Powered By Blogger

Tuesday, May 28, 2024

প্রবন্ধঃ আসুন সত্যকে জানি, খুঁজি!

ফেসবুকে ও ইউটিউবে মাঝে মাঝে একটা দুটো লেখা ও ভিডিও চোখে পড়ে, পড়ি, শুনি, খুব ভালো লাগে! ফেসবুক ও ইউ টিউবের মত স্ট্রং মিডিয়া অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর ক'রে আলো জ্বালাবার কাজে লাগুক এই আহ্বান বহুদিন ধ'রে জানিয়ে আসছি আমার ফেসবুক বন্ধুদের কাছে। ফেসবুক ও ইউ টিউব যেন সস্তার প্ল্যাটফর্ম না হয়! সস্তার তিন অবস্থা এই কথা যেন ফেসবুক ও ইউ টিউবার ইউজার ও কর্তৃপক্ষ উভয়েই মাথায় রাখে।

সস্তার তিন অবস্থা আপনারা সবাই জানেন। আসুন একবার সহজ সরল ভাবে এই সস্তার তিন অবস্থাটা একবার ভেবে দেখি, আলোচনা করি ও নিজেদের সাবধান করি।
১. সস্তা ঠিক আছে, কিন্তু অর্থ তো খরচ হয়েছে নাকি? কিন্তু আল্টিমেট কোনও কাজে আসেনি।
২. বাজারে যাওয়া থেকে শুরু করে দোকানে ঘুরে ঘুরে কিনে নিয়ে বাসায় নিয়ে আসার জন্য সময় ও শ্রম দু'টোই নষ্ট হয়েছে।
৩. যেহেতু কোনও স্ট্যান্ডার্ড মেইন্টেন হয়নি সেই জন্য ব্যবহারের পক্ষে উপযুক্ত ছিল না।

১) যা চেয়েছি তা শেষ পর্যন্ত তা পাইনি।
২) আর যা পেয়েছি তা কোন কাজে না লাগেনি।
৩) আল্টিমেট শেষে মান সম্মান নষ্ট হয়েছে।


১) মানহীন ( Less Standard) জিনিস কিনে ঘরে আনা।
২) কিছু সময় বা কিছুদিন পরে তা থেকে সমাস্যা বের হতে থাকা।
৩) এবং ঠিক যখন দরকার সেই মুহুর্তে ব্যবহার করতে না পারা।


আশা করি আমার দর্শক ও শ্রোতা বন্ধুদের ব্যাপারটা বোঝাতে পারলাম। তাই ফেসবুককে ও ইউ টিউবকে অন্তত আমরা সৎসঙ্গীরা যেন সস্তা না ক'রে ফেলি অর্থহীন পোষ্ট ক'রে ও ভিডিও বানিয়ে। কারণ আমরা সৎসঙ্গী অর্থাৎ অস্তিত্বের সঙ্গী, প্রতিটি অস্তিত্বের সঙ্গী।
যাই হ'ক, এখনও ফেসবুক করি যদি মাঝে মাঝে কখনও বা রত্নর সন্ধান পাই ও যদি সত্যকে পরিবেশন করতে পারি এই আশা নিয়ে! তা না হ'লে ফেসবুক করা বন্ধ ক'রে দিতাম। ফেসবুকের মত স্ট্রং মিডিয়াকে নিয়ে ছেলেখেলা দেখে ভাবি পরশ পাথর হাতে পেয়েও যেমন মানুষ ফেলে দেয় অপ্রয়োজনীয় গুরুত্বহীন ছোট্ট পাথরের টুকরো ভেবে ঠিক তেমনি মানসিকতায় ফেসবুককেও ব্যবহার করি আমরা। আর ইউ টিউবেও আসি সেই একই আশা নিয়ে। কথায় আছে আশায় মরে চাষা! ভাবি রুখোশুকো জমিতে চাষ করতে করতে যদি কোনও একদিন সুগন্ধী ফুল ফুটে ওঠে, কোনও একদিন সুন্দর সকালের সন্ধান পাই, কোনও একদিন রাম রাজ্যের মত স্বর্গ রাজ্যের সন্ধানে রত সত্য সন্ধানীর সন্ধান মেলে, কোনও একদিন শ্রীশ্রীঠাকুরের চোখের জল মোছাতে পারে এমন এক পবিত্র হৃদয়ের সংস্পর্শে আসি! এই আশা নিয়েই ইউ টিউবে আসি। অন্যান্য বিষয় নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না, বলে লাভও নেই, অর্থহীন; যখন দেখি আমাদের সৎসঙ্গী গুরুভাইবোনেরা গানবাজনা করছে, ইষ্টপ্রসঙ্গ সে যেমনই ভালোমন্দ হ'ক না কেন তখন ভালোই লাগে কিন্তু যখন দেখি সৎসঙ্গীরা ঠাকুরবাড়ির কুৎসা করছে, নিন্দা করছে, শ্রীশ্রীবড়দা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য সমালোচনা করছে, মিথ্যে অপবাদ দিচ্ছে আবার অন্যদিকে সৎসঙ্গে, মঞ্চে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বক্তৃতা দেবার সময় শ্রীশ্রীঠাকুরের প্রেম ভালোবাসার কথার জমাট বরফ গলে একেবারে জল ক'রে বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছে চারপাশ, মহামিলনের কথা বলছে তখন অবাক হ'য়ে ভাবি এরা সৎসঙ্গী!? শ্রীশ্রীঠাকুরের দরবারে কি ভয়ঙ্কর কপটতা!!!! এখনই যদি এমন ভয়ঙ্কর কপটতার প্রকাশ হয়, তাহ'লে ভবিষ্যত আরও ভয়ঙ্কর অন্ধকার ঘোর কলি যুগে কি হবে!? আরও আশ্চর্য হ'য়ে যায়, যখন দেখি সৎসঙ্গী দাদারা মায়েরা এমনকি বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েরা ঠাকুরকে টেকেন ফর গ্রান্টেড ক'রে নিয়ে শ্রীশ্রীঠাকুর, শ্রীশ্রীবড়মা, শ্রীশ্রীবড়দা, শ্রীশ্রী অশোকদাদা, বর্তমান আচার্যদেব শ্রীশ্রীবাবাইদাদা এমনকি শ্রীশ্রীঅবিনদাদাকে নিয়েও এবং তাঁদের ছবি দিয়ে যত্তসব অযৌক্তিক মিরাকেল, আজগুবি, কুসংস্কারের আশ্রয় নিয়ে তাঁদের নামে অদ্ভুত অদ্ভুত ক্যাপ্সহান লাগিয়ে ভিডিও বানিয়ে সস্তার সুড়সুড়ি দিয়ে দিয়ে সস্তার তিন অবস্থার মত অলৌকিকতার ওপর তামাম সৎসঙ্গীদের নির্ভরশীল ক'রে তুলছে।

একটা দু'টো উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা ক্লিয়ার হবে।
ভাদ্র মাসে এই কাজগুলি করবেন না। আচার্যদেবের নির্দেশ।", "চক্রফটো দেখার সময় ঠাকুরের ফটোর দিকে তাকিয়ে প্রতিদিন এই দু'টি কথা বলুন শুধু দেখুন কি হয়।" "ঠাকুরের কাছে কটা ধূপকাঠি একসঙ্গে জ্বালানো উচিত?" "বর্তমান আচার্যদেব কেন নীচে বসে কথা বলেন?" বর্তমান আচার্যদেব আজ থেকে তিনটি কাজ করতে বললেন।" শ্রীশ্রীবড়মার তিরোধান তিথিতে সকাল ১০টার আগে এই কাজ করুন, দেখুন কি হয়" ইত্যাদি নানা বহু সস্তার ভিডিও বানিয়ে সীমাহীন ভাঙ্গাচোরা, দুর্বল, ভীরু, কুসংস্কারাছন্ন, অজ্ঞ সাধারণ অতি সাধারণ ভক্তদের কর্ম বিমুখ বানিয়ে অতি সহজেই সস্তায় না ক'রে পাওয়ার লোভ দেখিয়ে দিয়ে ভিডিওর মাধ্যমে টাকা রোজগারের মোক্ষম উপায় বানিয়ে ফেলেছে তথাকথিত সৎসঙ্গী এমন কি বাচ্চা অল্পবয়সী সৎসঙ্গী ছেলেমেয়েরা, সাথে মায়েরাও।

এই ভালোমন্দ মিশিয়ে, প্রশংসা নিন্দা নিয়ে আছি, ভালো আছি আর কি।

যাই হ'ক, ধর্ম, ঈশ্বর ও প্রেরিতদের নিয়ে ফেসবুক ও ইউটিউবে হট কেকের মত আলোচনা ও ভিডিও হ'য়ে চলেছে। সনাতন ধর্ম, ইসলাম ধর্ম, খ্রীষ্ট ধর্ম সব ধর্ম নিয়ে ও সব ধর্মের দেবদেবী ও প্রেরিত নিয়ে আলোচনা চলছে। ধর্ম জীবনের অঙ্গ হ'য়ে উঠেছে ও সেই ধর্ম নিয়ে চুটিয়ে ব্যবসা হ'য়ে চলেছে যুগ যুগ ধ'রে। ধর্ম, ঈশ্বর ও প্রেরিতরা আজ ভন্ড, কপট, ধান্দাবাজ ধার্মিকদের ব্যবসার উপকরণ, বৃত্তি-প্রবৃত্তি পোষণের মোক্ষম হাতিয়ার! অসত্য আজ সত্য হ'য়ে বিরাজ করছে মাথার ওপর, জ্বলজ্বল ক'রে জ্বলছে সূর্য্যের মত! অসত্যের ধ্বজাধারীরা ধর্ম ও ঈশ্বরকে নিয়ে চুটিয়ে ব্যবসা ক'রে যাচ্ছে আর এর জন্যে সব ধর্মের সব ধর্ম ও ঈশ্বর বিশ্বাসী দুর্বল, ভীরু, কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষেরাই দায়ী।

"যখনই ধর্মের গ্লানি ও অধর্মের উত্থান হয় তখনই সাধুদের পরিত্রাণ ও দুষ্কৃতীদের বিনাশ করার জন্য আমি যুগে যুগে আবির্ভুত হ'ই"-----গীতার এই বাণীর রূপকার শ্রীকৃষ্ণ কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সময়ে তাঁর পরম ভক্ত অর্জুনকে যুদ্ধক্ষেত্রে এই কথা বলেছিলেন। আর তাঁর কথামত বারবার তিনি এসেছেন কিন্তু তাঁর কথামত মানুষ তা বিশ্বাস করেনি। যাই হ'ক, সেই বিষয়ে পরে কোনও একদিন আলোচনা করবো।
যাই হ'ক, পুরুষোত্তম শ্রীকৃষ্ণ তাঁর কথামত তাঁর কথাকে সত্যে পরিণত করার জন্য নবরূপে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র হ'য়ে এসে এবার বললেন, "আগে সাহসী হও, অকপট হও, তবে জানা যাবে, তোমার ধর্মরাজ্যে ঢোকবার অধিকার জন্মেছে।" আর, দুর্বল, ভীরু, কপট, কুসংস্কারাচ্ছন্ন, অজ্ঞ মানুষ আমরা তাঁর "সাহসী হও, অকপট হও" এই বাণীকে অস্বীকার ক'রে, পায়ে দ'লে এই ধর্ম জগতে ঢুকে পড়েছি, দাপাদাপি করছি। যদিও তিনি দয়া ক'রে সুযোগ ক'রে দিয়েছিলেন তাঁর সংস্পর্শে নিজেকে পরিবর্তন করার কিন্তু আমরা তাঁর কথাকে অবহেলায় অবলীলায় মাড়িয়ে চলেছি। তাই আমাদের মত এই ধরনের মানুষের সংখ্যাগরিষ্ঠ উপস্থিতি ধান্দাবাজ ধর্ম ব্যবসায়ীদের মাথার ওপর নিশ্চিন্ত ছাতা হ'য়ে আছে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি বছর ধ'রে; তা যতবারই ঈশ্বর স্বয়ং নিজেই মানুষের রূপ ধ'রে নেবে আসুক না কেন; কিছুই হবে না, এর শেষ পরিণতি ধ্বংস!
 
এই সমস্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মভীরু, লোভী, না ক'রে পাওয়ার মানসিকতাসম্পন্ন মানুষ আমরা ঝোলের লাউ আর অম্বলের কদু! আমরা আবার ধর্মেও আছি, জিরাফেও আছি প্রবাদের মত। আর এর সঙ্গে ধর্ম ব্যবসায়ীদের অক্সিজেন যোগানোর জন্য সবসময় প্রস্তুত ও তৎপর একশ্রেণীর সমাজ কো বদল ডালোর স্বপ্ন বিক্রির ফেরিওয়ালা ও বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়!

তবে, কম হ'লেও সিরিয়াস ফেসবুক ইউজার ও ইউ টিউবার আছে! শুধু খুঁজে নাও তাকে! আসুন সৎসঙ্গী গুরুভাইবোন সত্যকে জানি, খুঁজি! সূর্য পূর্ব দিকে হেলে পড়ছে ও পড়েছে। সময় চলে যাচ্ছে। সময় কারও জন্য অপেক্ষা করে না এটা সকলেরই জানা। সময় চলে গেলে, জীবন চলে গেলে আর সুযোগ পাবো না ঠাকুরকে জানার, নিজেকে জানার ও কিছু করার।

জীবন খুব অল্প কয়েকদিনের জন্য! যত দাপাদাপি কৈশোর পার হ'য়ে যৌবনে পা দেওয়া থেকে শুরু ক'রে প্রৌঢ়ত্বের দ্বোরগোড়ায় যাওয়া পর্যন্ত। তারপর সব শান্ত, স্তিমিত। তবে ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে। প্রৌঢ়ত্বে ও বার্ধ্যকেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এমন জনেদেরও সত্যকে জানার ইচ্ছা নেই; কেন? কেন নেই? কেন আমরা এত উদাসীন!? কিসের অহংকার? কিসের অহংকারে রাজনীতি ও ধর্মের ময়দানে অসত্য ও মিথ্যাকে আঁকড়ে ধ'রে ছুটে বেড়াচ্ছি আমরা!? এত জোরে ছুটছি যে একবারও ভাবছি না যে বয়স হয়েছে, সূর্য পাটে যেতে বসেছে, কাল সকালে চোখ খুললে ইহকাল আর না খুললে পরকাল। এখনও রিপুরা গলায় বকলেশ পড়িয়ে কুত্তার মত টেনে হিঁচড়ে নিয়ে চলেছে গন্তব্যহীন পথে। কিসের এত ইগো আমাদের!? কেন আমাদের সত্যকে জানার ইচ্ছা নেই!? আমি যদি ভুল জানি, অসত্য পথে চলি তাহ'লে আমার ছেলে, আমার মেয়ে, আমার পরবর্তী প্রজন্ম, ভবিষ্যত প্রজন্ম আরও বেশি আগামী দিনে ভুল জানবে, ভুল করবে, অসত্য পথে চলবে! এ কথা অসত্য, মিথ্যা? আমি অন্যকে না জানি ঠিক আছে আমি নিজেকে কি জানি না? আমার নিজের জীবনের অতীত দিনগুলোর কথা, আমার যৌবনের উচশৃঙ্খল বিশৃঙ্খল ভাবে চলা, ভুল পথে চলাগুলি কি ভুলে গেছি? মনে পড়ে না একবারও? নিজের জীবনের ওপর দিয়ে যা কিছু ভুল, যা কিছু উচ্ছৃঙ্খল বিশৃঙ্খল দিনগুলি চলে গেছে সেটা মনে থাকা সত্ত্বেও পরোক্ষভাবে আমি কেন আমার সন্তানের জীবনের ক্ষেত্রে শয়তানের এজেন্ট হবো!? কেন আমি আমার জীবনের ভুলগুলি থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকবো? কেন আমি সেখান থেকে শিক্ষা নেবো না? এত তাড়াতাড়ি আমি ভুলে যাই কি ক'রে নিজের ভুলে আমার যৌবনের, আমার আদর্শহীন জীবনের কষ্টকর বিগত দিনগুলির কথা? সেদিন আমার ধ্বংসের, আমার অধঃপতনের সাথী ছিল সবাই কিন্তু চরম কষ্টের দিনগুলিতে কেউ দাঁড়ায়নি পাশে, বাড়িয়ে দেয়নি কেউ হাত, আর কেউ হাত বাড়িয়ে দিলেও অকৃতজ্ঞের মত ভুলে গেছি তাঁদের দয়ার, সাহায্যের সে কথা, ফলে দুর্ভোগ আর দুর্দিন হয়েছিল চিরসাথী।
তাই, আমাদের মনে রাখতে হবে নিজের দোষে নিজের সন্তানের মধ্যে ভবিষ্যতে নিজের ছায়া দেখে যেন চমকে উঠতে না হয়, আফশোস করতে না হয় সন্তানের ভবিষ্যত আদর্শহীন জীবনের দুর্দশা দেখে। আসুন, আলোর দিকে ঘুরে দাঁড়ান! আলোর দিকে মুখ তুলে তাকান। আলোকে পিছনে রেখে অহেতুক অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে অন্ধকার অন্ধকার ব'লে চীৎকার করবেন না, হতাশা, অবসাদের ঢাক পেটাবেন না। অন্ধকার আপনার অন্তরে, বুকের গভীরে, মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে বসে আছে ধান্দাবাজিদের দিয়ে, শয়তানকে দিয়ে আপনাকে পিছন থেকে ছুরি মারার কাজে সহায়তা করার জন্য। The Greatest phenomenon of the world, বিশ্বের সর্ব্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময় SriSriThakur Anukulchandra তাঁর সত্যানুসরণ গ্রন্থে ২০বছর বয়সেই ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে বললেন, "তোমাকে ভুলে আর তোমার জ্যোতির দিকে পিছন ফিরে 'অন্ধকার' 'অন্ধকার' ব'লে চিৎকার করবো না।" আসুন সৎসঙ্গী ভাইবোন, সত্য সন্ধানী ও অনুসন্ধিৎসু উদার সিরিয়াস মনোভাবাপন্ন ইগোমুক্ত সহজ সরল মানুষ হ'য়ে নিজের জীবনকে উদাহরণ ক'রে তুলি এবং ফেসবুক ও ইউ টিউব প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগাই। আমরা সৎসঙ্গীরা কেন ভেবে দেখবো না? কেন সৎসঙ্গীরা ফেসবুক ও ইউ টিউবকে হাতিয়ার ক'রে সিরিয়াস মনোভাব নিয়ে শ্রীশ্রীঠাকুরের দেখানো পথে মানুষকে বাঁচা ও বাড়ার পথ দেখাবো না? কেন মানুষকে কুসংস্কার মুক্ত ক'রে তুলবো না? কেন মানুষকে কর্ম মুখর ধর্মের কথা বলবো না? কেন মানুষকে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ক'রে তুলবো না? কেন মানুষকে ধর্মের প্রকৃত অর্থ বোঝাবো না? কেন মানুষকে ঈশ্বরের অস্তিত্ব কোথায় তা তুলে ধরবো না? কেন আমি জন্মেছি, কেন তুমি জন্মেছো, কেন ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন মোটাভাবেও কি নিজে ভেবে দেখবো না ও অন্যকে ভেবে দেখতে বলবো না? আমরা কি নিজেরা ভেবে দেখেছি বা ভেবে দেখতে বলেছি সৎসঙ্গী গুরুভাইবোন একে অপরকে? আমরা নিজেরা মানসিকভাবে সবল? আমরা কি কুসংস্কার মুক্ত? আমরা কি সৎসঙ্গীরা ধর্ম্মের নামে, ঈশ্বরের নামে হাতে তাবিজ, গলায় মাদুলি, আঙ্গুলে আংটি, পাথর, কব্জিতে লাল সুতো, ললাটে সিঁদুর, চন্দন, ছাই লেপন, কোমরে কালো সুতো ও লোহা বাঁধা, বাবাজী, মাতাজী, জ্যোতিষী, শনি, রাহু, কেতু, তুকতাক, আগুন, ধূপধুনো, ঝাড়ফুঁক, ফুসমন্তর, জলপড়া, তেলপড়া, ভড় হওয়া, ম্যাজিক, ভোজবাজী, বোবা ভগবান, আকাশের ভগবান, মাটির ভগবান, অমূর্ত ভগবান আরাধনা ও ধর্মের নামে, ঈশ্বরের নামে প্রকাশ্যে নিষ্ঠুর নির্ম্মম অমানবিক ও পাশবিক জীব বলি ইত্যাদি ইত্যাদি নানারকম যুক্তিবিহীন, বিজ্ঞান হীন অযৌক্তিক ধর্ম্ম পালন ও ঈশ্বর আরাধনা থেকে কি সৎসঙ্গীরা মুক্ত? বিশ্বের সমস্ত বিস্মের বিস্ময় সর্ব্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময় ও বিস্ময়কর পুরুষ, অভূতপূর্ব সর্ব্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী ও বিজ্ঞানী শ্রীশ্রীঠাকুর কি দূর্বল, ভীরু, কুসঙ্কারাছন্ন, আত্মবিশ্বাসহীন, অযৌক্তিক, অবৈজ্ঞানিক কথাবার্তা, চালচলন, আচার আচরণ, চিন্তাভাবনা, কাজেকর্মে বিশ্বাসী সীমাহীন ভাঙ্গাচোরা এমন সৎসঙ্গী চেয়েছিলেন? আমরা কোনওদিনই ভেবে দেখবো না? আমরা কোনওদিনই কি কুসংস্কারমুক্ত, আত্মবিশ্বাসে ভরপুর, আত্মনির্ভর, কর্মমুখর, প্রাণচঞ্চল, দৃঢ়, মজবুত, ঈশ্বরবিশ্বাসী বিজ্ঞানমনস্ক সৎসঙ্গী হ'তে পারবো না? মানবজাতীর অবনতি কোথা থেকে শুরু হয়েছে তা'তো শ্রীশ্রীঠাকুর ব'লে দিয়ে গেছেন তাহ'লে আমাদের অসুবিধা কোথায় এই সর্ব্বনাশা অবনতিকে ঠেকিয়ে আরও সর্ব্বনাশ হওয়ার হাত থেকে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে বাঁচাতে? আসুন ভেবে দেখি একবার আর নিজের বিবেকের আয়নায় নিজেদের একবার দেখি।
 

No comments:

Post a Comment