Powered By Blogger

Friday, June 9, 2023

কবিতাঃ সৎসঙ্গী বন্ধু! রাখো মান দয়ালের!

চলে যাবার আগে ব'লে যেতে চাই একটা কথা।
যদি থাকে তোমার ক্ষমতা 
তবে তোমার ও তোমার আশেপাশের 
অসহায় গরীব ছোট্ট শিশুর প্রতি রেখো মমতা। 
শিশুরা লিটল অনুকূল! বাড়িয়ে তোমার হাত দিও সাথ, 
দিও তাদের কুল।
শিশুর শৈশব চলে গেলে তা আর ফিরে পাবে না। 
শিশুরা ঈশ্বরের দূত। তাদের মধ্যে ঈশ্বর বর্তমান। 
তাদের ভালোবাসলে ঈশ্বরকে ভালোবাসা হয়।
নইলে ঈশ্বর হবে ম্লান, ঈশ্বরকে পাওয়া আর হবে না। 
তোমার বাড়ির ও আশেপাশের শিশুদের ভালোবেসো। 
তাদের ভালোবাসলে ঈশ্বর তোমায় ভালবাসবে। 
শিশুর শৈশব চলে গেলে তুমি এ জীবনে
ঈশ্বরকে ভালোবাসার সুযোগ হারাবে।
প্রতিটি শিশুর মধ্যে তোমার দয়াল ঠাকুর বর্তমান। 
তাদের নিষ্পাপ সরল মুখের দিকে চেয়ে দেখো 
দেখতে পাবে সেথায় তোমার দয়ালকে
আর সেখানেই খুঁজে পাবে প্রাণ। 
এসো বাকী জীবন তাদের নিয়ে আনন্দ করি।
সহায় অসহায় গরীব ধনী শিশুদের মধ্যে কোনও বিভাজন হয় না। শিশু শিশুই। তাদের ভালোবেসে, খাইয়ে, তাদের দিয়ে যে মজা, 
যে তৃপ্তি, যে আনন্দ সে ভালোবাসা, সে মজা, সে তৃপ্তি, সে আনন্দ
বৃথা ও সময় অন্য কোথাও খোঁজা।
শিশুদের বাদ দিয়ে স্বয়ং জীবন্ত ঈশ্বরকে ভালোবেসে, 
খাইয়েও নেই সে মজা।
শিশুরা সব লিটল ঈশ্বর! লিটল অনুকূল! 
যে শিশুদের ভালোবাসে সে জীবন্ত ঈশ্বর অনুকূলকে ভালোবাসে।
সে থাকে বিন্দাস যতই আসুক জীবনে সময় প্রতিকূল। 
যে শিশুদের ভালোবাসে না সে জীবন্ত ঈশ্বর রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মহম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ ও ঠাকুর অনুকূলকে ভালোবাসে না। 
আর যে জীবন্ত ঈশ্বরকে ভালোবাসে না সে শিশুদের ভালোবাসে না, ভালবাসতে পারে না। 
তা সে যতই বহিঃরঙ্গে জীবন্ত ঈশ্বর প্রেমিক বা শিশু প্রেমিক হ'ক। 
সে ঈশ্বর বা শিশু প্রেম ভন্ডামি, লোকদেখানো স্বার্থসিদ্ধির চালাকি। যে জীবন্ত ঈশ্বরকে ভালোবাসে, জীবন্ত ঈশ্বরে সমর্পিত যার প্রাণ 
সে শিশুদের ভালোবাসবেই বাসবে; ভালো না বেসে পারে না। 
শিশু অন্ত তাদের প্রাণ। 
শিশুদের মধ্যেই তারা তাঁদের আরাধ্য জীবন্ত ঈশ্বরকে অনুভব করে। জীবন্ত ঈশ্বরের প্রতি শর্তহীন তীব্র অটুট, অচ্যুত, অস্খলিত ভালোবাসা তাদের এমন শিশু প্রেমিক ক'রে তোলে। 
প্রকৃত জীবন্ত ঈশ্বর প্রেমিক প্রকৃত শিশু প্রেমিক 
তথা মানব প্রেমিক হ'য়ে ওঠে। 
তখন তাদের প্রাণ প্রেমময়ের স্পর্শে প্রেমময় প্রাণময় হ'য়ে ওঠে। অনেকে আছে মানুষে অরুচি পশু পাখি প্রেমে মাহির! 
অন্তরে নেই প্রেম ভালোবাসা ঝলমলে বাহির! 
সৎসঙ্গী বন্ধু! তুমি তেমন হয়ো না। 
তুমি যে ঠাকুরের সোনার সৎসঙ্গী! 
হে সৎসঙ্গী! ঠাকুর সৎসঙ্গীদের সোনার সৎসঙ্গী বলতেন। 
তুমি রেখো তাঁর মান।
( লেখা ২৫শে এপ্রিল'২৩ )

No comments:

Post a Comment