রেমাল ঝড় ধেয়ে আসছে এ খবর আমাদের কাছে ছিল। রবিবার (২৬শে মে' ২০২৪) সন্ধ্যা থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়ার কথা ছিল। রবিবার সকাল থেকে ধীরে ধীরে ঝ'ড়ো বাতাস জোরে ব'য়ে আসছিল। সন্ধ্যে থেকে ৮০-৯০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া ব'য়ে যাবার কথা ছিল। শনিবার থেকে কথা ছিল কিন্তু তেমন কিছু বোঝা যায়নি। তবে, রবিবার সন্ধ্যা থেকে সারারাত বৃষ্টি সাথে হাওয়া ব'য়ে চলেছে। কাল সোমবার আছড়ে পড়বে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে। এখন যেখানে আছি বহুতল বাড়ির ১১তলা ফ্ল্যাটে। সন্ধ্যে থেকে ভেসে গেছে জলে ঘর। আধুনিক ব্যবস্থায় গড়ে ওঠা ফ্ল্যাট বাড়ির জানালার উপরে কোনও সান শেড নেই। ঠুনকো কাঁচের জানালা। খটাখট শব্দে ও ভেঙ্গে পড়ার ভয়ে কান ঝালাপালা ও প্রাণ ওষ্ঠাগত। নেই কোনও গ্রীল। যে কোনও দিন জানালা দিয়ে নীচে পড়ে গিয়ে ঘটে যেতে পারে ভয়ঙ্কর দূর্ঘটনা। সান শেড না থাকার কারণে জলে ভেসে যাচ্ছে ঘর। যারা বাড়িঘর তৈরীর সেই সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা যারা অতি প্রগতির হাওয়ায় ভেসে যাওয়া আধুনিকতার পথ প্রদর্শক তাঁদের প্রণাম। মিউনিসিপ্যাল বা কর্পোরেশনও এমন শেডহীন, গ্রীলহীন, ঠুনকো পাতলা কাঁচের জানালা ইত্যাদি বহুতল বাড়ি করা প্তৈরশ্রীনগুলির অনুমতি প্রদান করে। দুর্গতির মাঝে ব'সে ব'সে ভাবছিলাম অতি প্রগতি দুর্গতি। পড়েছো মোগলের হাতে খানা খেতে হবে একসাথে। আজ সকালে বিরাট বড় এক দূর্ঘটনা থেকে প্রভুর দয়ায় বেঁচে গেছি। বারান্দার দরজা খুলে ব্যালকনিতে গিয়েছিলাম কি একটা কাজে, হঠাৎ প্রবল হাওয়ায় দরজাটা বিকট আওয়াজ দরাম ক'রে বন্ধ হ'য়ে গেল। সামান্য একটু সময়ের হেরফেরে বেঁচে গেল পায়ের আঙ্গুলগুলি থেঁথলে যাওয়ার হাত থেকে। উফ কি ভয়ঙ্কর সেই দৃশ্য! দয়ালের অপার দয়ায় এই ঝড় বাদলে ভয়ঙ্কর বিপদ থেকে বেঁচে গেছি আজ সকালে। এখন এই অন্ধকারে মনে পড়াতে গা শিউড়ে উঠলো শরীরটা। চোখে ঘুম আসছিল না। অনেক কথা মনে আসছিল। মনে আসছিল ভিডিওতে বিভিন্ন জনের নানা প্রশ্নের কথা। তাই একমনে প্রভুর শরণ করছিলাম বাইরের মাতাল প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে কালকের প্রকৃতির ভয়ঙ্কর রোষের কথা আর মানুষের ভাবতে ভাবতে। আর তখনি মনে হ'লো ভিডিওতে গুরুভাইবোনেদের সতর্ক ক'রে দিই ও শরণ ক'রে দিই কয়েকটা কথা।
যাই হ'ক ঝড়, তুফান, বৃষ্টি ইত্যাদি প্রকৃতির রোষ। প্রকৃতিও হয়তো তার ব্যালান্স হারিয়ে ফেলছে, তাই ঘন ঘন ঝড় আয়েলা, আমফান, ফণি, রেনাল ইত্যাদি ইত্যাদি নানা নাম নিয়ে আছড়ে পড়ছে ধরিত্রীর বুকে। আগেও ছোটোবেলায় কালবৈশাখী হ'তো, বর্ষার সময় প্রবল বর্ষা হ'তো কিন্তু এখন আর বর্ষাকাল ব'লে আলাদা কোনও কাল নেই। সারাবছরই সমুদ্রের বুকে ঝড় ওঠে, নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়, আর আছড়ে পড়ে ঘনবসতি এলাকার ওপর। এর আগের ভয়ঙ্কর আয়েলা, আম্ফান ইত্যাদির ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা আমাদের সবার রয়েছে। তবুও সব ভুলে যায় মানুষ। এই কিছুদিন আগেও আমরা করোনার ভয়াবহতা দেখেছি বিশ্বজুড়ে। ভুলে গেছে মানুষ প্রকৃতির সেই বিষাক্ত ছোবলের কথা। সেই ভয়ঙ্কর দিনের কথা। এই প্রকৃতির ভয়াল রোষের হাত থেকে বাঁচাতে পারে না অহঙ্কারী ক্ষমতাবান মানুষ মানুষকে। আর, উচশৃঙ্খল, বিশৃঙ্খল মানুষ নিজেও নিজেকে বাঁচাতে পারে না নিজ কর্মদোষে। প্রকৃতির ওপর হ'য়ে চলেছে বিশ্বজুড়ে উন্নত আধুনিক সভ্যতার সভ্য মানুষের বিরামহীন বলাৎকার। তাই প্রকৃতিও তার সময়মতো প্রতিশোধ নিচ্ছে মানুষের ওপর তার ওপর অন্যায্য অপ্রয়োজনীয় খবরদারী করার কারণে। এই প্রতিশোধ তো শুধু নমুনা মাত্র, বীভৎস, নির্ম্মম, ভয়াল, ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ তো অপেক্ষা করছে আগামী দিনে, যেদিন মনুষ্বত্বের মূল বুনিয়াদই ধ্বংস হ'য়ে যাবে আর পৃথিবী ঘুমিয়ে পড়বে গভীর ঘুমে ভয়াবহ এক অভূতপূর্ব শীতলতায়। সেইদিন কোনও বিজ্ঞান বাঁচাতে পারবে না মানুষকে। কর্মফল মানুষকে ভোগ করতেই হবে। শুধু অপেক্ষা আর অপেক্ষা।
যাই হ'ক, আসুন আজ তো বাঁচি। সৎসঙ্গীরা নাম করুন। বিরামহীন নাম করুন। নামও শব্দ। নামের ভাইব্রেশনে রক্ষা করুন ঝড়ের ভয়াবহতাকে প্রতিহত ক'রে অন্তত নিজেকে ও নিজের পরিবারকে। নিশ্চিত গ্যারান্টি, অকপট হৃদয়ে যদি একমেবাদ্বিতীয়ম প্রভুর দেওয়া বীজ নাম জপ করেন অনবরত, প্রার্থনা করেন তার কাছে পবিত্র হৃদয়ে, নিশ্চিত ভয়াবহতার হাত থেকে ও কোনওরকম ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবেনই পাবেন।তবে একটা শর্ত, তা হ'লো অকপট ও পবিত্র হৃদয়ে নাম করতে হবে, ক্রমাগত নাম করতে হবে। যে করবে সেই যে কোনও ভয়াবহতার হাত থেকে রক্ষা পাবে, পাবে, পাবে।। এ নিশ্চিত গ্যারান্টি। আসুন সম্মিলিত নাম করি ও নিশ্চিত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে সবাইকে রক্ষা করি ও নিজে রক্ষা পাই। এই কথায় মনে পড়ে গেল, শ্রীশ্রীঠাকুর বলেছেন, "অন্যে বাঁচায় নিজে থাকে ধর্ম ব'লে জানিস তাকে।"
যাই হ'ক, এতক্ষণ প্রকৃতির তান্ডব নিয়ে আলোচনা করলাম, এবার আসি মানসিক প্রকৃতির তান্ডব নিয়ে আলোচনায়। দেখে নিই বিভিন্ন জনের আমার ভিডিওতে করা প্রশ্নগুলি নিয়ে।
প্রশ্নঃ বড় দা, প্রফুল্ল দা উনারা উনাদের সম্মানের জায়গায় থাকুক। আমরা সাধারণ সৎসঙ্গি। আমাদের কাছে ঠাকুর ই এক মাত্র স্বার্থ। আপনারা প্রাতিষ্ঠানিক স্বার্থ নিয়ে তর্ক বির্তক ছড়িয়ে কি লাভ। আপনি এসব না বলে ঠাকুর পরিবারের লোকরাই বলুক। তাতে সমাধান ভাল হবে।
উত্তরঃ কেউ কারও সম্মান নষ্ট করতে পারে না। সম্মান নষ্ট হয় নিজের দোষেই। আপনি কাউকে অসম্মান করলে সেটা তার দোষ থাকুক আর না থাকুক সেটা আপনার চরিত্রের দোষ বা গুণের ব্যাপার। যার কোনও দোষ নেই সে সম্মান অসম্মানের কোনওটারই ধার ধারে না। আর যে অন্যায় দেখে, মিথ্যা দেখেও চুপ ক'রে থাকে, নিজেরা তো কিছু বলে না, করে না, উল্টে কেউ প্রশ্ন করলে তাকে চুপ করিয়ে দেয় ভুল নীতি কথা আউড়ে, তারা কিন্তু অন্যায়কারীর চেয়েও ভয়ংকর। ঠাকুর কিন্তু এরকম দূর্বল, ভীরু, কপট সৎসঙ্গী চাননি। ঠাকুর পরিবার কি আমার পরিবার নয়? ঠাকুরবাড়ি কি আমার বাড়ি নয়? ঠাকুর পরিবারের সদস্যরা আমার কেউ হয় না? কেন ঠাকুরবাড়ির লোকেরা বলবে? কেন সৎসঙ্গীরা বলবে না, প্রতিবাদ করবে না? প্রতিবাদ মানে কি গালাগালি, মারামারি? মাথা উঁচু ক'রে বুক টানটান ক'রে অন্যায়কে অন্যায়, মিথ্যাকে মিথ্যা বলা যায় না? এমনই আমরা হিজড়ে সৎসঙ্গী যে বিরোধীরা ৫৫বছর ধ'রে অকথ্য কুকথ্য ভাষায় শ্রীশ্রীবড়দা ও তার পরিবারের ওপর গালাগালি, মিথ্যে অপবাদ সৎসঙ্গে, উৎসবে মঞ্চে, ভিডিওতে প্রকাশ্যে ক'রে চলেছে তখন তা আপনার গায়ে লাগে না? তখন 'আমার গায়ে আঁচ না লাগে ফুরিয়ে যাবে মামলা' দার্শনিকতায় মুখ ঘুরিয়ে চলে যাওয়া, চুপ ক''রে থাকা, দরদে বুকের প্রেম ভালোবাসার বরফ গলে একেবারে ঝরণার জল হ'য়ে অন্যায়কারীর ওপর ঝ'রে পড়া এরকম শ্রীশ্রীঠাকুরের সৎসঙ্গীর পরিচয়? আপনি এই কুৎসা, গালাগালি, অপমান, অশ্রদ্ধার ইতিহাস জানেন? শ্রীশ্রীবড়দার যদি সম্মান হানি হয়, শ্রীশ্রীঠাকুরকে যদি কলঙ্কিত করে তখন একটুও গায়ে লাগে না? আমার সম্মান হানি হয় না? যদি কেউ নিজের সম্মান ধ'রে রাখতে না পারে তা কি অন্যের দোষ? শ্রীশ্রীঠাকুর যদি আপনার একমাত্র স্বার্থ হ'য়ে থাকে সেই স্বার্থটা কি একটু বলবেন? তাঁর সন্তান, তাঁর পরিবার পরিজন আমার স্বার্থ নয়? এমনই আমি শ্রীশ্রীঠাকুরের ভক্ত যে তাঁর স্বার্থ রক্ষা তো দূরের কথা, স্বার্থ প্রতিষ্ঠা তো দূর অস্ত তাঁর স্বার্থটা কি তাই-ই আমি জানি না! শ্রীশ্রীবড়দা ও শ্রদ্ধেয় প্রফুল্লদার সম্মান রক্ষা করার দায় ঠাকুর পরিবারের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে, ঠাকুরবাড়ির ওপর চাপিয়ে দিয়ে মজা দেখছেন? ঠাকুর পরিবারের লোকেদের ব্যাপার ব'লে শ্রীশ্রীঠাকুরের ভালোবাসার লোকেরা, সৎসঙ্গীরা অজুহাত খাঁড়া ক'রে সরে দাঁড়াবে? সেটা অন্যায় ও অশোভনীয় নয়? আপনি সৎসঙ্গী ব'লে নিজেকে পরিচয় দেন? সাধারণ সৎসঙ্গী আর অসাধারণ সৎসঙ্গী ব'লে কোনও কথা হয় না। ঠাকুরবাড়ি কোনওদিন বলেনি আর বলবেও না। সেটা ঠাকুর পরিবারের লোকেদের চরিত্র নয়। নইলে যদি মনে করে বেশীদিন সময় লাগে না অবৈধ মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধে, মানহানির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে। আর ঠাকুর পরিবার কাউকে, কোনও সৎসঙ্গীকেই কিছু বলার সেই শিক্ষা দেয়নি। কারণ ঠাকুর তা চাইতেন না। এটা সৎসঙ্গীদের নিজস্ব ব্যাপার। শালীনতা, ভদ্রতা, সভ্যতা, প্রেম ভালোবাসা বজায় রেখেও কঠোর হওয়া যায়, অন্যায়ের প্রতিবাদ করা যায়। এটাকে বলে ব্যক্তিত্ব। যাই হ'ক, আপনি ঠাকুর সম্পর্কে, ঠাকুর পরিবার সম্পর্কে, ঠাকুর দর্শন, সাহিত্য ভান্ডার সম্বন্ধে কিছুই জানেন না আপনার বক্তব্য তার প্রমাণ। আর সবচেয়ে বড় কথা আপনার বক্তব্য প্রমাণ করে আপনি অন্যায় ও অসত্যের পক্ষে।
প্রশ্নঃ তাহলে একই প্রশ্ন, নতুন মন্ত্র অনুসারে এত ঠাকুর কেন পুজা করেন? গোলমাল তো আপনার কথায়ও আছে। ইষ্টভৃতি শুধু একজনকে, পুজা করছেন বহুজনকে। সেটির উত্তর কি? ( এই প্রশ্নটা প্রশ্নকর্তা করেছেন "পুরোনো ইষ্টভৃতি মন্ত্র ও নোতুন ইষ্টভৃতি মন্ত্র" প্রসঙ্গে করা ভিডিওর ওপরে।
উত্তরঃ ইষ্টভৃতি আর পুজো কি একই জিনিস? একই অর্থ বহন করে? ইষ্টভৃতি কি তা'তো ব্যাখ্যা করেছি। আপনি তা ভালো ক'রে মন দিয়ে শোনেননি তাই এই সমস্যা। আসলে গোলমালটা আমার কথাতে নেই। গোলমালটা আছে আপনার পক্ষপাতিত্য মানসিকতার মধ্যে। পক্ষপাতিত্য থাকলে এরকমটা হয়, একটা অশ্রদ্ধা অন্তরে লুকিয়ে থাকে। বহুজনকে পুজো করার আপত্তির মধ্যে দিয়ে আপনার মধ্যে লুকিয়ে থাকা পক্ষপাতিত্য ও অশ্রদ্ধার মনোভাব পরিষ্কার বোঝা যায়। এটা আপনার সংগ করার ফল। অজ্ঞতার ফল। কারণ আপনি ইষ্টভৃতি আর পুজোকে খিচুড়ি বানিয়ে একাকার ক'রে দিয়েছেন। যাই হ'ক আগে ইষ্টভৃতি ও পুজো এই দুই শব্দের মানে জেনে নিন তারপর না হয় উত্তর দেবো।
প্রশ্নঃ এসব না করে দাদা নাম ধ্যান করুন। আজ বাদে কাল মরে গেলে এসব যাবেনা সঙ্গে কিছুই। নাম করুন।
উত্তরঃ ভালো পরামর্শ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু, নামধ্যান যে করে তার কথা বা পরামর্শের মধ্যে অসঙ্গতি থাকে না। এটা inconsistency of character. মানুষের কথাবার্তা তার নামধ্যানের প্রকৃত পরিচয়। As is his power of observation, so is his power of judgement. Nam & dhyan emerges and is evidenced in his powers of observation and judgment. আপনি মরে যাবার পর কি নিয়ে যাবেন? আপনি যারা সমস্যা তৈরী করেছে, যারা ৫৫ বছর ধ'রে কুৎসা, সমালোচনা ক'রে চলেছে তাদের আপনি কি বলেছেন? বলেছেন কিছু? আপনি এতদিন ধ'রে তাহ'লে শ্রীশ্রীবড়দার বিরুদ্ধে, শ্রীশ্রীবড়দার পরিবারের বিরুদ্ধে মাঠে ঘাটে, উৎসব মঞ্চে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরোধীদের ক'রে চলা তীব্র কুৎসা সমালোচনা উপভোগ করছিলেন? এতদিনে টনক নড়লো? আমি তো কারও বিরুদ্ধে কোনও কুৎসা বা সমালোচনা করিনি, শুধু শ্রীশ্রীবড়দা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা মিথ্যে অভিযোগের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের কিছু প্রশ্ন করেছি, তারা শ্রীশ্রীঠাকুরকে অবিকৃত প্রচার করছে আর শ্রীশ্রীবড়দা ও তাঁর পরিবার বিকৃত প্রচার করছে এই নিয়ে তাদেরই প্রচার 'আচার্য প্রথা ও আচার্য পরম্পরা প্রথা' পূর্ণাংগ ও সংক্ষিপ্ত প্রার্থনা, ইষ্টভৃতি পুরোনো ও নোতুন মন্ত্র, ইষ্টগুরু পুরুষোত্তম প্রতীক গুরু বংশধর নিয়ে প্রফুল্লদার যতিচিহ্ন সহযোগে বাণীর ব্যাখ্যা, "আচার্য পরম্পরা বিষয়ে বাগ্মীপ্রবর প্রলয় মজুমদার' ভিডিওর বিষয়, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে শুধু তাদের কাছে জানতে চেয়ে যুক্তির ওপর দাঁড়িয়ে কিছু প্রশ্ন করেছি মাত্র, তা'তেই আপনাদের গাত্রদাহ হ'য়ে গেল? মরার পর কি নিয়ে যাবো? আরে দাদা মরার পর ওপরে গেলে শ্রীশ্রীঠাকুর তো জিজ্ঞেস করবে, কি রে এত যে কোন্দল, তুই কি করলি? আমি তো বলবো, ঠাকুর শ্রীশ্রীবড়দা ও শ্রীশ্রীবড়দা বিরোধী কুৎসাকারীদের, অপবাদ দিয়েছে তাদের, যারা শ্রীশ্রীবড়দাকে স্বার্থরক্ষাকারী ও মির্জাফর বলেছে তাদের আমি প্রকাশ্যে কিছু প্রশ্ন করেছি, যেহেতু তারা ক্রমাগত ৫৫ বছর এই কুৎসা, সমালোচনা ও মিথ্যে অপবাদের ট্রাডিশান ব'ইয়ে চলেছে তাই তাদের কাছে প্রকাশ্যেই জানতে চেয়েছি যাতে তাদের ৫৫বছর ধ'রে তাদের অপপ্রচারের ফলে লক্ষ লক্ষ দীক্ষিত সৎসঙ্গী বিভ্রান্ত হয়ে, ঠিক ভুল বুঝতে না- পারার জন্য ডি-রেইল্ড হয়েছে, অদীক্ষিতদের মধ্যে আপনার বিরুদ্ধে ও আপনার পরিবারের বিরুদ্ধে ও আপনার সৃষ্ট সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বদনাম করার, কুৎসা-সমালোচনা করার সুযোগ ক'রে দিয়েছে তা' তাদের কাছে দুধ কা দুধ আর পানি কা পানি হ'য়ে সমাধান হ'য়ে যায়; সেইজন্য আমি বিরোধীদের কাছে কিছু প্রশ্ন ক'রে জানতে চেয়েছি। কিন্তু আপনি কি বলবেন ঠাকুরকে? ঠাকুর জিজ্ঞেস করলে কি উত্তর দেবেন? এইটাই তো বলবেন, আপনি আমার মুখ বন্ধ করতে চেয়েছিলেন, এসব প্রশ্ন করা ছেড়ে দিয়ে নামধ্যান করার জ্ঞান দিয়েছিলেন, যাতে তারা যা করছে করুক, তাদের এই মিথ্যে অপবাদ কুৎসা নিন্দা অপমান বদনাম করার পথে যেন বাধা না পায়। যে যা করছে করুক, আমার গায়ে আঁচ না লাগে ফুরিয়ে যাবে মামলা। তাই না?
প্রশ্নঃ Dada Karo Samalachana Bando Karun Apni Phone NO Niye Personal phone Kare Bapar Ta Mithe nin JAY GURU DADA
উত্তরঃ যিনি বা যারা ঘৃণ্য সমালোচনা ক'রে চলেছেন আজ ৫৫ বছর ধ'রে প্রকাশ্যে শ্রীশ্রীবড়দা আর তাঁর পরিবারের মধ্যে সেগুলি আপনার চোখে এত বছরেও পড়লো না? আমি শুধু তাঁকে তাঁর প্রকাশ্যে ভিডিও সম্পর্কে প্রশ্ন করায় আপনার চোখে পড়লো? বিরোধীরা প্রকাশ্যে মঞ্চে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওর মাধ্যমে শ্রীশ্রীবড়দার বিরুদ্ধে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কুৎসা সমালোচনা করবেন, অপবাদ দেবেন আর আমি সে সম্পর্কে তাদের যুক্তির ওপর দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করলেই, তাদের বক্তব্যকে যুক্তি দিয়ে প্রশ্ন করার মাধ্যমে খন্ডন করলেই সেটা আমার সমালোচনা হ'য়ে গেল? যারা শ্রীশ্রীবড়দার হাতে তৈরী হওয়া মানুষ হ'য়েও প্রকাশ্যে ৫৫ বছর ধ'রে তাদের উত্তরসূরীদের শ্রীশ্রীবড়দাকে ও তাঁর পরিবারকে দু'বার অপমান করতে ভাবেন না আর আমার তাকে ফোন ক'রে জিজ্ঞেস করতে হবে আপনি কেন অপমান করছেন? কার সঙ্গে কি মিটিয়ে নেবার কথা বলছেন? যিনি নিজে ঠাকুরবাড়ির আশ্রিত হ'য়ে ঠাকুরবাড়িতে থেকে শ্রীশ্রীঠাকুরের সংস্পর্শে ব্রহ্মজ্ঞানের অধিকারী হয়েছেন, শ্রীশ্রীবড়দার সাহচর্য্যে দিব্যজ্ঞান লাভ করেছেন আর তিনিই পরে শ্রীশ্রীঠাকুরের দেহ রাখার পর শ্রীশ্রীবড়দার অন্যতম ঘৃণ্য সমালোচক, অপবাদের প্রচারক তার সঙ্গে আমি সামান্য একজন মানুষ কি মিটিয়ে নেব? মিটিয়ে নেবার দায় তো তার যিনি সমস্যার জন্ম দিয়েছেন, শ্রীশ্রীঠাকুরকে কষ্ট যন্ত্রণা দিয়েছেন ৫৫ বছর ধ'রে ও দিয়ে চলেছেন। তাই নয় কি? যাই হ'ক আপনার পরামর্শ ভালো লাগলো। আমার পরামর্শ আপনাকে, আপনি উনাকে বলুন, উনি ও উনারা যারা ৫৫ বছর ধ'রে যা ক'রে চলেছেন তা পাপ না পুণ্য কাজ।? যদি মনে করেন ঠিক করছেন তাহ'লে ঠিক। আর যদি মনে করেন কাজটা বেঠিক ও পাপ তাহ'লে ঠাকুরবাড়িতে এসে মিটিয়ে নিতে ও প্রায়শ্চিত্ত করতে। আমি একজন সৎসঙ্গী হ'য়ে একজন সৎসঙ্গীকে এই পরামর্শ দিলাম মাত্র। আপনিও যদি সৎসঙ্গী হ'য়ে থাকেন তাহ'লে আপনারও দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে আমাকে না ব'লে কুৎসাকারীদের কিছু মিষ্টভাবে হ'লেও বলার। আর আমার কোনও অন্যায় থাকলে, ভুল থাকলে অবশ্যই বলবেন আমি ক্ষমা চেয়ে নেব বা ভুল স্বীকার ক'রে নেব। আমার অনেক ভালোবাসা নেবেন ও সুন্দর প্রস্তাব রাখায় অনেক ধন্যবাদ।
প্রশ্নঃ আপনি সমাধান চান না প্রবলেম? মানুষকে কনফিউস করবেন না প্লীজ। শ্রীশ্রীবড়দার পরিবার কোনও দিন কাওকে আপনার মতো নেগেটিভ কথা বলেন নি। এবং তাদের মাপবার ক্ষমতা আপনার নেই, ভালো ক'রে নাম ধ্যান করুন দয়াক'রে, আপনার মনের বিকৃতি দূর হ'ক। জয়গুরু।
(ভিডিও/ শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণী বিকৃত কে করেছেন? পূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা নাকি শ্রদ্ধেয় প্রফুল্লদা?).
উত্তরঃ আমি সমাধান চাইবার কে? সমাধান তো যে বা যারা সমস্যা তৈরী করেছে ৫৫ বছর ধ'রে ও ক'রে চলেছে সমাধান যদি চাই তবে তার সমাধান তাদের হাতে। আর চরম ও নিখুঁত সমাধান তো ঠাকুরের হাতে। ঠাকুরের কাছে সমস্যা তৈরীকারী বিরোধীদের সমাধানের নিখুঁত বিচার তোলা আছে, ঠিক তেমনি আমার এই ভিডিও করার জন্যও তোলা আছে এবং এর সঙ্গে সঙ্গে আমাকে এই প্রশ্ন করার জন্য এবং এই প্রশ্নের আড়ালে আপনার প্রকৃত উদ্দেশ্য কি লুকিয়ে আছে তার জন্যও বিচার তোলা আছে এটা ভুলে যাবেন না। আর প্রবলেম? প্রবলেম তো যারা বিরোধীতা ক'রে চলেছে ৫৫ বছর ধ'রে তাদের ব্যাপার, আমার কিসের প্রবলেম? আরে একটু ভেবে শান্ত মাথায় প্রশ্ন করুন। প্রশ্নের যে কোনও ব্যালান্স নেই। আর আপনার কি দেখে মনে হ'লো আমি মানুষকে কনফিউস করছি? কোনটা কনফিউসের বিষয়? প্রফুল্লদার যতিচিহ্ন সহযোগে বাণী পরিবর্তন ও সেই পরিবর্তনের ওপর দাঁড়িয়ে দেবাশীষবাবু আর সৌভিকবাবুর শ্রীশ্রীবড়দার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার সেটা মানুষকে কনফিউস করার বিষয় নয়? আমি তথ্য সহযোগে ব্যাখ্যা ক'রে প্রশ্ন জানতে চাওয়াটা কনফিউস করা ব'লে মনে হ'লো আপনার? এতটাই পক্ষপাতিত্য? এটা নেগেটিভ মানসিকতা নয়? আপনি যদি বড়দা পরিবারের প্রতি এতটাই ডিভোটেড হন তাহ'লে আমাকে দেখিয়ে দিন আমার কোন কথাটা নেগেটিভ কথা সেটা তুলে ধরুন আমি উত্তর দেব। আর ঠাকুরবাড়ির বিরুদ্ধে বিরোধীদের কোনও কথা আপনার নেগেটিভ লাগেনি, লাগে না?? ৫৫ বছর ধ'রে শ্রীশ্রীঠাকুরের সঙ্গে বেইমানী, শ্রীশ্রীবড়দা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অপবাদ ও অপপ্রচার সেগুলি নেগেটিভ মনে হয় নি? এগুলি সব পজিটিভ? কি দেখে আপনার মনে হ'লো আমি তাদের মেপেছি? ৫৫ বছর ধ'রে শ্রীশ্রীবড়দা ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে "'আচার্য প্রথা ও আচার্য পরম্পরা প্রথা' পূর্ণাংগ ও সংক্ষিপ্ত প্রার্থনা, ইষ্টভৃতি পুরোনো ও নোতুন মন্ত্র, ইষ্টগুরু পুরুষোত্তম প্রতীক গুরু বংশধর নিয়ে প্রফুল্লদার যতিচিহ্ন সহযোগে বাণীর ব্যাখ্যা, "আচার্য পরম্পরা বিষয়ে বাগ্মীপ্রবর প্রলয় মজুমদার' ইত্যাদি নানা প্রশ্নে যারা
মাপামাপিগুলি করলেন, শ্রীশ্রীবড়দাকে মির্জাফর বললেন প্রকাশ্যে ভিডিওতে, যা কিছু সব বিরোধীরা করলেন নানা অভিযোগকে সামনে রেখে প্রকাশ্যে কুৎসা নিন্দা সমালোচনা অপমান অশ্রদ্ধা করতে করতে সেই মাপামাপি গুলি আপনার চোখে-কানে ধরা পড়েনি? তখন কি চোখে-কানে অন্ধ ও কালা ছিলেন? এই ভিডিওর পর চোখ ও কানের বন্ধ তালা খুলে গেল? অদ্ভুত আপনার মানসিকতা! নামধ্যান আপনি করেন তো? যে বা যারা ৫৫ বছর ধ'রে অপরাধ ক'রে চলেছে তাদের পক্ষ নিয়ে ওকালতি করছেন তখন ন্যায়কে মাপার ক্ষমতা আপনার কতটা তা ভিডিও দর্শক ও শ্রোতা বন্ধুরা মেপে নেবেন। আর আমাকে শ্রীশ্রীঠাকুরকে ও শ্রীশ্রীবড়দাকে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মাপামাপি করার ক্ষমতা নিয়ে বলেছেন, খোঁচা মেরে বলেছেন নামধ্যন করতে ও মনের বিকৃতি দূর করতে। শ্রীশ্রীবড়দা ও তার পরিবারের প্রতি যখন এত ভক্তি, এত দরদ, এত ভালোবাসা হঠাৎ যদি জন্মই নিল তা' সেটা সদ্ বা বদ যে উদ্দেশ্যেই হ'ক, সেটা ঠাকুর বিচার করবে। তা একবার বিরোধীদের কর্মকান্ড নিয়ে কিছু বলবেন কি? আপনি কিছু বলুন তা শ্রীশ্রীঠাকুর শুনুক ও শ্রীশ্রীবড়দা ও তাঁর পরিবার শুনুক আর আপনার মনের বিকৃতি দূর হ'ক।
No comments:
Post a Comment