সব কিছুরই ভারসাম্য বজায় থাকা ও রাখা উচিত। ভারসাম্য নষ্ট হ'লেই প্রকৃতি তার কাজ নিজেই ক'রে নেয়। আর যেখানে বৃত্তি নিয়ন্ত্রণ ব'লে কিছুই নেই, নেই কোনও শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধির সরকারি পরিকাঠামো সেখানে কঠোর ও নির্ম্মম আইন প্রয়োজন ও জরুরী, জরুরী সৃষ্টি রক্ষার স্বার্থেই। কারণ কায়েমীস্বার্থ রক্ষাকারী শক্তি নিজেদের স্বার্থরক্ষা করার জন্য ও মৌরসি পাট্টা কায়েম রাখার জন্য কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধর্ম ব্যবস্থাকে জিইয়ে রাখে অজ্ঞানতার অন্ধকারে ডুবে থাকা জনগোষ্ঠীর জন্মবৃদ্ধির সুড়সুড়িকে হাতিয়ার ক'রে। আর সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজন শিক্ষা ও সচেতন বৃদ্ধির সরকারি পরিকাঠামো গঠনের। তাই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ জরুরি আর তা জরুরি শিক্ষা ও চেতনাকে ভিত্তি ক'রে। আর প্রয়োজন নিখুঁত প্রস্তুতির! এতটুকু ফাঁকও ব্যর্থতা ডেকে আনতে যথেষ্ট। শ্রীশ্রীবড়দার সাবধান বাণী, "একটা ফুটোও ফুটো দশটা ফুটোও ফুটো। জল বেরিয়ে যাবে। দশটা ফুটো দিয়ে তাড়াতাড়ি বেরোবে আর একটা ফুটো দিয়ে ধীরে ধীরে চুঁইয়ে চুঁইয়ে বেরোবে কিন্তু বেরিয়ে যাবে, শেষ হ'য়ে যাবে আজ না হয় কাল!" প্রধানমন্ত্রী চতুর্থ লক ডাউন ঘোষণার সময় সৎসঙ্গের জীবন দর্শন শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণী "BEING & BECOMING, LIVE & GROW WITH ENVIRONMENT, পারিপার্শ্বিকসহ বাঁচা-বাড়া"র আহ্বান জানিয়েছিলেন দেশবাসীর উদ্দেশ্যে। তাই এখানে ইগোর কোনও প্রশ্ন নেই। দেশকে বাঁচাতে হ'লে, দেশের জনগণের সুখ সমৃদ্ধি যদি সত্যি সত্যিই চাই তাহলে সবার সঙ্গে সঙ্গে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের দেওঘর 'সৎসঙ্গ' প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ ও আলোচনা অত্যন্ত জরুরি। দেশের স্বাধীনতার সময় ও দেশভাগের সময়ের প্রথম সারির নেতাদের মত আজকের দেশ নেতৃত্বও যেন ইগোকে ভিত্তি ক'রে সেই একই ভুল না করে। যে ভুল করেছিল তৎকালীন নেতৃত্ব শ্রীশ্রীঠাকুরের দেশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে কোথায় ভুল, কোথায় সংশোধন প্রয়োজন সে সম্পর্কিত সমস্ত পরামর্শকে ও দেশভাগ রোধের সমস্ত সম্ভাবনাকে পরাস্ত ক'রে যুক্তিযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাবকে অস্বীকার ক'রে! ফলতঃ দেশ হয়েছিল ও হ'য়ে আছে আজও লুলা ল্যাংড়া! দেশ নেতৃত্বের সেই ভুল স্বাধীনতার ৭৩ বছর পরেও একচুল সভ্যতার ও উন্নয়নের অগ্রগতির বদলে হাজার বছরের ব্যর্থতাকে অক্টোপাশের মত জড়িয়ে নিয়েছে সর্বাঙ্গে! বর্তমান দেশের কর্ণধারগণ ইগো থেকে সরে এসে সেই ভয়ঙ্কর ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে দশের, দেশের ও বিশ্বের সার্বিক স্বার্থে, দেশের সার্বিক উন্নতির জন্য যেন সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে শ্রীশ্রীঠাকুর দর্শনকে হাতিয়ার করে আর এই হাতিয়ার করার জন্য প্রয়োজন দেশের নেতৃবৃন্দের ঠাকুরের জীবন দর্শন গভীরভাবে অধ্যয়ন ও আচার্য্য সন্নিধানে আলোচনা। নইলে এই প্রচেষ্টারও সলিল সমাধি ঘটবে শয়তানী শক্তির কাছে। বেশ কয়েক বছর আগে স্বর্গীয় সঞ্জয় গান্ধীর প্রচেষ্টাকে এই একই কৌশলে কবরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে ও তাঁর প্রচেষ্টা ও উদ্যোগকে কলঙ্কিত ক'রে; এটা যেন আমরা ভুলে না যায়। যদিও সঞ্জয় গান্ধীর জন্ম নিয়ন্ত্রণ রোধ পদ্ধতিতে সীমাহীন প্রস্তুতির অভাব ছিল, ছিল আঁটঘাঁট বেঁধে পথে নাবার জ্ঞান ও পরিকল্পনার চূড়ান্ত অভাব!!!!! তাই শ্রীশ্রীঠাকুরের জীবন দর্শনকে সামনে রেখে তাঁর সুরে সুরে মিলিয়ে তাঁর মত এককথায় বলতে পারি, হে দেশনেতৃত্ব! BE CONCENTRIC.
( ২৫শে মে'২০২০)
No comments:
Post a Comment