প্রদ্যুতবাবু আমার নমস্কার জানবেন। আপনি জয়িতা কর্মকার ও মল্লিকা আচার্যের কমেন্টের উপরে আমার মতামত জানতে চেয়েছিলেন। জয়িতা কর্মকার আর মল্লিকা আচার্যের কমেন্ট আর আপনার আমাকে লেখা কমেন্ট দু'টোই এখানে তুলে ধ'রে চেষ্টা করলাম আপনার অনুরোধ রাখতে।
"পূজনীয় বাবাইদাকে দেখলে মনে হয় উনাকে ছাড়া এই পৃথিবীতে আর কিছুই নেই যা দেখা যায়।-----জয়িতা কর্মকার।
আর যাই হ’ক আমাদের জীবন সার্থক কারণ আমরা জীবন্ত ভগবানের সান্নিধ্য লাভ করতে পারছি।---মল্লিকা আচার্য।
প্রকাশ বাবু ,, এই পোষ্টের কমেন্ট টা একটু ভাল করে দেখে আপনার মুল্যবান মতামত জানিয়ে বাধিত করবেন............প্রদ্যুত সাহা।
ঠাকুর বাদ দিয়ে জীবন্ত ভগবান দাদারা ? আপনি কি বলবেন দাদা ?-----প্রদ্যুত সাহা।"
প্রদ্যুতবাবু আপনার অনুরোধ মত জয়িতা কর্মকার ও মল্লিকা আচার্যের কমেন্ট পড়লাম। এদের দৃষ্টিভঙ্গিকে পজিটিভ নেগেটিভ দু’ভাবেই দেখতে পারি। আপনার মনোভাব অনুযায়ী যদি নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিষয়টাকে দেখি তাহ’লে আপনাকে আমি বাবাইদাদার অনেক ঘটনার মধ্যে একটা ঘটনার কথা তুলে ধরতে পারি। যদি কিছু না মনে করেন তাহ’লে প্রথমে বলি, আপনি দেওঘরে যান? বাবাইদাদার সঙ্গ করেছেন? এটা বললাম আলোচনার সুবিধার জন্য। কারণ যা আমরা দূর থেকে দেখি, লোক মুখে শুনি তার সঙ্গে বাস্তবের একেবারে আকাশ আর পাতাল ফারাক থাকে। আর দূর থেকে লোক মুখে শুনে কোনও কিছু সম্পর্কে ধারণা করা বা কিছু মন্তব্য করা দুটোই বুদ্ধিমানের কাজ নয়, অসিদ্ধির লক্ষণ। জয়িতা কর্মকার ও মল্লিকা আচার্যের কমেন্ট সম্পর্কে স্বাভাবিকভাবেই উপর উপর একটা নেগেটিভ ধারণা করা যেতেই পারে; এই হিসাবে আপনার মনোভাবকে সমর্থন করা যেতেই পারে এবং সাধারণ লোকের পক্ষে সেই ধারণা করা অসম্ভব নয়। এর ফলে মানুষের কাছে ভুল মেসেজও যায়। এই ভুল মেসেজ যাওয়ার জন্য জয়িতা কর্মকার ও মল্লিকা আচার্যের কমেন্ট যেমন দায়ী ঠিক তেমনি ততোধিক দায়ী যারা এই কমেন্ট নিয়ে অকারণ তর্কবিতর্ক করে ও মানুষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু যখন মানুষ সব কিছুর সংশ্লেষণ ও বিশ্লেষণ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নিরপেক্ষ মনোভাবে সত্য উদ্ঘাটনের তাগিদে কোনও কিছু তা’ সে ঘটনা বা ছবি, মন্তব্য ইত্যাদির বক্তব্য বিষয় যাই হ”ক না কেন তার বিচার ক’রে মতামত প্রকাশ করে সেই মতামতই হয় যথার্থ। এই জন্য মানুষের জীবনের কর্ম, চিন্তা ইত্যাদির মধ্যে ভারসাম্যের প্রয়োজন। নচেৎ সব পন্ড হ’য়ে যাবেই কি যাবে। এই ক্ষেত্রে ঠাকুরের ‘সত্যানুসরণ’ গ্রন্থে বলা কথাগুলি স্মরণ করা যেতে পারে। ঠাকুর বললেন,
“উপর উপর দেখেই কিছু ছেড়ো না বা কোনও মত প্রকাশ ক’র না। কোনও কিছুর শেষ না দেখলে তা’র সম্বন্ধে কোনও জ্ঞানই হয় না, আর না জানলে তুমি তা’র বিষয় কি মত প্রকাশ ক’রবে?
যা’ই কেন কর না, তা’র ভিতর সত্য দেখতে চেষ্টা কর। সত্য দেখা মানেই তাকে আগাগোড়া জানা, আর তা’ই জ্ঞান।
যা’ তুমি জানো না, এমন বিষয়ে লোককে উপদেশ দিতে যেও না।“-----শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।
প্রদ্যুত বাবু, জয়িতা কর্মকার ও মল্লিকা আচার্যের মতো আরও অনেকের এরকম কমেন্ট সম্পর্কে আপনি আমাকে বলেছেন ভালো ক’রে দেখে মূল্যবান মতামত দিতে। সত্যি কথা বলতে কি প্রদ্যুত বাবু আমার পক্ষে মূল্যবান মতামত দেওয়া কঠিন কিন্তু সব কিছু দেখে বিচার বিশ্লেষণ ক’রে এ সম্পর্কে আমার একটা ধারণা শেয়ার করা যেতে পারে মাত্র। আর এই ধারণা আমার সম্পুর্ণ স্বাধীন চিন্তা থেকে উদ্ভূত ধারণা; আপনি গ্রহণও করতে পারেন আবার বর্জনও করতে পারেন। সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এখানেও ঠাকুরের বলা বাণী স্মরণ করা যেতে পারে। ঠাকুর বললেন, “সত্যদর্শীর আশ্রয় নিয়ে স্বাধীনভাবে চিন্তা কর, এবং বিনয়ের সহিত স্বাধীন মত প্রকাশ কর। বই প’ড়ে বই হ’য়ে যেও না, তার essence (সার)-কে মজ্জাগত করতে চেষ্টা কর। Pull the husk to draw the seed ( তুষটা ফেলে দিয়ে শস্যটা নিতে হয়)।
প্রদ্যুত বাবু আপনার কি মনে হয়েছে জানি না এই কমেন্ট সম্পর্কে; কিন্তু আপনি যা লিখেছেন তা’তে এইটা বুঝতে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে আপনি এই ধরণের মন্তব্যে বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ। তবে আমি বলি, ভালোবাসা একটা অত্যাচার। যে ভালোবাসে আর যাকে ভালোবাসে এই দুই জনের ভুমিকা সম্পুর্ণ বিপরীত। যে ভালোবাসছে বা ভক্তি করছে সে ভালোবেসে বা ভক্তি দেখিয়েই খালাস। কিন্তু যাকে ভালোবাসলাম বা যাকে ভক্তি দেখালাম তার কিসে তৃপ্তি, কিসে সোয়াস্তি, কিসে আনন্দ আর কিসে অতৃপ্তি, কিসে অসোয়াস্তি বা কিসে নিরানন্দ তার ধার ধারী না, গুরুত্ব দিলাম না। আর ভালোবাসা পাওয়া মানুষটা ভক্তের অনিয়ন্ত্রিত বিশৃঙ্খল ভালোবাসা মুখ বুঝে সহ্য করে। আমার ভালোবাসা যে তাঁকে কষ্ট দিল, বদনাম দিল তার জন্য যে আমি দায়ী সে সবের গভীরে যাওয়ার কোনও দরকার মনে করি না আমরা যারা ভালোবাসি। আর এই-ই আমাদের জাতীয় চরিত্র।
ক্রমশঃ।
( লেখা ২০শে সেপ্টেম্বর ২০১৭)
"পূজনীয় বাবাইদাকে দেখলে মনে হয় উনাকে ছাড়া এই পৃথিবীতে আর কিছুই নেই যা দেখা যায়।-----জয়িতা কর্মকার।
আর যাই হ’ক আমাদের জীবন সার্থক কারণ আমরা জীবন্ত ভগবানের সান্নিধ্য লাভ করতে পারছি।---মল্লিকা আচার্য।
প্রকাশ বাবু ,, এই পোষ্টের কমেন্ট টা একটু ভাল করে দেখে আপনার মুল্যবান মতামত জানিয়ে বাধিত করবেন............প্রদ্যুত সাহা।
ঠাকুর বাদ দিয়ে জীবন্ত ভগবান দাদারা ? আপনি কি বলবেন দাদা ?-----প্রদ্যুত সাহা।"
প্রদ্যুতবাবু আপনার অনুরোধ মত জয়িতা কর্মকার ও মল্লিকা আচার্যের কমেন্ট পড়লাম। এদের দৃষ্টিভঙ্গিকে পজিটিভ নেগেটিভ দু’ভাবেই দেখতে পারি। আপনার মনোভাব অনুযায়ী যদি নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিষয়টাকে দেখি তাহ’লে আপনাকে আমি বাবাইদাদার অনেক ঘটনার মধ্যে একটা ঘটনার কথা তুলে ধরতে পারি। যদি কিছু না মনে করেন তাহ’লে প্রথমে বলি, আপনি দেওঘরে যান? বাবাইদাদার সঙ্গ করেছেন? এটা বললাম আলোচনার সুবিধার জন্য। কারণ যা আমরা দূর থেকে দেখি, লোক মুখে শুনি তার সঙ্গে বাস্তবের একেবারে আকাশ আর পাতাল ফারাক থাকে। আর দূর থেকে লোক মুখে শুনে কোনও কিছু সম্পর্কে ধারণা করা বা কিছু মন্তব্য করা দুটোই বুদ্ধিমানের কাজ নয়, অসিদ্ধির লক্ষণ। জয়িতা কর্মকার ও মল্লিকা আচার্যের কমেন্ট সম্পর্কে স্বাভাবিকভাবেই উপর উপর একটা নেগেটিভ ধারণা করা যেতেই পারে; এই হিসাবে আপনার মনোভাবকে সমর্থন করা যেতেই পারে এবং সাধারণ লোকের পক্ষে সেই ধারণা করা অসম্ভব নয়। এর ফলে মানুষের কাছে ভুল মেসেজও যায়। এই ভুল মেসেজ যাওয়ার জন্য জয়িতা কর্মকার ও মল্লিকা আচার্যের কমেন্ট যেমন দায়ী ঠিক তেমনি ততোধিক দায়ী যারা এই কমেন্ট নিয়ে অকারণ তর্কবিতর্ক করে ও মানুষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু যখন মানুষ সব কিছুর সংশ্লেষণ ও বিশ্লেষণ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নিরপেক্ষ মনোভাবে সত্য উদ্ঘাটনের তাগিদে কোনও কিছু তা’ সে ঘটনা বা ছবি, মন্তব্য ইত্যাদির বক্তব্য বিষয় যাই হ”ক না কেন তার বিচার ক’রে মতামত প্রকাশ করে সেই মতামতই হয় যথার্থ। এই জন্য মানুষের জীবনের কর্ম, চিন্তা ইত্যাদির মধ্যে ভারসাম্যের প্রয়োজন। নচেৎ সব পন্ড হ’য়ে যাবেই কি যাবে। এই ক্ষেত্রে ঠাকুরের ‘সত্যানুসরণ’ গ্রন্থে বলা কথাগুলি স্মরণ করা যেতে পারে। ঠাকুর বললেন,
“উপর উপর দেখেই কিছু ছেড়ো না বা কোনও মত প্রকাশ ক’র না। কোনও কিছুর শেষ না দেখলে তা’র সম্বন্ধে কোনও জ্ঞানই হয় না, আর না জানলে তুমি তা’র বিষয় কি মত প্রকাশ ক’রবে?
যা’ই কেন কর না, তা’র ভিতর সত্য দেখতে চেষ্টা কর। সত্য দেখা মানেই তাকে আগাগোড়া জানা, আর তা’ই জ্ঞান।
যা’ তুমি জানো না, এমন বিষয়ে লোককে উপদেশ দিতে যেও না।“-----শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।
প্রদ্যুত বাবু, জয়িতা কর্মকার ও মল্লিকা আচার্যের মতো আরও অনেকের এরকম কমেন্ট সম্পর্কে আপনি আমাকে বলেছেন ভালো ক’রে দেখে মূল্যবান মতামত দিতে। সত্যি কথা বলতে কি প্রদ্যুত বাবু আমার পক্ষে মূল্যবান মতামত দেওয়া কঠিন কিন্তু সব কিছু দেখে বিচার বিশ্লেষণ ক’রে এ সম্পর্কে আমার একটা ধারণা শেয়ার করা যেতে পারে মাত্র। আর এই ধারণা আমার সম্পুর্ণ স্বাধীন চিন্তা থেকে উদ্ভূত ধারণা; আপনি গ্রহণও করতে পারেন আবার বর্জনও করতে পারেন। সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এখানেও ঠাকুরের বলা বাণী স্মরণ করা যেতে পারে। ঠাকুর বললেন, “সত্যদর্শীর আশ্রয় নিয়ে স্বাধীনভাবে চিন্তা কর, এবং বিনয়ের সহিত স্বাধীন মত প্রকাশ কর। বই প’ড়ে বই হ’য়ে যেও না, তার essence (সার)-কে মজ্জাগত করতে চেষ্টা কর। Pull the husk to draw the seed ( তুষটা ফেলে দিয়ে শস্যটা নিতে হয়)।
প্রদ্যুত বাবু আপনার কি মনে হয়েছে জানি না এই কমেন্ট সম্পর্কে; কিন্তু আপনি যা লিখেছেন তা’তে এইটা বুঝতে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে আপনি এই ধরণের মন্তব্যে বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ। তবে আমি বলি, ভালোবাসা একটা অত্যাচার। যে ভালোবাসে আর যাকে ভালোবাসে এই দুই জনের ভুমিকা সম্পুর্ণ বিপরীত। যে ভালোবাসছে বা ভক্তি করছে সে ভালোবেসে বা ভক্তি দেখিয়েই খালাস। কিন্তু যাকে ভালোবাসলাম বা যাকে ভক্তি দেখালাম তার কিসে তৃপ্তি, কিসে সোয়াস্তি, কিসে আনন্দ আর কিসে অতৃপ্তি, কিসে অসোয়াস্তি বা কিসে নিরানন্দ তার ধার ধারী না, গুরুত্ব দিলাম না। আর ভালোবাসা পাওয়া মানুষটা ভক্তের অনিয়ন্ত্রিত বিশৃঙ্খল ভালোবাসা মুখ বুঝে সহ্য করে। আমার ভালোবাসা যে তাঁকে কষ্ট দিল, বদনাম দিল তার জন্য যে আমি দায়ী সে সবের গভীরে যাওয়ার কোনও দরকার মনে করি না আমরা যারা ভালোবাসি। আর এই-ই আমাদের জাতীয় চরিত্র।
ক্রমশঃ।
( লেখা ২০শে সেপ্টেম্বর ২০১৭)
No comments:
Post a Comment