মনে জাগে এর জন্যে কি ভোট দায়ী? তাহ'লে আগাম কেন ব্যবস্থা নেওয়া হ'লো না? কেন আগের থেকে কেন্দ্রীয় প্রশাসন, রাজ্য প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, দেশের বা রাজ্যের চিকিৎসক মহল, বিচার ব্যবস্থা কেউ না কেউ বা সবাই মিলে দূরদৃষ্টি দিয়ে গম্ভীর মারণ বিষয়কে গম্ভীরভাবে পর্যালোচনা করলো না!? আর এরকম কঠিন জটিল অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আপদ্ধর্ম হিসেবে যদি ভোট না ক'রে রাষ্টপতি শাসন জারি করা হ'তো তাহ'লে কি ভুল হ'তো? পরিস্থিতি স্বাভাবিক হ'য়ে এলে পরে রাষ্টপতি বা তদারকি সরকারের মাধ্যমে ভোট করা যেত। অবশ্য হাওয়া ব'লেও একটা কথা আছে। দেশের জনগণের প্রানের চেয়ে কি ভোট বেশী গুরুত্বপূর্ণ? হাওয়ার মূল্য বেশী? তবুও মনে হয় রাষ্টপতি বা তদারকি সরকারের মাধ্যমে করোনা মুক্ত পরবর্তী নিরাপদ সময়ে নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় সরকারের বিগত বছরগুলির সাফল্য ও ব্যর্থতার উপর দাঁড়িয়ে পুংখানুপুংখ বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভোট যজ্ঞ সম্পন্ন করা যেত এবং জনগণকেও যুগোপযোগী পরিণত মানসিকতা অর্জন ও প্রকাশ করার সময় ও সুযোগ দেওয়া যেত। আজ দেশের হাইকোর্ট ও সর্বোচ্চ আদালত যে রায় দিচ্ছে সেই রায় কি তারা ভোটের পূর্বে আগাম সতর্কতা হিসেবে দিতে পারতো না? আজ তাদের চোখ খুললো? আজ যে কথা বলছে আদালত সেই কথা বা সেই পরামর্শ কি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর প্রধানমন্ত্রীকে দিতে পারতো না? তাহ'লে কি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে হাইকোর্ট বা সুপ্রীম কোর্টের মত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন পরামর্শ দাতার অভাব!? তাহ'লে সরকার চালানোর ক্ষেত্রে দেশের কঠিন পরিস্থিতিতে পরামর্শ দাতা হিসেবে সুপ্রীমকোর্টের অংশগ্রহণ সংবিধানে সংযুক্ত করা হ'ক। যে ভারত ২০২০ সালে গোটা বিশ্বকে পথ দেখিয়েছিল, করোনা মুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছিল, বিভিন্ন দেশকে করোনার ভ্যাক্সিন সরবরাহ করেছিল সেই দেশ ভারতকে আজ এই অল্প সময়ের ব্যবধানে বিশ্বের অন্যান্য দেশ এমনকি ছোট দেশ বাংলাদেশও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। গোটা বিশ্বের কাছে আজ ভারতের মাথা হেট করে দিল! বাচ্চা ছেলের মত আজ আচরণ করলো ভারত! ভারতের নেতৃবৃন্দ আজ প্রমাণ ক'রে দিল তারা আজ কতটা ক্ষমতালোভী, মানুষের জীবনের চেয়ে ক্ষমতা অনেকবেশি দামী! সমস্ত দলের নেতৃবৃন্দ আজ প্রমাণ করলো তাদের দূরদৃষ্টি কতটা ঠুনকো, কতটা অগভীর, কতটা দূর্বল, কতটা ভাঙাচোরা জীবনের অধিকারী তারা। তারা সবাই মিলে প্রমান দিলো, দি হোল থিং ইজ দ্যাটস আ মায়া সবসে বড়া রুপাইয়া নেহী, সবসে বড়া ক্ষমতা!!!!!!!
( রচনা ১লা মা, ২০২১ )
( রচনা ১লা মা, ২০২১ )
No comments:
Post a Comment