নাম একমাত্র বাঁচার পথ।
নাম ছাড়া বাঁচার আর দ্বিতীয় পথ নেই। নেই কোনও উপায়। ঠাকুর সর্বদাই আছেন আপনার আমার সাথে। আছেন নামের মধ্যে দিয়ে। নাম আর নামী অভেদ। যতবার নাম করবেন ততবার জানবেন দয়াল আপনার সাথে আছেন। আপনি আমি দেখতে পাচ্ছি না। অনুভব করতে পারছি না। আমাদের উপলব্ধি নেই। সেই শক্তি আমাদের নেই। আমরা সময় নষ্ট করেছি ও ক'রে চলেছি এখনও। আমাদের সৎসঙ্গীদের মহাভাগ্য আমাদের মাথার ওপর আচার্যদেব আছেন, আছেন বাবাইদাদা, আছেন অবিনদাদা! ভয় কি আমাদের! দয়ালের অপূর্ব লীলা চলছে এবার পিতাপুত্রের মধ্যে দিয়ে। দয়ালকে অসহায় ক'রে দেবেন না আপনাকে বাঁচাতে, আপনার পরিবারকে রক্ষা করতে, বর্দ্ধনার পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে। সাবধান! দয়ালকে আয়ের উপকরণ করবেন না। দয়ালকে টেকেন ফর গ্রান্টেড করবেন না। মানুষের মাঝে দয়ালকে পৌঁছে দিন অকপটভাবে। আত্মপ্রতিষ্ঠা, অহংকার, কপটতা, ধান্দাবাজী ত্যাগ ক'রে দয়ালকে নিয়ে বাঁচুন ও বাঁচান। দয়াল আপনার দিকের তাকিয়ে আছেন। আছেন আচার্যদেব পরম্পরায়। তাদের কথা, তাদের নির্দেশ, তাদের আশীর্বাদ উপেক্ষা করবেন না, অবহেলা করবেন না, করবেন না অশ্রদ্ধা অবজ্ঞা অনাদর!
আর যদি তাদের মানতে না পারেন তাহ'লে ঠাকুরকে নিয়ে ঠাকুর ঠাকুর দয়াল দয়াল ভণ্ডামির খেলা বন্ধ করুন যদি বাচতে ও পরিবারের সবাইকে বাচাতে চান। লখীন্দরের বাসর ঘরের কায়দায় চুলের সরু ফাঁকের মত বৃত্তি-প্রবৃত্তির সরু ফুটো দিয়ে শয়তান কাল নাগিনীর বিষাক্ত নিশ্চিত মরণ থেকে বাঁচুন ও বাঁচান। দয়ালের পরিবর্তে আপনার জীবনে ও আপনার পরিবারে ভয়ালকে আসার সুযোগ দেবেন না। এখনও সময় আছে। নিজে সতর্ক হ'ন, সবাইকে সতর্ক করুন। অহংকার, ভণ্ডামি, ধান্দাবাজী, আত্মপ্রতিষ্ঠার মোহ মায়াজাল ত্যাগ ক'রে এই কঠিন মহামারীর নিদারুণ সময়ে দয়ালকে মাথায় নিয়ে আচার্যদেবের নির্দেশ, বাবাইদাদার আহবান, অবিনদাদার ভরসাদীপ্ত কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন ক'রে দয়াল প্রতিষ্ঠায় মাতাল হ'ই। তিনারা সবসময় ব'লে চলেছেন, মাভৈ! শুধু নাম! নাম! আর নাম!
প্রবি। ( ৩০শে এপ্রিল ২৯২১ )
No comments:
Post a Comment