একজন বন্ধুর পরামর্শ ছিল 'ফেসবুকের মধ্যে ঝামেলায় না জড়ানোই ভালো'। তার সুপরামর্শ মেনে নিয়েও বলছি ফেসবুকের মধ্যে পরিকল্পিতভাবেই সৎসঙ্গ বিরোধী ও ঠাকুর পরিবার বিরোধী একটা গভীর চক্রান্ত বহুদিন ধ'রে যেভাবে নানা লেখা ও ভিডিওর মাধ্যমে ইনজেক্ট হয়ে চলেছে সাধারণ সৎসঙ্গী ও অ-সৎসঙ্গীদের মাঝে সেটা সুক্ষ্মভাবে ধরা খুব মুশকিল এবং এখনো তাতে অর্থাৎ এই অসুস্থ প্র্যাকটিস সম্পর্কে যদি ওয়াকিবহাল না হ'ই এবং সতর্ক ও সচেতন না হ'য়ে উঠি ভবিষ্যতে সেই চক্রান্ত আরও জটিল ও বিষাক্ত হ'য়ে গোটা সৎসঙ্গ সমাজ ও সৎসঙ্গীদের আরও বিষাক্ত ক'রে তুলে পচিয়ে দেবে।
যদিও আমাদের মাথায় আছেন শ্রীশ্রীঠাকুর। আর ঠাকুর সদা জাগ্রত এবং বিশ্বজুড়ে আমাদের সবাইকে তিনি দেখছেন ও গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন শ্রীশ্রীআচার্যদেবের মধ্যে দিয়ে। তাই আমাদের কোনও ভয় নেই কিন্তু আমাদের সচেতন সৎসঙ্গীদেরও একটা দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে।
সেই দায়িত্ব ও কর্তব্য মাথায় রেখেই আমার অনুভূতি ও উপলব্ধি তুলে ধরছি।
কোনও জিনিস গড়ে তোলা যেমন কঠিন, পরিশ্রমসাপেক্ষ, বিপদসংকুল তাকে রক্ষা করা ততোধিক হাজার লক্ষ কোটি গুণ কঠিন, ভয়ংকর কঠিন। আর এই রক্ষা করার ব্যাপারটা কতটা কষ্টের, কতটা যন্ত্রণার, কতটা জীবন সংশয়ের সেটা তারাই একমাত্র বোঝে যারা কোনও জিনিস নিজের হাতে গড়ে তোলে বা তুলেছে ও তুলছে। যেমন সব মায়েরায় বুঝতে পারে প্রায় ১১মাস ধ'রে নিজের শরীরের মধ্যে আর একটা শরীর ধারণ ও প্রসবকালীন গর্ভ যন্ত্রণার ব্যাপারটা, ঠিক তেমনি তাকে বুকের দুধ দিয়ে লালন পালন ক'রে বড় ক'রে তোলার পিছনে যে দীর্ঘ কষ্টকর যন্ত্রণাময় জার্ণি থাকে সেটা একমাত্র মায়েরাই বুঝতে পারে তা সে গরীব, বড়লোক, শিক্ষিত, অশিক্ষিত, মুর্খ, বুদ্ধিমতী যে মা-ই হ'ক।
তাই বন্ধু, সৎসঙ্গ ও ঠাকুর বাড়ির বিরুদ্ধে এই ঘৃণ্য চক্রান্তের ট্রাডিশান আজ নয়, সেই যেদিন থেকে-------- শ্রীশ্রীঠাকুর দেহ রাখার পর থেকে শুধু নয়----- যখন ঠাকুরের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানের দেখভালের দায়দায়িত্ব একটু একটু ক'রে সমস্তটাই বড়দার কাঁধে এসে পড়ছিল সেইদিন থেকেই শুরু হয়েছিল এই চক্রান্তের জার্ণি। আর দিনদিন তা ভয়ংকর হ'য়ে উঠেছিল। তার পরিচয় আমরা যারা সতর্কতার সঙ্গে কিঞ্চিত খবর রাখি তারা জানি। আর আগামীতে তা কি ভয়াবহ কালবৈশাখীর রূপ নেবে তা ঠাকুর স্বয়ং জানেন আর জানেন ঈশ্বরকোটি পুরুষ শ্রীশ্রীআচার্যদেব ও সাধনার উচ্চমার্গে অবস্থানকারী সৎসঙ্গের সাধকগণ।
একটা কথা কি জানো বন্ধু, ঠাকুর যা যা ব'লে গেছেন, যে ভয়ংকর ভবিষ্যতের কথা ব'লে গেছেন, দিয়ে গেছেন বর্ণনা সেটা না জানাই ভালো। সেটা না জেনে জীবন কাটিয়ে দেওয়া ভালো। যারা জানে না তারা ভালোই আছে।
আর, জেনেও যদি কোনও এফেক্ট না হয় মনে তবে তো কথায় নেই। ধ'রে নিতে হবে হয় তারা শোধবোধহীন জড় পদার্থের মানুষ আর নয়তো উচ্চমার্গের সাধক পুরুষ।
আর যারা জানে যদি সেই জানার প্রতিক্রিয়া হয় মনে আর তার সমাধানে যদি কিছু করতে না পারে তাহ'লে তার যন্ত্রণা ক্যান্সারের শেষ স্টেজের যন্ত্রণার চেয়েও ভয়ংকর।
তাই, মনে হয়, 'সৎসঙ্গ' প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করার কি হিমালয় পাহাড় সমান ভয়ংকর কষ্টকর, প্রাণান্তকর বোঝা দিয়ে গেছেন শ্রীশ্রীঠাকুর তাঁর আত্মজদের ওপর বংশপরম্পরায়, ভবিষ্যৎ পৃথিবীকে ও মনুষ্যজাতীকে বাঁচাবার কি কঠিন দায় ও দায়িত্ব দিয়ে গেছেন শ্রীশ্রীঠাকুর তাঁর উত্তরসূরিদের কাঁধে সেটা একমাত্র তাঁরা জানেন আর জানে সে, প্রাণ বোঝে যার। বাড়ির খেয়ে বনের মোষ তাড়াবার যে রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত যন্ত্রণা সে যন্ত্রণা ভুক্তভোগী মাত্রেই জানে।
বন্ধুরা, একটু কল্পনার চোখ দিয়ে দেখো সেই দৃশ্যটা। আজকের যারা ইয়ং তারা দেখে যেতে পারবে স্বচক্ষে আগামীকে, আগামী আগুন পৃথিবীকে কিছুটা।
শ্রীশ্রীআচার্যদেবকে ও শ্রীশ্রীঅবিনদাদাকে দেখে মনে হয় কি বিন্দাস আছেন তাঁরা। না তাঁরা বিন্দাস নেই, গোলাপ ফুল দিয়ে সাজানো ও বিছানো মখমলের বিছানার ওপরে বসে নেই, তাঁদের পায়ের তলা দিয়ে ব'য়ে যাচ্ছে আগ্নেয়গিরির গরম লাভা ও মাথার ওপর দিয়ে সমস্যার ঘন কুচকুচে কালো মেঘ। কতটা ঠাকুরময় হ'য়ে থাকলে, কতটা ইষ্টপ্রাণ হ'লে, কতটা জন্মগতভাবে উচ্চমার্গের ইশ্বরকোটি পুরুষের সোল হ'লে মাথার ওপরে ও পায়ের নীচে দিয়ে ব'য়ে যাওয়া ঘোর কলি যুগের উত্তপ্ত গরম বাতাসকে মোকাবিলা ক'রতে হবে সেটা বোঝা, তা অনুভব করা, সে সম্পর্কে জ্ঞান আমাদের মতো জীবকোটি সৎসঙ্গীদের, রাজনৈতিক দলের মতো উল্লাসে মত্ত হৈ হৈ করা লাগামছাড়া প্রবৃত্তিমুখর এক চক্ষু হরিণের দৃষ্টিতে পরিস্থিতি বিচারকারী সৎসঙ্গীদের বিষয় নয়।
শ্রীশ্রীঠাকুর বলেছেন, " বিচারের ভার, শাস্তির ভার আপন হাতে নিতে যেও না; অন্তরের সহিত পরমপিতার উপর ন্যস্ত কর, ভাল হবে।"------আমরা এই বাণীকে সামনে রেখে বিচার করার, শাস্তি দেওয়ার যা কিছু করার ঠাকুর করবেন এই ভাব অন্তরে নিয়ে বিন্দাস সমস্ত কিছু, যে যেদিকে যা ইচ্ছা করছে সেই সবকিছু তাঁর কাঁধে চাপিয়ে দিয়ে ভাবের ঘুঘু হ'য়ে তাত্ত্বিক আমেজে ডুবে থেকে পরম ভক্ত সেজে বসে আছি। ইচ্ছামতো চ'লে বৃত্তি-প্রবৃত্তির লেজে পা না পড়ে এমন সন্তর্পনে ধর্মেও আছি আবার জিরাফেও আছি এবং এমন জেনেই হ'ক আর না-জেনেই হ'ক ভয়ংকর এক সর্বনাশা পথ বেছে নিয়েছি। মন্দিরে মন্দিরে, কেন্দ্রে কেন্দ্রে ইষ্ট ও ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে যে আত্মপ্রতিষ্ঠার কর্মযজ্ঞ হ'য়ে চলেছে তার বিরুদ্ধে মিনিমাম ভদ্রভাবে হ'লেও শান্তভাবে প্রতিবাদ করার শক্তি হারিয়ে ফেলেছি। মিষ্টভাষায় স্পষ্টবাদী হ'তে পর্যন্ত পারছি না। ঠাকুরের নানা বাণীকে ব্যবহার ক'রে অন্যায়কারীর অন্যায় কাজকে মুখ বুঝে সমর্থন করছি শুধু নয় যারা সীমা লঙ্ঘন না ক'রে ঠাকুরের দৃষ্টিতে কারও ভুল ধরিয়ে দিচ্ছে সেখানেও তাকে ঠাকুরের বাণী প্রয়োগ ক'রে থামিয়ে দিচ্ছি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই। যারা প্রতিবাদের ভাষার সীমা লঙ্ঘন করছে তাদের ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে কিন্তু যারা বৃহত্তর সার্বিক মঙ্গলের জন্য শালীনতার মাত্রা বজায় রেখেই মন্তব্য রেখেছে বা রাখছে তাদেরও আমরা থামিয়ে দিচ্ছি, মুখ বন্ধ ক'রে দিচ্ছি। ব্যাপারটা হচ্ছে আমি আমার বক্তব্যে ঠাকুরবাড়ির গায়ে কোথায় কালি লাগছে, কলঙ্কিত হচ্ছে ঠাকুর আত্মজরা, সেদিকে সতর্ক থাকার প্রয়োজন মনে করছি না কিন্তু ঠাকুরবাড়ির ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে লাগামছাড়া বক্তব্য পেশ ক'রে চলেছি সেটা দোষের না। তখন কেউ তাকে ঠাকুরের বাণীর কথা মতো গোপনেও বুঝিয়ে বলেনি ও সাবধান করেনি; বরং উল্লাসে মত্ত হয়েছে। কিন্তু যখন প্রতিবাদের ঝড় উঠছে চতুর্দিকে তখন ঝড়কে সামাল দিতে লাগামছাড়া বক্তার পক্ষ নিয়ে ঠাকুরের বাণী 'গোপনে বুঝিয়ে বলিস তারে' পরামর্শের বৃষ্টি হ'য়ে চলেছে। আবার কেউ কেউ প্রকাশ্যে বক্তার লাগামছাড়া বক্তব্যের পক্ষে দাঁড়িয়ে বক্তাকে যদি পারে থামাক, এই থামাবার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বসছে! অবাক কান্ড! আমিই যেখানে ঠাকুরের 'গোপনে বুঝিয়ে বলার কথা' বলছি সেখানে আমিই আবার সৎসঙ্গী হ'য়ে সৎসঙ্গীর বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হচ্ছি। ঠাকুর থেকে, আচার্য থেকে, ঠাকুর পরিবারের সদস্যদের থেকে আমার কাছে কোনও কোনও সৎসঙ্গী এত মুখ্য, প্রধান হ'য়ে উঠছে যে তাকে কেন্দ্র ক'রে ব্যক্তিগত গ্রুপ বানিয়ে ফেলছি এবং সেই গ্রুপের মাধ্যমে সৎসঙ্গীরা [পরস্পর একে অপরকে আক্রমণ ক'রে বসছি, চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি রাজনৈতিক দলের মতো। ভুলে যাচ্ছি এটা এবারের ঘোর কলিযুগের জীবন্ত ঈশ্বরের প্রতিষ্ঠান, তাঁর সৃষ্টিকে রক্ষা করার ও এগিয়ে নিয়ে যাবার সোনার সৎসঙ্গীদের দল। এখানে কারও হুকুম, চ্যালেঞ্জ, কুৎসা, নিন্দা, গালাগালি, অপমান, অশ্রদ্ধা ও তথাকথিত ভালোমানুষি নিস্ক্রিয়তা, চালাকি ইত্যাদি ঠাকুর দর্শন বিরোধী ও বাঁচা-বাড়ার প্রতিকুল জীবন বিধ্বংসী ব্যবহার, কার্যকলাপের কোনও মাপ হবে না। কারণ শ্রীশ্রীঠাকুর নিজেই বলেছেন, "তুমি যা করছো বা ক'রে রেখেছো ভগবান তাই-ই গ্রাহ্য করবেন আর তার ফলও পাবে ঠিক তেমনি।"
আর, সমস্ত সাধারণ গুরুভাইবোনেরা সব দেখেশুনে 'আমার গাঁয়ে আঁচ না লাগে ফুরিয়ে যাবে মামলা' মানসিকতার ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবন কাটিয়ে দিচ্ছি নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে।
এছাড়া, দিব্যজীবনের পরিপন্থী প্রবৃত্তিমুখর জীবনের বিরুদ্ধে কিছু একটা লেখা বা বলা পছন্দ না হ'লেই বা মনের মতো না হ'লেই নিজের দিকে টেনে নিয়ে তার মন্তব্যকে 'রাফ এন্ড টাফ, এত রাগ ভালো নয়, সবাইকে নিয়ে চলতে হবে' ইত্যাদি নানাকথা শুনিয়ে কারও তেজকে ক্রোধ আখ্যা দিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিচ্ছি নিজেকে বিচারকের চেয়ারে বসিয়ে। একটা ভয়, একটা পিছুটান আমাদের গ্রাস ক'রে ফেলেছে ভালোমানুষির ছদ্মবেশে। কেউ কিছু বললেই তাকে 'কি দরকার এইসব ফালতু ব্যাপারে মাথা গলিয়ে? ঠাকুরবাড়ির হাতেই ছেড়ে দিন সব। ঠাকুর সব দেখছে। আসুন আমরা একটু নামধ্যান করি। একটু তাঁর গ্রন্থ পড়ি'--এমন অজস্র পরামর্শের তীর ছুঁড়ে দিচ্ছি তার দিকে। প্রয়োজন অনুযায়ী ভদ্র শালীনতাপূর্ণ মিষ্ট কঠিন কোমল মৃদু প্রতিবাদেরও যে প্রয়োজন আছে একজন 'সৎসঙ্গীর' ঠাকুর ও ঠাকুর পরিবারের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য ভাবমূর্তি নষ্টকারীর বিরুদ্ধে সেটাও ভক্তির আতিশয্যে ভুলে যাচ্ছি। অথচ ঠিক এইসময়েই মনে পড়ছে নামধ্যান করার ও গ্রন্থ পড়ার কথা ও হচ্ছে আহবান। নিশ্চয়ই নামধ্যান ও অধ্যায়ন-এর প্রয়োজন আছে এ কথা অনস্বীকার্য। কিন্তু আগে সংযত ভদ্র প্রতিবাদ পরে পরামর্শ। আর তাকে পরামর্শ যে সমস্যা সৃষ্টি করছে বা করেছে, যে সীমা লঙ্ঘন করছে প্রতিবাদের নামে আর যে সমস্যাকে সমর্থন করছে।
আর এই বিভেদের ফাঁক দিয়ে সিঁদ কেটে চলেছে সিঁদেল চোর গৃহকর্তার অর্থাৎ আমাদের সৎসঙ্গীদের অসতর্কতার সুযোগে আর ঘরে ঢুকে ফাঁক ক'রে দিচ্ছে ঘর।
কারও লেখা বা বক্তব্যের বিরুদ্ধে গঠনমূলক মন্তব্য করলেও সেটা সেই লেখকের বা বক্তার ভালো লাগছে না, নিজেকে শুধরে নিচ্ছে না; উপরন্তু তার ফেবারের লোকেরা তার পক্ষে দাঁড়িয়ে তার ভুলকে সমর্থন ক'রে ঠাকুর ও ঠাকুরের আত্মজদের থেকেও তাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে ফেলছে এবং প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফেলছে। আর, সৎসঙ্গীরা নিজেদের মধ্যে অকারণ কলহে জড়িয়ে পড়ছে। ঠাকুর কি এমন সোনার সৎসঙ্গীর কথা বলেছিলেন না চেয়েছিলেন?
আর, তখন ভাবি, এইজন্যই এরকমই কোনও গোঁড়ামির জন্য ১৬শ শতকে বোধহয় ভয়ংকর কালাপাহাড়ের আবির্ভাব হয়েছিল। আবার কি আমরা কোনও কালাপাহাড়ের অপেক্ষায় আছি? যে প্রবল পরাক্রম কালাপাহাড় এসে শেষ ক'রে দেবে সবকিছু? ভবিষ্যৎ পৃথিবী কি কোনও কালাপাহাড়ের অপেক্ষা করছে শ্রীশ্রীঠাকুরের স্বপ্নপূরণের জন্য? তখন এই ধরণের ধর্মেও আছি ও জিরাফেও আছি সৎসঙ্গীদের অবস্থা হবে দুঃখময়।
আর তখনি মনে পড়ে গেল শ্রীশ্রীঠাকুরের কথোপকথন।
বিষ্ণুদা শ্রীশ্রীঠাকুরকে প্রশ্ন করছেন,
"ঠাকুর অনেকে তো সব বুঝেও চুপ ক'রে থাকেন?
প্রতিউত্তরে শ্রীশ্রীঠাকুর বলেছিলেন,
"তাহ'লে দু'টি পথ আছে। হয়, বাঘ খাঁচা ভেঙে বেরুবে, নতুবা, সব বিলয় হ'য়ে যাবে। আর, বাঘ খাঁচা ভেঙে বেরোলে কল্কি অবতার না কি হয় তা বলা মুশকিল। চরমে চরম প্রকাশ কল্কি।"
আমরা কি সেদিকেই যাচ্ছি? ( ২৯শে জুলাই,২০২৩)
No comments:
Post a Comment