(পরবর্তী অংশ)
শ্রীশ্রীঠাকুরের প্রথম সন্তান আদরের বড়খোকা পরম ভক্ত সৎসঙ্গীদের চোখের মণি সকলের আদরের শ্রীশ্রীবড়দা হ'লেন শ্রীশ্রীঠাকুর পরবর্তী সৎসঙ্গের আচার্যদেব। শ্রীশ্রীবড়দার মহাপ্রয়ানের পর আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা ও শ্রীশ্রীদাদার মহাপ্রয়ানের পর বিশ্বজুড়ে সকল কোটি কোটি সৎসঙ্গীর প্রাণভোমরা শ্রীশ্রীবাবাইদাদা বর্তমান সৎসঙ্গের আচার্যদেব। আর এইভাবেই আচার্য পরম্পরা চলবে আগামী দশ হাজার বছর কিম্বা যতদিন না তিনি আবার আসছেন ততদিন পর্যন্ত।
শ্রীশ্রীঠাকুরই যে এই বিশ্বব্রহ্মান্ডের সৃষ্টিকর্তা, শ্রীশ্রীঠাকুরই যে পরমপিতা পুরুষোত্তম, শ্রীশ্রীঠাকুরই যে সদ্গুরু, শ্রীশ্রীঠাকুরই যে পরমাত্মা আর বাকী সব জীবাত্মা, শ্রীশ্রীঠাকুরই যে ঈশ্বর, শ্রীশ্রীঠাকুরই যে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর, শ্রীশ্রীঠাকুরই যে নারায়ণ, শ্রীশ্রীঠাকুরই যে অবতারী পুরুষ, শ্রীশ্রীঠাকুরই যে সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ, শ্রীশ্রীঠাকুরই যে এক ও একমাত্র আরাধ্য, শ্রীশ্রীঠাকুরই যে রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মহম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণের নবরূপ এইসমস্ত কিছু নিজের জীবন দিয়ে আচার্যদেব শ্রীশ্রীবড়দা হাতে কলমে ক'রে করিয়ে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। তুলে ধরেছেন, শিখিয়েছেন নিখুঁত আচরণের মধ্যে দিয়ে। শ্রীশ্রীআচার্যদেব সারা জীবন কঠিন কঠোর তীব্র অসহ্য জ্বালা যন্ত্রণাময় করার স্রোতের মধ্যে দিয়ে প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। নিজে আচরণ ক'রে ক'রে আমাদের বুঝিয়ে দিলেন যে শ্রীশ্রীঠাকুরই জীবন্ত ঈশ্বর, বিশ্বব্রহ্মান্ডের মালিক, সৃষ্টিকর্তা আর নিজের জীবন দিয়ে প্রতিমুহূর্তে আচরণ ক'রে হাতে কলমে ক'রে করিয়ে আমাদের বুঝিয়ে দিলেন কেমন ক'রে তাঁকে ভালোবাসবো, কেমন ক'রে তাঁকে মাথায় নিয়ে চলবো, কেমন ক'রে শয়নে স্বপনে জাগরণে শ্রীশ্রীঠাকুরকে জীবন সর্বস্ব ক'রে চলবো। শ্রীশ্রীআচার্যদেব বড়দা হ'লেন লিভিং ডেমোনেষ্ট্রেটর অফ লাভ টু ঠাকুর! আচার্যদেব শ্রীশ্রীবড়দা ছিলেন জীবন্ত সত্যানুসরণ! শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণীর জীবন্ত চলমান রূপ! শ্রীশ্রীবড়দা ছিলেন শ্রীশ্রীঠাকুরের কুকুর।
শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণী "
ঈশ্বরেরই কুকুর তুমি নিষ্ঠা শেকল গলায় বাঁধা,
ডাকলে তুমি কাছে আসো নইলে থাকো দূরেই খাড়া।----এই বাণীর জীবন্ত জ্বলন্ত রূপ হ'লেন আচার্যদেব শ্রীশ্রীবড়দা। যে যে নামেই তাঁকে সম্বোধন করুক না কেন তিনি সবসময় নিজেকে ঠাকুরের কুকুর ব'লে মনে করতেন। তিনি বলতেন, তোরা আমাকে শ্রীশ্রীবড়দা, শ্রীশ্রীপিতৃদেব যে নামেই ডাক না কেন আমি হলাম ঠাকুরের কুকুর।
কেমন ক'রে ঠাকুরকে ভালোবাসবো, কেমন ক'রে শয়নে-স্বপনে-জাগরণে সবসময় ঠাকুরময় হ'য়ে থাকবো, কেমন ক'রে শত হাজার বাধা বিপত্তি ঝড়ঝঞ্ঝা ষড়যন্ত্র, শয়তানী ইত্যাদির মধ্যেও পাহাড়ের মতো অবিচল অটল হ'য়ে কঠোর কোমল রূপে দাঁড়িয়ে থাকবো শত্রুমিত্র সকলকে বুকে স্থান দিয়ে ঠাকুরকে খুশী করবার তীব্র তাগিদে তা আচরণ ক'রে ক'রে দেখিয়েছেন তিনি আমাদের, শিখিয়ে গেছেন জীবনভর অসহ্য কষ্ট যন্ত্রণা বুকে নিয়ে নীরবে। তিনি আচরণসিদ্ধ পুরুষ আর তাই তিনি আচার্য।
আচার্যদেব শ্রীশ্রীবড়দা হ'লেন সৎসঙ্গের প্রথম আচার্য।
প্রবি।
ক্রমশঃ
( লেখা ১৬ই ডিসেম্বর'২০২২)
No comments:
Post a Comment