দেশের নেতাদের প্রকাশ্যে করা কিছু মন্তব্যে হতভম্ব হ’য়ে গেলাম! ইদানিং আর কোনো কিছুতেই অবাক হই না এই বিশ্বাস বা ধারণা আমার বদ্ধমূল ছিল। কিন্তু যতদিন যাচ্ছে পৃথিবীর, আরও স্পষ্ট করে বললে বলা ভালো বা উচিৎ কয়েক সহস্রাব্দ প্রাচীন বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতির দেশ ভারতের, প্রতিদিনের ঘটনাবলী বিবেককে কষে একটা বিরাশি সিক্কার চড় কষিয়ে দিয়ে বলছে, ‘ কি দেখেছো ভায়া? কিছুই এখনো দেখনি! এখন সময়...... শুধু কলি নয়, ...... ঘোর কলির! দেখার শেষ নেই, তাই হয় চুপচাপ দেখে যাও আর মেনে নাও আর না-হয় ঘোর অন্ধকার মাঝে আলোর দিশারী হয়ে দেখা দাও। খুঁজে নাও কোনটা করবে। হু, কোথাকার আমার চাঁদু, ‘অবাক হ’ই না’! বিরাশি সিক্কার চড় খেয়ে হতভম্ব আমি একটা শিক্ষা পেলাম, আশ্চর্য্যের শেষ নেই! তাই কবি সুকান্ত আজ থেকে বহু বছর আগেই যথার্থই লিখেছিল ‘অবাক পৃথিবী! অবাক যে বারবার’। কবিতার প্রতি লাইনেই কবি বারবার ‘অবাক’ হয়েছেন! বিরামহীন ঘূর্ণায়মান পৃথিবীর মত ‘আশ্চর্য্য বা অবাক হওয়ার ঘটনা’ও বিরামহীন ঘটে চলেছে আমার চারপাশে!
জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতানেত্রীদের বিরামহীন সবজান্তা, ঔদ্ধত্বপূর্ণ, অশিক্ষিত, অশালীন, নির্লজ্জ মন্তব্য মস্তিষ্কে এমন হাতুড়ির বাড়ি মারল যে ঘিলু বেরিয়ে যাবার পরিবর্তে চেতনার উন্মেষ হ’ল। কি সেই মন্তব্য যার জন্য চেতনার নূতন করে জন্ম হ’ল?
মন্তব্যঃ-
১) কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করির ঘোষণা ''আমাদের সরকার রাম ভক্তদের। অযোধ্যা থেকে চিত্রকূট পর্যন্ত এই সরকার রামভক্তদের, যারা জয় শ্রী রাম নাম নিয়ে ভজন করেন তাঁদের।
২) প্রতিবন্ধী মানুষরা ঈশ্বরের ভুল, ''সমাজে এমন কিছু ভাই-বোনরা রয়েছেন যাদের কিছু শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধকতা আছে। ঈশ্বর তাদের কিছু জিনিস দিতে ভুলে গেছেন। ঈশ্বরের অবহেলার কারণে এই সমস্ত শিশুদের সারা জীবন ভুগতে হয়। ঈশ্বর যা করেননি, ''ডিসএবিলিটি রাইটস অ্যাসোসিয়েশন অফ গোয়া (DRAG)”-র মত এই এনজিও গুলো তাই করে যাচ্ছেন। ঈশ্বরের ভুল শুধরে দিচ্ছে এই এনজিও গুলি।'' মন্তব্য গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীকান্ত পারেসকরের।
৩) দিল্লির মানুষকে এটা ঠিক করতে হবে, যে তাঁরা রামের সন্তানদের (রামজাদোঁ) সরকার চান, না হারামজাদাদের সরকার চান। দিল্লির নির্বাচনী সভায় বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতি।
৪) উত্তরপ্রদেশের উন্নাও-এর বিজেপি এমপি সাক্ষী মহারাজ মঙ্গলবার (২০.০১.১৫) মীরাটে সন্ত সমাগম অর্থাৎ হিন্দু পুরোহিতদের মহোৎসবের একটি অনুষ্ঠানে বলেন, “আমি হিন্দু নারীদের আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন কমপক্ষে চার জন শিশুর জন্ম দেন”।
৫) বিজেপির সংসদ সদস্য সাক্ষী মহারাজের বিতর্কিত বক্তব্য সমর্থন করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ প্রধান প্রবীণ তোগাড়িয়া বলেছেন, ‘হিন্দু রাষ্ট্র তৈরি করার জন্য এটা জরুরি বিষয়।’
৬) বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেত্রী সাধ্বী প্রাচী মধ্যপ্রদেশে একটি হিন্দু সম্মেলনে বলেছিলেন, “ একটি সন্তানে দেশ রক্ষা সম্ভব হবে না, এজন্য চার সন্তানের জন্ম দিতে হবে”।
৭) এদের সকলের সুরে সুর মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা ও জেলা কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট শ্যামল গোস্বামী বলেছেন, “ প্রত্যেক মা-বোন পাঁচটি করে সন্তানের জন্ম না দিলে হিন্দু ধর্ম লোপ পাবে। প্রত্যেক হিন্দুরই তাই উচিৎ পাঁচটি করে সন্তান জন্ম দেওয়া”।
৮) এদের সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন শংকরাচার্য বাসুদেবানন্দ সরস্বতী। তাঁর মতে, “ প্রত্যেক হিন্দু নারীর উচিৎ ১০টি করে সন্তানের জন্ম দেওয়া। তাহলেই ফের ক্ষমতায় আসতে পারবেন নরেন্দ্র মোদী”।
বিরাশী সিক্কার চড় খেয়ে নূতন করে জেগে ওঠা চেতনা জানান দিল এই সমস্ত সাচ্চা ধর্ম ও ঈশ্বর বিশ্বাসী, পুরুষোত্তম রামের প্রতি একনিষ্ঠ, জীবন উৎসর্গীকৃত প্রাণ মহাত্মাদের বলা কথাগুলি আপামর ভারতবাসীর কাছে কি মেসেজ পাঠাতে চায়?
• এরা নিজেদের কি প্রভু রামের একমাত্র একনিষ্ঠ ভক্ত মনে করেন?
• পরমপিতা প্রভু রাম কি এদের বা হিন্দুদের পৈত্রিক সম্পত্তি?
• পরমেশ্বর প্রভু রাম কি শুধু হিন্দুদের ঈশ্বর?
• পরমগুরু পরমপথপ্রদর্শক প্রভু রাম কি শুধু হিন্দুদের জন্যই এই পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন?
• এই সমস্ত মানুষগুলো বা বিশ্ব হিন্দু পরিষদ কি নিজেদেরকে ভারতবর্ষের সমস্ত হিন্দুদের একচেটিয়া অভিভাবক বলে মনে করেন?
• বিজেপি সরকার তাহলে শুধু প্রভু রামের ভক্তদের সরকার?
• অন্য হিন্দুদের বা অন্য ধর্ম্মাবলম্বীদের সরকার নয়?
• পরবর্তী প্রভু কৃষ্ণ, নিমাই, রামকৃষ্ণ, অনুকূলঠাকুরের ভক্তদের সরকার নয়?
• ভারতবর্ষে বসবাসকারী অন্য ধর্মের নাগরিকদের সরকার নয়?
• পুরুষোত্তম প্রভু মোহাম্মদ, যীশু, বুদ্ধদেবের ভক্তমন্ডলীদের সরকার নয়?
• ঈশ্বরে নিবেদিত প্রাণ অন্যান্য সাধক, মহাসাধকদের অনুগামীদের সরকার নয়?
• তাঁরা কি মনে করেন রামের অনুগামী বা সন্তান ছাড়া উপরে উল্লিখিত বাকী সবাই শয়তানের সন্তান?
• এই সমস্ত ধর্মীয় পন্ডিতরা কি মনে করেন মুরগীর বাচ্চার মত ঘরে ঘরে ঝাঁকে ঝাঁকে শুধু পয়দা হলেই হিন্দু রাষ্ট্র গঠন হয়ে যাবে?
• সংখ্যা গরিষ্ঠের জোরে এতই সরলীকরণ রাষ্ট্র গঠনের মত জটিল একটা বিষয়?
• ভারতবর্ষের সমস্ত হিন্দু নারীরা কি এই সমস্ত ‘মুখে মারিতং জগৎ’ স্বঘোষিত হিন্দু ধর্মীয় পুরুষদের হাতের খেলনা?
• এরা নিজেদের কি সমস্ত হিন্দু নারীদের অভিভাবক মনে করেন?
• তাঁরা কি মনে করেন সমস্ত হিন্দু নারী তাঁদের পায়ের তলায় থাকার জন্য জন্মগ্রহণ করেছেন?
• এদের কথামত দেশের সমস্ত হিন্দু নারী একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র গঠনের খাতিরে ঘরে খাবার থাক আর না থাক, শিক্ষার আলো পাক আর না পাক, সভ্যতার আলো দেখুক আর না দেখুক মুরগীর বাচ্চা পয়দার মত জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য ভোগ্যবস্তু হিসাবে বিবেচিত হয়ে গিলোটিন রুপী পুরুষের সামনে বলী প্রদত্ত পশুর মত উপস্থিত হবেন?
• পরমপিতা পরমেশ্বর প্রভু রামের স্ত্রী জগৎজননী মা সীতা কয়জন সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন? হিন্দু ধর্মের ধ্বজাধারী একচেটিয়া স্বঘোষিত ধর্মীয় অভিভাবক ও প্রভু রামের চরণে নিবেদিত প্রাণ কপট ভক্তরা জানেন কি?
• ঘরে ঘরে পাঁচটি সন্তান জন্ম দিলেই হিন্দু ধর্ম রক্ষা পাবে, নইলে হিন্দু ধর্ম লোপ পেয়ে যাবে?
• সনাতন হিন্দু ধর্মের ভিত এতই নড়বড়ে, এতই সস্তা?
• বহুকাল প্রচলিত প্রাচীন, অপরিবর্তনীয় ও চিরস্থায়ী, সনাতন হিন্দু ধর্ম্ম সম্পর্কে এত পাণ্ডিত্য?
• এইরকম ভয়ংকর জ্ঞান পরিবেশন হ’লে হিন্দু ধর্মের অনুগামীরা এত পাণ্ডিত্য হজম করবে কি ভাবে আর রাখবেই বা কোথায়?
• শংকরাচার্য বাসুদেবানন্দ সরস্বতীর কথা অনুযায়ী নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমতাই আসার জন্য হিন্দু নারীদের একটা নয় দুটো নয় দশ দশটা সন্তান প্রসবের জন্য রোবটে পরিণত হতে হবে?
• এই সমস্ত বালখিল্য মানুষদের হিন্দু ধর্মের নারী জাতিকে অপমান করার অধিকার কে দিল?
• বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বা ভারতীয় জনতা দল কি এইসমস্ত ধর্মীয় প্রবক্তাদের ঔদ্ধত্যকে অনুমোদন করেন?
• এই বক্তব্য কি হিন্দু ধর্ম বা হিন্দু রাষ্ট্র গঠনের প্রতি নাকি নরেন্দ্র মোদীর প্রতি অকৃত্রিম প্রেম?
• এই প্রেম হিন্দু ধর্মের প্রতি বা শংকরাচার্যের প্রতি হিন্দুদের ঘৃণা জন্মাবে না-তো?
• কিম্বা নরেন্দ্র মোদীজির হজম হবে তো এই প্রেম?
এই সমস্ত অবাক করা মন্তব্যের জন্য ভারত সরকারের পক্ষ থেকে মন্তব্যকারীদের পদ্মশ্রী, পদ্মবিভূষণ ইত্যাদি উপাধি দেওয়া যেতেই পারে। আর সৃষ্টির আদি থেকে আজ পর্যন্ত শুধু নয় যতদিন সৃষ্টি থাকবে সেই শেষ দিন পর্যন্ত সবার সেরা হয়ে থাকবে যে মন্তব্য বা যার মন্তব্য যা নোবেল পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হতেই পারে সেই মন্তব্য এবং সেই মন্তব্যের জনককে ‘ভারত রত্ন’ শুধু নয় ‘পৃথিবী রত্ন’ উপাধিতে ভূষিত করা হোক অবিলম্বে এই দাবী ওঠা উচিৎ বিশ্বের সমস্ত সম্প্রদায়ের ঈশ্বর বিশ্বাসী মানুষের পক্ষ থেকে। কবি সুকান্তের সেই ‘অবাক পৃথিবী’র অবাক করা শ্রেষ্ঠ মন্তব্যের জন্য ‘পৃথিবী রত্ন’এর দাবীদার মানুষটি হলেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীকান্ত পারেসকর।
এখন শুধু একটাই প্রশ্ন দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন ও সার্বিক উন্নয়ন এবং সুশাসনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার গঠনে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপির উত্থান কি এই সমস্ত অশিক্ষিত, অমার্জিত, অশালীন, অসভ্য, অজ্ঞ মানুষগুলোর বালখিল্য গোঁয়ারগোবিন্দ বক্তব্যের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না বা হয়নি? আলেকজান্ডারের বিশ্ববিজয়ের মত নরেন্দ্র মোদীর ভারত জয়ের স্বপ্ন এই সমস্ত অতি উৎসাহী, অধার্মিক, অজ্ঞ, ভণ্ড ও তথাকথিত রাম ভক্ত ও হিন্দু ধর্মের স্বঘোষিত ধারক বাহকদের জন্য অসম্পুর্ণ থেকে যাচ্ছে না-তো? দিল্লীর এই নির্বাচনী ফলাফল এর কোনও ইংগিত বহন করছে না-তো? এই সমস্ত শরীরে মনে আত্মায় চরম সীমাহীন ভাঙাচোরা মানুষগুলোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ যাত্রার শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ছে না-তো? এই সমস্ত মানুষগুলোর অসংযত আচরণ ও অতি জ্ঞানের জন্যই নরেন্দ্র মোদীর সুশাসন ও উন্নয়নের স্বপ্নের জাহাজের ভরাডুবি ঘটছে না-তো?
তাই বলতে ইচ্ছে করে মোদীজী আপনার স্বচ্ছ ভারত অভিযান, সুশাসন ও উন্নয়নের যে স্বপ্ন আপনি দেখেছেন ও দেখিয়েছেন তামাম ভারতবাসীকে তা’ আপনি সফল করতে পারবেন না আপনার যুদ্ধ জয়ের জন্য নির্বাচিত অদক্ষ, অযোগ্য, অজ্ঞ, অসভ্য, অমার্জিত সেনাপতি ও সৈনিকদের জন্যে। এদের অতি উৎসাহী পদক্ষেপ, অজ্ঞানতা, অদূরদর্শী, অসহনশীল ও অসংবেদনশীল মনোভাবের কারণে আপনি নিশ্চিত এক পা এগোবেন তো দশ পা পিছিয়ে যাবেন। আরও বড় আরও বেশী ক্ষতি হওয়ার আগে যদি আপনি আপনার লক্ষ্য পূরণে সফল হ’তে চান, যদি আপনার দেশগঠন, সার্বিক উন্নয়ন ও সুশাসনের স্বপ্ন মেকী না হয়ে থাকে, লোক দেখানো কথার কথা না হয়ে না থাকে আর সব ‘মুখে মারিতং জগৎ’ নেতার মত তাহলে এখনই আপনি সাবধান হ’ন। যদি আপনি সত্যি সত্যিই বিবেকানন্দের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি নিশ্চয়ই ভুলে যাবেন না বিবেকানন্দের বাণী “চালাকির দ্বারা মহৎ কাজ সম্পন্ন হয় না”। নিজের ভেতরে ঝাক মেরে দেখুন আর চিহ্নিত করুন সত্য প্রতিষ্ঠার পথে কোথায় কোথায় কোন কোন বাধা, অজ্ঞানতা আপনার ভেতরে আপনার অজান্তে ও জান্তে বাসা বেঁধে আছে। আগে তাকে আপনার ভেতর থেকে নিরাশী নির্ম্মমভাবে উপড়ে ফেলুন। তারপর শুরু করুন যুদ্ধ জয়ের জন্য প্রথমে নিজের সৈনিক ও সেনাপতিদের স্বচ্ছ শরীর, স্বচ্ছ মন ও স্বচ্ছ আত্মা গঠন এবং আত্নশাসন ও আত্মোনয়নের অভিযান। প্রকৃতই আজ দেশ গঠনের জন্য দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নিরাশী নির্ম্মম প্রাজ্ঞ নেতার অভাব। আপনি সুযোগ পেয়েছেন দেশকে এক কঠিন সময়ে নেতৃত্ব দেবার। এই সুযোগ চলে গেলে আর পাবেন না। আপনার মধ্যে জেগে উঠুক দেশ গঠনের এক অন্তহীন নিরাশী সাধু প্রচেষ্টা আর তা’ প্রকৃত দেশ গঠনের কাজে যুক্ত দলের নেতা, কর্ম্মী ও সমর্থকদের মধ্যে সঞ্চারিত হোক নিরন্তর। আপনার স্বপ্ন, আপনার চিন্তা, আপনার সদিচ্ছা স্বপ্ন, চিন্তা ও ইচ্ছার গন্ডী ডিঙ্গিয়ে কর্ম্মে ফুটে উঠুক। আর যদি তা না হয় তাহলে The greatest phenomenon of the world Sri Sri Thakur Anukul Chandra-এর বলা বাণী স্মরণীয়ঃ “তুমি যা করছো বা করে রেখেছো ভগবান তাই-ই গ্রাহ্য করবেন আর সেগুলির ফলও পাবে ঠিক তেমনি। ভালো ছাড়া মন্দ করলে পরিস্থিতি ছাড়বে না” আর
“কর্ম্ম নাই চিন্তা সৎ,
পাথর পেছল নরক পথ”।
(লেখা ১৮ই সেপ্টেম্বর'২০১৮)
No comments:
Post a Comment