Powered By Blogger

Thursday, December 29, 2022

অভিজ্ঞতাঃ তুমি শুধু প্রভুর জন্য--২

তুমি শুধু ঈশ্বরের জন্য---১' এ আমি লেখা শেষ করেছিলাম শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণী
"You are for the Lord
Not for other
You are for the Lord
And so for others.
(তুমি একমাত্র প্রভুর জন্য
অন্য কারও জন্যে নয়
তুমি একমাত্র প্রভুর জন্য বলেই
তুমি সবার জন্য।)
------বাণীর প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি লাইন বিশ্লেষণ ক'রে বাণীর আয়নায় নিজের মুখ, নিজের চরিত্র দেখবো! দেখবো মুখ বা চরিত্র নির্মল নাকি মলপূর্ণ!
এখন দেখা যাক বাণী কতটা চরিত্রগত হয়েছে আর কতটা হয়নি। বাণীতে প্রথমেই আছে 'তুমি প্রভুর জন্য'! তা সত্যিই কি আমি প্রভুর জন্য হয়েছি!? ঠাকুর বলছেন, 'তুমি প্রভুর জন্য, কারও জন্য নও'! এ কথার অর্থ আমি একমাত্র আমার প্রভুর জন্য অন্য কারও জন্য নই। প্রথমতঃ প্রভু কে? কাকে প্রভু বলি?
প্রভু হ'লেন একমাত্র ব্রহ্মাণ্ডের পর ব্রহ্মান্ড কোটি কোটি ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি যেখান থেকে হ'য়ে থাকে যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় সেন্ট্রাল জোন বলা হয় সেই সেন্ট্রাল জোন অর্থাৎ সমস্ত সৃষ্টির উৎস মুখ যাকে আমরা সমস্ত কারণের কারণ পরম কারুণিক বলি অর্থাৎ সমস্ত সৃষ্টির সৃষ্টিকর্তা বলি, বলি ঈশ্বর, বলি গড, বলি আল্লা, বলি সবার পিতা পরমপিতা সেই তিনি যখন মানুষের মাঝে মানুষ রূপে নেবে আসেন আমার বেঁচে থাকা ও বেড়ে ওঠার এক নিখুঁত ও সম্পূর্ণ পথ দেখিয়ে দিতে সেই তিনি হ'লেন আমার প্রভু! আমার দয়াল! তাঁকেই একমাত্র প্রভু নামে আমি সম্বোধন ক'রে থাকি। এছাড়া মানুষের মাঝে অন্য কেউ সে যেই হ'ক না কেন, যতবড় মহাত্মা, যতবড় মহাপুরুষ বা আধ্যাত্মিক ক্ষমতাসম্পন্ন পুরুষ হ'ক না কেন কেউই প্রভু নন, প্রভু ডাকের পাত্র নন। পৃথিবীর প্রায় ৮০০ কোটি মানুষের মাঝে এক ও একমাত্র প্রভু হ'লেন প্রভু রাম, প্রভু কৃষ্ণ, প্রভু বুদ্ধ, প্রভু যীশু, প্রভু মোহাম্মদ, প্রভু চৈতন্য, প্রভু রামকৃষ্ণ এবং সেই প্রভুর সর্বশেষ রূপ হ'লেন প্রভু অনুকূল! এছাড়া কেউই প্রভু নয়।
তাহলে আমার প্রভু কে? অর্থাৎ আমার প্রভু অর্থাৎ আমার ঈশ্বর, আমার প্রিয়পরম, আমার পরমপিতা, আমার সৃষ্টিকর্তা কে?
আমার প্রভু হ'লেন রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মোহাম্মদ, চৈতন্য, রামকৃষ্ণ ও শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র! বর্তমান যে শেষ রূপকে আমি আমার দয়াল, আমার ঠাকুর, আমার পরমপিতা, আমার ঈশ্বর, আমার গড, আমার আল্লা ব'লে ডাকি সেই তিনি বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র হ'লেন আমার এক ও একমাত্র প্রভু! এ ছাড়া আমার জীবনে রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মোহাম্মদ, চৈতন্য, রামকৃষ্ণ হ'লেন এক ও একমাত্র প্রভু! বাকী কেউই প্রভু নয়।
আচ্ছা তাহলে আমরা যাকে তাকে প্রভু ব'লে ডাকি কেন?
যাকে তাকে প্রভু ব'লে ডাকা বা সম্বোধন করা সেটা ব্যক্তিগত ব্যাপার।। আবার অজ্ঞানতাও বিরাট একটা ব্যাপার বটে। যা ধর্ম জগৎকে ঘিরে ফেলেছে। আধ্যাত্মিক কর্মকান্ডকে অক্টোপাশের মত যা পেঁচিয়ে নিয়েছে! আর তখনই কাঁচের টুকরোকে হীরে ব'লে বোধ হয়! তবে অনেক ক্ষেত্রে এই প্রভু ডাকার মধ্যে আবার ভালবাসার ব্যাপার খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন আমার প্রভু শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র! তিনিই আমার এক ও একমাত্র প্রভু! কিন্তু সেই যে শ্রীশ্রীবড়দাকে প্রথম যেদিন সামনাসামনি দেখলাম বুকের ভেতরটা কেমন জানি মোচড় দিয়ে উঠলো! ইচ্ছে হ'লো প্রভু ব'লে ডেকে উঠি! যেন আমার প্রভু, আমার ঠাকুর জীবন্ত লীলা করছেন শ্রীশ্রীবড়দার মধ্যে! কিন্তু শ্রীশ্রীবড়দার কথায় সম্বিৎ ফিরে পেলাম! শ্রীশ্রীবড়দা বললেন, "তোরা আমায় যে যে নামেই ডাক না কেন আমি হ'লাম ঠাকুরের কুকুর!" তখন আমরা শ্রীশ্রীঠাকুরের প্রথম সন্তান, ঠাকুরের আদরের বড়খোকাকে বড়দা নামে ডাকতাম! এখনও ডাকি। কেউ কেউ ভালোবেসে শ্রীশ্রীবড়দাকে পিতৃদেব বলেও সম্বোধন করতেন। এগুলি তীব্র ভালোবাসার প্রভাব! কিন্তু বড়দার কথায় আমরা সম্বিৎ ফিরে পেলাম। কে কাকে কি ব'লে ডাকবে সেটা তার ব্যক্তিগত ভালোবাসাময় অনুভূতির উপর নির্ভর করে। তবে ব্যক্তিগত সম্বোধন কখনও সমষ্টিগততে রূপ নেয় না। সমষ্টিগতভাবে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি সৎসঙ্গীদের তিনি পরম আদরের শ্রীশ্রীবড়দা!
তারপরে দেখলাম আচার্যদেব শ্রীশ্রীঅশোকদাদাকে! সালটা সম্ভবত ১৯৯০। মায়ের ক্যানসার চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রার্থনা জানাতে গিয়েছিলাম ঠাকুরবাড়ি শ্রীশ্রীবড়দা চরণে! সেসময় শারীরিক কারণে শ্রীশ্রীবড়দা শুধুমাত্র দর্শন দিতেন। নিবেদন যা কিছু শ্রীশ্রীদাদাকে করতে হ'ত। মাকে নিয়ে শ্রীশ্রীবড়দাকে প্রণাম করলাম। দেখলাম বড়দা ঘরের মধ্যে খাটের উপরে হাত জোড় ক'রে ভক্তমন্ডলীর দিকে চেয়ে বসে আছেন! মনে মনে বড়দাকে মায়ের অসুখের ব্যাপারটা জানালাম। তারপর প্রণাম ক'রে যখন বর্তমান আচার্যদেবের বাড়ির পাশ দিয়ে আসছিলাম তখন একজন গুরুভাই সেখানে বসে থাকা শ্রীশ্রীদাদাকে দেখিয়ে দিয়ে বলেছিল তাঁকে নিবেদন করতে। আজ আর তেমন ক'রে মনে পড়ে না কে সেদিন আমাদের শ্রীশ্রীদাদাকে নিবেদন করার কথা বলেছিল, কে দেখিয়ে দিয়েছিল বসে থাকা অবস্থায় শ্রীশ্রীদাদাকে! তবে সেদিন এটা অনুভব হয়েছিল শ্রীশ্রীবড়দার কাছে যখন মনে মনে মায়ের কথা নিবেদন করেছিলাম তখন বড়দার সেই আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকা দৃষ্টি যেন পথ দেখিয়ে নিয়ে এসেছিল শ্রীশ্রীদাদার কাছে! সেই দৃষ্টি আজও মনে পড়ে, ভুলতে পারি না! মনে হয় যেন প্রভুর দৃষ্টি!
কিন্তু যখন মাকে নিয়ে শ্রীশ্রীদাদার চরণপ্রান্তে এসে বসেছিলাম ঐ শীতের সকালের ঝ'রে পড়া মিষ্টি রোদ্দুরে তখন শ্রীশ্রীদাদার মুখের দিকে চেয়ে সমস্ত শরীর শিউড়ে উঠেছিল, গভীর ভালোবাসায় ব'লে উঠতে চেয়েছিল মন, প্রভু! প্রভু!! প্রভু!!! কি এক অদ্ভুত অনুভূতি শরীর-মন-হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছিলাম সেদিন যা কখনোই কাউকেই বোঝানো সম্ভব নয়! কিন্তু দাদাকে যখন মায়ের অবস্থার কথা নিবেদন করেছিলাম, কথা বলছিলাম তখন সারাক্ষণ দাদা বলেই সম্বোধন করেছিলাম! অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে কে যেন বলছিল, প্রভু!!!!!! সেদিন মনে হয়েছিল যেন আমার প্রভু, আমার ঠাকুর, আমার দয়াল লীন হ'য়ে আছে শ্রীশ্রীদাদার অবয়বে! পরবর্তীতে শ্রীশ্রীদাদাকে কেউ কেউ বড়দাদা ব'লে সম্বোধন করতে শুরু করে সেই একই কারণ থেকে তা হ'লো সেই ভালবাসা! ভালোবাসা!! ভালোবাসা!!! প্রভু-দাদা-বড়দাদা সব একাকার হ'য়েও আলাহিদা সেই অকৃত্রিম ভালোবাসার টানে!!!!!!! কিন্তু তিনি আমাদের বিশ্বজুড়ে সব সৎসঙ্গীর আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা বা শ্রীশ্রীবড়দাদা!
আবার যখন সেই ২০১৫ সালের সম্ভবত সেপ্টেম্বর কি অক্টোবর মাসে ঠাকুরবাড়ি গিয়েছিলাম মেয়ের চাকুরী সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে সেদিন শ্রীশ্রীবাবাইদাদার চরণপ্রান্তে ব'সে নিবেদন করার সময় সাক্ষাৎ যেন আমি আমার প্রভুকে চাক্ষুস করেছিলাম শ্রীশ্রীবাবাইদাদার মধ্যে! এ কোনও বাড়াবাড়ি বা অতিরঞ্জিত কোনও আবেগ নয়! আমি ভালোমতোই জানি আবেগ ভালো কিন্তু আবেগে ভেসে যাওয়া ভালো নয়! কিন্তু সেদিনের পর থেকে দেওঘরে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞার আগের দিন ১৩ই মার্চ'২০ সকালবেলায় শ্রীশ্রীবাবাইদাদার চরণপ্রান্তে ব'সে নিবেদন করা পর্যন্ত আমি ভুলবো না সেই ভুবনভোলানো রূপ, সেই মিষ্টি কথা, মিষ্টি হাসি! কি অপূর্ব সুন্দর দেখতে! যে দেখেনি তাকে শুধু ব'লে বোঝানো যাবে না যে স্বয়ং আমার প্রভু যেন শ্রীশ্রীবাবাইদাদার মধ্যে অবস্থান করছেন! হ্যাঁ! অবস্থান করছেন! করছেন জীবন্ত!!!!!!! কিন্তু সেই ২০১৫ থেকে ২০২০-র মার্চ মাস পর্যন্ত যতবার দেওঘর গেছি, কলকাতার অমরধাম গেছি ততবারই তাঁর সান্নিধ্যে কথা বলার সময় অন্তর বলেছে প্রভু! প্রভু!! প্রভু!!! কিন্তু সম্বোধন করেছি 'দাদা' ব'লে! কিন্তু কোথায় যেন দাদা আর প্রভু একাকার হ'য়ে গেছে! একে কি বলবো? পাগলামি? ভাবাবেগ? না! একেই বলে তীব্র ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ! ভালোবাসা! ভালোবাসা!! ভালোবাসা!!! এই তীব্র অকৃত্রিম ভালোবাসা ঠাকুরকে ঘিরে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে! এই ভালোবাসা, এই 'প্রভু' ডাকের তীব্র ইচ্ছা বোঝে সে, প্রাণ বোঝে যার! কিন্তু তবুও বাবাইদাদাকে ডেকে উঠি দাদা ব'লে; কোথায় যেন সূক্ষ্ম অতি সূক্ষ্ম একটা তফাৎ থেকে যায়!
আর অবিনদাদা নিয়ে কি আর বলবো! এই অল্প বয়সে সম্ভবত তখন বয়স ১৮বছর (২০১৮ সাল) ঐ বয়সে একদিন শীতের সকালে প্রার্থনার পর আলো আবছায়ায় শ্রীশ্রীঠাকুরের স্নানকুন্ডের পিছনে কারও জন্যে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। সেইসময় ঐ ফাঁকা নির্জনস্থানে শীতের ভোরের আলো আঁধারীতে দাঁড়িয়ে ছেলেমেয়েকে নিয়ে যে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হ'য়েছিলাম তা আজও জ্বলজ্বল করে চোখের সামনে! প্রকৃতির কি অপূর্ব রূপ! ঝিরঝির ক'রে হালকা ঠান্ডা বাতাস বইছে! একটা গাছের তলায় দাঁড়িয়ে আছে অবিনদাদা বাইকে একটা হাত রেখে! সেদিন ঐ শুভ মুহূর্তে এগিয়ে গিয়েছিলাম ছেলেমেয়েকে নিয়ে। কারণ সেদিন বাবাইদাদা শারীরিক কারণে দর্শন দেননি, এবং পরদিনও দেবেন না। খবর নিয়ে জেনেছিলাম রাতেই তিনি কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। অথচ পরেরদিন সকাল ১১টায় ট্রেনের টিকিট কাটা আছে। চলে যেতে হবে দেওঘর ছেড়ে। দুদিনের জন্য আসা। মনটা খারাপ হ'য়ে গিয়েছিল এই ভেবে এই প্রথমবার ফিরে যেতে হবে বাবাইদাদাকে নিবেদন না করেই। আর সারা রাত এবং সকাল সকাল সেই ঠাকুর আঙিনায় ঠাকুরের স্নানকুন্ডের পাশ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ভাবছিলাম অবিনদাদার কথা! যদি দেখা পায় তাহলে তাঁকেই নিবেদন করবে ছেলেমেয়ে তাদের কথা। আর ঘটেও গেল তাই! কি অবিশ্বাস্য ব্যাপার? কাউকে ব'লে বোঝানো দুস্কর! বললে বলবে সবটাই কাকতালীয়! হাঁটতে হাঁটতে যখন যাচ্ছি ছেলেমেয়েকে নিয়ে ঠিক সেইসময় একটা বাইক স্নানকুন্ডের পাশ দিয়ে গিয়ে পিছনে একটা গাছের তলায় গিয়ে দাঁড়ালো! আমি বুঝতে পারিনি কে গেল! মেয়ে আমার একঝলক দেখেই বললো, বাবা! বাবা! অবিনদাদা যাচ্ছে! যেন মনে হ'লো আমাদের জন্যেই বুঝিবা এই ভোরে অতি ভোরে দেখা দেবেন ব'লে এসে দাঁড়ালো অবিনদাদা! সেই সকালে অবিনদাদার সামনে দাঁড়িয়ে যখন ছেলেমেয়ে তাদের চাকরি সংক্রান্ত সমস্যা নিবেদন করলো তখন অবিনদাদার মধ্যে দেখেছিলাম অবিশ্বাস্য কনফিডেন্স! মেয়ে এডুকেশন সেক্টরে চাকরি করে। আর এই সেক্টরে কাজ করার কথা স্বয়ং বাবাইদাদা নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই থেকে যখনই চাকরি পরিবর্তন কিংবা অন্য কোনও সমস্যা সামনে আসে মেয়ে বাবাইদাদাকে নিবেদন ক'রে থাকে। এবারও ছিল চাকরির সংস্থা পরিবর্তনের বিষয়। মেয়ের কাছ থেকে সেই চাকরি ও কোম্পানি সংক্রান্ত সমস্ত কথা শুনে তাকে নতুন জায়গায় জয়েন করার কথা বললেন কিন্তু সেই একই প্রশ্নে ছেলেকে এক্সিস্টিং কোম্পানিতে থেকে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন, কোম্পানি পরিবর্তন করতে নিষেধ করলেন অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্নে! বললেন, যা হবে এখানেই হবে। পরবর্তী সময়ে কি অবিশ্বাস্যভাবে মিলে গিয়েছিল সেই কথা। যা ভাবলে আজও গায়ে কাঁটা দেয়! যে কোম্পানিতে ছেলেকে জয়েন করতে মানা করেছিলেন অবিনদাদা পরবর্তী সময়ে সেই কোম্পানির প্রোজেক্ট চলে যাওয়ায় যাদের নেওয়া হয়েছিল হয় তাদের অন্য রাজ্যে ট্রান্সফার হ'তে হবে নতুবা চাকরিতে রিজাইন দিতে হবে! অবাক বিস্ময়ে অভিভূত হ'য়ে গিয়েছিলাম সেদিন! কথা গিয়েছিল হারিয়ে!!
সেদিনও ঐ অতি প্রত্যুষে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে অবিনদাদার কথা শুনতে শুনতে মনের ভিতর থেকে কে যেন ব'লে উঠতে চেয়েছিল 'প্রভু' ব'লে! পরে তাঁকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম ক'রে উঠে দাঁড়ালাম। অবিনদাদা যার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি এসে পড়ায় বাইক চালিয়ে বেরিয়ে গেলেন। আমি মনে মনে ভাবলাম কেন এমন হয় বারবার!? এমন হওয়ার পিছনে অন্য কি রহস্য আছে জানি না আর এই জানার মত অতবড় মাপের ভক্তও নই। শুধু বলতে পারি সেই ইষ্টের প্রতি, প্রভুর প্রতি তীব্র ভালোবাসা! ভালোবাসা!! ভালোবাসা!!! আর ভালোবাসার রঙের ছিটে গিয়ে পড়ে প্রিয়পরমের প্রিয়ের জীবনে! পরমুহূর্তেই মনে পড়ে গেল ঠাকুরের বাণী,
"ইষ্টগুরু পুরুষোত্তম প্রতীক গুরু বংশধর
রেত শরীরে সুপ্ত থেকে জ্যান্ত তিনি নিরন্তর।"
তাই জীবন যদি শুধু প্রভুর জন্যে, একমাত্র প্রভুর জন্যে হয় তাহলে এমন তীব্র উপলব্ধি, এমন জ্বলন্ত অনুভূতি ডেবলপ করে!!!!!!!!
তাহলে আসুন ঠাকুরের বাণীর শেষ লাইন "তুমি একমাত্র প্রভুর জন্য আর তাই তুমি সকলের জন্য" আমার জীবনে কতটা প্রভাব রেখেছে তা পরবর্তী 'তুমি শুধু ঈশ্বরের জন্য'-৩ আর্টিকেলে দেখে নিই!
ক্রমশঃ।
( লেখা ১৫ই অক্টোবর' ২০২০ )

No comments:

Post a Comment