চারদিকে যা চলছে তা কবিগুরুর দেখানো পথেই চলছে। তাঁর কথায় বলতে পারি,
"আমরা সবাই রাজা আমাদেরই রাজার রাজত্বে।"
কবিগুরুর একনিষ্ঠ ভক্ত শিষ্য বলেই না তাঁর কথা মেনে চ'লে বিষ পান ক'রে আনন্দে গেয়ে উঠি,
"আমি জেনেশুনে বিষ করেছি পান
প্রাণেরও আশা ছেড়ে সঁপেছি প্রাণ
আমি জেনেশুনে বিষ করেছি পান।"
একেই বলে কোয়ান্টিটি মা কোয়ান্টিটি! আর কোয়ালিটি দাদা কোয়ালিটিই। ঠাকুরই তো বলেছেন দোয়ারে দীক্ষা দিতে, বাকীটা ঠাকুর বুঝে নেবেন। কোয়ান্টিটি থেকে কোয়ালিটিতে উদ্ভিন্ন হ'তে সময় লাগবে বৈকি! কি আর করা যাবে? তাই অন্যের চরকায় তেল না দিয়ে নিজের চরকায় নিজে তেল দাও না বাবা; তাইলেই তো হয়। নিজের চরকা যে তেলের অভাবে জং পড়ে ঝুরঝুরে হ'য়ে ঝ'রে পড়ে যাচ্ছে সেদিকে একটু নজর দাও না বাবা তাহ'লে যে চরকাটা বেঁচে যায়; তাই নয় কি? যার যা ইচ্ছা তাই করুক। যার যাকে ভালো লাগে লাগুক। ঠাকুর ছেড়ে যার যার প্রতি প্রেম জাগে জাগুক।
শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন,
"বাসতে ভাল এসেরে তুই বাসলি ভাল কা'রে,
প্রতিদানেও তাই পাবি তুই মজলি নিয়ে যারে।"
এই দৃশ্য আমরা হামেশাই দেখতে পাই মন্দিরে মন্দিরে।
যাই হ'ক, শ্রীশ্রীআচার্যদেব বললেন, "প্রদীপের নীচে অন্ধকার থাকে থাকুক। সেইটা প্রদীপের অন্ধকার; শিখার নয়। শিখা আলো দেখাচ্ছে সামনে।" প্রদীপের নীচের অন্ধকার তো আমার লক্ষ্য নয়। আমার লক্ষ্য প্রদীপের আলো। সেই আলো সামনে আলোকিত ক'রে পথ দেখাচ্ছে। যার ইচ্ছা সেই আলো দেখে দেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে আর যার প্রদীপের নীচের অন্ধকারের দিকে লক্ষ্য সে সেই অন্ধকারে গহীন গহ্বরে ডুবে যাবে। তাঁর শেষের সেদিন ভয়ংকর অন্ধকার। দয়ালের ভয়াল রূপের বিরাশী সিক্কার এক বিশাল থাপ্পড় অপেক্ষা করছে তার জন্য। তাই ওসব দেখাদেখি ছেড়ে আসুন ততক্ষণ দেখি নিজেকে কোয়ালিটি সৎসঙ্গী ক'রে তুলতে পারি নাকি। একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েন দাদা ও মায়েরা।
শ্রীশ্রীদাদার লিখে যাওয়া গানের কথা স্মরণ ক'রে লেখা শেষ করছি।
শ্রীশ্রীদাদা বললেন,
"ওরা যা বলে বলুক, ওরা যা করে করুক
তোমার পথে চরণ আমার টলবে না।" ---প্রবি।
Friday, December 30, 2022
কোয়ালিটি আর কোয়ান্টিটি ২
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment