এখন আমার সমস্ত সময় কাটে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ট বিস্ময় ও সর্বশ্রেষ্ট আদর্শ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের জীবন দর্শন ও তাঁর মিশন নিয়ে। একেবারে সেই ছোটোবেলা থেকে আজ পর্যন্ত বহু বিষয়ের উপর দিয়ে সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে চলেছি আর দেখেছি যা যা ছবি, যে যে ঘটনার হয়েছি মুখোমুখি, লাভ করেছি যে তিক্ত অভিজ্ঞতা, হয়েছে উপলব্ধি সেই একই রকম ভাবে পুরুষোত্তমের জীবন দর্শন বুঝতে বুঝতে ও তাঁর মিশন নিয়ে চলতে চলতে দেখেছি সেই একই ভয়ংকর অকৃতজ্ঞতা, বেঈমানি আর নেমকহারামির জবরদস্ত নোংরা ছবির হয়েছি মুখোমুখি, লাভ করেছি তিক্ত অভিজ্ঞতা, উপলব্ধি হয়েছে নানা নয় ছয়ের মাদারি কা খেল! দেখেছি কি অবলীলায় অবহেলায় একে অপরের প্রতি অকৃতজ্ঞতা, বেঈমানি, নেমকহারামির নোংরা তাস খেলতে! দেখেছি আত্মপ্রতিষ্ঠা ও আত্মস্বার্থপ্রতিষ্ঠার লোভে সহজ সরল সাধারণ গুরুভাইবোনের সঙ্গে তাদের সহজতা ও সরলতার সুযোগ নিয়ে অকৃতজ্ঞ, বেঈমান, নেমকহারামদের অনায়াস অকৃতজ্ঞতা, বেঈমানি, নেমকহারামি! আর এর জন্যে অবশ্যই সহজ সরল গুরুভাইবোনেরাও দায়ী। তাদের দুর্বলতা তারা কিছু বলতে ভয় পায়। অনেক গুরুভাইবোন আছে 'আমার গাঁয়ে আঁচ না লাগে ফুরিয়ে যাবে মামলা' মানসিকতার! বহু সহজ সরল বেকুব গুরুভাইবোন উদার মানসিকতার ভঙ্গীতে "বিচারের ভার, শাস্তির ভার আপন হাতে নিতে যেও না; অন্তরের সহিত পরমপিতার উপর ন্যস্ত কর, ভালো হবে" বাণীর একনিষ্ঠ পূজারী! এই বাণীকে সামনে রেখে নিরাপদে সৎসঙ্গ জগত ভ্রমণ করে! এরা নাকি শান্তশিষ্ট খুব ভালো মনের মানুষ; ঝামেলা টামেলা পছন্দ করে না। আবার অনেক গুরুভাইবোন এই বাণীর অজুহাতে জেনেশুনে অন্যায়কারীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে নীরব থাকে শুধু তাকে খুশি করার জন্যে! আর বেশীরভাগ না ঘরকা, না ঘাটকা; তারা ঝোলের লাউ অম্বলের কদু সমান! তারা ধর্মেও আছে আবার জিরাফেও আছে! এরা এতসব ঠাকুর দর্শনের গভীরতার ধার ধারে না। বাপ ঠাকুরদা, মা ঠাকুমার আমল থেকে শুনে এসেছে গুরু একটা ধরতে হয় তাই তারা পারের কড়ি হিসাবে গুরু ধরেছে। কিম্বা সাত ঘাটের জল খেয়ে দিনশেষে দিনগত পাপ ক্ষয় করতে বিধ্বস্ত শরীরে-মনে এসেছে একটু শান্তি খুঁজে পেতে। তারা ঠাকুরের ওইসব দর্শন টরশন বোঝে না; ঠাকুর কেন এসেছেন তা তারা জানার, বোঝার, শোনার ধার ধারে না। ঠাকুরের মিশন ফিশন জানে না, জানার চেষ্টা করে না। আর বই টই ওসব ফালতু কথা, অত সময় নেই যে পড়াশুনা করবে। সারাজীবন পড়াশুনার ধারে কাছে গেলাম না, পড়াশুনার সুযোগ পেলেও বৃত্তি-প্রবৃত্তির বিশৃঙ্খল টানাপোড়েনে পড়াশুনা করা হ'লো না, আর পড়াশুনা করলেও ওসব ঠাকুরের বইটই পড়ার সময় ও ধৈর্য নেই। আর এইসব অবগুণের সুযোগ নিয়ে অকৃতজ্ঞ, বেঈমান আর নেমকহারাম ধান্দাবাজরা যারা ঠাকুরকে আয়ের উপকরণ বানিয়ে অর্থ, মান, যশ কামানোর জন্য এবং আত্মপ্রতিষ্ঠার ও আত্মস্বার্থ প্রতিষ্ঠার দোকান খুলে বসেছে তারা নির্দ্বিধায় অকৃতজ্ঞতা, বেঈমানি আর নেমকহারামির ব্লেড চালায় সহজ সরল বেকুব সাদাসিধে গুরুভাইবোনের সরলতার সুযোগ নিয়ে। এরা, এইসমস্ত মানসিকতার ভন্ড ধান্দাবাজ সুযোগসন্ধানী কপট ভক্তমন্ডলী ছড়িয়ে আছে কেন্দ্রে কেন্দ্রে, মন্দিরে মন্দিরে ভাবের ঘুঘু হ'য়ে ভক্ত সেজে! আত্মপ্রতিষ্ঠা ও আত্মস্বার্থপ্রতিষ্ঠার নেশায় এরা বদ্ধ পাগল, উন্মাদ। এরা এখন দিকে দিকে কেন্দ্র-মন্দিরে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে আমি-আমি , আমি প্রধান, আমি প্রধান কলরবে ব্যস্ত! অথচ ২০২০ কি শিক্ষা দিয়ে গেল!? কে শিক্ষা দিয়ে গেল!? কাকে শিক্ষা দিয়ে গেল!?
পরবর্তী 'ফিরে দেখা ২০২০ (৩)'-এ চলুন দেখা যাক কি, কে, কাকে শিক্ষা দিয়ে গেল।
ক্রমশঃ
( লেখা ৩১শে ডিসেম্বর ২০২০ )
No comments:
Post a Comment