Powered By Blogger

Saturday, January 4, 2025

প্রবন্ধঃ বাবামায়েদের উদ্দেশ্যে (২)

এই ছোট্ট মিষ্টি শিশুটিকে দেখছেন? আপনার ছোট্ট শিশুর মতন না? তবে তফাৎ কোথায়?
এমন দেবতুল্য সন্তান কোন বাবামা চায় না? সবার ঘরে ঘরে সব বাবামায়ের কোল এমন দেবতার মতো সুসন্তানে ভরিয়ে দাও দয়াল! বাবামায়েদের কাছে অনুরোধ সন্তান শিশু অবস্থায় থাকতে থাকতেই সময় থাকতে নিজেদের চিন্তাভাবনা, জীবনযাপন পরিবর্তন ক'রে ফেলুন। আপনার শিশু সন্তানকে এমন দেবসন্তান হওয়ার সুযোগ ও পরিবেশ দিন। নয়তো শেষের সেদিন ভয়ংকর! আপনাদের দেখে শিখবে শিশু মন যা কিছু ভাল মন্দ। আপনাদের অবচেতন মনের মধ্যে চলতে থাকা বৃত্তি-প্রবৃত্তির, রিপু তাড়িত চলনের, ভুল আচার আচরণের ছাপ পড়ে যাবে শিশুর নরম কচি মন মস্তিষ্কের ওপর।
তাই বাবামায়েরা সাবধান! উদাসীনভাবে হেলায়ফেলায় জীবন কাটাবার আর সময় ও পরিস্থিতি নেই এই জ্বলন্ত সত্য বাবামায়েরা যত তাড়াতাড়া পারবেন বুঝে নিন। নতুবা আপনার আজকের শিশুর ভবিষ্যৎ জীবন যদি প্রতিষ্ঠিত না হয়, যদি মহাবিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় তখন বাবামা হিসেবে আপনাদের আফশোসের আর কিছু থাকবে না। ছেলের ব্যর্থ, অপ্রতিষ্ঠিত, বিপদগ্রস্থ, রোগগ্রস্থ অস্থির যন্ত্রণাময় অন্ধকারময় ভয়াবহ জীবন দেখে ব্যথায় জর্জরিত জীবনে চোখের জল ফেলা ছাড়া আর কিছু করার থাকবে না। আর সেদিন আপনার আজকের শিশু সন্তান হতাশা আর ব্যররথতার জ্বালায় জর্জরিত হ'য়ে হয় অবসাদগ্রস্থ জীবন কাটাবে, নির্মম সত্য আত্মহত্যার দিকে ছুটে যাবে নতুবা অন্ধকারাচ্ছন্ন যন্ত্রণাময় এক জীবনের অধিকারী হবে। আর সেদিন কিন্তু তার ক্ষতবিক্ষত জীবনের জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে আপনাদের আজকের ফুলের মতো সুন্দর প্রচুর সম্ভাবনাময় শিশু ভবিষ্যতের সেদিনের অসুন্দর ব্যবহারের অধিকারী ব্যার্থতার প্রতীক 'র' বিশু হ'য়ে।

তাই একবার খোঁজ নিয়ে দেখুন এই ছোট্ট শিশুর আজকের ২৪বছরের জীবন কি রকম! আর ভেবে দেখুন আর আদর্শবান ইষ্টপ্রাণ জীবনের অধিকারী ক'রে তুলুন আপনার সন্তানকে পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে। কথায় আছে কাঁচায় না নুইলে বাঁশ, পাকায় ক'রে ঠাসঠাস। আমার অপ্রিয় সত্য কথাগুলি ভালো লাগলে গ্রহণ করবেন আর ভালো না লাগলে বর্জন করুন কিন্তু রাগ করবেন না আমার ব্যক্তিগত স্বার্থহীন কথায়। স্বার্থ আমার, শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণী। শ্রীশ্রীঠাকুরে কথায়,
"পড়শিরা তোর নিপাত যাবে
তুই বেঁচে সুখ খাবি বুঝি?
যা ছুটে যা তাদের বাঁচা
তারাই যে তোর বাঁচার পুজি।"-----এই-ই আমার এক ও একমাত্র স্বার্থ যাতে আমার দয়াল ঠাকুর খুশী হন। 
( লেখা ৪ই জানুয়ারী'২৩)।



No comments:

Post a Comment