাবধান।
আপনার এবং আপনার উত্তরসূরিদের
শেষ দিন ভয়ঙ্কর।
( লেখা ১৭ই নভেম্বর'২০২৩)
অবাক! সৎসঙ্গী অবাক!!
পর্ণ ছবি, ভিডিও ও বিভিন্ন পর্ণ প্রোফাইলের অ্যাড আর শ্রীশ্রীঠাকুরের ও সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানের ছবি একই প্রোফাইলে!?!?!? সেই প্রোফাইল যার সে সৎসঙ্গী!? আর সেই প্রোফাইলে আমার বহু সাধারণ ও প্রতিষ্ঠিত সৎসঙ্গী ফলোয়ার কিংবা বন্ধু!?!?!?
আমরা সৎসঙ্গী!?
( লেখা ১৭ই নভেম্বর'২০২৩)
অবাক! সৎসঙ্গী অবাক!!
পর্ণ ছবি, ভিডিও ও বিভিন্ন পর্ণ প্রোফাইলের অ্যাড আর শ্রীশ্রীঠাকুরের ও সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানের ছবি একই প্রোফাইলে!?!?!? সেই প্রোফাইল যার সে সৎসঙ্গী!? আর সেই প্রোফাইলে আমার বহু সাধারণ ও প্রতিষ্ঠিত সৎসঙ্গী ফলোয়ার কিংবা বন্ধু!?!?!?
আমরা সৎসঙ্গী!?
( লেখা ১৭ই নভেম্বর'২০২৩)
Friday, November 15, 2024
কবিতাঃ কতরূপে-------
কতরূপে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র!!!!!!!
প্রতি ঘটে ঘটে আমি!
প্রতি প্রাণে প্রাণে আমি!
বহুরূপে সম্মুখে আমার
ছাড়ি কোথা খুঁজি আমি অনুকূল!?
এসো, ছুটে এসো, চলে এসো,
পিছনে ফেলি সব, মন ছুটে চলে এসো
যা আছে জীবনে প্রতিকুল!
ভয় নাই, ভয় নাই, নাই আর আগুপিছু,
নব নবরূপে তুমি এসে দাঁড়াইলে মোর দ্বারে
শোক-তাপ-ভয়, জ্বালা-যন্ত্রণা, ক্ষয়
দুঃখ-কষ্ট, ব্যথা-বেদনা নাই আর প্রভু।
প্রতি ঘটে ঘটে আমি!
প্রতি প্রাণে প্রাণে আমি!
বহুরূপে সম্মুখে আমার
ছাড়ি কোথা খুঁজি আমি অনুকূল!?
এসো, ছুটে এসো, চলে এসো,
পিছনে ফেলি সব, মন ছুটে চলে এসো
যা আছে জীবনে প্রতিকুল!
ভয় নাই, ভয় নাই, নাই আর আগুপিছু,
নব নবরূপে তুমি এসে দাঁড়াইলে মোর দ্বারে
শোক-তাপ-ভয়, জ্বালা-যন্ত্রণা, ক্ষয়
দুঃখ-কষ্ট, ব্যথা-বেদনা নাই আর প্রভু।
( লেখা ২৯শে' জানুয়ারি' ২৪)
কবিতাঃ সেথায় বাঁচি চল-----
আজ দশমী! মহা দশমী!!
মা যাবে ফিরে তার বাড়িতে হিমালয়ে
যেখানে গরীব স্বামী আছে বসে অপেক্ষায়
বউয়ের পথ চেয়ে।
'যেতে নাহি দিব তোমারে, নবমী নিশি যেওনা ফুরায়ে'
ব'লে কেঁদেছিল যারা তারা চেয়েছিল
এমন আনন্দ যাকে ঘিরে সেই মাকে আরও কিছুদিন
কাছে রাখতে ধরে।
কিন্তু সময় বড় নিষ্ঠুর;
নিয়ম মেনে যেতেই হবে চলে
কারণ এ তো আর ঘরের মা নয়
যারে রাখবো বেঁধে ঘরে আঁচলে জড়িয়ে কোলে!
এ তো মাটির মা আসে জলে ভিজে
আবার যাইও জলে ধুয়ে!
রাখবে কেমনে তারে হৃদমাঝারে ধ'রে?
মা আমার গরীব ঘরের ঘরণী;
গাছের ছাল বাকল ছাড়া অন্য কিছুই পড়েনি।
মাথার উপর ছাদ আছে বটে পাহাড় দিয়ে ঘেরা
শক্ত পোক্ত কঠিন ভারি কিন্তু নয়কো
গয়না দিয়ে মোরা!
রুখো শুকো হলেও তা' অমল ধবল প্রকৃতির কোলে!
যেথায় সবাই মিথ্যে গয়না সাজে মোরা
যাবো একদিন চলে।
আজ দশমী! মহা দশমী!!
মা যাবে ফিরে তাঁর বাড়িতে হিমালয়ে
গরীব স্বামী হাঁক দিয়ে বলেছিল,
বৌ যাসনে ওরে মিথ্যে সাজের চল্লিশ কোটি টাকার
রুপো দিয়ে ঘেরা ঘরে!
যেথায় ছাল বাকলের ঘরে পঁচাশ কোটির
সোনা দিয়ে তৈরী শাড়ি দেবে তোমায় পড়িয়ে!
মাথার খোপা আর হাতে কানে যেথায় থাকে
বাঁধা বনফুল সেথায় দেবে চড়িয়ে
পঁচিশ কেজি সোনা দিয়ে তৈরী সোনার মুকুট,
বাজুবন্ধ আর দুল!
যাবি ওরে তুই চারদিনের তরে,
মিথ্যে গয়নার চাপে সেথায় যাবিই যে তুই মরে।
জগন্মাতা যে, তারে দেয় বিত্তবৈভব বইতে!
স্বামী ভোলা ব'লে পারবি কি তুই মিথ্যে ভার এত সইতে!?
স্বামী ভোলা ব'লে পারবি কি তুই মিথ্যে ভালোবাসা এত সইতে?
কেন যাবি তুই সেথায়? তোরে পুজে নাকি কেউ ছাই!
তুই বৌ, হাতটি ধরার তখন থাকবে না সেথায় কেউ।
থীম আর হৈ হুল্লোড়ে ভরা নারীপুরুষের ভিড়ে
ছেলেমেয়ে নিয়ে পড়বি চাপা সেথায়।
তোরে ছেড়ে আমি একা কেমনে বাঁচি বল?
তুই যে আমার প্রাণ ভোমরা, তুই যে আমার বল!
পুজো তো কেউ করেনা ওরে বউ,
পুজোর নামে সেথায় চলে বেচাকেনার মৌ!
পাহাড় তলে প্রকৃতির কোলে বউ
আছি মোরা চারজনে বেশ
চারটি দিনের তরে কেনও শুধুশুধুই
বাপের বাড়ি খাবি খাবি শেষমেশ!?
পাহাড় ডাকে হাত বাড়িয়ে,
বউ হেথা নেই কোনও কোলাহল
সেথায় বাঁচি চল মোরা
বউ সেথায় বাঁচি চল।
( লেখা ২০শে অক্টোবর' ২০১৮)
মা যাবে ফিরে তার বাড়িতে হিমালয়ে
যেখানে গরীব স্বামী আছে বসে অপেক্ষায়
বউয়ের পথ চেয়ে।
'যেতে নাহি দিব তোমারে, নবমী নিশি যেওনা ফুরায়ে'
ব'লে কেঁদেছিল যারা তারা চেয়েছিল
এমন আনন্দ যাকে ঘিরে সেই মাকে আরও কিছুদিন
কাছে রাখতে ধরে।
কিন্তু সময় বড় নিষ্ঠুর;
নিয়ম মেনে যেতেই হবে চলে
কারণ এ তো আর ঘরের মা নয়
যারে রাখবো বেঁধে ঘরে আঁচলে জড়িয়ে কোলে!
এ তো মাটির মা আসে জলে ভিজে
আবার যাইও জলে ধুয়ে!
রাখবে কেমনে তারে হৃদমাঝারে ধ'রে?
মা আমার গরীব ঘরের ঘরণী;
গাছের ছাল বাকল ছাড়া অন্য কিছুই পড়েনি।
মাথার উপর ছাদ আছে বটে পাহাড় দিয়ে ঘেরা
শক্ত পোক্ত কঠিন ভারি কিন্তু নয়কো
গয়না দিয়ে মোরা!
রুখো শুকো হলেও তা' অমল ধবল প্রকৃতির কোলে!
যেথায় সবাই মিথ্যে গয়না সাজে মোরা
যাবো একদিন চলে।
আজ দশমী! মহা দশমী!!
মা যাবে ফিরে তাঁর বাড়িতে হিমালয়ে
গরীব স্বামী হাঁক দিয়ে বলেছিল,
বৌ যাসনে ওরে মিথ্যে সাজের চল্লিশ কোটি টাকার
রুপো দিয়ে ঘেরা ঘরে!
যেথায় ছাল বাকলের ঘরে পঁচাশ কোটির
সোনা দিয়ে তৈরী শাড়ি দেবে তোমায় পড়িয়ে!
মাথার খোপা আর হাতে কানে যেথায় থাকে
বাঁধা বনফুল সেথায় দেবে চড়িয়ে
পঁচিশ কেজি সোনা দিয়ে তৈরী সোনার মুকুট,
বাজুবন্ধ আর দুল!
যাবি ওরে তুই চারদিনের তরে,
মিথ্যে গয়নার চাপে সেথায় যাবিই যে তুই মরে।
জগন্মাতা যে, তারে দেয় বিত্তবৈভব বইতে!
স্বামী ভোলা ব'লে পারবি কি তুই মিথ্যে ভার এত সইতে!?
স্বামী ভোলা ব'লে পারবি কি তুই মিথ্যে ভালোবাসা এত সইতে?
কেন যাবি তুই সেথায়? তোরে পুজে নাকি কেউ ছাই!
তুই বৌ, হাতটি ধরার তখন থাকবে না সেথায় কেউ।
থীম আর হৈ হুল্লোড়ে ভরা নারীপুরুষের ভিড়ে
ছেলেমেয়ে নিয়ে পড়বি চাপা সেথায়।
তোরে ছেড়ে আমি একা কেমনে বাঁচি বল?
তুই যে আমার প্রাণ ভোমরা, তুই যে আমার বল!
পুজো তো কেউ করেনা ওরে বউ,
পুজোর নামে সেথায় চলে বেচাকেনার মৌ!
পাহাড় তলে প্রকৃতির কোলে বউ
আছি মোরা চারজনে বেশ
চারটি দিনের তরে কেনও শুধুশুধুই
বাপের বাড়ি খাবি খাবি শেষমেশ!?
পাহাড় ডাকে হাত বাড়িয়ে,
বউ হেথা নেই কোনও কোলাহল
সেথায় বাঁচি চল মোরা
বউ সেথায় বাঁচি চল।
( লেখা ২০শে অক্টোবর' ২০১৮)
গানঃ প্রভু, তুমি আছো, আজ আমি আছি তাই
প্রভু, তুমি আছো, আজ আমি আছি তাই
তোমারি দয়ায় আমি গান গেয়ে যায়। হাত তোমার মাথায় থাকে ব্যাস
এই আমি তোমার কাছে চাই
দয়াল, অর্থ মান যশ কিছুই নাহি চাই।
ও দয়াল! তোমার চরণতলে স্বর্গ দেখা যায়।
দয়াল! তোমার চরণতলে, ঐ স্বর্গ দেখা যায়।
ও দয়াল! তোমার চরণতলে, ঐ স্বর্গ দেখা যায়।
যন্ত্রণায় দয়াল আমার মাথা ছিঁড়ে যায়
বুকের ব্যথায় পরাণ কাঁদে পাগল হ'য়ে যায়
ভয়েতে বুক কাঁপে শয়তানেরও রূপ দেখে
দয়াল তোমার চরণ তলে পরাণ ঠান্ডা হ'য়ে যায়।
হাত তোমার মাথায় থাকে ব্যাস
দয়াল! তোমার চরণতলে, ঐ স্বর্গ দেখা যায়।
ও দয়াল! তোমার চরণতলে, ঐ স্বর্গ দেখা যায়।
আমার বুকে তোমার চরণ, ধুলা আমার মাথায়
শয়নে স্বপনে জাগরণে আমি শুধুই দেখি তোমায়।
তুমি আমার মাথার পরে চিন্তা আমার কিসের তরে
তুমি আছো দয়াল তাই আমি আছি এই দুনিয়ায়
হাত তোমার মাথায় থাকে ব্যাস
দয়াল, অর্থ মান যশ কিছুই নাহি চাই।
ও দয়াল! তোমার চরণতলে স্বর্গ দেখা যায়।
দয়াল! তোমার চরণতলে, ঐ স্বর্গ দেখা যায়।
ও দয়াল! তোমার চরণতলে, ঐ স্বর্গ দেখা যায়।
যন্ত্রণায় দয়াল আমার মাথা ছিঁড়ে যায়
বুকের ব্যথায় পরাণ কাঁদে পাগল হ'য়ে যায়
ভয়েতে বুক কাঁপে শয়তানেরও রূপ দেখে
দয়াল তোমার চরণ তলে পরাণ ঠান্ডা হ'য়ে যায়।
হাত তোমার মাথায় থাকে ব্যাস
এই আমি তোমার কাছে চাই
দয়াল, অর্থ মান যশ কিছুই নাহি চাই।
ও দয়াল! তোমার চরণতলে স্বর্গ দেখা যায়।
দয়াল, অর্থ মান যশ কিছুই নাহি চাই।
ও দয়াল! তোমার চরণতলে স্বর্গ দেখা যায়।
দয়াল! তোমার চরণতলে, ঐ স্বর্গ দেখা যায়।
ও দয়াল! তোমার চরণতলে, ঐ স্বর্গ দেখা যায়।
দয়াল! মাথায় তোমার হাতের ছোঁয়া চাই।
আমার বুকে তোমার চরণ, ধুলা আমার মাথায়
শয়নে স্বপনে জাগরণে আমি শুধুই দেখি তোমায়।
তুমি আমার মাথার পরে চিন্তা আমার কিসের তরে
তুমি আছো দয়াল তাই আমি আছি এই দুনিয়ায়
হাত তোমার মাথায় থাকে ব্যাস
এই আমি তোমার কাছে চাই
দয়াল, অর্থ মান যশ কিছুই নাহি চাই।
ও দয়াল! তোমার চরণতলে স্বর্গ দেখা যায়।
দয়াল! মাথায় তোমার হাতের ছোঁয়া চাই।২
( লেখা ১১ই অক্টোবর'২৪)
দয়াল, অর্থ মান যশ কিছুই নাহি চাই।
ও দয়াল! তোমার চরণতলে স্বর্গ দেখা যায়।
দয়াল! মাথায় তোমার হাতের ছোঁয়া চাই।২
( লেখা ১১ই অক্টোবর'২৪)
গানঃ ভাদ্র মাসের এই পূণ্য দিনে।
ভাদ্র মাসের এই পূণ্য দিনে
আমরা এসেছি সবাই মিলে।
গাই তব গান হে পরমপিতা
তোমার আশীষ দানে।
আমরা এসেছি সবাই মিলে।
গাই তব গান হে পরমপিতা
তোমার আশীষ দানে।
তোমার চরণতলে মন সঁপেছি
চলন পূজায় প্রাণ গড়েছি।
চরণতলে মন সঁপেছি
চলন পূজায় প্রাণ গড়েছি।
তোমার চলা, তোমার বলা
মালা গেঁথে (আমি) গলে পড়েছি।
ভাদ্র মাসের এই পূণ্য দিনে
আমরা এসেছি সবাই মিলে।
গাই তব গান হে পরমপিতা
তোমার আশীষ দানে।
তোমার পদ্মপাতা করতলে
জীবন আমার দিলাম তুলে,
পদ্মপাতা করতলে
জীবন আমার দিলাম তুলে,
ফুল হ'য়ে পড়বো ঝ'রে
তোমার চরণ কমল তলে।
ভাদ্র মাসের এই পূণ্য দিনে
আমরা এসেছি সবাই মিলে।
গাই তব গান হে পরমপিতা
তোমার আশীষ দানে।
হৃদ মাঝারে রাখবো তোমায়
যতন ক'রে রাখবো মাথায়
দেবো না ছেড়ে আর তোমারে।
পুজিব তোমায় অন্তরে অন্তরে।।
ভাদ্র মাসের এই পূণ্য দিনে
আমরা এসেছি সবাই মিলে।
গাই তব গান হে পরমপিতা
তোমার আশীষ দানে।
চলন পূজায় প্রাণ গড়েছি।
চরণতলে মন সঁপেছি
চলন পূজায় প্রাণ গড়েছি।
তোমার চলা, তোমার বলা
মালা গেঁথে (আমি) গলে পড়েছি।
ভাদ্র মাসের এই পূণ্য দিনে
আমরা এসেছি সবাই মিলে।
গাই তব গান হে পরমপিতা
তোমার আশীষ দানে।
তোমার পদ্মপাতা করতলে
জীবন আমার দিলাম তুলে,
পদ্মপাতা করতলে
জীবন আমার দিলাম তুলে,
ফুল হ'য়ে পড়বো ঝ'রে
তোমার চরণ কমল তলে।
ভাদ্র মাসের এই পূণ্য দিনে
আমরা এসেছি সবাই মিলে।
গাই তব গান হে পরমপিতা
তোমার আশীষ দানে।
হৃদ মাঝারে রাখবো তোমায়
যতন ক'রে রাখবো মাথায়
দেবো না ছেড়ে আর তোমারে।
পুজিব তোমায় অন্তরে অন্তরে।।
ভাদ্র মাসের এই পূণ্য দিনে
আমরা এসেছি সবাই মিলে।
গাই তব গান হে পরমপিতা
তোমার আশীষ দানে।
( লেখা ২৫শে আগশট'২০২৪)
কবিতা/গান আমি আলোর পথের যাত্রী।
আমি আলোর পথের যাত্রী
প্রভু আলোর বৃষ্টি দাও.
আমার দু'চোখে আলো
তুমি আলোর ঝর্ণা ঝরাও।
প্রভু আলোর বৃষ্টি দাও।
আমি আলোর পথের যাত্রী
প্রভু আলোর বৃষ্টি দাও।
তোমার অভয় বাণী
জাগালো হৃদয়খানি
জানি যে পথের দিশা
তুমি দেখা দাও
প্রভু আলোর বৃষ্টি দাও।
আমি আলোর পথের যাত্রী
প্রভু আলোর বৃষ্টি দাও।
আমি যে ধন্য অনন্য
তোমারই প্রেমে আমি বন্য।
প্রেমময় তুমি
প্রেম ভালোবাসা ঝরাও
প্রভু আলোর বৃষ্টি দাও।
আমি আলোর পথের যাত্রী
প্রভু আলোর বৃষ্টি দাও।
(লেখা ২৮শে আগস্ট' ২০২৪)
প্রভু আলোর বৃষ্টি দাও.
আমার দু'চোখে আলো
তুমি আলোর ঝর্ণা ঝরাও।
প্রভু আলোর বৃষ্টি দাও।
আমি আলোর পথের যাত্রী
প্রভু আলোর বৃষ্টি দাও।
তোমার অভয় বাণী
জাগালো হৃদয়খানি
জানি যে পথের দিশা
তুমি দেখা দাও
প্রভু আলোর বৃষ্টি দাও।
আমি আলোর পথের যাত্রী
প্রভু আলোর বৃষ্টি দাও।
আমি যে ধন্য অনন্য
তোমারই প্রেমে আমি বন্য।
প্রেমময় তুমি
প্রেম ভালোবাসা ঝরাও
প্রভু আলোর বৃষ্টি দাও।
আমি আলোর পথের যাত্রী
প্রভু আলোর বৃষ্টি দাও।
(লেখা ২৮শে আগস্ট' ২০২৪)
বিচিত্রা ৪২
অনুভবশক্তি হীন ভালোবাসা জেনো ফাঁকি!
জে. এন. ইউ = জহর নারা ইউনিভার্সিটি।
শুক্রাণু ডিম্বানু ছাড়া ভ্রূণ হয় নাকি!?
জে. এন. ইউ-মে ক্যা হো রহা হ্যায়?
ছাত্র আন্দোলন ইয়া ভাঁড় মে যায় দেশ, ভাঁড় মে যায় সভ্যতা আন্দোলন!?
জে. এন. ইউ ক্যা হ্যায়?
শিক্ষসা প্রতিষ্ঠান ইয়া নারা প্রতিষ্ঠান?জে. এন. ইউ = জহর নারা ইউনিভার্সিটি।
জহর (বিষ) নারা (আন্দোলন) ইউনিভার্সিটি!
বিষ আন্দোলন ইউনিভার্সিটি।
যদি বাঁচতে চাও গ্রহণ করো তাঁরে
আর চালাও নাম অবিরাম মনের গভীরে।
আর যদি মনে হয় এসব বকোয়াস
তবে বালখিল্য রসে হ'য়ে টইটম্বুর
করো আয়াস বিন্দাস।
কিন্তু মনে রেখো ভয়ানক শেষ নিঃস্বাস!
Thursday, November 14, 2024
প্রবন্ধঃএ, আর, রহমানের 'পিপ্পা' ছবি বিতর্ক।
কাজী নজরুল ইসলামের গান 'কারার ওই লৌহ কপাট' সংবাদের শিরোনামে। বিখ্যাত সুরকার এ, আর, রহমান তাঁর প্রযোজনায় তৈরী 'পিপ্পা' ছবিতে গানটি ব্যবহার করেছেন নিজের সুরে। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। পক্ষে বিপক্ষে ধুন্দুমার। ফলে সিনেমাটা প্রচারের আলোয় চলে এসেছে বিনা আয়াসে অল্প সময়ের ব্যবধানে।
বিতর্ক শুরু হয়েছে গানটির সুর নিয়ে। নজরুলের ঐতিহাসিক গানটি ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধের উপর আধারিত ছবি 'পিপ্পা'-তে ব্যবহার করা হয়েছে। আর নজরুল গানটি লিখেছিলেন তখন ১৯২১ সাল। স্বাধীনতা আন্দোলনের বিদ্রোহের আগুন ছড়িয়ে পড়ছে দেশ জড়ে। বিদ্রোহকে স্তিমিত করতে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশকে গ্রেপ্তার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। তাঁকে জেলে আটকে রেখেছিল ব্রিটিশরা। সেই সময়েই রক্ত গরম করা এই গানটি লিখেছিলেন কাজি নজরুল ইসলাম।
এই গান সৃষ্টির প্রেক্ষাপটটা আগে আমাদের জানা দরকার। কোন মানসিকতার ওপর দাঁড়িয়ে দোর্দন্ডপ্রতাপ ব্রিটিশ রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা ক'রে প্রকারান্তরে পদদলিত ক'রে এরকম জেলখানার দরজা ভেঙে ফেলার মতো বেআইনি কাজের জন্য জনগণকে উসকে দেওয়া যায়। সরকারী দিক থেকে এই আইন ভাঙ্গার উৎসাহ দেওয়া যে কোনও কর্মকান্ড দেশদ্রোহী কাজ।
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ তখন জেলবন্দী। সেই সময় তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে নজরুলের কাছেই তাঁরই সম্পাদিত সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘বাংলার কথা’র জন্য কবিতা লেখার অনুরোধ আসে। সেই অনুরোধ পেয়েই দেশপ্রেমে উজ্জীবিত বৃটিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে নজরুল ইসলাম জেলখানার কপাট ভেঙে বন্দীদের মুক্তির কথা মাথায় রেখেই রক্ত গরম করা 'কারার ঐ লৌহ কপাট ভেঙ্গে ফেল কররে লোপাট' গানটি রচনা করেন। ঐ গানের কথা ও সুরে অত্যাচারী ধ্বংসের কালাপাহাড় হ'য়ে ওঠার স্মেল ও ব্জ্রনির্ঘোষ আহ্বান ধ্বনি আজও কানে ভেসে আসে।
আর, এ, আর, রহমানের প্রযোজনা ও সুরে এবং রাজা মেননের পরিচালনায় 'পিপ্পা' ফিল্ম তৈরী হয় ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধের উপর ভিত্তি ক'রে। 'পিপ্পা’ ছবিটি মূলত ৭১-এর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। ১৯৭১ সালের সেই লড়াইয়ে মুক্তিযোদ্ধারা পাশে পেয়েছিল ভারতকে। গরিবপুরে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য নিয়ে পাকিস্তানের ট্যাঙ্কের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল ভারতীয় ট্যাঙ্ক। ভারতীয় সেনা অফিসার বলরাম সিং মেহেতার লেখা বই ‘দ্য বার্নিং চ্যাফিস’ অবলম্বনে তৈরী এই ছবি। অর্থাৎ লেখকের চোখ দিয়ে দেখার উপর ভিত্তি ক'রে বইটি তৈরী করা হয়েছে। আর সেই দেখার ওপর নির্ভর ক'রে তৈরী করা ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে নজরুলের কালজয়ী অমর সৃষ্টি। এই গান যে কোনও নির্ম্মম অত্যাচারের অচলায়তনের কপাট ভাঙ্গার, উপড়ে ফেলার শপথ গ্রহণের গান।
আমরা যেন ভুলে না যায় এ গানের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাঙ্গালীর আবেগ; কোনও হিন্দু মুসলমানের নয়। আর জড়িয়ে রয়েছে বিশ্বের যে কোনও প্রান্তের অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত উৎসর্গিত প্রতিটি প্রাণের।
এই 'পিপ্পা' ছবিতে নজরুলের গানে এ, আর, রহমানের নোতুন সুর সৃষ্টির মধ্যে তৎকালীন সময়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ভয়ংকর অত্যাচারের নির্ম্মমতা, যন্ত্রণার দীর্ঘশ্বাস, মুক্তিযুদ্ধের যন্ত্রণা, পাকিস্তানি সেনা আর তাদের পদলেহী বিশ্বাসঘাতক দেশদ্রোহীদের হাতে প্রায় ৩-৪ লক্ষ নারীর ইজ্জৎ লুট ও হত্যা, রিফিউজিদের কান্না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া হত্যা ও ১০০ বুদ্ধিজীবীকে নির্ম্মম ভাবে হত্যা, সবমিলিয়ে প্রায় ৩০লক্ষ মানুষের ওপর পাশবিক অত্যাচার, নির্মমতা ও নির্বিচারে যন্ত্রণাদায়ক হত্যা ইত্যাদির বিন্দুমাত্র অনুভূতির স্মেল ভেসে আসে না ও এই নির্মমতা ও দানবের বিরুদ্ধে সমুদ্র গর্জনের মতো আছড়ে পড়ার হুঙ্কার ও কালাপাহাড়ি ভয়ানক আহ্বান ধ্বনি ভেসে আসে না।
এই কালজয়ী "কারার ঐ লৌহ কপাট........." গান বহু শিল্পী গেয়েছেন। গেয়েছেন তাঁদের তাঁদের অনুভূতি, গায়কী ভঙ্গি ও গলার টেক্সচার অনুযায়ী। গানের কথার অন্তর্নিহিত যে ভাব, অর্থ, শব্দের যে ওজন ও সেই অনুযায়ী সুর সব কিছু মিলিয়ে গলার ভয়েস মড্যুলেশন সহ গানটি গায়ক গায়িকা বিশেষে জনপ্রিয় হয়।
এরকম পরীক্ষামূলক পরিবর্তন আমরা প্রায়ই দেখে থাকি। বিশ্বজুড়ে ভুরি ভুরি পরীক্ষামূলক পরিবর্তন হয়েছে শিল্প সৃষ্টির ক্ষেত্রে। আলোচনার সুবিধার জন্য উদাহরণ দু'একটা দেওয়া যেতে পারে।
যেমন ধরুন ১) মহালয়া। বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের মহালয়া অনুষ্ঠানে চন্ডীপাঠের কাহিনী আজও সুবিদিত। বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র পরিবর্তে ১৯৭৬ সালে উত্তমকুমারের ‘দুর্গা দুর্গতিহারিনী’ অনুষ্ঠানের পরিণতি কি হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গবাসী মাত্রেই জানে। সেদিন যারা মহালয়ার নবরূপ 'দেবিং দুর্গতিহারিণীম' অনুষ্ঠানের পিছনে ছিলেন তাঁরা সবাই ছিলেন প্রথিতযশা রচয়িতা ডঃ ধ্যানেশনারায়ণ চক্রবর্তী, সংগীত পরিচালক হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, গীতিকার শ্যামল গুপ্ত এবং ভাষ্যপাঠে স্বয়ং উত্তমকুমার। গানের ক্ষেত্রে ছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে, মান্না দে, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, আরতি মুখোপাধ্যায়, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়, নির্মলা মিশ্র, উৎপলা সেন, অনুপ ঘোষাল, তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শিপ্রা বসু, বনশ্রী সেনগুপ্ত, হৈমন্তী শুক্লা, অসীমা মুখোপাধ্যায়, পিন্টু ভট্টাচার্য, শৈলেন মুখোপাধ্যায় প্রমুখরা। তবুও মুখ থুবড়ে পড়েছিল নোতুন রূপে আবির্ভূত মহালয়া। ত্রুটি কি ছিল না ছিল সেসব নিয়ে আলোচনা করতে গেলে প্রবন্ধ দীর্ঘ হ'য়ে যাবে। এককথায় মানুষের ভালো লাগেনি, মন জয় করতে পারেনি, শিহরণ জাগাতে পারেনি মস্তিষ্কে-শরীরের কোষে কোষে, শিরা-উপশিরায় অযথা উত্তমকুমারের নামে প্রচারিত উত্তমকুমারের মহালয়া। এই মহালয়ার পিছনে ছিল সম্পূর্ণ রাজনৈতিক অবস্থান। সেসব আলোচনা এখানে নিরর্থক। যদিও ঐ রাজনৈতিক অবস্থানের কারণেই এতবড় অপমানজনক বিতর্কের জন্ম হয়। তবে সেই অনুষ্ঠানে উত্তমকুমারের যোগদান ছিল কয়েক মিনিটের। উত্তমকুমারের বিরোধীদের ছিল তাঁকে হেয় করার এটা মোক্ষম সুযোগ। আজও ১৯৩২ সাল থেকে শুরু ক'রে ২০২৩ সাল পর্যন্ত একটানা ৯১ বছর পরেও বিরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের আলোআঁধার রাতে ব্রাহ্ম মুহূর্তের ভোরের মহালয়া মানুষের শরীরে-মনে ও প্রাণে মৃতসঞ্জীবনী সুরার কাজ করে।
উদাহরণ ২) উত্তমকুমার অভিনীত 'এন্টনি ফিরিঙ্গী' পুনরায় নির্মাণ হয়েছিল। সেখানে এন্টনির ভুমিকায় অভিনয় করেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বইটা সবারই ভালো লেগেছিল কিন্তু এন্টনির চরিত্রে উত্তমকুমার ছিলেন অপ্রতিদ্বন্ধী। সামগ্রিকভাবে উত্তমকুমারের এন্টনি ফিরিঙ্গিকে ভুলিয়ে দিতে পারেনি প্রসেঞ্জিতের এন্টনি ফিরিঙ্গি। এন্টনি ফিরিঙ্গির কথা উঠলেই লোকের চোখেমুখে উত্তমকুমারের এন্টনির কথা মনে পড়ে, ভেসে ওঠে অনিন্দ্যসুন্দর ঐ অপূর্ব মুখাবয়ব!
৩) রবীন্দ্রনাথের "যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে........." গানের কথায় ধরা যাক। এই গান প্রায় সমস্ত শিল্পীই গেয়েছেন। কিন্তু হিন্দি ছবি 'কাহিনী'তে অমিতাভ বচ্চনের কন্ঠের মাধুর্য, গভীরতা এককথায় ভয়েস মডিউলেশন সঙ্গে বিশাল শেখরের অনবদ্য সুর সংযোজনে তৈরি "যদি তোর ডাক শুনে........." গান শ্রোতার মনে-প্রাণে অন্য এক মাত্রা যোগ ক'রে দিয়েছে। আবার অন্যদিকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত শিল্পী শ্রেয়া ঘোষালও এই গান গেয়েছেন কিন্তু কোনও দাগ রেখে যেতে পারেননি শ্রোতার মনে।
৪) রবীন্দ্রনাথের এই গানই কথা ও সুরের কিছু কিছু অদলবদল ঘটিয়ে নোতুন ভাবে, নোতুন আঙ্গিকে গেয়েছেন নচিকেতা চক্রবর্তী। তাঁর গান "যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবেই নাকি.একলা চলতে হয়......" জনমানসে তেমন কোনও দাগ কাটতে পারেনি।
৫) যেমন আমরা যদি দেখি সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা সিরিজ। সেখানে আমরা দেখতে পাবো জটায়ু চরিত্রে (লালমোহন গাঙ্গুলি) বিভিন্ন সময়ে সত্যজিৎ রায় ও সন্দীপ রায়ের পরিচালনায় বিভিন্ন অভিনেতা অভিনয় করেছেন। এদের মধ্যে সর্বপ্রথম হলেন সন্তোষ দত্ত। এছাড়া আছেন রবি ঘোষ, অনুপকুমার, বিভু ভট্টাচার্য ইত্যাদি। হিন্দি টেলিছবি 'কিসসা কাটমান্ডু কা'তে জটায়ুর চরিত্রে অভিনয় করেন অভিনেতা মোহন আগাসে। কিন্ত জটায়ু চরিত্রে সন্তোষ দত্ত আজও ইতিহাস হ'য়ে আছে। পরবর্তী অভিনেতারা বিখ্যাত শক্তিমান অভিনেতা হওয়া সত্ত্বেও সেই সন্তোষ দত্তের মিথে পরিণত হওয়া জটায়ু চরিত্রের মধ্যে প্রবেশ করতে পারেননি কেউই। সন্তোষ দত্তের 'জটায়ু' স্বয়ং বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকা জীবন্ত চরিত্র; যে চরিত্রে অন্যরা অভিনয় করেছেন মাত্র। আর সন্তোষ দত্ত যেন বাস্তবের গোয়ন্দা লেখক জটায়ু। কিন্তু ফেলুদা চরিত্রে যারা যারা অভিনয় করেছেন সেই চরিত্রে তাঁদের অভিনয় করা নিয়ে কোনও তুলনামূলক বিশেষ আলোচনার কোনও অবকাশ নেই।
৬) ঠিক তেমনিভাবে আমরা আবার দেখতে পাই সত্যজিৎ রায়ের তৈরী অভুতপূর্ব অপ্রতিদ্বন্ধী বিখ্যাত ছবি 'নায়ক'। যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন মহানায়ক উত্তমকুমার। যা আর কেউ করতে সাহস করেনি। হয়তো বা কেউ ভবিষ্যতে আস্পর্ধা দেখাতে পারে। তা সে দেখাতেই পারে, তার সে অধিকার আছে, আছে স্বাধীনতা কিন্তু ইতিহাস সৃষ্টি হবে কি হবে না তা' তখন সময় বলবে। শোনা যায় এই নায়ক চরিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন বিখ্যাত শক্তিমান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় যিনি সত্যজিৎ রায়ের প্রায় সব ছবির প্রথম পছন্দ। তথাপি তিনি এই চরিত্রটি নির্মাণ করেছিলেন মহানায়ক উত্তমকুমারের কথা ভেবেই।
পরীক্ষানিরীক্ষা সব সময় হয়ে এসেছে। পুরোনো দিনের নাম করা হিন্দি গান রিমিক্স হয়ে বের হয়ে চলেছে প্রতিনিয়তই। কখনো সফল হয়েছে, হচ্ছে, কখনো বা ব্যর্থ। একবার জনমানসে কোনও কিছু গভীরভাবে দাগ কেটে গেলে তাকে নোতুনভাবে, নোতুন আঙ্গিকে যদি আবার তৈরী করা হয় প্রায়শই তা মানুষের মন জয় করতে ব্যর্থ হয়। হয়তো বা মাইন্ড সেট একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হ'য়ে দাঁড়ায় কখনো কখনো। তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ইতিহাস সৃষ্টির পিছনে যে মৌলিক কারণগুলি থাকে সেই কারণগুলি ভেদ করা কখনোই সম্ভব হয় না যদি না তাকে ভেদ করা যায়। তাই ইতিহাস অটোমেটিক সৃষ্টি হয়, জোর ক'রে কখনো ইতিহাস সৃষ্টি করা যায় না।
তাই এ, আর, রহমানের সুরে নোতুন আঙ্গিকে তৈরী হওয়া গান "যদি তোর ডাক শুনে........." তৈরী হ'তেই পারে আর তা' নিয়ে বিতর্ক হ'তেই পারে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হ'তেই পারে। প্রতিক্রিয়া, মিশ্র প্রতিক্রিয়া স্বাস্থ্যকর হ'তে পারে। তবে এ নিয়ে অকারণ ক্ষোভ বিক্ষোভ, বাদ-বিবাদ-প্রতিবাদ, ক্ষমা চাওয়া ইত্যাদির কোনও দরকার আছে ব'লে মনে হয়না। কারণ গ্রহণ ও বর্জন মানুষের হাতে। মানুষই শেষ কথা। যদিও মানুষের বোধ, বুদ্ধি, অনুভূতি, রুচি ইত্যাদির ওপরও অনেক কিছু দাঁড়িয়ে আছে। যেমন সত্যজিৎ রায়ের ছবি তৈরী হয় গভীর শিল্পবোধ নিয়ে। সেই ছবিকে সম্মান জানায় বিশ্বের তাবড় তাবড় বিদগ্ধ বিচারক মন্ডলী কিন্তু জনগণের কাছে তার বাজার মূল্য শূন্য।
যদিও বাঙ্গালীর সবেতেই গেল গেল রব। আর এই গেল গেল রব, ক্ষোভ-বিক্ষোভ, আন্দোলন, বাদ-বিবাদ-প্রতিবাদ সব অর্থহীন নিরাপদ ভূমিতে। এর থেকে অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা জর্জরিত বিষয় আছে আমাদের চারপাশে যেগুলি নিয়ে কোনও হেলদোল নেই।
তাই সমস্ত ক্ষোভ বিক্ষোভ ভুলে, বাদ-বিবাদ-প্রতিবাদ শিকেয় তুলে রেখে আসুন সবকিছু আমরা ছেড়ে দিই সময়ের হাতে। বরং লক্ষ্য রাখি, যত্নশীল হ'ই, সতর্ক থাকি যে সৃষ্টি মানব সভ্যতাকে, কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে, মনুষ্যত্বের মূল বুনিয়াদকে ধ্বংস করছে, ক'রে চলেছে অবিরাম গতিতে সেদিকে। সেদিন কোনও বালখিল্য আন্দোলনের, ক্ষোভ-বিক্ষোভ, বাদ-বিবাদ-প্রতিবাদের নাটক বাঁচাতে পারবে না মানবজাতিকে।
তাই আসুন নকল ছেড়ে আসলেতে মন মজায়।----প্রবি।
( লেখা ১৫ই নভেম্বর'২০২৩)
বিতর্ক শুরু হয়েছে গানটির সুর নিয়ে। নজরুলের ঐতিহাসিক গানটি ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধের উপর আধারিত ছবি 'পিপ্পা'-তে ব্যবহার করা হয়েছে। আর নজরুল গানটি লিখেছিলেন তখন ১৯২১ সাল। স্বাধীনতা আন্দোলনের বিদ্রোহের আগুন ছড়িয়ে পড়ছে দেশ জড়ে। বিদ্রোহকে স্তিমিত করতে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশকে গ্রেপ্তার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। তাঁকে জেলে আটকে রেখেছিল ব্রিটিশরা। সেই সময়েই রক্ত গরম করা এই গানটি লিখেছিলেন কাজি নজরুল ইসলাম।
এই গান সৃষ্টির প্রেক্ষাপটটা আগে আমাদের জানা দরকার। কোন মানসিকতার ওপর দাঁড়িয়ে দোর্দন্ডপ্রতাপ ব্রিটিশ রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা ক'রে প্রকারান্তরে পদদলিত ক'রে এরকম জেলখানার দরজা ভেঙে ফেলার মতো বেআইনি কাজের জন্য জনগণকে উসকে দেওয়া যায়। সরকারী দিক থেকে এই আইন ভাঙ্গার উৎসাহ দেওয়া যে কোনও কর্মকান্ড দেশদ্রোহী কাজ।
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ তখন জেলবন্দী। সেই সময় তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে নজরুলের কাছেই তাঁরই সম্পাদিত সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘বাংলার কথা’র জন্য কবিতা লেখার অনুরোধ আসে। সেই অনুরোধ পেয়েই দেশপ্রেমে উজ্জীবিত বৃটিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে নজরুল ইসলাম জেলখানার কপাট ভেঙে বন্দীদের মুক্তির কথা মাথায় রেখেই রক্ত গরম করা 'কারার ঐ লৌহ কপাট ভেঙ্গে ফেল কররে লোপাট' গানটি রচনা করেন। ঐ গানের কথা ও সুরে অত্যাচারী ধ্বংসের কালাপাহাড় হ'য়ে ওঠার স্মেল ও ব্জ্রনির্ঘোষ আহ্বান ধ্বনি আজও কানে ভেসে আসে।
আর, এ, আর, রহমানের প্রযোজনা ও সুরে এবং রাজা মেননের পরিচালনায় 'পিপ্পা' ফিল্ম তৈরী হয় ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধের উপর ভিত্তি ক'রে। 'পিপ্পা’ ছবিটি মূলত ৭১-এর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। ১৯৭১ সালের সেই লড়াইয়ে মুক্তিযোদ্ধারা পাশে পেয়েছিল ভারতকে। গরিবপুরে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য নিয়ে পাকিস্তানের ট্যাঙ্কের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল ভারতীয় ট্যাঙ্ক। ভারতীয় সেনা অফিসার বলরাম সিং মেহেতার লেখা বই ‘দ্য বার্নিং চ্যাফিস’ অবলম্বনে তৈরী এই ছবি। অর্থাৎ লেখকের চোখ দিয়ে দেখার উপর ভিত্তি ক'রে বইটি তৈরী করা হয়েছে। আর সেই দেখার ওপর নির্ভর ক'রে তৈরী করা ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে নজরুলের কালজয়ী অমর সৃষ্টি। এই গান যে কোনও নির্ম্মম অত্যাচারের অচলায়তনের কপাট ভাঙ্গার, উপড়ে ফেলার শপথ গ্রহণের গান।
আমরা যেন ভুলে না যায় এ গানের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাঙ্গালীর আবেগ; কোনও হিন্দু মুসলমানের নয়। আর জড়িয়ে রয়েছে বিশ্বের যে কোনও প্রান্তের অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত উৎসর্গিত প্রতিটি প্রাণের।
এই 'পিপ্পা' ছবিতে নজরুলের গানে এ, আর, রহমানের নোতুন সুর সৃষ্টির মধ্যে তৎকালীন সময়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ভয়ংকর অত্যাচারের নির্ম্মমতা, যন্ত্রণার দীর্ঘশ্বাস, মুক্তিযুদ্ধের যন্ত্রণা, পাকিস্তানি সেনা আর তাদের পদলেহী বিশ্বাসঘাতক দেশদ্রোহীদের হাতে প্রায় ৩-৪ লক্ষ নারীর ইজ্জৎ লুট ও হত্যা, রিফিউজিদের কান্না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া হত্যা ও ১০০ বুদ্ধিজীবীকে নির্ম্মম ভাবে হত্যা, সবমিলিয়ে প্রায় ৩০লক্ষ মানুষের ওপর পাশবিক অত্যাচার, নির্মমতা ও নির্বিচারে যন্ত্রণাদায়ক হত্যা ইত্যাদির বিন্দুমাত্র অনুভূতির স্মেল ভেসে আসে না ও এই নির্মমতা ও দানবের বিরুদ্ধে সমুদ্র গর্জনের মতো আছড়ে পড়ার হুঙ্কার ও কালাপাহাড়ি ভয়ানক আহ্বান ধ্বনি ভেসে আসে না।
এই কালজয়ী "কারার ঐ লৌহ কপাট........." গান বহু শিল্পী গেয়েছেন। গেয়েছেন তাঁদের তাঁদের অনুভূতি, গায়কী ভঙ্গি ও গলার টেক্সচার অনুযায়ী। গানের কথার অন্তর্নিহিত যে ভাব, অর্থ, শব্দের যে ওজন ও সেই অনুযায়ী সুর সব কিছু মিলিয়ে গলার ভয়েস মড্যুলেশন সহ গানটি গায়ক গায়িকা বিশেষে জনপ্রিয় হয়।
এরকম পরীক্ষামূলক পরিবর্তন আমরা প্রায়ই দেখে থাকি। বিশ্বজুড়ে ভুরি ভুরি পরীক্ষামূলক পরিবর্তন হয়েছে শিল্প সৃষ্টির ক্ষেত্রে। আলোচনার সুবিধার জন্য উদাহরণ দু'একটা দেওয়া যেতে পারে।
যেমন ধরুন ১) মহালয়া। বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের মহালয়া অনুষ্ঠানে চন্ডীপাঠের কাহিনী আজও সুবিদিত। বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র পরিবর্তে ১৯৭৬ সালে উত্তমকুমারের ‘দুর্গা দুর্গতিহারিনী’ অনুষ্ঠানের পরিণতি কি হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গবাসী মাত্রেই জানে। সেদিন যারা মহালয়ার নবরূপ 'দেবিং দুর্গতিহারিণীম' অনুষ্ঠানের পিছনে ছিলেন তাঁরা সবাই ছিলেন প্রথিতযশা রচয়িতা ডঃ ধ্যানেশনারায়ণ চক্রবর্তী, সংগীত পরিচালক হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, গীতিকার শ্যামল গুপ্ত এবং ভাষ্যপাঠে স্বয়ং উত্তমকুমার। গানের ক্ষেত্রে ছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে, মান্না দে, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, আরতি মুখোপাধ্যায়, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়, নির্মলা মিশ্র, উৎপলা সেন, অনুপ ঘোষাল, তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শিপ্রা বসু, বনশ্রী সেনগুপ্ত, হৈমন্তী শুক্লা, অসীমা মুখোপাধ্যায়, পিন্টু ভট্টাচার্য, শৈলেন মুখোপাধ্যায় প্রমুখরা। তবুও মুখ থুবড়ে পড়েছিল নোতুন রূপে আবির্ভূত মহালয়া। ত্রুটি কি ছিল না ছিল সেসব নিয়ে আলোচনা করতে গেলে প্রবন্ধ দীর্ঘ হ'য়ে যাবে। এককথায় মানুষের ভালো লাগেনি, মন জয় করতে পারেনি, শিহরণ জাগাতে পারেনি মস্তিষ্কে-শরীরের কোষে কোষে, শিরা-উপশিরায় অযথা উত্তমকুমারের নামে প্রচারিত উত্তমকুমারের মহালয়া। এই মহালয়ার পিছনে ছিল সম্পূর্ণ রাজনৈতিক অবস্থান। সেসব আলোচনা এখানে নিরর্থক। যদিও ঐ রাজনৈতিক অবস্থানের কারণেই এতবড় অপমানজনক বিতর্কের জন্ম হয়। তবে সেই অনুষ্ঠানে উত্তমকুমারের যোগদান ছিল কয়েক মিনিটের। উত্তমকুমারের বিরোধীদের ছিল তাঁকে হেয় করার এটা মোক্ষম সুযোগ। আজও ১৯৩২ সাল থেকে শুরু ক'রে ২০২৩ সাল পর্যন্ত একটানা ৯১ বছর পরেও বিরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের আলোআঁধার রাতে ব্রাহ্ম মুহূর্তের ভোরের মহালয়া মানুষের শরীরে-মনে ও প্রাণে মৃতসঞ্জীবনী সুরার কাজ করে।
উদাহরণ ২) উত্তমকুমার অভিনীত 'এন্টনি ফিরিঙ্গী' পুনরায় নির্মাণ হয়েছিল। সেখানে এন্টনির ভুমিকায় অভিনয় করেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বইটা সবারই ভালো লেগেছিল কিন্তু এন্টনির চরিত্রে উত্তমকুমার ছিলেন অপ্রতিদ্বন্ধী। সামগ্রিকভাবে উত্তমকুমারের এন্টনি ফিরিঙ্গিকে ভুলিয়ে দিতে পারেনি প্রসেঞ্জিতের এন্টনি ফিরিঙ্গি। এন্টনি ফিরিঙ্গির কথা উঠলেই লোকের চোখেমুখে উত্তমকুমারের এন্টনির কথা মনে পড়ে, ভেসে ওঠে অনিন্দ্যসুন্দর ঐ অপূর্ব মুখাবয়ব!
৩) রবীন্দ্রনাথের "যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে........." গানের কথায় ধরা যাক। এই গান প্রায় সমস্ত শিল্পীই গেয়েছেন। কিন্তু হিন্দি ছবি 'কাহিনী'তে অমিতাভ বচ্চনের কন্ঠের মাধুর্য, গভীরতা এককথায় ভয়েস মডিউলেশন সঙ্গে বিশাল শেখরের অনবদ্য সুর সংযোজনে তৈরি "যদি তোর ডাক শুনে........." গান শ্রোতার মনে-প্রাণে অন্য এক মাত্রা যোগ ক'রে দিয়েছে। আবার অন্যদিকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত শিল্পী শ্রেয়া ঘোষালও এই গান গেয়েছেন কিন্তু কোনও দাগ রেখে যেতে পারেননি শ্রোতার মনে।
৪) রবীন্দ্রনাথের এই গানই কথা ও সুরের কিছু কিছু অদলবদল ঘটিয়ে নোতুন ভাবে, নোতুন আঙ্গিকে গেয়েছেন নচিকেতা চক্রবর্তী। তাঁর গান "যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবেই নাকি.একলা চলতে হয়......" জনমানসে তেমন কোনও দাগ কাটতে পারেনি।
৫) যেমন আমরা যদি দেখি সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা সিরিজ। সেখানে আমরা দেখতে পাবো জটায়ু চরিত্রে (লালমোহন গাঙ্গুলি) বিভিন্ন সময়ে সত্যজিৎ রায় ও সন্দীপ রায়ের পরিচালনায় বিভিন্ন অভিনেতা অভিনয় করেছেন। এদের মধ্যে সর্বপ্রথম হলেন সন্তোষ দত্ত। এছাড়া আছেন রবি ঘোষ, অনুপকুমার, বিভু ভট্টাচার্য ইত্যাদি। হিন্দি টেলিছবি 'কিসসা কাটমান্ডু কা'তে জটায়ুর চরিত্রে অভিনয় করেন অভিনেতা মোহন আগাসে। কিন্ত জটায়ু চরিত্রে সন্তোষ দত্ত আজও ইতিহাস হ'য়ে আছে। পরবর্তী অভিনেতারা বিখ্যাত শক্তিমান অভিনেতা হওয়া সত্ত্বেও সেই সন্তোষ দত্তের মিথে পরিণত হওয়া জটায়ু চরিত্রের মধ্যে প্রবেশ করতে পারেননি কেউই। সন্তোষ দত্তের 'জটায়ু' স্বয়ং বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকা জীবন্ত চরিত্র; যে চরিত্রে অন্যরা অভিনয় করেছেন মাত্র। আর সন্তোষ দত্ত যেন বাস্তবের গোয়ন্দা লেখক জটায়ু। কিন্তু ফেলুদা চরিত্রে যারা যারা অভিনয় করেছেন সেই চরিত্রে তাঁদের অভিনয় করা নিয়ে কোনও তুলনামূলক বিশেষ আলোচনার কোনও অবকাশ নেই।
৬) ঠিক তেমনিভাবে আমরা আবার দেখতে পাই সত্যজিৎ রায়ের তৈরী অভুতপূর্ব অপ্রতিদ্বন্ধী বিখ্যাত ছবি 'নায়ক'। যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন মহানায়ক উত্তমকুমার। যা আর কেউ করতে সাহস করেনি। হয়তো বা কেউ ভবিষ্যতে আস্পর্ধা দেখাতে পারে। তা সে দেখাতেই পারে, তার সে অধিকার আছে, আছে স্বাধীনতা কিন্তু ইতিহাস সৃষ্টি হবে কি হবে না তা' তখন সময় বলবে। শোনা যায় এই নায়ক চরিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন বিখ্যাত শক্তিমান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় যিনি সত্যজিৎ রায়ের প্রায় সব ছবির প্রথম পছন্দ। তথাপি তিনি এই চরিত্রটি নির্মাণ করেছিলেন মহানায়ক উত্তমকুমারের কথা ভেবেই।
পরীক্ষানিরীক্ষা সব সময় হয়ে এসেছে। পুরোনো দিনের নাম করা হিন্দি গান রিমিক্স হয়ে বের হয়ে চলেছে প্রতিনিয়তই। কখনো সফল হয়েছে, হচ্ছে, কখনো বা ব্যর্থ। একবার জনমানসে কোনও কিছু গভীরভাবে দাগ কেটে গেলে তাকে নোতুনভাবে, নোতুন আঙ্গিকে যদি আবার তৈরী করা হয় প্রায়শই তা মানুষের মন জয় করতে ব্যর্থ হয়। হয়তো বা মাইন্ড সেট একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হ'য়ে দাঁড়ায় কখনো কখনো। তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ইতিহাস সৃষ্টির পিছনে যে মৌলিক কারণগুলি থাকে সেই কারণগুলি ভেদ করা কখনোই সম্ভব হয় না যদি না তাকে ভেদ করা যায়। তাই ইতিহাস অটোমেটিক সৃষ্টি হয়, জোর ক'রে কখনো ইতিহাস সৃষ্টি করা যায় না।
তাই এ, আর, রহমানের সুরে নোতুন আঙ্গিকে তৈরী হওয়া গান "যদি তোর ডাক শুনে........." তৈরী হ'তেই পারে আর তা' নিয়ে বিতর্ক হ'তেই পারে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হ'তেই পারে। প্রতিক্রিয়া, মিশ্র প্রতিক্রিয়া স্বাস্থ্যকর হ'তে পারে। তবে এ নিয়ে অকারণ ক্ষোভ বিক্ষোভ, বাদ-বিবাদ-প্রতিবাদ, ক্ষমা চাওয়া ইত্যাদির কোনও দরকার আছে ব'লে মনে হয়না। কারণ গ্রহণ ও বর্জন মানুষের হাতে। মানুষই শেষ কথা। যদিও মানুষের বোধ, বুদ্ধি, অনুভূতি, রুচি ইত্যাদির ওপরও অনেক কিছু দাঁড়িয়ে আছে। যেমন সত্যজিৎ রায়ের ছবি তৈরী হয় গভীর শিল্পবোধ নিয়ে। সেই ছবিকে সম্মান জানায় বিশ্বের তাবড় তাবড় বিদগ্ধ বিচারক মন্ডলী কিন্তু জনগণের কাছে তার বাজার মূল্য শূন্য।
যদিও বাঙ্গালীর সবেতেই গেল গেল রব। আর এই গেল গেল রব, ক্ষোভ-বিক্ষোভ, আন্দোলন, বাদ-বিবাদ-প্রতিবাদ সব অর্থহীন নিরাপদ ভূমিতে। এর থেকে অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা জর্জরিত বিষয় আছে আমাদের চারপাশে যেগুলি নিয়ে কোনও হেলদোল নেই।
তাই সমস্ত ক্ষোভ বিক্ষোভ ভুলে, বাদ-বিবাদ-প্রতিবাদ শিকেয় তুলে রেখে আসুন সবকিছু আমরা ছেড়ে দিই সময়ের হাতে। বরং লক্ষ্য রাখি, যত্নশীল হ'ই, সতর্ক থাকি যে সৃষ্টি মানব সভ্যতাকে, কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে, মনুষ্যত্বের মূল বুনিয়াদকে ধ্বংস করছে, ক'রে চলেছে অবিরাম গতিতে সেদিকে। সেদিন কোনও বালখিল্য আন্দোলনের, ক্ষোভ-বিক্ষোভ, বাদ-বিবাদ-প্রতিবাদের নাটক বাঁচাতে পারবে না মানবজাতিকে।
তাই আসুন নকল ছেড়ে আসলেতে মন মজায়।----প্রবি।
( লেখা ১৫ই নভেম্বর'২০২৩)
All reaction

বিচিত্রা ৪১
মানুষকে ভুল বিশ্লেষণ ক'রে
হৃদয় শান্ত হবে। দয়াল তোমার সহায় হবে।
(লেখা ১৪ইনভেম্বর'২০১৯)
নিজের হীন স্বার্থকে পরিপুষ্ট ক'রো না;
জীবনে বাঁচা-বাড়া রুদ্ধ হবে না।
মানুষকে ভুল বিশ্লেষণে
মানুষকে ভুল বিশ্লেষণে
সাময়িক আনন্দ লাভ হ'তে পারে
কিন্তু দয়াল রাজ্যে অগ্রগতির সম্ভাবনা
চিরতরে লুপ্ত হ'য়ে যায়।
মানুষকে ভালোবাসার মত আনন্দ
আর কিছুতে নেই,
আনন্দ পেতে হ'লে
ভালো বাসায় বাস করো।
মনকে সংযত করো,
প্রাণকে প্রাণময়ের সাথে যুক্ত করো,হৃদয় শান্ত হবে। দয়াল তোমার সহায় হবে।
(লেখা ১৪ইনভেম্বর'২০১৯)
আধ্যাত্মিক জগতের মুনি, ঋষি,
অমুকবাবা, তমুকবাবা, বাল-বুড়ো ব্রহ্মচারী
যে কেউ সে যতবড় সাধন জগতের মানুষ
হ'ক না কেন তাঁরা কি ঈশ্বর!?
রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মহম্মদ, মহাপ্রভু,
রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মহম্মদ, মহাপ্রভু,
রামকৃষ্ণ ও শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
একমাত্র জীবন্ত ঈশ্বর।
বাকীরা সাধক বা ভক্ত।
(লেখা ১৪ইনভেম্বর'২০২১)
Tuesday, November 12, 2024
মিডিয়ার রিফর্মেশনের যুগ!!
মিডিয়ার সকাল ও সাদা দিন!
মিডিয়া কি নতুনভাবে জেগে উঠলো নতুন সকাল নিয়ে ভারতের মাটিতে জার্নালিস্ট অর্ণব গোস্বামীর দেখানো পথে?
জার্নালিস্ট অর্ণব গোস্বামীর গ্রেপ্তারের দিন ৪/১১/২০ বুধবার নাকি সুপ্রিমকোর্ট দ্বারা মুক্তির দিন ১১/১১/২০ বুধবার মিডিয়ার সাদা দিন হিসেবে চিহ্নিত হবে?
ভারতের মিডিয়ার আকাশে বুধবার মহত্বপূর্ণ বার?
শুভ-অশুভ একই সঙ্গে চিহ্নিত হ'য়ে রইলো 'বুধবার' ভারতের সাংবাদিকতার জগতে?
ভারতের মিডিয়া কি রিপাবলিক ভারতের চিফ এডিটর জার্নালিস্ট অর্ণব গোস্বামীর হাত ধ'রে সাবালক হওয়ার পথে পা বাড়ালো?
ভারতের মিডিয়া কি অর্ণব গোস্বামীর নেতৃত্বে সাংবাদিকতায় সীমাবদ্ধতার গন্ডি ভেঙে সাংবাদিকতার অসীম মহাকাশে পাড়ি দিল?
ভারতের মিডিয়া কি মিডিয়া স্বাধীনতার নতুন যুগের সূচনা করল অর্ণব গোস্বামীর স্পর্শে?
ভারতের মিডিয়ার নব জাগরণের শঙ্খ বাজালো অর্ণব গোস্বামী?
যে পথ দেখায় তাকে কণ্টকাকীর্ণ পথের উপর দিয়ে হেঁটে ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত জখম হ'য়েই পথ দেখাতে হয়। অর্ণব গোস্বামী তাই-ই দেখালো ভারতের মিডিয়ায়। নতুন সূর্য উঠলো ভারতের সাংবাদিকতার আকাশে!
মিডিয়ার কি নবজাগরণ হ'লো!? হ'লো সত্যের পথে চলা!? তবে কি হলুদ সাংবাদিকতা, চাটুকারিতা, পদলেহন, ক্ষমতার অলিন্দে ঘুরে বেড়ানো আয়েশি যুগের অবসান হ'লো ভারতের সাংবাদিকতার জগতে!?
কি জানি! তবে শুরু হ'লো সবে পথ চলা। দিল্লি এখনো বহু দূর! তবে ভারতের সাংবাদিকতার আকাশে ধ্রুবতারার মত চিহ্নিত ও উজ্জ্বল নক্ষত্র হ'য়ে রইলো বিতর্কিত, বহু চর্চিত ও একশ্রেণীর জার্ণালিস্টের কাছে নিন্দিত অর্ণব গোস্বামী!
মিডিয়া কি নতুনভাবে জেগে উঠলো নতুন সকাল নিয়ে ভারতের মাটিতে জার্নালিস্ট অর্ণব গোস্বামীর দেখানো পথে?
জার্নালিস্ট অর্ণব গোস্বামীর গ্রেপ্তারের দিন ৪/১১/২০ বুধবার নাকি সুপ্রিমকোর্ট দ্বারা মুক্তির দিন ১১/১১/২০ বুধবার মিডিয়ার সাদা দিন হিসেবে চিহ্নিত হবে?
ভারতের মিডিয়ার আকাশে বুধবার মহত্বপূর্ণ বার?
শুভ-অশুভ একই সঙ্গে চিহ্নিত হ'য়ে রইলো 'বুধবার' ভারতের সাংবাদিকতার জগতে?
ভারতের মিডিয়া কি রিপাবলিক ভারতের চিফ এডিটর জার্নালিস্ট অর্ণব গোস্বামীর হাত ধ'রে সাবালক হওয়ার পথে পা বাড়ালো?
ভারতের মিডিয়া কি অর্ণব গোস্বামীর নেতৃত্বে সাংবাদিকতায় সীমাবদ্ধতার গন্ডি ভেঙে সাংবাদিকতার অসীম মহাকাশে পাড়ি দিল?
ভারতের মিডিয়া কি মিডিয়া স্বাধীনতার নতুন যুগের সূচনা করল অর্ণব গোস্বামীর স্পর্শে?
ভারতের মিডিয়ার নব জাগরণের শঙ্খ বাজালো অর্ণব গোস্বামী?
যে পথ দেখায় তাকে কণ্টকাকীর্ণ পথের উপর দিয়ে হেঁটে ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত জখম হ'য়েই পথ দেখাতে হয়। অর্ণব গোস্বামী তাই-ই দেখালো ভারতের মিডিয়ায়। নতুন সূর্য উঠলো ভারতের সাংবাদিকতার আকাশে!
মিডিয়ার কি নবজাগরণ হ'লো!? হ'লো সত্যের পথে চলা!? তবে কি হলুদ সাংবাদিকতা, চাটুকারিতা, পদলেহন, ক্ষমতার অলিন্দে ঘুরে বেড়ানো আয়েশি যুগের অবসান হ'লো ভারতের সাংবাদিকতার জগতে!?
কি জানি! তবে শুরু হ'লো সবে পথ চলা। দিল্লি এখনো বহু দূর! তবে ভারতের সাংবাদিকতার আকাশে ধ্রুবতারার মত চিহ্নিত ও উজ্জ্বল নক্ষত্র হ'য়ে রইলো বিতর্কিত, বহু চর্চিত ও একশ্রেণীর জার্ণালিস্টের কাছে নিন্দিত অর্ণব গোস্বামী!
Subscribe to:
Posts (Atom)