শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র কে? এই নিয়ে আমার অনুভূতি ও উপলব্ধি আমি প্রকাশ করেছি আমার আর্টিকেল 'শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র কে? (২)' তে।
এটা একান্তই আমার সেই ছোট্ট থেকে আজ এই প্রায় সত্তর বছর বয়স পর্যন্ত বিভিন্ন ভয়ংকর ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে ঠাকুর সম্পর্কে আমার যা উপলব্ধি হয়েছে তাই-ই আমি তুলে ধরেছি আমার লেখা আর্টিকেলে। কারও পছন্দ হ'তে পারে আবার নাও হ'তে পারে। কারও বাড়াবাড়ি ব'লে মনে হ'তে পারে আবার না হ'তেও পারে। কারও বিশ্বাস হ'তে পারে আবার হাস্যকর ব'লে মনে হ'তে পারে। এ নিয়ে আমার কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। আমি আমার বিশ্বাস, অনুভূতি ও উপলব্ধি কাউকে গ্রহণ করতে বলিনি। গ্রহণ ও বর্জন ব্যক্তিগত। আর, অনুভূতি ও উপলব্ধিও ব্যক্তিগত ও সাধননির্ভর।যাই হ'ক, শ্রীশ্রীঠাকুর নিয়ে এই একই রকম লেখালেখি, ভাবনার প্রকাশ কোথায় কি হয়েছে বা হচ্ছে তা আমার জানা নেই। আর, জানার ইচ্ছাও নেই। কারণ আমি প্রায় (ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে) প্রতিটি সৎসঙ্গীর ঘরে দেখেছি ঠাকুর সম্পর্কে কি ধারণা বা ভাবনার প্রতিফলন। এমনকি সহ প্রতিঋত্বিক, প্রতিঋত্বিক, ঠাকুর পুজোয় অংশ নেয়, ভোগ নিবেদন করে এমন বহু প্রবীণ (নবীনদের কথা বাদ দিলাম) সৎসঙ্গীকে দেখেছি ঠাকুরকে একপাশে যেমনতেমন ভাবে একটা ছোট্ট সাদা কাপড় দিয়ে ছোট্ট টুলের ওপর বসিয়ে রেখেছে। আর সামনে মুখ্য ক'রে ফুল বেলপাতা ইত্যাদি নানা সামগ্রী দিয়ে সাজানো ঘট রেখে সুতোর গন্ডি দিয়ে ঘিরে রেখেছে আর চারপাশে দুনিয়ার স্বস্তিক চিহ্ন ও নানা আলপনা এঁকে একটা সাজানো টেবিলের ওপর হাতে আঁকা ফটোর নারায়ণ রেখে যজ্ঞভূমি রচনা ক'রে তাতে আগুন জ্বালিয়ে দাউ দাউ আগুলের লেলিহান শিখায় আত্মাহুতি দিয়ে বৈদিক প্রথায় পুজো ক'রে গৃহপ্রবেশ কিংবা কোনও মঙ্গলযজ্ঞ অনুষ্ঠান করতে। আর, জিজ্ঞেস করলে সাফাই দিয়ে বলবে, কেন আমি তো ঠাকুর সাজিয়ে বড় ক'রে ঠাকুরের সৎসঙ্গ করেছি। অজুহাত সব সময় রেডি।
শ্রীশ্রীঠাকুরকে যে বা যারা নারায়ণ অর্থ জেনে জীবন্ত নারায়ণ মনে ক'রে নারায়ণ পুজো করতে পারে না, ঘরে নানা দেবদেবীর মাঝে ঠাকুরকে রেখে ধর্মেও আছি আবার জিরাফেও আছি মানসিকতার তারা বলবে ঠাকুরের বাঁচা-বাড়ার কথা? আঙ্গুলে আংটি, গলায়, হাতে, কোমরে তাবিজ, মাদুলি, লোহা ও লাল-কালো সুতো ধারণকারী তারা ঠাকুরের বাঁচা-বাড়ার ধর্ম যে কত বাস্তব এবং বিজ্ঞানসম্মত তাকে explore করবে মানুষের মাঝে?????????? ঠাকুরকে যারা বিন্দুমাত্র চিনলো না, জানলো না, অনুভব ও উপলব্ধি করলো না, ঠাকুরকে নিজের জীবনে, সংসারে প্রতিষ্ঠা করলো না যারা তারা ঠাকুরের জীবনবাদের কথা বলবে?
সাধে কি আর ঠাকুর বলেছেন, "ভারতের অবনতি (degeneration) তখন থেকে আরম্ভ হয়েছে, যখন থেকে ভারতবাসীর কাছে অমূর্ত ভগবান অসীম হ'য়ে উঠেছে----ঋষি বাদ দিয়ে ঋষিবাদের উপাসনা আরম্ভ হয়েছে।"
শ্রীশ্রীঠাকুরের বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি সৎসঙ্গীর উদ্দেশ্যে ঠাকুরের বলা এইকথা কতজন সৎসঙ্গী আমরা বুক বাজিয়ে বলতে পারি?------ 'হ্যাঁ ঠাকুর! তুমি কে তা বুঝেছি। তোমার বলা কথা বুঝেছি। তোমায় বাদ দিয়ে তোমার কথার উপাসনা করিনি।'
সব শেয়ালের এক রা, হুক্কা হুয়া_আ-আ-আ-আ---------
এ অভিজ্ঞতা আমার ছোটোবেলা থেকে এই প্রৌঢ়ত্ব পর্যন্ত একইরকম।
( লেখা ২২শে জুলাই'২০২৩ )
No comments:
Post a Comment