ঈশ্বর, জীবন্ত ঈশ্বর ছাড়া তোমার জীবনে
কেউ বা কোনও কিছু যেন প্রধান না হয়;
যদি জীবন্ত ঈশ্বর প্রধান হয় তোমার জীবনে
তাহ'লে থাকবে না কোনও রোগ, শোক, মৃত্যুভয়,
আর, থাকবে না গ্রহদোষ, দারিদ্রতা, বুদ্ধিবিপর্যয়।
আমি যাঁদের কথা বা যে ঈশ্বরদের কথা বলতে চাইছি তাঁরা প্রত্যেকেই জীবন্ত ঈশ্বর। তাঁরা হলেন শ্রীশ্রীরাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মহম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ ও ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র। তাঁদের মহামানব, অবতার বা প্রেরিত দূত বলা যেতে পারে আর সেই বলা চলে এসেছে ঈশ্বরের প্রথম মানুষ রূপে মানুষের মাঝে নেবে আসার সময় থেকে। যদিও তাঁদের অবতার বললে কম বলা হয়। কারণ, অবতার আমরা সবাই। আমরা যারাই তাঁর অমর ধাম থেকে নেবে এসেছি অর্থাৎ অবতরণ করেছি নীচে এই মাটির বুকে সেই অর্থে আমরা সবাই অবতার। আর, ঈশ্বর এক ও একমাত্র অবতারী কারণ তিনি সবাইকেই অবতরণ করার এই পৃথিবীর বুকে। আর, তাই ঈশ্বর যখন নিজেই নেবে এসেছেন অর্থাৎ অবতরণ করেছেন এই মাটির বুকে মানুষের রূপ ধ'রে মানুষ মায়ের গর্ভে মানুষের মাঝে সেই অর্থে তিনিও অবতার আবার অবতার হ'য়েও অবতারী।
এই যে ঈশ্বর বা অবতারী নেবে আসেন তখন সরাসরি তাঁকে জীবন্ত ঈশ্বর বলা থেকে বিরত থেকেছে ঈশ্বরের অনুরাগীবৃন্দ আর নানাভাবে নানা কথার মধ্যে দিয়ে ঈশ্বরের নররুপ নিয়ে আবির্ভূত জীবন্ত ইশ্বররা ঈশ্বরের জীবন্ত উপস্থিতিকে বারবার জানান দিলেও তা মানুষের মাঝে প্রতিষ্ঠা করতে দিতে চায়নি ধান্দাবাজ ধর্ম ও ইশ্বরবিশ্বাসী ব্যবসায়ীরা নিজেদের স্বার্থে। তারা ঈশ্বরের জীবন্ত রুপকেই তাদের ধান্দার উপকরণ বানিয়ে ফেলেছে। আর এতে ধর্ম ও ঈশ্বর নিয়ে এই ধান্দাবাজ, আত্মপ্রতিষ্ঠা ও অর্থ, মান, যশ লাভের লোভী ব্যবসায়ীরা সফল হয়েছে দুর্বল, ভীরু, মূর্খ, সন্দেহবাতিক, অশিক্ষিত, লেখাপড়া জানাওয়ালা বা না-জানাওয়ালা, কুসংস্কারাছন্ন, কিছু না-ক'রে পাওয়ার মানসিকতাসম্পন্ন অতিবোদ্ধা তথাকথিত ধর্ম ও ঈশ্বর বিশ্বাসী ভক্তদের জন্যে। এর থেকে নাস্তিক বা ঈশ্বর অবিশ্বাসীরা অনেক গুণে, হাজার গুণে ভালো।
ঈশ্বর যখন স্বয়ং মানুষের মাঝে মানুষের রূপ নিয়ে মায়ের কোলে নেবে এসেছিলেন তখন তিনি বারবার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তাঁর আগমনের সংবাদ আর তা আমরা জানতে পায় রামায়ণ, মহাভারত, গীতা, ত্রিপিটক, বাইবেল, কোরান, চৈতন্য চরিতামৃত, রামকৃষ্ণ কথামৃত ও শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের বিশাল ২৫হাজার বাণী ও অসংখ্য কথোকথন
সম্বলিত গ্রন্থরাজিতে। অথচ তা সত্ত্বেও আমরা ঈশ্বর বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীরা তা বুঝতে চায়নি, বুঝতে পারিনি এবং বোঝার ক্ষমতাও নেই। কারণ ঈশ্বরের জীবন্ত উপস্থিতিকে বুঝতে পারা ঈশ্বরকে টেকেন ফর গ্রান্টেড ক'রে নেওয়া, ঈশ্বরকে আমার বাপের চাকর ক'রে নেওয়া আমাদের মত বালখিল্যদের কর্ম নয়।
আমি অবাক হ'য়ে যায় যখন অতি বড় ধর্ম ও ঈশ্বর বোদ্ধা এই বিষয়ে মন্তব্য ক'রেন যে "ঈশ্বর, যিনি বিশ্ব ব্রহ্মান্ড সৃষ্টি করেছেন তাঁকে এই সব অবতারগণ এক কণা মাত্র জানতে সক্ষম হন না"!!!!!!! এরা এইসব কথা সাধারণ মানুষের মাঝে ঢাক পিটিয়ে প্রচার করে। এদের সঙ্গে কথা বলা মানে অকারণ নিজেকে ছোটো করা ও মূর্খের স্বর্গে বাস করা। তবুও এইসব কথা নিয়ে আলোচনা করতে হয় কারণ এদের ধর্ম ও ঈশ্বর সম্পর্কে জ্ঞানগর্ভ ভাষণ ও চটকদারি সাজগোজ, বেশভুষা সাধারণ আম জনতাকে ভয়ঙ্করভাবে প্রভাবিত করে। কারণ তারা সবসময় অলৌকিক গল্প, কাহিনী দিয়ে ও ধূপ, ধুনো, ফুল, পাতা, তেল, সিন্দুর, চন্দন নানা উপকরণে সাজানো জবরজং ভাবে শুধুমাত্র ঈশ্বরকে চরণ পূজার শিক্ষা দিয়ে অমূর্ত ঈশ্বরকে এদের সামনে উপস্থাপন করে। আর, জীবন্ত ঈশ্বর হ'য়ে যান এইসমস্ত তথাকথিত কপট, ভন্ড, আধা জ্ঞানী বা অজ্ঞানী আচরণ বহির্ভূত রঙচঙে সাজা ঈশ্বর পূজারীদের কাছে তাদেরই মত কোনও এক ধর্ম বা আধ্যাত্মিক জগতের সাধারণ গুরু। সাধারণ মূর্খ, অজ্ঞানী, ভীরু, দুর্বল, কুসংস্কারাচ্ছন্ন, কিছু না ক'রে পাওয়ার মানসিকতা সম্পন্ন, রিপু তাড়িত বৃত্তি-প্রবৃত্তিতে ডুবে থাকা চরণ পূজায় মগ্ন জীবাত্মা জীবন্ত ঈশ্বরের উপস্থিতিকে, রক্তমাংসের রূপ ধ'রে নেবে আসা বিশ্বব্রহ্মান্ডের মালিক সৃষ্টিকর্তা, পুরুষোত্তম, পরমপিতাকে, সদগুরু, সর্ব্বদর্শী, সর্ব্বজ্ঞকে এরা চিনতে পারে না, বুঝতে পারে না, জানতে পারে না, ধরতে পারে না। এইসমস্ত ভন্ড, কপট সাধু, সন্ত, যোগী, ধ্যানী, গোঁসাই, গোবিন্দ ঈশ্বর পূজারীদের কারণে আর হাজারো নানা দেবদেবীর ভিড়ে ও নানা পুজাপার্বনের জন্য সাধারণ মানুষ বুঝতেই পারে না যে, এই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জাতি, বর্ণ, ধর্ম, সম্প্রদায় নির্বিশেষে যে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষ তাদের নিজের নিজের ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী আধ্যাত্মিক জগতের যে হাজারো অমূর্ত দেবদেবীদের (Unseen God) পুজা ক'রে আসছে তাঁদের যে সম্মিলিত রূপ বা যে মূল উৎস, সৃষ্টির যে মূল কারণ, কারণের কারণ পরমকারণ, সমস্ত অস্তিত্বের অস্তিত্ব পরম অস্তিত্ব, সমস্ত উৎসের উৎস পরম উৎস, যখন ছিল না-র অস্তিত্ব ছিল অর্থাৎ কিছুই ছিল না তখন তিনি ছিলেন, এই ছিল না-র পিছনে যে অস্তিত্ব ছিল, যাকে বিজ্ঞানীরা ঈশ্বরকণা রূপে খুঁজে বেড়াচ্ছেন, যেখান থেকে সেই সৃজন প্রগতি শুরু সেই তিনি যখন তাঁর সৃষ্টির হাজার লক্ষ কোটি কোটি গ্রহ নক্ষত্রে ভরা লক্ষ কোটি কোটি ব্রহ্মান্ডের মাঝে হাজার লক্ষ কোটি গ্রহ নক্ষত্র নিয়ে গড়া এই ব্রহ্মান্ডের আমাদের সৌর পরিবারের এই সূর্য নক্ষত্রকে ঘিরে এই সৌর পরিবারের একটা ছোট্ট গ্রহ পৃথিবীতে নেবে আসেন মানুষ রূপে তখন ধর্ম ও ঈশ্বর আরাধনার জগতের নামীদামী প্রথিতযশা ব্রহ্মজ্ঞ পুরুষেরা চিনতে পারে না তাঁকে। যখন তাঁরা চিনতে পারে না, চিনতে না পেরে সেই নিরাকারের মাঝে কল্পনার অমূর্ত ভগবান ( Unseen God)-দের আরাধনায় মেতে থাকে তখন সাধারণ সীমাহীন ভাঙাচোরা মানুষদের কোনও দোষই নেই। ঈশ্বর আরাধনায় নিমগ্ন ঈশ্বরকোটি পুরুষেরা সেই ব্রহ্ম ভিন্ন যে কেউ উপাস্য নয়, তিনি এক ও অদ্বিতীয়, সেই এক ও অদ্বিতীয়ের পুজা করায় যে এক ও একমাত্র মানুষের কাজ তা তাঁরা জানা সত্ত্বেও সেই ব্রহ্মকে নিজেদের চরম পরম জ্ঞানের আধারে ধ্যানস্থ অবস্থায় কল্পনার চোখে দেখা বিজ্ঞান ভিত্তিক যে বিভিন্ন রূপ, ব্রহ্মের সেই বিভিন্ন রূপের, বিভিন্ন শক্তির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা দেবদেবীর নাম, রূপ দেওয়া হয়েছে শিল্পীর তুলিতে নানা আলঙ্কারিক রূপে, যেমন কবি নানা শব্দ দিয়ে মালা গেঁথে সৃষ্টি করে কবিতা তেমনি সাধকের কল্পনার চোখ দিয়ে সৃষ্টি হয়েছে পরব্রহ্মের অন্তহীন শক্তির বর্ণনা স্বরূপ হাজারো দেবদেবীর বিভিন্ন রূপ, যাকে অমূর্ত ভগবান ( Unseen God) বলছি। সেই পরব্রহ্মের যে বিভিন্ন শক্তি সেই বিভিন্ন শক্তির বিভিন্ন কাল্পনিক রূপের মাধ্যমে প্রকাশ ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মাঝে খন্ড খন্ড রূপে, যেমন সূর্যের কিরণ ছড়িয়ে পড়ে মহাকাশের বুকে, পৃথিবীর বুকে আলো হ'য়ে ঝ'রে পড়ে, কিন্তু উৎস ঐ সূর্য, সূর্যের কিরণ বা আলো নয়, ঠিক তেমনি দেবদেবীদের, অমূর্ত ভগবানের উৎস হ'ল ঐ পরম ব্রহ্ম, বৃদ্ধির মূল উৎস অর্থাৎ বিজ্ঞানের ভাষায় সেন্ট্রাল জোন। সেই ব্রহ্ম পরব্রহ্ম সৃষ্টি করতে করতে যখন ছড়িয়ে পড়েন সর্বত্র তখন তাঁর সৃষ্টিকে রক্ষা করার জন্য আবার সৃষ্টির পিছনে পিছনে নিজেই তাঁর সৃষ্টির উন্নত সর্ব্বোত্তম রূপ মানুষ হয়ে নেবে আসেন, নেবে আসেন যুগে যুগে, তখন আর কোনও তাঁর শক্তির যে বিভিন্ন রূপ সেই রূপের দরকার পড়ে না। তিনি যখন যে রূপে নেবে আসেন সেই রূপের মধ্যেই আমরা তখন তাঁর বিভিন্ন শক্তির কল্পনা থেকে উদ্ভুত বিভিন্ন রূপের সেই সমস্ত দেবদেবীদের রূপকে দেখবো, দেখতে পাবো। একের মধ্যে একশো।
কিন্তু দুঃখের বিষয় তাঁর আসা এবং বারবার আসা তা সফল হ'লো না তাঁরই ভন্ড, কপট, ধান্দাবাজ ভক্তদের কারণে আর সাধারণ মানুষদের অজ্ঞতার কারণে, দুর্বলতার কারণে, ভীরু, কাপুরুষ, কুসংস্কারাছন্ন হ'য়ে থাকার কারণে।
আর এইজন্যেই লিখতে আসা, এদের এইসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা, যদি সাধারণ মানুষের চোখ খোলে।
এইসমস্ত ভন্ড, কপট, ধান্দাবাজ ঈশ্বরের ভক্তরা ঈশ্বরকে এমনভাবে প্রচার করেন সাধারণ মানুষের কাছে যে, কেউই নাকি ঈশ্বরের অব্যক্ত রূপকে, বিদেহী রূপকে, নিরাকার রূপকে জানতে সক্ষম হন না। এ জানার চেষ্টা নাকি অন্তহীন। দু'দিনের যোগী ভাতকে যেমন বলে অন্ন, আদার ব্যাপারী যেমন জাহাজের খবর রাখতে যায়, নগণ্য মানুষ ক্ষমতার সীমা ছাড়িয়ে বড় ও জটিল বিষয়ে যেমন অহেতুক বালখিল্য আগ্রহ দেখায়, উঠের যেমন চিৎ হ'য়ে শোওয়ার শখ হয়, হাতি ঘোড়া যেখানে তল পায় না সেখানে মশা যেমন বলে কোথায় জল, বিজ্ঞরা যেখানে ব্যর্থ সেখানে নির্বোধ এসে যেমন নাক গলায়, বড় বড় লোক যে কাজ করতে ব্যর্থ হয় বালখিল্য অদক্ষ, অযোগ্য ক্ষুদ্র যেমন সেই কাজ করতে এগিয়ে যায়, ঠিক তেমনি এইসমস্ত বারো হাত কাঁকুড়ের তেরো হাত বিচির মত মানসিকতার কপট, ভন্ড, ধান্দাবাজ ভক্তরা ঈশ্বরের লীলা, ঈশ্বরের শক্তির বর্ণনা করে। আর সাধারণ সীমাহীন ভাঙাচোরা মানুষ তা গদ্গদ ক'রে গেলে। আর, জীবন্ত ঈশ্বরকে, জীবন্ত জীবননাথকে হেলায় ফেলে এরা জগন্নাথকে দেখতে যায়। জীবন্ত জীবননাথই যে জগন্নাথ তা এরা জীবননাথের পাশে থেকেও অহংকারে এরা দেখতে পেল না বা পায় না।
ঈশ্বর যিনি নিজে মানুষের রূপ ধ'রে নেবে এসেছেন মানুষের মাঝে তিনি দেহী রূপে এসে তাঁর নিজের বিদেহী রূপকে এক কণা মাত্র জানতে সক্ষম হন না!? এটা কি বলছেন এই সমস্ত ঈশ্বর পূজারীরা? তিনি যতবার এসেছেন মানুষ রূপে (রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মহম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ, ঠাকুর অনুকূল) ততবারই তাঁর বিশ্বরুপ তাঁর প্রধান ভক্তদের দেখিয়েছেন। আমাদের মত আবালরা তাঁর জীবন্ত রূপকে বুঝতে পারা থেকে, তাঁর জীবন্ত রূপের দর্শন পাওয়া থেকে চিরকালই বঞ্চিত হ'য়েছে। যাই হ'ক এর থেকে যা বোঝার সহজেই বোঝা যায়, কথা বাড়িয়ে যে লাভ নেই সেটা বুঝে নিতে হয়।
তাই যতদিন না ধর্ম জগতের সাধারণ ভক্তমন্ডলী তা' সে পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক, যে ধর্ম বা সম্প্রদায়ের লোক হ'ক না কেন নিজেদের দুর্বলতা চিহ্নিত ক'রতে না পারছেন, দুর্বলতাকে চিহ্নিত করার চেষ্টা না করছেন, চিহ্নিত ক'রে নিজেদের পরিবর্তন না করছেন, অন্ধকার থেকে আলোর দিকে মুখ না ফেরাচ্ছেন, ঘুম ভেঙে জেগে উঠে যুগ অনুযায়ী ঈশ্বরের জীবন্ত রূপকে জীবনে গ্রহণ ও নিখুঁত পালন না করছেন, যতদিন পর্যন্ত কপট, ধান্দাবাজী, ভন্ড ভক্তরা কপট ভক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে না আনছেন, নিজেদের পাপ কাজের জন্য চোখের জলে প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ ক্ষমা না চাইছেন জীবন্ত ঈশ্বরের কাছে ততদিন পর্যন্ত এ জীবনে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত রোগ, শোক, গ্রহদোষ, বুদ্ধি বিপর্যয়, দারিদ্রতা, অকাল মৃত্যু থেকে কারও মুক্তি নেই, মুক্তি নেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে সঙ্গে ভন্ড, কপট, ধান্দাবাজ ঈশ্বর ভক্ত বা পুজারীদের। মুক্তি নেই, মুক্তি নেই, মুক্তি নেই। এদের সকলের শেষের সেদিন ভয়ংকর।
আজ এই পর্যন্ত।
No comments:
Post a Comment