Powered By Blogger

Thursday, May 16, 2024

প্রশ্নের উত্তরঃ "বাবা আই = বাবাই"

বিশ্বজিৎ এর বিশ্বরূপ দর্শন ও বিশ্বজয়!! (৫) আর্টিকেলে শ্রীশ্রীবাবাইদাদা সম্পর্কে আমার জানা একটা তথ্য পরিবেষণ করেছিলাম। সেখানে একজন ইষ্টপ্রাণ গুরুভ্রাতা শ্রীশ্রীবাবাইদাদার সম্পর্কে ঐ রকম তথ্য পরিবেষণের কারণে তার তীব্র আপত্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। আমার জানা বিষয়ে ভুল থাকতেই পারে। কোনও তথ্য সম্পর্কে কারও আপত্তি থাকতেই পারে কিন্তু সেই আপত্তি যেন তথ্য পরিবেশকের প্রতি রাগ, ঘৃণা, তাচ্ছিল্য, অপমানে পর্যবসিত না হয়। আর অবশ্যই যেন আপত্তির পক্ষে বলিষ্ঠ যুক্তিপূর্ণ মতবাদ থাকে। আর আমরা কেন কোনও তথ্য সম্পর্কে সন্দেহ থাকলে জানার মনোভাব নিয়ে মত বিনিময় করি না? অহং মত্ততাই বিনাশের কারণ।

যাই হ'ক এখানে প্রথমে আমি ঐ পাঠকের (Debangshu Sharma) মন্তব্যটা তুলে দিলাম। পরে পাঠকের এই মন্তব্যের উত্তরে আমার ঐ তথ্য সম্পর্কে বিশ্লেষণ মূলক যে উত্তর আমি দিয়েছিলাম তা' আমি আমার সমস্ত বন্ধুদের জন্য এখানে তুলে দিলাম।

* Debangshu Sharma. দাদা জয়গুরু জানবেন। পূজ্যপাদ বাবাইদাদার নামের এরকম funny পরিবেষন আগে শুনিনি। পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রী বড়দা বেশির ভাগ কথা বাঙলাতেই বলতেন হঠাৎ বাবা আই এটা তো হিন্দীর মত শোনায়। পৃ বাবাইদাদার জন্ম 1968 সালে এবং পরমদয়াল তখনও নরলীলা করছেন পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা তখন বলছেন বাবা অর্থাৎ পরমদয়াল আই মানে এসেছেন। বাঃ । যুক্তি ছন্নছাড়া। পরমদয়াল বলেছেন যদি আমরা তাঁর কথামতো চলি তবে দশ হাজার বছর তাঁর আসা লাগবে না____এর পর বাবা আই। দাদা এই সৎসঙ্গ পরমদয়ালের সাধের এখানে আমরা তাঁকে মাথায় নিয়ে জীবনবৃদ্ধির সাধনা করি দয়া করে অন্যের কাছে উপহাসাস্পদ করে তুলবেন না।

* Prakash Biswas. আপনিও আমার 'জয়গুরু জানবেন'। আপনি লিখেছেন বাবাইদাদার নামের এরকম funny পরিবেষণ আগে শোনেননি। তার মানে শ্রীশ্রীবড়দা সম্পর্কে অনেক কিছুই শুনেছেন আর অনেক কিছুই জানেন। আচ্ছা আপনি শ্রীশ্রীবড়দার খুব ঘনিষ্ট তাই না? বড়দার সঙ্গে সবসময় থাকতেন ঘরে বাইরে? বড়দা কখন কোথায় কি বলতেন সব আপনি বড়দার সঙ্গে থেকে থেকে শুনতেন? আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আপনি শ্রীশ্রীবড়দার ছায়া সঙ্গী ছিলেন। ধরেই নিলাম আপনি বড়দার ছায়া সঙ্গী ছিলেন তাহ'লে এটা নিশ্চয়ই জানেন আপনার কথানুযায়ী “শ্রীশ্রীবড়দা বেশীরভাগ সময়ই বাংলা ভাষায় কথা বলতেন” তাহ'লে আমার জিজ্ঞাস্য----- যেহেতু আপনি ‘বেশীরভাগ’ শব্দটা ব্যবহার করেছেন----- শ্রীশ্রীবড়দা বেশীরভাগ বাংলা বললেও কমভাগ তাহ'লে অন্য ভাষায় কথা বলতেন, তাই তো? তা সেই বেশীরভাগ বাংলা ছাড়া কমভাগ কোন ভাষায় কথা বলতেন তা আপনার জানা আছে নিশ্চয়ই? কি তাই তো? নিশ্চয়ই হিন্দিতে বলতেন না; তাই না? তা’হ’লে কি কোনও গ্রাম্য আঞ্চলিক ভাষায় কমভাগ কথা বলতেন? আর “বড়দা বেশীরভাগ বাংলায় কথা বলতেন'” কথাটা কি মানানসই হ'লো? শ্রীশ্রীবড়দা তো বাঙালি ছিলেন নাকি? তা' বাংলায় কথা বলবেন এতে আর বিতর্ক কোথায়? বেশীরভাগ কেন বলছেন ? সব সময় বাংলায় বলতেন এটা কেন বলছেন না? বাংলায় কথা বলতেন এটা তো understood!? 'বাবা আই' কথাটা হিন্দির মত শুনতে বলেই আর বড়দা বাংলা বলতেন বলেই এই 'বাবা আই' কথাটা বলা তাঁর পক্ষে অসম্ভব; তাই তো? আপনার এই কথাটা তাহ'লে খুব যুক্তিপূর্ণ? আপনার কথামত শ্রীশ্রীবাবাইদাদা ১৯৬৮তে জন্মেছেন তাহ'লে তখন পর্যন্ত কতবছর শ্রীশ্রীবড়দা দেওঘরে অবস্থান করছেন আর দেওঘর তখন বিহার বর্তমানে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের মধ্যে পড়ছে আর ওখানকার ভাষা কি ছিল? আমার যদি ভুল না হয় বাবাইদাদার জন্ম সময় পর্যন্ত বড়দার দেওঘরের বুকে অবস্থানের সময় ২২বছর আর দেওঘরের সরকারী ভাষা ছিল হিন্দি আর ইংরাজি। এই দীর্ঘ ২২বছরে বড়দার মুখ দিয়ে একটা হিন্দি শব্দ (আপনার কথা অনুযায়ী হিন্দি শব্দ, অন্য কোনও আঞ্চলিক ভাষা হ’তে পারে) বেরিয়ে আসা কি খুবই আশ্চর্য্যের? আর বড়দা কি কখনো হিন্দি বলেননি? তাহ’লে আপনার যুক্তি অনুযায়ী ‘কমভাগ’ হিন্দি ভাষা প্রয়োগ না হওয়ার কোনও যুক্তিপূর্ণ কারণ আছে কি?

আপনি লিখেছেন শ্রীশ্রীবাবাইদাদা যখন জন্মেছেন তখনও পরমদয়াল নরলীলা করছেন আর এই সময় শ্রীশ্রীবড়দার বলা 'বাবা আই' অর্থাৎ বাবা এসেছেন কথাটা অযৌক্তিক ও ছন্নছাড়া তাই তো দেবাংশুবাবু? আচ্ছা দেবাংশুবাবু আজ আপনি যে বাবাইদাদাকে দেখছেন সেই বাবাইদাদার সঙ্গে ঠাকুরের কোনও সাদৃশ্য খুঁজে পান? খুব মোটাভাবে বলি ঠাকুরের মুখের সঙ্গে বাবাইদাদার মুখের আশ্চর্য মিল আর কারও মধ্যে খুঁজে পান? আজকের এই আশ্চর্য মুখের মিল কি সেদিন সেই ছোট্ট শিশুর মুখের মধ্যে আর কেউ খুঁজে পেয়েছিল? পেয়েছিল কিনা জানি না। শ্রীশ্রীবড়দা পেয়েছিলেন। আপনি লিখেছেন "পরমদয়াল বলেছেন, যদি আমরা তাঁর কথামতো চলি তবে দশ হাজার বছর তাঁর আসা লাগবে না____এর পর বাবা আই"? এই কথা ঠাকুর কোথায় বলেছেন তা’ আমার জানা নেই। তিনি আর আগামী দশ হাজার বছরের মধ্যে আসবেন না এমন সরাসরি নিজের সম্পর্কে কথা নিজে বলেছেন তা আমার জানা নাই থাকতে পারে। কারণ এত বিশাল তাঁর সাহিত্য ভান্ডার তার কোথাও হয়তো মটকা মেরে পড়ে আছে এই অমোঘ বাণী যা আমার নজরে পড়েনি । না পড়াই স্বাভাবিক। তাই আমি আপনার এই কথার বিরোধিতা করবো না। তবে যেটা আমি জানি, যেটা আমি লিখেছি আমার ঐ লেখায়, সেটা বলি, ঠাকুর বলেছেন, "যা দিয়ে গেলাম আগামী দশ হাজার বছর আর কিছু লাগবে না"। সেটাকে আমরা ঘুরিয়ে অন্তর্নিহিত অর্থ ক’রে নিই যে অর্থাৎ তিনি আর আগামী দশ হাজার বছর আসবেন না। কেন? কারণ কি? এখন ঘোর কলির যুগ চলছে। এই যুগ পরিবর্তন হ'য়ে প্রবেশ করবে আর একটা যুগে অর্থাৎ সত্য যুগে। অর্থাৎ যুগ পরিবর্তনের একটা নীল নকশা চাই। এই যে পরিবর্তন তার সূচনা শুরু হ'য়ে গেছে ঠাকুরের আবির্ভাবের মধ্যে দিয়ে অর্থাৎ ঠাকুরের ব'লে যাওয়া জন্ম বিজ্ঞান ও জীবন বিজ্ঞান অর্থাৎ বেঁচে থাকা ও বেড়ে ওঠার যে বিজ্ঞান সেই বিশেষ জ্ঞানের মধ্যে দিয়ে। এই জন্ম বিজ্ঞান ও জীবন বিজ্ঞানের যে নীল নকশা ঠাকুর দিয়ে গেছেন এর পরে আর কিছু লাগবে না আগামী দশ হাজার বছর। কিন্তু যেটা লাগবে সেটা হ'ল এই, যে Transitional period-এ আমরা দাঁড়িয়ে আছি এখান থেকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য, এই ঘোর কলি যুগ থেকে সত্য যুগে মানবজাতি তথা গোটা সৃষ্টিকে প্রবেশ করানোর জন্য লাগবে শুধু মহান নেতৃত্ব। আর এই নেতৃত্বটাই দেবেন ঠাকুর স্বয়ং। আর তা’ তাঁর কথামত রেতঃ শরীরে সুপ্ত থেকেই তিনি নেতৃত্ব দেবেন। যেমন তিনি থাকাকালীন শ্রীশ্রীবড়দার মধ্যে সুপ্ত ছিলেন, যেমন এখন আছেন শ্রীশ্রীদাদার মধ্যে, আগামীতে শ্রীশ্রীবাবাইদাদার মধ্যে সুপ্ত থেকে তিনি দেবেন সেই মহান নেতৃত্ব। রেতঃ শরীরে তিনি যে সুপ্ত থাকবেন আর ঠিক সময়েই আত্মপ্রকাশ করবেন তার জন্য চাই উপযুক্ত শ্রেষ্ঠ আধার। আর সেই ভয়ংকর তেজের আধারকেই দেখতে পেয়েছিলেন এ যুগের পরমভক্ত হনূমান ঠাকুরের কুকুর জগন্নাথের সেই চকা আঁখির দৃষ্টির অধিকারী শ্রীশ্রীবড়দা তাঁর তৃতীয় এবং ঠাকুরের চতুর্থ পুরুষ সেই ছোট্ট শিশুর মুখের মধ্যে আর তাই তিনি সেই মুখ দর্শন করেই আনন্দের আতিশয্যে চকিতে বলে ফেলেছিলেন,"বাবা আই" অর্থাৎ বাবা এসেছে।

এই যে ছোট্ট শিশুর মুখের মধ্যে শ্রীশ্রীবড়দা তাঁর প্রিয়পরমের মুখাবয়ব দেখতে পেয়ে আনন্দে ব’লে ফেলেছিলেন ‘বাবা আই’ যা আজও দেওঘরের আকাশে বাতাসে ভেসে বেড়ায় আমার এই অকৃত্রিম সহজ সরল লেখার মধ্যে আপনি ছন্নছাড়া যুক্তি দেখতে পেলেন, দেখতে পেলেন Funny পরিবেষণ ও উপহাসের বস্তু কিন্তু দুর্ভাগ্য দেখতে পেলেন না সেই Transitional period- এর Transcendental condition কে। দেখতে পেলেন না ঠাকুরের প্রতি শ্রীশ্রীবড়দার অকৃত্রিম ভালোবাসার তীব্র অনুভূতির বহির্প্রকাশ। দেখতে পেলেন না পিতার প্রতি সন্তানের ভালোবাসার অন্তহীন আকুলতা, দেখতে পেলেন না স্রষ্টার প্রতি সৃষ্টির নাড়ীর অন্তঃসলিলা টানের তীব্র কম্পন। দেখতে পেলেন না পিতাকে কোনোদিনই না হারানোর আকুল ব্যথা, দেখতে পেলেন না সন্তানের বুকের মধ্যে পিতার জন্য জমে থাকা ভালোবাসার পাহাড়, দেখতে পেলেন না ভগবানের জন্য ভক্তের কপোল বেয়ে গড়িয়ে পড়া বিয়োগ ব্যথার প্রেমাশ্রু। ঠাকুরকে বা ঠাকুর সম্পর্কে কোনও কথা বলার সময় সর্বসমক্ষে শ্রীশ্রীবড়দা কোনোদিনই বাবা বলেননি; বলতেন, ঠাকুর আর সেই ঠাকুর সম্পর্কে শ্রীশ্রীবড়দার বোধ কতটা গভীর, কতটা তীব্র, কতটা মর্মবিদারক, কতটা প্রশ্নশূন্য সেটা ঠাকুরের তিরোধানের পর তাঁর রচিত ‘তোমার রঙ্গে হৃদয় আমার রাঙা............” গানটার মধ্যে অনুভূত হয়। সেই গানটা এতটাই মর্মস্পর্শী, এতটাই হৃদয় বিদারক যে এই গানটা যে কেউ গাইতে পারে না, যার তার জন্য নয়। অনুভূতির উচ্চ মার্গে যে পৌছোয়নি তার পক্ষে এই গান গাওয়া সম্ভব নয় আর তাই এই জন্যই এখন আর এই গান সম্ভবত সৎসঙ্গে গাওয়া হয় না। আপনি জানেন কিনা জানি না, ধরে নিচ্ছি হয়তো জানেন হনুমানের রামের বিয়োগ ব্যথার কথা। প্রভু রামই যে শ্রীকৃষ্ণ সেটা ভক্তপ্রবর শ্রীশ্রীহনূমান জানতেন। হনূমানজী বলেছিলেন, “শ্রীনাথে জানকীনাথে অভেদঃ পরমাত্মনি। তথাপি মম সর্বস্বঃ রামঃ কমললোচনঃ”। তাই রামের প্রতি তাঁর তীব্র টান শ্রীকৃষ্ণকে বাধ্য করেছিল রাম রূপে দর্শন দানে। হনুমানের সেই মিলনের তীব্র টান, সেই সুরত কে বুঝবে দাদা? আপনি না আমি? তাই সেই টানের আচমকা এক হ্যাঁচকা টানে ছোট্ট শিশুর মুখে আজকের ঠাকুর ভক্ত হনূমান শ্রীশ্রীবড়দা দেখতে পেয়েছিলেন বাবার মুখাবয়ব!!! আর তাই হঠাৎ চকিতে বলে উঠেছিলেন, “বাবা আই”। এখানে শ্রীশ্রীবড়দার মধ্যে তাৎক্ষণিক ভগ্নাংশ ঘটিত সময়ের ব্যবধানে পরিস্থিতি পরিবেশ অনুযায়ী মনোভাবের প্রকাশ ঘটেছিল। তখন সেই সময় মুখের ভঙ্গী কেমন হবে , শরীর কি ভাষায় কথা বলবে, মুখের ভাষায় বা তখন কি হবে , গলার স্বরের মাত্রা কতটা উচ্চ বা নিম্নগ্রামে বাঁধা থাকবে সবটাই তাৎক্ষণিক ঘটনার ঘনঘটার উপর নির্ভর করে। দাদা এমন কোনও পরিস্থিতির কখনো সম্মুখীন হয়েছেন? আচমকা প্রতিক্রিয়া কখনো ভেবে চিনতে হয়না, যুক্তির ধার ধারে না। সেখানেও যারা যুক্তি খোঁজে সেই যুক্তিই ছন্নছাড়া আরও ভালোভাবে বললে ভালো হয় লক্ষ্মীছাড়া।
আচ্ছা দেবাংশুবাবু আপনি কোনওদিন শোনেননি আপনার পরিবারের মধ্যে বা অন্য কোথাও ‘অমুকে একেবারে অমুকের মত দেখতে হয়েছে’? অমুক এসেছে? মানুষের মনের মধ্যে যখন কোনও কারণে চূড়ান্ত আনন্দ হয় তখন সেই আনন্দের অভিব্যক্তি কিভাবে প্রকাশ পাবে তাৎক্ষণিক সেই মুহূর্তের পরিস্থিতি ও পরিবেশের ঘটনাবলির উপর নির্ভর করে।

আপনি লিখেছেন সৎসঙ্গ পরমদয়ালের সাধের। এখানে আপনারা ঠাকুরকে মাথায় নিয়ে জীবনবৃদ্ধির সাধনা করেন তাই অনুরোধ করেছেন দয়া করে যেন সৎসঙ্গকে অন্যের কাছে উপহাসাস্পদ ক’রে না তুলি। আপনার কাছে বাবাইদাদা সম্পর্কে করা আমার উক্তি উপহাস ব’লে মনে হয়েছে। আপনি বাবাইদাদাকে এত ভালোবাসেন যে আমার এই কথায় আপনার এতটা গাত্রদাহ হ’লো? এতটা উত্তেজিত হ’য়ে পড়লেন যে ‘Funny, ছন্নছাড়া, উপহাস ইত্যাদি নানা বিশেষণ সহযোগে আক্রমণে নেবে পড়লেন? আপনি ইংরেজিতে funny শব্দ ব্যবহার করেছেন। Funny-র অনেক মানে হয়। ‘ছন্নছাড়া , উপহাস’ ইত্যাদির মত Funny-র বদলে বাংলা শব্দ লিখলে আমার বুঝতে সুবিধে হ’তো আপনি কতটা নীচে নেবেছেন উত্তেজিত হ’য়ে। আমি বাবাইদাদা সম্পর্কে কোনও অসম্মানজনক কটূক্তি করেছিলাম কি যে পুরো লেখার মধ্যে কোনও পজিটিভ কিছুই পেলেন না, পেলেন একেবারে তীব্র নেগেটিভ? আর গায়ের ঝাল মিটিয়ে নিলেন মন ভরে। শ্রীশ্রীঠাকু্র, শ্রীশ্রীবড়দা ও শ্রীশ্রীবাবাইদাদার জন্য আপনার প্রেম এত গভীর , এত তীব্র , ঠাকুরকে মাথায় নিয়ে সৎনামের পাল মাথায় তুলে দিয়ে সৎসঙ্গের ছত্রছায়ায় জীবনবৃদ্ধির সাধনা এতটাই গতিময় হ’য়ে উঠেছে যে অনুভূতি ও উপলব্ধির উচ্চ চূড়ায় ব’সে নিম্নের সব কিছু শশ্মান ব’লে মনে হচ্ছে , বোধ হচ্ছে সবেতেই ঘোর কালো অন্ধকার। হ্যাটস অফ আপনাকে জীবনবৃদ্ধির সাধকপুরুষ! প্রিয়জনের প্রিয়র বর্ণনা ও প্রশংসায় যার গাত্রদাহ হয় সেখানে স্বাভাবিকভাবেই সন্দেহ জাগে প্রিয়কে ভালোবাসার নয়তো প্রিয় সাধনার সম্মন্ধে।
শেষ।
( লেখা ১৭ইমে, ২০১৭)

No comments:

Post a Comment