দূর্দান্ত, অসাধারণ অভিনয়!!!!!!
কিন্তু এগুলি এখন সব বস্তাপচা আদর্শহীন সাবজেক্ট লাগে। সব একঘেয়ে, ইউটোপিয়া। জীবনের সেই যে যৌবনের শুরুর দিনগুলি সত্তর দশক,(নাটকের সুবর্ণ যুগ) তখন থেকে এরকম অজস্র নাটক দেখে এসেছি, দেখে এসেছি সমাজ ব্যবস্থার জ্বলন্ত নগ্ন সত্য নিয়ে লেখা বাম জমানার নাটক! নাটকের দলে থেকে মাঠে ময়দানে বিভিন্ন নাট্য প্রতিযোগীতায় বিখ্যাত বিখ্যাত নাট্যকার, পরিচালক ও অভিনেতাদের সাথে অভিনয় ও সঙ্গ করেছি। ৭০দশক ছিল বাংলার বুকে নাট্য আন্দোলনের অভূতপূর্ব যুগ! অনন্যসাধারণ সব বলিষ্ঠ নাট্যকার ও শক্তিশালী পরিচালকের অপূর্ব পরিচালনায় অসাধারণ অভূতপূর্ব সব নাটক ও নাটকের সংলাপ যা আজও মনে আছে। মনে আছে সেইসব শক্তিমান অসামান্য প্রতিভাশালী অভিনেতাদের দ্বারা নাটকের বলিষ্ঠ অভিনয় সেই বাম জমানার শুরুর আগে থেকে গণনাট্যের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থেকে ও নাটক নিয়ে পড়াশোনার সুবাদে। তারপর ক্ষমতা দখলের কিছুদিন পর সব দেখলাম আস্তে আস্তে বেরিয়ে পড়ছে সুন্দর সুন্দর মুখের ভেতর থেকে রক্তাক্ত সূচলো দাঁত আর হাতের বাঘনখ পথেঘাটে, পাড়ায়পাড়ায়, অফিসে-কাছারিতে, কলে-কারখানায় সরকারি-বেসরকারী সমস্ত ক্ষেত্রে!
তারপর ৩৪বছরের অচলায়তনকে সরাতে আবার দিনবদলের নাটক দেখেছিলাম ও শুনেছিলাম অসাধারণ বলিষ্ঠ সংলাপে ভরা নাটক ও ভাষণ। সংবাদপত্রে পড়তাম কুণাল ঘোষের বলিষ্ঠ কলমের অসাধারণ সাংবাদিক প্রতিবেদন যা সংগ্রহ ক'রে রাখতাম। দিন বদলের অনেক পড়ে বুঝেছি ওসব ছিল সব কলমের নীল মূত্রপাত। নাট্যকার ব্রাত্য বসুর সাড়া জাগানো নাটক, তার নাটক বন্ধের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ প্রতিবাদ ও প্রতিবাদের ভাষা ও এভিপি আনন্দের টিভি-র পর্দায় সেই সন্ধ্যার অসাধারণ ইন্টারভিউর অসাধারণ কথাগুলি যা টিভির সামনে বসে বসে গ্রোগ্রাসে গিলতাম এবং নোটবুকে লিখে রাখতাম উৎসাহের আতিশয্যে কিন্তু তখন বুঝিনি এ সবই যাদুকরের হাত সাফাইয়ের মতো, মাদারি কা খেলের মতো মুখ আর মুখোশের খেলা। পরে নিজের উৎসাহের আতিশয্য ও বেকুবির জন্য নিজের কাছে নিজের লজ্জা লাগতো। প্রায় দীর্ঘ ৭০বছরের সফর শেষে শূন্য হাতে জীবন সায়াহ্নে এসে বুঝেছি লেখক-পাঠক, বক্তা-শ্রোতা, অভিনেতা-দর্শক, নেতা-জনগণ, মালিক-কর্মচারী ইত্যাদি ইত্যাদি সব সব দু'টাকার চরিত্র। সব ইউটোপিয়া!!!
আর, ব্যতিক্রম? ব্যতিক্রম আছে। ব্যতিক্রম আছে বলেই এখনও সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে আর পশ্চিমদিকে অস্ত যায়। ব্যতিক্রম আছে বলেই মহাশূন্যে এখন বাতাস বয়। ব্যতিক্রম আছে বলেই এখনও সূর্য নিভে যায়নি। ব্যতিক্রম আছে বলেই এখন নদী দিয়ে জল ব'য়ে যায় অবশেষে সাগরে মেশে। ব্যতিক্রম আছে বলেই এখন মহাশূন্যের অন্য গ্রহের মত এই গ্রহের জলের ধারা এখনও শুকিয়ে যায়নি। ব্যতিক্রম আছে বলেই এখনও ঋতু পরিবর্তন হয়। ব্যতিক্রম আছে বলেই এখনও সৃষ্টিকর্তা মাটিতে ল্যান্ড করার মত উপযুক্ত জমি পান। আর, ব্যতিক্রম আছে বলেই এখনও আমরা জীবন্ত সৃষ্টিকর্তার স্পর্শে তাঁর মুখের দিকে চেয়ে এখনও বেঁচে আছি, শ্বাস নিই, বাঁচার প্রেরণা ও শক্তি পাই। নতুবা------। একদিন আসছে সেইদিন।
(লেখা ৪ই সেপ্টেম্বর'২০২৩)
https://www.facebook.com/abhijit.kundu.5454/videos/1700002880516330
No comments:
Post a Comment