Powered By Blogger

Sunday, May 12, 2024

প্রবি সমাচার ১৩

"হুগলির দাউদ ইব্রাহিম' হুব্বা শ্যামলের জীবন এবার পর্দায় নিয়ে আসছেন ব্রাত্য বসু! গ্যাংস্টার হুব্বা শ্যামলের ভূমিকায় অভিনয় করতে চলেছেন বাংলাদেশের অভিনেতা মোশারফ করিম।"
এইটা সংবাদপত্রের হেডিং, আমার নয়।
খবরটা কি সত্যি!? হুব্বা শ্যামলরাও তাহ'লে চলচিত্রের বিষয় হ'তে পারে!? হয়তো পারে। ব্রাত্য বসুর মতন স্বনামধন্য নাট্যকার, পরিচালক, অভিনেতা যখন হুব্বা শ্যামলকে নিয়ে ছবি করার কথা ভেবেছেন তাহ'লে তখন নিশ্চয়ই হুব্বা শ্যামলের মধ্যে কিছু আছে তা নাহ'লে হুব্বাকে নিয়ে কেউ ভাবতে যাবে কেন তাও আবার ব্রাত্য বসুর মত সেন্সেটিভ শিল্পী মানুষ, মন্ত্রী মানুষ। ব্রাত্য বসু তো আর হুব্বা শ্যামলের মতো হুব্বা নয়। তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা (?) অভিনেতা ব'লে কথা ব্রাত্য বসু! ব্রাত্য বসু তো আর ব্রাত্য নন সমাজের কাছে।
যাই হ'ক ব্রাত্য বসুর সুবিধার জন্য জানিয়ে রাখি এই হুগলিতে অনেক ডনের আবির্ভাব ঘটেছে হুব্বা শ্যামলের আগে এবং তারা তাদের সময়ের সেরা গ্যাংস্টার। সবার নাম এই মুহূর্তে মনে নেই। অনেকদিন এইসব খবরের কোনও চর্চা নেই টিভি রেডিওতে বা মানুষের মুখে মুখে। হঠাৎ ব্রাত্য বসুর দৌলতে এদের মতো মানুষদের চর্চা আবার সামনের সারিতে চলে এলো! তাই যে কটা নাম এইমুহুর্তে মনে পড়ছে ব্রাত্য বসুর জন্য জানিয়ে রাখি। যদি শিল্প সৃষ্টির কোনও কাজে লাগে। হুব্বা শ্যামলের জীবনের সঙ্গে জড়িত বিশেষ কোনও সিচুয়েশনের জন্য কাজে লাগে।
প্রথমে বলি, কোন্নগড়ে হুব্বা শ্যামলের আগে যে ত্রাস ছিল সে টারজান নামে ছিল খ্যাত! কোন্নগড়ের আর এক প্রভাব প্রতিপত্তিশালী ক্ষমতাধর মানুষের নাম রমেশ! কোন্নগড়ের আগের স্টেশন হিন্দমোটরে ছিল নব্বই দশকের ত্রাস নির্মল! এই নির্মলের প্রতিপক্ষ আর এক ভয়াবহ ভয় ছিল নারান সাহা। হিন্দমোটরের আগের ষ্টেশন উত্তরপাড়া। সেই উত্তরপাড়ার গড ফাদার ছিল নিমাই নাগ! এমনিভাবে উঠে আসবে একের পর নাম হুগলির ইতিহাসের পাতা থেকে। ব্রাত্য বসুর পক্ষে রসদের অভাব হবে না। শুধু অনুরোধ রইলো তাদের নিয়েও আগামীতে ছবি তৈরি করুন পরিচালক ব্রাত্য বসু। এদের জীবনেও অনেক নাটকীয় ওঠাপড়া আছে। আছে অনেক সুখ দুঃখের গল্প এবং তাদের কারও কারও জীবনেও আছে মূল্যবোধের অনালোকিত ছোঁয়া!!!!
আর এছাড়া টেলিভিশন মিডিয়ার কাছে অনুরোধ মনে হয় এবিপি আনন্দই হবে, আপনাদের সান্ধ্যকালীন যে আলোচনার আসর বসে সেই আলোচনা সভায় অংশগ্রহণকারী বিশিষ্টজনেদের মধ্যে একদিনের অনুষ্ঠানে ব্রাত্য বসুও ছিলেন। সেদিনের সিপিএমের ৩৪বছরের রাজত্বের অবসানের জন্য সান্ধ্য আলোচনা সভায় নাট্যকার ও অভিনেতা হিসেবে পরিচিত ব্রাত্য বসুর (সেদিন কোনও দলের নেতার স্বীকৃতি ছিল না তার) হৃদয় নিংড়ানো অপূর্ব দরদ উত্তোলিত অত্যন্ত স্পর্শকাতর বক্তব্য যদি সেই অনুষ্ঠান আয়োজক আবার তুলে ধরেন অত্যন্ত কৃতজ্ঞ থাকবো। আমি সেই বক্তব্য লিখে রেখেছিলাম কিন্তু আজ সেই লেখা কাগজ খুঁজে পাচ্ছি না প্রয়োজনের সময়! সেই ভাষণ শুনে অত্যন্ত আবেগপ্রবন হ'য়ে পড়েছিলাম। খুব ইচ্ছা হয়েছিল সেদিন ব্রাত্য বসুকে জড়িয়ে ধরার, তার স্পর্শ পাবার। কিন্তু তা আর হ'য়ে ওঠেনি, হ'য়ে ওঠেনি ইচ্ছাপূরণ। যদি কেউ পারেন প্লিজ আমায় দেখাবেন একবার অন্তত একবার! আমি মিলিয়ে দেখে নিতে চাই সেদিনের সেই আলোচনার টেবিলের খোলামেলা সহজ সরল সৎ আদর্শ প্রাণ ব্রাত্য বসুর সঙ্গে আজকের তৃণমূল প্রার্থী ও নেতা-অভিনেতা পরিচালক ব্রাত্য বসুর সঙ্গে!!!!!
কিন্তু আজ মনে হয় ব্রাত্য বসুর সঙ্গে আর এই দেখা হওয়া যেমন সম্ভব নয় ঠিক তেমনি সম্ভব নয় হুগলী জেলার আরও নামী দামী গ্যাংস্টারদের নাম মনে রাখা। একটু কষ্ট করলেই নাম মনে এসে যাবে যদিও কিন্তু এই যাদের নাম আমি এখানে দিলাম তাদের প্রতি একটু ব্রাত্য বাবু সুবিচার করবেন এই অনুরোধ রইলো।
( লেখা ১৩ই মে, ২০২১ )

No comments:

Post a Comment