সেলাম তোমায় সেলাম!!!
হায় জনতা...............
তোমার প্রতি দারুণ অভিমানে জানি না সে কোনজন
অশ্লীল চার অক্ষরে তোমায় বিদ্ধ ক’রে
চ’লে গেছিল বৃন্দাবন;
নির্বাচনের প্রতি তীব্র অনীহায়।
দশকটা ছিল সত্তর, যারা আজকের মত
পরিবর্তনটা চেয়েছিল উত্তেজিত মস্তিষ্ক
আর বৃথা আড়ম্বরযুক্ত কল্পনায় অতি সত্বর!
তাদেরই একজন,
ছিল যার দিশাহীন নিজেরই জীবন!
চলে গেছিল বৃন্দাবন!!!
কি ছিল তার স্লোগান!?
“..................জনগণ
রইলো তোর নির্বাচন
চললাম আমি বৃন্দাবন”!
কি ছিল তার মনে?
তোমার প্রতি দারুণ অভিমানে!?
তোমার প্রতি অবিশ্বাস নাকি ঘৃণা
বা অন্য কোন প্রয়াস?
যে প্রয়াসে ওঠে নাভিশ্বাস!!
তুমি ক্ষমতা বদলের নির্ণায়ক
আর নির্বাচনের নিশ্বাস, তবুও
হায়! জনতা তোমাতে নেই বিশ্বাস!!
তুমি ধৈর্য্যের প্রয়োজনে নাকি
অধৈর্য্যে মাথা নাড়াও!
আর যখন নেই কোন প্রয়োজন
ধৈর্য্য আর শান্তির পতাকা ওড়াও!!
তোমার অপার দয়ায় জেনো
মাথা তুলে দাঁড়ায় কেন্নো! তারপর?
মাড়ায় অবলীলায় মাথা তোমার
ধর্ষণে করে সত্তা ছিন্নভিন্ন!
হায়! জনতা তবুও তুমি ধন্য!
তুমিই নিয়েছো নাকি খুঁজে তাঁরে
তোমারে বাঁচাবার তরে
স্বভাবে যে অসভ্য আর বন্য!
লেখাপড়াই দড় হ’লেই কিম্বা হ’লে গণ্যমান্য
তাঁকে ভাবো ভালো!
শিক্ষার প্রতিফলন যে চরিত্রে, স্বভাবে, আচরণে
তা’তে ফেলোনি কোনদিন আলো!
আদর্শ আর ইষ্ঠহীন জীবন যার
তাঁরে সিংহাসন দাও বারবার!!
আর, আঠেরোই পেয়ে ভোটাধিকার
ভেবেছো বুঝেছো তোমরা সবকিছু সবার!
যা বোঝেনি যৌবন পেরিয়ে বার্ধ্যকে আসা
জনতার দরবার!
জনতা তুমি নাকি চাটনি ভালোবাসো!
যার যেমন চাটনি তেমন কাঁদো হাসো!
নির্বাচনী মেলায় বসে হরেক রকম চাটনি,
ঝাল নোনতা টক মিষ্টি বানায় নেতা-নেত্রী!
যার চাটনি যত ভালো তাকেই গ্রহণ করো,
ভালো-মন্দ কি আছে তার ভিতরে না ফেলে আলো!
জনতা তুমিই ঈশ্বর, তুমি মহান।
তোমার স্পর্শে মূহুর্তে শয়তান হ’য়ে যায় ভগবান
আর ভগবান হয় শয়তান!
জনতা তুমিই ঈশ্বর! তুমি মহান!
তাই সেলাম তোমায় সেলাম।।
No comments:
Post a Comment