আর এই একই শিক্ষা আচার্যদেব শ্রীশ্রীবড়দা দিয়ে গেছিলেন তাঁরই জেষ্ঠ্যাত্মজ পূজ্যপাদ শ্রীশ্রীদাদাকে। আর তা সযত্নে নিজের জীবনে বহন ক'রে ৮৯বছর ধ'রে আচরণের মধ্যে দিয়ে একই শিক্ষা আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা আমাদের শিখিয়ে দিয়ে গেছেন শত্রুমিত্র সবাইকে বুকে টেনে নিয়ে ইষ্টকর্মে এগিয়ে যেতে। তিনি আমাদের সময় নষ্ট না করতে বারবার অনুরোধ করেছেন। মিথ্যে প্রবন্ধে আর ঘুমিয়ে থাকতে বারণ করেছেন। জেগে ওঠার আহবান জানিয়ে আমাদের সাবধান করেছেন শেষের সেদিন ভয়ংকর ব'লে। দুঃখ কষ্টের হাত থেকে আমাদের মুক্তি দিতে দয়াল প্রভু তমসার পার থেকে আবির্ভুত হয়েছেন ভোরের সূর্যের মতন আমাদের জন্য আর তাই আমরা যেন জেগে উঠি ব'লে বারবার তিনি আমাদের জনে জনে ডেকে বলেছেন। 'দয়াল এসেছেন, আর ভয় নেই, আর ভয় নেই' ব'লে সবাইকে সাহস যুগিয়েছেন, আশা জাগিয়েছেন, ভরসা দিয়েছেন আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা নিজের জীবনের প্রতি ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে আচরণের মধ্যে দিয়ে কোটি কোটি সৎসঙ্গীদের প্রাণে প্রাণে। সমাজের দিকে দিকে বিশ্বজুড়ে যে ঘোর কলিযুগের অনাচার, অত্যাচারের ঘন অন্ধকার ছেয়ে রয়েছে প্রভুর আগমনে সেই অন্ধকার দূর হ'য়ে সূর্য উঠছে তা চোখ মেলে দেখবার জন্য আমাদের ব'লে গেছেন, বলেছেন আমরা মুক্তি পথের যাত্রী। আমাদের আর সময় নষ্ট করার সময় নেই। বিবাদ বিসম্বাদ ভুলে আমাদের এখন এগিয়ে চলার সময়। দয়াল এবার এসেছেন, আর আমাদের পথ হারানোর ভয় নেই, দয়াল এবার নিজে বিবর্ধনের পথ দেখাবার জন্য এসেছেন; সেই পথ অমৃতময় পথ! আর কিসের ভয়!? তিনি নিজে আচরণ ক'রে ব'লেছেন, সেই অমৃতময় পথে আমাদের সবাইকে মিলেমিশে এক হ'য়ে চলতে হবে দয়ালের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে। আমরা যে নানারকমের বৃত্তি-প্রবৃত্তির বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছি, বন্দী হ'য়ে আছি বৃত্তি-প্রবৃত্তির নাগপাশে সেই নাগপাশের বন্দীদশা থেকে আমাদের মুক্তি এনে দেবে সেই অমৃতময় চলন। সেই অমৃতময় চলন তিনি নিজে আচরণ ক'রে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন বিশ্বের কোটি কোটি সৎসঙ্গীদের। সেই চলন, সেই আচরণ যে দেখেছে কাছ থেকে সে জানে, যে মিশেছে তাঁর সঙ্গে সে জানে, যে কথা বলেছে তাঁর সঙ্গে সে জানে। সেই অমৃতময় চলনের স্পর্শে কত শত প্রাণ যে রোগ, শোক, গ্রহদোষ, বুদ্ধিবিপর্যয়, দারিদ্রতা থেকে মুক্তি পেয়েছে তার হিসেব নেই, নেই লেখাজোকা। বৃত্তি-প্রবৃত্তিকে ভেদ ক'রে দয়ালের প্রতি যে প্রেম, যে ভালোবাসা সেই প্রেম, সেই ভালোবাসা দিয়ে শত্রুমিত্র সবার হৃদয়কে, সবার অস্তিত্বকে ভাসিয়ে দেওয়ার ব্রতে নিমজ্জিত হ'তে তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আকুল হৃদয়ে আমাদের ব'লে গেছেন। তিনি সৎসঙ্গীদের আচার্যদেব। তাই তিনি আমাদের দয়ালের প্রতি আকুল হ'য়ে সবাইকে নিয়ে ইষ্টপ্রতিষ্ঠার কাজে একসাথে চলতে বলেছেন। আর ভববন্ধন থেকে মুক্তি ব'লে যদি কিছু থাকে এইখানেই মুক্তি আছে ব'লে তিনি আমাদের পথ দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। আচার্যদেবের কাছে আমরা প্রতিমুহূর্তে সৎসঙ্গীরা এই শিক্ষা পেয়েছি।
এমনিভাবে ৮৯বছর জুড়ে তিনি আমাদের কোটি কোটি সৎসঙ্গীদের সামনে দয়ালকে ক্লান্তিহীন, শ্রান্তিহীন ভালোবাসার আচরণের উদাহরণ হ'য়ে দাঁড়িয়েছেন। অবহেলায় সময় নষ্ট না ক'রে দয়ালের অভয় চরণ ধ'রে এগিয়ে চলার যে উদাহরণ আচার্যদেব আচরণ ক'রে সৃষ্টি ক'রে গেলেন তা ইতিহাসের বুকে অমর হ'য়ে থাকবে। বিশ্বজুড়ে কর্মের প্লাবন বইয়ে দিয়েছেন আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা। ৮৫বছর বয়সে তিনি সারা দেশের ইষ্টপ্রাণ সৎসঙ্গীদের ইষ্টকর্মে উদ্বুদ্ধ করতে ভারতবর্ষের সমস্ত কেন্দ্রে দীর্ঘপথ গাড়িতে ক'রে কঠিন যাত্রা করেছেন আচার্যদেব শ্রীশ্রীবাবাইদাদার ব্যবস্থা করা প্লেন যাত্রাকে উপেক্ষা করে। যাত্রাপথে তিনি সমস্ত কেন্দ্র মন্দির পরিদর্শন করেছেন, সৎসঙ্গী কর্মীদের সাথে দেখা করেছেন, গল্প করেছেন, সবার সুখদুঃখের খোঁজ নিয়েছেন, ইষ্টকাজে উৎসাহিত করেছেন আবার এগিয়ে গেছেন ক্লান্তিহীন শ্রান্তিহীন পরবর্তী লক্ষ্যপথের উদ্দেশ্যে। বার্ধ্যকে এসেও ইষ্টপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ এক রহস্যময় যৌবন যাত্রা! যা অনুপ্রাণিত করেছে কোটি কোটি সৎসঙ্গীকে বিশ্বজুড়ে! ইষ্টপ্রতিষ্ঠার পথে এ এক আচরণসিদ্ধ প্রচেষ্টার রক্তিম ইতিহাস! আমাদের উৎসাহিত করতে, উত্তেজনায় টগবগ ক'রে ফুটতে কত অজস্র গান রচনা করেছেন তিনি, দিয়েছেন সুর! তাঁর বিখ্যাত কবিতা 'শেষের সেদিন ভয়ংকর' আমাদের রক্তে, বোধে চেতনার প্লাবন আনে। আমাদের ঠিক-ভুল, সত্য-মিথ্যা, নকল-আসল আচরণ করতে ও ধরতে শিখিয়েছেন। তাই তিনি আমাদের আচার্যদেব!
একবার শৈশবে রাস্তার ধারে খেলা করার সময় শ্রীশ্রীদাদাকে দেখিয়ে কেষ্টদাকে বলেছিলেন শ্রীশ্রীঠাকুর, "কেষ্টদা আমার সৎসঙ্গের প্রকৃত আন্দোলন শুরু হবে আমার তৃতীয় পুরুষ (3rd Generation) থেকে।" দিকে দিকে প্রাণে প্রাণে সে আন্দোলন সত্য হ'য়ে ফুটে উঠেছে আজ বিশ্বজুড়ে। বিশ্বজুড়ে সেই আচরণসর্ব্বস্ব নীরব আন্দোলন যে না দেখেছে, যে না অনুভব করেছে বা করছে, যে উপলব্ধি করেনি তার মতো দুর্ভাগ্য আর নেই। শ্রীশ্রীদাদা আচরণসিদ্ধ পুরুষ। তাই তিনি আচার্য।
প্রবি।
ক্রমশঃ
( লেখা ১৬ই ডিসেম্বর'২০২২ )
এমনিভাবে ৮৯বছর জুড়ে তিনি আমাদের কোটি কোটি সৎসঙ্গীদের সামনে দয়ালকে ক্লান্তিহীন, শ্রান্তিহীন ভালোবাসার আচরণের উদাহরণ হ'য়ে দাঁড়িয়েছেন। অবহেলায় সময় নষ্ট না ক'রে দয়ালের অভয় চরণ ধ'রে এগিয়ে চলার যে উদাহরণ আচার্যদেব আচরণ ক'রে সৃষ্টি ক'রে গেলেন তা ইতিহাসের বুকে অমর হ'য়ে থাকবে। বিশ্বজুড়ে কর্মের প্লাবন বইয়ে দিয়েছেন আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা। ৮৫বছর বয়সে তিনি সারা দেশের ইষ্টপ্রাণ সৎসঙ্গীদের ইষ্টকর্মে উদ্বুদ্ধ করতে ভারতবর্ষের সমস্ত কেন্দ্রে দীর্ঘপথ গাড়িতে ক'রে কঠিন যাত্রা করেছেন আচার্যদেব শ্রীশ্রীবাবাইদাদার ব্যবস্থা করা প্লেন যাত্রাকে উপেক্ষা করে। যাত্রাপথে তিনি সমস্ত কেন্দ্র মন্দির পরিদর্শন করেছেন, সৎসঙ্গী কর্মীদের সাথে দেখা করেছেন, গল্প করেছেন, সবার সুখদুঃখের খোঁজ নিয়েছেন, ইষ্টকাজে উৎসাহিত করেছেন আবার এগিয়ে গেছেন ক্লান্তিহীন শ্রান্তিহীন পরবর্তী লক্ষ্যপথের উদ্দেশ্যে। বার্ধ্যকে এসেও ইষ্টপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ এক রহস্যময় যৌবন যাত্রা! যা অনুপ্রাণিত করেছে কোটি কোটি সৎসঙ্গীকে বিশ্বজুড়ে! ইষ্টপ্রতিষ্ঠার পথে এ এক আচরণসিদ্ধ প্রচেষ্টার রক্তিম ইতিহাস! আমাদের উৎসাহিত করতে, উত্তেজনায় টগবগ ক'রে ফুটতে কত অজস্র গান রচনা করেছেন তিনি, দিয়েছেন সুর! তাঁর বিখ্যাত কবিতা 'শেষের সেদিন ভয়ংকর' আমাদের রক্তে, বোধে চেতনার প্লাবন আনে। আমাদের ঠিক-ভুল, সত্য-মিথ্যা, নকল-আসল আচরণ করতে ও ধরতে শিখিয়েছেন। তাই তিনি আমাদের আচার্যদেব!
একবার শৈশবে রাস্তার ধারে খেলা করার সময় শ্রীশ্রীদাদাকে দেখিয়ে কেষ্টদাকে বলেছিলেন শ্রীশ্রীঠাকুর, "কেষ্টদা আমার সৎসঙ্গের প্রকৃত আন্দোলন শুরু হবে আমার তৃতীয় পুরুষ (3rd Generation) থেকে।" দিকে দিকে প্রাণে প্রাণে সে আন্দোলন সত্য হ'য়ে ফুটে উঠেছে আজ বিশ্বজুড়ে। বিশ্বজুড়ে সেই আচরণসর্ব্বস্ব নীরব আন্দোলন যে না দেখেছে, যে না অনুভব করেছে বা করছে, যে উপলব্ধি করেনি তার মতো দুর্ভাগ্য আর নেই। শ্রীশ্রীদাদা আচরণসিদ্ধ পুরুষ। তাই তিনি আচার্য।
প্রবি।
ক্রমশঃ
( লেখা ১৬ই ডিসেম্বর'২০২২ )
No comments:
Post a Comment