গুয়েদাকে মনে পড়ে?
হাসি হাসি লাজুক মুখটা?
ছোটবেলায় ঘুড়ি ধরতে এসে
ভাগাড়েতে পড়ে গিয়ে অবশেষে
গু'য়ে মাখামাখি হ'লো ভানু নিমেষে
হ'য়ে গেল সেই থেকে গুয়েদা নামটা।
সময়ের স্রোতে রক্তাভ ভানু অবশেষে
হ'য়ে গেল ফ্যাকাশে, গুয়েদা শেষমেশটা!?
এমনই নোংরা ভয়ংকর সমাজটা?
গিয়েছিলাম ভুলে ছেলেবেলার ভানুকে
যত অকাজের ভিড়ে সরলপ্রাণ কানুকে
মৃত্যু এসে দিল পড়িয়ে মনে, প্রতিবেশী
হেসে ব'লে গেল যখন গুয়েদা নামটা।
কপটের হাসি রাবড়ির চেয়েও মিষ্টি!
রাবড়ি খচ্চর জেনো সে;
জানো কি রাবড়ির সৃষ্টি?
নীচে আগুন উপরে হাওয়া,
এর নাম রাবড়ি (খচ্চর) হওয়া!!
রাবড়ি খচ্চর সেজে বন্ধুরা মিলেমিশে
রটিয়ে দিল কানে কানে গ্রামে গ্রামে
হাওয়া দিয়ে দিয়ে মুছে দিল অবশেষে
মায়ের দেওয়া বড় আদরের ভানু নামটা!
তবুও আমার আদরের সরল লাজুক ভানু
সরল সাদাসিধে শান্তশিষ্ট স্বভাব বিশিষ্ট
রাবড়ি খচ্চরের ছড়ানো গুয়ের গন্ধে অতিষ্ট,
শত অপমানেও ছাড়েনি স্বভাব কানুর।
হাসি হাসি মুখে জড়িয়ে নিয়ে বুকে সবারে
ভালোবেসে বলে গেল দিও না আঘাত বন্ধু!
কারও প্রাণে কারণে অকারণে।
যাকে নিয়ে করছো হাসি মজা
তোমার কাছে মজা হ'লেও,
তার কাছে তা' নির্ম্মম সাজা।
ব'লে গেল কত কথা ভানু নামে লোকটা
হাবিজাবি নয় তা', শুধু পেল না সম্মান নামটা।
No comments:
Post a Comment