Powered By Blogger

Thursday, May 2, 2024

প্রবন্ধঃ কোন্নগড়ে শকুন্তলা কালী মায়ের পুজো ও সৎসঙ্গীবৃন্দ (৪)

বারবার শ্রদ্ধা ভক্তির প্রশ্ন তুলে আর্টিকেলের মূল এসেন্সকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। হয় এরা পড়ে না, না পড়েই উত্তর দেন নয়তো ইচ্ছাকৃত। কেউ কেউ আমাকে ঈশ্বরের উপর অবস্থানকারী বলেছেন।
যাই হ'ক, এখানে ভক্তি শ্রদ্ধার প্রশ্ন অবান্তর। আমার লেখাকে ফলো ক'রে উত্তর দিলে ভালো লাগে। ভালো ক'রে বিষয়বস্তু না পড়েই নিজের মনের মধ্যে সযত্নে লালিত পালিত হওয়া সংস্কার হ'ক আর কুসংস্কার হ'ক তা উগলে দিলে আলোচনা অবান্তর হ'য়ে পড়ে। ঈশ্বরের উপর আমি অবস্থান করি একথা আমার লেখার কোথাও নেই। অবান্তর কথার অবতাড়না ক'রে আলোচনার মূল স্রোত থেকে সরে গেলে আখেরে নিজেরই ক্ষতি হয়। জানার রাজ্যে এগোনো যায় না। আলোচনা করতে হ'লে ওপেন মাইন্ডেড হ'তে হয়, খোলামেলা আলোচনা লক্ষ্যে পৌছে দেয়। আর আদি অনন্তকাল ধ'রে কোনো প্রথা চলে আসছে ব'লেই যে তা চলবে তার কি মানে আছে? তাহ'লে অনন্তকাল ধ'রে তো এই চলে আসা বীভৎস ভয়ংকর বলি প্রথা অনেক জায়গায় আজ বন্ধ হ'য়ে গেছে তা কেন বন্ধ হয়েছে? কেন স্বয়ং জীবন্ত ঈশ্বর ঠাকুর রামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো বন্ধ করেছিলেন? মা কালি কোন সন্তানের রক্ত খেতে পারে সেটা বিস্তারিত জানাবেন কি? আপনারা যারা বলি প্রথা মানেন তাদের বলি, মা কালি আপনার সন্তানের রক্ত খেতে পারে আর যদি খায় আপনি তা মানবেন? নাকি মায়ের নামে এই অপবাদ বদনাম কুতসা বন্ধ ক'রে মায়ের চোখের জল মোছাবেন? মাকে ভক্তি শ্রদ্ধার নামে রক্তখেকো রাক্ষসী বানাচ্ছেন কেন? আপনাকে রক্ত দিলে আপনি পান করবেন? আপনি জাগতিক মা হ'য়ে যদি রক্ত পান করতে না পারেন, আপনার সন্তান বলি দিতে না পারেন তাহ'লে কোন সাহসে জগতের বিশ্বব্রহ্মান্ডের যিনি মা, যিনি জীব জগত জীবন কারণ সমস্ত কিছুর মা তাকে বাধ্য করেন আপনার বৃত্তি প্রবৃত্তির সুখ ভোগের নামে এই কলঙ্ক বহন করতে? আর এখানে মানা না মানার প্রশ্ন অবান্তর। আপনি আপনারা আমার লেখার বিষয়বস্তুর বাইরে গিয়ে জন্ডিস চোখে শুধু মায়ের প্রতি ভক্তি দেখিয়েছেন নিজের সুখ ভোগের স্বার্থে! মায়ের কষ্ট, মায়ের যন্ত্রণা, কিসে মায়ের সুখ, কিসে মায়ের আনন্দ তা বোঝার ধার ধারেননি আর তাই তাত্ত্বিক আমেজে ডুবে থেকে মিথ্যেকে সত্য ব'লে ভেবেছেন আর মনে যা এসেছে তাই বলছেন। বিশেষ ক'রে সৎসঙ্গীদের অবস্থান দেখে তা সে এক বা দুইজন-ই হ'ক দুঃখ হয়; তাই আবার বলি, এই বিষয়ে আমার প্রতিটি লেখা দয়া ক'রে জন্ডিস চোখ থেকে বেরিয়ে এসে বায়াসড মুক্ত হৃদয়ে পড়ুন। আমার মনের কথা বুঝতে পারবেন।
ক্রমশঃ ( ২রা মে, ২০২২ )

No comments:

Post a Comment