Powered By Blogger

Monday, September 18, 2023

প্রবন্ধঃ বৈঠকি আড্ডা ও আমরা সৎসঙ্গীরা।

এই বৈঠকি আড্ডা নিয়ে কিছু কথা বলার জন্য কলম ধরলাম। মাঝে মাঝেই এই বৈঠকি আড্ডার চরিত্র, উদ্দেশ্য ও আড্ডার আয়োজক ও উপস্থিত সৎসঙ্গীদের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করার প্রয়োজনে এই কলমচির প্রয়োজন হয়, যিনি আলোচনার মূল আলো ফোকাস করবে মানুষের মধ্যে বা পাঠক সমাজে। এই বৈঠকি আড্ডা আমরা শুরু করি পরম পূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবাবাইদাদার আশীর্ব্বাদ মাথায় নিয়ে যেদিন শুরু হয়েছিল এই কেন্দ্রের জয়যাত্রা (২০১৫/১০/১০) তারপর বছর শেষেই অর্থাৎ ২০১৬ সালে। প্রথমদিকে আমরা সপ্তাহে একদিন রবিবার মিলিত হতাম সবাই পরবর্তী মাসের শেষ রবিবারের মাসিক বিশেষ সৎসঙ্গ-এর ব্যাপারে। আলোচনায় বসতাম কেমন ক'রে 'বিশেষ সৎসঙ্গ'-কে সুন্দর মনোমুগ্ধকর ক'রে মানুষের কাছে তুলে ধরা যায়। তখন আমরা শুধু আলোচনা করবার জন্য বসতাম। পরবর্তীতে স্থির করি মাঝে মাঝে এই সম্মিলিত বসাকে বিভিন্ন সৎসঙ্গী কর্মী গুরুভাইদের বাড়িতে বৈঠকি আড্ডায় রূপ দিতে। সেখানে আড্ডাকে জমিয়ে তোলার জন্য, প্রাণবন্ত করার জন্য স্থির করলাম, আড্ডা শুরু করা হ'ক প্রার্থনা দিয়ে। এইজন্য আড্ডাস্থল সাজানো হয় শ্রীশ্রীঠাকুর, শ্রীশ্রীবড়মা, শ্রীশ্রীবড়দা, শ্রীশ্রীআচার্য্যদেব ও শ্রীশ্রীবাবাইদাদার প্রতিকৃতি দিয়ে। তারপর শুরু হয় প্রার্থনা, প্রার্থনা শেষে সম্মিলিতভাবে 'জয়রাধে' গাওয়া হয়। এইবার শুরু হয় আড্ডা। আড্ডা শুরু হয় শ্রীশ্রীঠাকুরের সত্যানুসরণ পাঠ ও পাঠের বিষয়বস্তুকে অনুধাবন করা দিয়ে। সেই আড্ডায় সক্রিয় মায়েরাও উপস্থিত থাকেন আর তাই সেখানে নারীর নীতিও পাঠ শুরু করা হ'লো। তারপর শুরু হ'লো গান। গান-বাজনা শেষে হ'তো বাবাইদাদার নির্দেশমত 'সৎসঙ্গ-দীক্ষা-ইষ্টভৃতি' নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা। আলোচনা করি পারস্পরিক মত বিনিময়ের মধ্যে দিয়ে পরবর্তী অনুষ্ঠান সম্পর্কে। এইভাবে সুশৃঙ্খলভাবে পারস্পরিক মত আদান-প্রদানের মাধ্যমে জমে ওঠে ঠাকুর আড্ডা বা সৎসঙ্গ সান্ধ্য বৈঠকি আড্ডা।
ভদ্রকালী সৎসঙ্গ কেন্দ্র দ্বারা ভদ্রকালী অঞ্চলে শুরু হয় এই আড্ডা এবং পরবর্তী সময়ে ২০১৭ সালে শ্রীশ্রীবাবাইদাদার আশীর্ব্বাদ মাথায় নিয়ে শুরু হয় খড়দহ সৎসঙ্গ কেন্দ্রের যাত্রা এবং বছর শেষে পরবর্তী বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হয় খড়দহ সৎসঙ্গ কেন্দ্র দ্বারা এই বৈঠকি আড্ডা খড়দহ অঞ্চলে। পূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবাবাইদাদা শ্রী প্রকাশ বিশ্বাসদাকে ভদ্রকালী ও খড়দহ সৎসঙ্গ কেন্দ্রের আশীর্ব্বাদ প্রদানের পর বলেন, এই আশীর্বাদের কথা সমগ্র ভদ্রকালী- খড়দহ অঞ্চলের গুরুভাইবোন-দের কাছে পৌঁছে দেবেন এবং ঠাকুর প্রণামীর এই অর্ঘ্য-প্রশ্বস্তি সবাইকে দেখাবেন আর 'সৎসঙ্গ-দীক্ষা-ইষ্টভৃতি' এই তিনটে বিষয়ের উপর দাঁড়িয়ে ঠাকুরকে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবেন। তারপর থেকে শুরু হয় ভদ্রকালী- খড়দহ সৎসঙ্গ কেন্দ্রের পরিচালনায় প্রকাশ্যে ভদ্রকালী-খড়দহ অঞ্চলের বিভিন্ন মন্দিরে, ক্লাবে, পুজো মণ্ডপে প্রতি মাসের চতুর্থ রবিবার (ভদ্রকালী) ও তৃতীয় রবিবার (খড়দহ) মাসিক 'বিশেষ সৎসঙ্গ' অনুষ্ঠান এবং গুরুভাইবোনেদের ঘরে ঘরে এই 'সৎসঙ্গ সান্ধ্য বৈঠকি আড্ডা'। এই বৈঠকি আড্ডার ছবি বা ফটো প্রকাশিত হয় ভদ্রকালী সৎসঙ্গ কেন্দ্র ও খড়দহ সৎসঙ্গ কেন্দ্রের পেজে অনেক পরে। প্রথমদিকের অনেক অনুষ্ঠানের ছবি ধরা না থাকায় পোষ্ট করা যায়নি।
আজকের মত এইখানে সবাইকে 'জয়গুরু' জানিয়ে লেখায় দাঁড়ি টানলাম।
----------প্রবি।
(২৮শে নভেম্বর'২০১৯)

No comments:

Post a Comment